গৌড়েশ্বর
₹200
গৌড়েশ্বর উপন্যাসটি ইতিহাস আশ্রিত। মূলত ৮৩৯ হিজরী থেকে ৯২৫ হিজরী পর্যন্ত (১৪৩৫-১৫১৯) এর বিস্তৃতি। কিন্তু এই প্রথম খণ্ডটি গড়ে উঠেছে ৮৩৯ হিজরী থেকে ৮৯৩ হিজরীর (১৪৩৫-১৪৮৯ খ্রিঃ) বহু চমকপ্রদ অজানা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। প্রথম খন্ডটিতে তুলে ধরা হয়েছে মাহমুদ শাহী বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান রুকনুদ্দীন বারবক শাহ থেকে শুরু করে শেষ সুলতান জালালুদ্দীন ফতেহ শাহের রাজত্বকাল।
তৎকালান ‘গৌড় রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল লখনৌতিয়া বা লখনৌতি। রুকনুদ্দীন বারবক শাহের সৌন্দর্যবােধের নিদর্শন ছিল তার প্রাসাদ। এই কারুকার্যময় প্রাসাদের একটি অংশ আজও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে রক্ষিত রয়েছে। এই উপন্যাসে একটি বৃহসাম অনৈসর্গিক ও অনৈতিহাসিক চরিত্র রয়েছে। কেউ তাকে ডাকে ভুলাইয়া, কেউ বলে মুসাফির আবার কেউ ডাকে ফকির বাবা বলে। রাজ্যের সর্বত্রই এর চলাচল। যুগ যুগ ধরে নদ-নদী, আবহাওয়া, সবুজ বনানীর মতই সে জড়িয়ে রয়েছে এই গৌড় রাজ্যের সাথে। সে ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা। এই চরিত্রটি উপন্যাসের দ্বিতীয় খন্ডেও থাকবে। একেবারে শেষ মুহূর্তে পাঠক বুঝতে পারবে এই চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও এই উপন্যাসে তৎকালীন আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সংস্কৃতি, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি, হিন্দু গুণী জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপর সুলতানের আনুকূল্য ধরা পড়েছে। সেই সাথে রয়েছে বাংলায় রামায়ণ রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝার রাজধানীতে আগমন ও সুলতান বারবক শাহের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করা। শ্রীকৃষ্ণ বিজয় রচয়িতা মালাধর বসুর কাব্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বারবক শাহ তাকে রণরাজ খান উপাধি প্রদান করেছিলেন। বছগ্রন্থের টীকাকার ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত বৃহস্পতি মিশ্রকে সুলতান কনকন্নান করিয়েছিলেন। বাসুদেব সার্বভৌমের পিতা বিশারদ সুলতানের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেছিলেন। তিনি শুধু গৌড়ের সুলতানই ছিলেন না। তিনি ছিলেন বিদ্বান, বিচক্ষণ ও সৌন্দর্যপ্রিয়
সুলতান। নিজে সংস্কৃত ভাষা জানতেন বলেই তার কিছু মুদ্রার দুদিকেই সংস্কৃত ভাষায় তার নাম পাওয়া গিয়েছে। এটি একটি বিরল উদাহরণ। তার সময়ে তৈরি দাখিল দরওয়াজা গৌড়ে আজও বর্তমান। তার পুত্র শামসুদ্দীন মুসুফ শাহের নির্মিত তাতীপাড়া মসজিদ’, লােটন মসজিদ’, ‘চামকাট্রি মসজিদ’ আজও মাহমুদ শাহী বংশের সুলতানদের স্থাপত্য শিল্পের বড় নিদর্শন হয়ে রয়েছে।
সেই সময় শাসন ব্যবস্থার লিখিত রূপ ছিল ফা্সী। তাই বাধ্য হয়ে সেই সময়টিকে ধরার জন্য লেখককে বহু ফার্সী শব্দ ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে প্রজাদের কথা ভাষা ছিল বাংলা। মাহমুদ শাহী বংশের সুলতানেরা প্রায় ৫৪-৫৫ বৎসর সুনিপুনতার সাথে গৌড়রাজ্যের সীমা বাড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে শাসন করে গিয়েছেন। গৌড়েশ্বর উপন্যাসের প্রথম খন্ডের এটাই মূল উপজীব্য বিষয়।
Out of stock
গৌড়েশ্বর উপন্যাসটি ইতিহাস আশ্রিত। মূলত ৮৩৯ হিজরী থেকে ৯২৫ হিজরী পর্যন্ত (১৪৩৫-১৫১৯) এর বিস্তৃতি। কিন্তু এই প্রথম খণ্ডটি গড়ে উঠেছে ৮৩৯ হিজরী থেকে ৮৯৩ হিজরীর (১৪৩৫-১৪৮৯ খ্রিঃ) বহু চমকপ্রদ অজানা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে। প্রথম খন্ডটিতে তুলে ধরা হয়েছে মাহমুদ শাহী বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান রুকনুদ্দীন বারবক শাহ থেকে শুরু করে শেষ সুলতান জালালুদ্দীন ফতেহ শাহের রাজত্বকাল।
তৎকালান ‘গৌড় রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল লখনৌতিয়া বা লখনৌতি। রুকনুদ্দীন বারবক শাহের সৌন্দর্যবােধের নিদর্শন ছিল তার প্রাসাদ। এই কারুকার্যময় প্রাসাদের একটি অংশ আজও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে রক্ষিত রয়েছে। এই উপন্যাসে একটি বৃহসাম অনৈসর্গিক ও অনৈতিহাসিক চরিত্র রয়েছে। কেউ তাকে ডাকে ভুলাইয়া, কেউ বলে মুসাফির আবার কেউ ডাকে ফকির বাবা বলে। রাজ্যের সর্বত্রই এর চলাচল। যুগ যুগ ধরে নদ-নদী, আবহাওয়া, সবুজ বনানীর মতই সে জড়িয়ে রয়েছে এই গৌড় রাজ্যের সাথে। সে ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা। এই চরিত্রটি উপন্যাসের দ্বিতীয় খন্ডেও থাকবে। একেবারে শেষ মুহূর্তে পাঠক বুঝতে পারবে এই চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও এই উপন্যাসে তৎকালীন আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সংস্কৃতি, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি, হিন্দু গুণী জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপর সুলতানের আনুকূল্য ধরা পড়েছে। সেই সাথে রয়েছে বাংলায় রামায়ণ রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝার রাজধানীতে আগমন ও সুলতান বারবক শাহের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করা। শ্রীকৃষ্ণ বিজয় রচয়িতা মালাধর বসুর কাব্য প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বারবক শাহ তাকে রণরাজ খান উপাধি প্রদান করেছিলেন। বছগ্রন্থের টীকাকার ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত বৃহস্পতি মিশ্রকে সুলতান কনকন্নান করিয়েছিলেন। বাসুদেব সার্বভৌমের পিতা বিশারদ সুলতানের পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেছিলেন। তিনি শুধু গৌড়ের সুলতানই ছিলেন না। তিনি ছিলেন বিদ্বান, বিচক্ষণ ও সৌন্দর্যপ্রিয়
সুলতান। নিজে সংস্কৃত ভাষা জানতেন বলেই তার কিছু মুদ্রার দুদিকেই সংস্কৃত ভাষায় তার নাম পাওয়া গিয়েছে। এটি একটি বিরল উদাহরণ। তার সময়ে তৈরি দাখিল দরওয়াজা গৌড়ে আজও বর্তমান। তার পুত্র শামসুদ্দীন মুসুফ শাহের নির্মিত তাতীপাড়া মসজিদ’, লােটন মসজিদ’, ‘চামকাট্রি মসজিদ’ আজও মাহমুদ শাহী বংশের সুলতানদের স্থাপত্য শিল্পের বড় নিদর্শন হয়ে রয়েছে।
সেই সময় শাসন ব্যবস্থার লিখিত রূপ ছিল ফা্সী। তাই বাধ্য হয়ে সেই সময়টিকে ধরার জন্য লেখককে বহু ফার্সী শব্দ ব্যবহার করতে হয়েছে। তবে প্রজাদের কথা ভাষা ছিল বাংলা। মাহমুদ শাহী বংশের সুলতানেরা প্রায় ৫৪-৫৫ বৎসর সুনিপুনতার সাথে গৌড়রাজ্যের সীমা বাড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার সাথে শাসন করে গিয়েছেন। গৌড়েশ্বর উপন্যাসের প্রথম খন্ডের এটাই মূল উপজীব্য বিষয়।