তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
মাইকেল ক্যারিট – এক কমিউনিস্ট আইসিএস এর আত্মকথন
₹300
বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিষ্পেষণে ভারতবাসীর অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় একদিকে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার চরমে উঠেছে, অন্যদিকে প্রতিবাদী মানুষ মাথা তুলছে। চারিদিকে বিদ্রোহের পতাকা দেখা যাচ্ছে। চিরবিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টির সেই অঙ্কুরোদ্গমের কালে ভারতে আই.সি.এস হয়ে এলেন মাইকেল ক্যারিট। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ এই পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ গড়ে উঠল। নিজের জীবন, যৌবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়ে ক্যারিট দাঁড়ালেন নিপীড়িত মানুষের পাশে। তাঁরই আত্মত্যাগ ও আদর্শের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অনন্য নজির রয়েছে এই আত্মকথনে।
সাম্রাজ্যবাদী শাসনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় বলয়ে থাকা একজন মানুষ সমাজতন্ত্র ও উপনিবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শুধু নিষ্ক্রিয় বিশ্বাস নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণ করার দুঃসাহসও তার আছে। ফলতঃ স্পষ্ট বৈপরীত্যের সংঘাতে এবং লুকোচুরির বিপজ্জনক খেলায় জীবন হয়ে ওঠে এক রহস্য-রােমাঞ্চের নায়কের মতাে। মাইকেল ক্যারিটের A Mole in the Crown সেই আত্মজৈবনিক বর্ণনাতেই টানটান।
মূলানুগ ও প্রাঞ্জল ভাষান্তরে এ গ্রন্থ বাংলার ইতিহাস-চর্চারও এক অন্যতম উপাদান হয়ে থাকবে।
মাইকেল ক্যারিট – এক কমিউনিস্ট আইসিএস এর আত্মকথন
₹300
বিগত শতাব্দীর তিরিশের দশক। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের নিষ্পেষণে ভারতবাসীর অবস্থা চরম দুর্দশাগ্রস্ত। এই অবস্থায় একদিকে ব্রিটিশ সরকারের অত্যাচার চরমে উঠেছে, অন্যদিকে প্রতিবাদী মানুষ মাথা তুলছে। চারিদিকে বিদ্রোহের পতাকা দেখা যাচ্ছে। চিরবিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টির সেই অঙ্কুরোদ্গমের কালে ভারতে আই.সি.এস হয়ে এলেন মাইকেল ক্যারিট। প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ এই পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ গড়ে উঠল। নিজের জীবন, যৌবন, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিসর্জন দিয়ে ক্যারিট দাঁড়ালেন নিপীড়িত মানুষের পাশে। তাঁরই আত্মত্যাগ ও আদর্শের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার অনন্য নজির রয়েছে এই আত্মকথনে।
সাম্রাজ্যবাদী শাসনে ক্ষমতার কেন্দ্রীয় বলয়ে থাকা একজন মানুষ সমাজতন্ত্র ও উপনিবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। শুধু নিষ্ক্রিয় বিশ্বাস নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণ করার দুঃসাহসও তার আছে। ফলতঃ স্পষ্ট বৈপরীত্যের সংঘাতে এবং লুকোচুরির বিপজ্জনক খেলায় জীবন হয়ে ওঠে এক রহস্য-রােমাঞ্চের নায়কের মতাে। মাইকেল ক্যারিটের A Mole in the Crown সেই আত্মজৈবনিক বর্ণনাতেই টানটান।
মূলানুগ ও প্রাঞ্জল ভাষান্তরে এ গ্রন্থ বাংলার ইতিহাস-চর্চারও এক অন্যতম উপাদান হয়ে থাকবে।