গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
দেশভাগ ও ছিন্নমূল মানব
₹300
বিংশ শতাব্দীর ৪০ এর দশকে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সবচেয়ে বড় সংকট ছিল ধারাবাহিক দাঙ্গার ফলশ্রুতিতে দেশভাগ ও ছিন্নমূল সমস্যা। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ও দাঙ্গার প্রভাবে ভারত ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মানুষ ' ছিন্নমূল উদ্বাস্তু ' জীবনকে বেছে নিতে বাধ্য হয়। তাই, স্বাধীনতার চেয়ে দেশভাগের গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। ' দেশভাগ ও ছিন্নমূল মানব ' গ্রন্থে পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বি-মুখী নীতি ও পরিকল্পনার কথা তথ্যনিষ্ঠ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ছিন্নমূল মানুষের জীবন সংগ্রাম ও লড়াকু আন্দোলনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় ' UCRC ' (United Central Rehabilitation Council)- গৌরবজ্জল ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা গ্রন্থটিতে তন্নিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এরা নিছক পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পালাবদলের ভিত্তি রচনা করেন নি, গড়ে তুলেছেন বামপন্থী সংস্কৃতি। দেশবিভাগের ফলশ্রুতি হিসেবে নারী জীবনের বিপর্যয় ও তাদের উদ্বাস্তু জীবনে আত্মপরিচয়ের সংকট- অনুসন্ধান এই গ্ৰন্থের উল্লেখযােগ্য অবলােকন। নীলেন্দু বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসুর একতাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে উদ্বাস্তু সমস্যা ও ৫০-এর দশকের ধারাবাহিক গণ-আন্দোলনের প্রসঙ্গকে সার্থকভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে যাচাই করে, তা এই এস্থের অন্যতম সম্পদ।
দেশভাগ ও ছিন্নমূল মানব
₹300
বিংশ শতাব্দীর ৪০ এর দশকে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সবচেয়ে বড় সংকট ছিল ধারাবাহিক দাঙ্গার ফলশ্রুতিতে দেশভাগ ও ছিন্নমূল সমস্যা। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ ও দাঙ্গার প্রভাবে ভারত ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু মানুষ ' ছিন্নমূল উদ্বাস্তু ' জীবনকে বেছে নিতে বাধ্য হয়। তাই, স্বাধীনতার চেয়ে দেশভাগের গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। ' দেশভাগ ও ছিন্নমূল মানব ' গ্রন্থে পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বি-মুখী নীতি ও পরিকল্পনার কথা তথ্যনিষ্ঠ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ছিন্নমূল মানুষের জীবন সংগ্রাম ও লড়াকু আন্দোলনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনায় ' UCRC ' (United Central Rehabilitation Council)- গৌরবজ্জল ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা গ্রন্থটিতে তন্নিষ্ঠভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এরা নিছক পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পালাবদলের ভিত্তি রচনা করেন নি, গড়ে তুলেছেন বামপন্থী সংস্কৃতি। দেশবিভাগের ফলশ্রুতি হিসেবে নারী জীবনের বিপর্যয় ও তাদের উদ্বাস্তু জীবনে আত্মপরিচয়ের সংকট- অনুসন্ধান এই গ্ৰন্থের উল্লেখযােগ্য অবলােকন। নীলেন্দু বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসুর একতাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে উদ্বাস্তু সমস্যা ও ৫০-এর দশকের ধারাবাহিক গণ-আন্দোলনের প্রসঙ্গকে সার্থকভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে যাচাই করে, তা এই এস্থের অন্যতম সম্পদ।
বিধানচন্দ্র ও সমকাল
₹300
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় দেড়দশক পচিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডঃ বিধানচন্দ্র রায়। একজন কিংবদন্তি মানুষ। তাঁর ধ্বন্বন্তরী ডাক্তারী এবং মুখ্যমন্ত্রীত্ব প্রসঙ্গে অজস্র গল্প ছড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রকৃত নির্মোহ বিশ্লেষণ নেই বললেই চলে। গবেষণাও বিশেষ হয় নি। সেই অভাব ঘুচিয়ে দিয়েছেন ডঃ নীলেন্দু সেনগুপ্ত তাঁর বিধানচন্দ্র ও সমকাল গ্রন্থে। গবেষণায় সমকালের রাজনীতি অর্থনীতি এবং দেশকাল ভাবনার মননশীল উপস্থাপনে স্বাধীনতা উত্তর পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিধানচন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় এক অপরিহার্য গ্রন্থ। কৌতুহলী পাঠকের বাড়তি পাওনা জ্যোতি বসুর দৃষ্টিতে বিধানচন্দ্র।
বিধানচন্দ্র ও সমকাল
₹300
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় দেড়দশক পচিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডঃ বিধানচন্দ্র রায়। একজন কিংবদন্তি মানুষ। তাঁর ধ্বন্বন্তরী ডাক্তারী এবং মুখ্যমন্ত্রীত্ব প্রসঙ্গে অজস্র গল্প ছড়িয়ে আছে। কিন্তু প্রকৃত নির্মোহ বিশ্লেষণ নেই বললেই চলে। গবেষণাও বিশেষ হয় নি। সেই অভাব ঘুচিয়ে দিয়েছেন ডঃ নীলেন্দু সেনগুপ্ত তাঁর বিধানচন্দ্র ও সমকাল গ্রন্থে। গবেষণায় সমকালের রাজনীতি অর্থনীতি এবং দেশকাল ভাবনার মননশীল উপস্থাপনে স্বাধীনতা উত্তর পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিধানচন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গ চর্চায় এক অপরিহার্য গ্রন্থ। কৌতুহলী পাঠকের বাড়তি পাওনা জ্যোতি বসুর দৃষ্টিতে বিধানচন্দ্র।