“বাংলার চার পল্লীগীতিকার ও তাদের গান” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
প্রাণের প্রাণ গীতবিতানে
Publisher: একুশ শতক
₹200
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ppg01
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
জবাসুন্দর পদাবলি
By তাপস রায়
₹150
পর্তুগীজ জলদস্যু মাথায়াস গঞ্জালভেসের নাতি সর্বানন্দ গঞ্জালভেস, যে ধান্যকুড়িয়ার গাইন জমিদারের পাইক, আর বল্লভ জমিদারের সাথে গাইনদের গোপন সংঘাতের অস্ত্র হয়ে ওঠে। গাইনগার্ডেনে এক জ্যোৎস্নালাগা জলসার রাতে সে বল্লভদের মোহরের ঘড়া চুরি করে এনে বাগানে পুঁতে রাখতে গেলে ধরা পড়ে যায়। আর খুন করে ফেলে বল্লভবংশের ছেলে রথীন্দ্রনাথ এবং তাঁর প্রেমিকা মধুবনীকে। মধুবনী রথীন্দ্রনাথের প্রেমে বিভোর। জ্যোৎস্না রাতে রথীন্দ্রনাথকে পদ্মপুকুরে নেমে চাঁদ ধরতে দেখে সেই দোতলার জানালার গরাদের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসে তার হাত ধরতে। পারে না। জ্যোৎস্নারা ঘিরে ফেলে। তারপর ...... এক আধিভৌতিক উপন্যাস " জবাসুন্দর পদাবলি "
জবাসুন্দর পদাবলি
By তাপস রায়
₹150
পর্তুগীজ জলদস্যু মাথায়াস গঞ্জালভেসের নাতি সর্বানন্দ গঞ্জালভেস, যে ধান্যকুড়িয়ার গাইন জমিদারের পাইক, আর বল্লভ জমিদারের সাথে গাইনদের গোপন সংঘাতের অস্ত্র হয়ে ওঠে। গাইনগার্ডেনে এক জ্যোৎস্নালাগা জলসার রাতে সে বল্লভদের মোহরের ঘড়া চুরি করে এনে বাগানে পুঁতে রাখতে গেলে ধরা পড়ে যায়। আর খুন করে ফেলে বল্লভবংশের ছেলে রথীন্দ্রনাথ এবং তাঁর প্রেমিকা মধুবনীকে। মধুবনী রথীন্দ্রনাথের প্রেমে বিভোর। জ্যোৎস্না রাতে রথীন্দ্রনাথকে পদ্মপুকুরে নেমে চাঁদ ধরতে দেখে সেই দোতলার জানালার গরাদের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসে তার হাত ধরতে। পারে না। জ্যোৎস্নারা ঘিরে ফেলে। তারপর ...... এক আধিভৌতিক উপন্যাস " জবাসুন্দর পদাবলি "
ব্ল্যাকশিপ 0
₹50
ব্ল্যাকশিপ 0 ব্যাপারটা বেশ ইউনিক। একই গল্পের দুইরকম ভাবে পরিবেশন। সংক্ষিপ্তকারে সত্যি অভিনব এক প্রচেষ্টা। তবে ব্ল্যাকশিপ ১ এবং ব্ল্যাকশিপ ২ কমিক্স দুটি পড়লে ব্ল্যাকশিপ 0 এক উপরি পাওনা বলে মনে হবে, হয়তো মনের ভিতর জেগে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে।
ব্ল্যাকশিপ 0
₹50
ব্ল্যাকশিপ 0 ব্যাপারটা বেশ ইউনিক। একই গল্পের দুইরকম ভাবে পরিবেশন। সংক্ষিপ্তকারে সত্যি অভিনব এক প্রচেষ্টা। তবে ব্ল্যাকশিপ ১ এবং ব্ল্যাকশিপ ২ কমিক্স দুটি পড়লে ব্ল্যাকশিপ 0 এক উপরি পাওনা বলে মনে হবে, হয়তো মনের ভিতর জেগে ওঠা কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবে।
প্রহর শেষে
₹100
সঙ্গীত, বহমান সময়, প্রেম ও নিঃসঙ্গতার সুক্ষ্ম সংযোগের কাহিনী ‘প্রহর শেষে'। এ উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে পরজ। রাত্রি শেষ প্রহরে জন্ম তার। মার্গ সঙ্গীত শিক্ষার্থী বাবা স্বপ্ন দেখতেন পরজ-এর দিনরাত্রি যাপন হবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধনায়। প্রহর থেকে প্রহরে সে ডুবে থাকবে ভৈরবী, পুরবী, ইমন আর দরবারীর সুরে। শৈশব ও কৈশোরে বাবার বদলির চাকরি আর তারপর নিজের কর্মজীবনে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়ায় পরজ। প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব বর্ণ, গন্ধ আর সৌরভে ভরা। আবার প্রতিটি অবস্থানেই থাকে তার নিজস্ব নিভৃত নির্জন নিঃসঙ্গতা। এ যেন এক সুর থেকে অন্য সুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া। এক রাগে অন্য রাগের আবির্ভাব ও তিরোভাব।
ছায়ানট ও হাম্বীরের পাশেই যেমন কেদার ও কামোদের অবস্থান, ঠিক তেমনই পরজের কৈশোরে ঝঙ্কার তোলে রহস্য ঘেরা এক প্রায়-তরুণী মধুবস্ত্রী। কৈশোরের প্রথম উদ্ভাসে তা ছিল নিষিদ্ধতার গোপন শিহরণ। কলকাতায় এসে গান শিখে ফেরার পথে অবস্তিকাদির চোখের তারার ইমনের ঘন ছায়ায় অজান্তেই প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম। পূর্ণ যৌবনে রূপলেখার সান্নিধ্যের বিষন্ন বেহাগ। পরজ অনুভব করে তীব্র সুখে মিশে থাকে যন্ত্রণার অনুভূতি। সে জানতে পারে, 'চালতে চালতে অনজানে মে রিস্তা বন্ যাতা হ্যায়'। চলার পথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশ্চর্য সব মানুষের সঙ্গে। এঁরা কেউ বা গায়ক, কেউ বা শ্রোতা। কিন্তু মার্গ সঙ্গীতের আশ্চর্য মীড়, সুত, ঘসিট এক জীবনের সঙ্গে অন্য জীবনকে গেঁথে ‘প্রহর শেষে’ রেখে যায় এক অতুলনীয় মূর্ছনা। প্রহর থেকে প্রহরাস্তরে উপন্যাস ‘প্রহর শেষে’ কি পারবে নিঃসঙ্গতার শেষ প্রহরের সুরে সুর মেলাতে?
প্রহর শেষে
₹100
সঙ্গীত, বহমান সময়, প্রেম ও নিঃসঙ্গতার সুক্ষ্ম সংযোগের কাহিনী ‘প্রহর শেষে'। এ উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে পরজ। রাত্রি শেষ প্রহরে জন্ম তার। মার্গ সঙ্গীত শিক্ষার্থী বাবা স্বপ্ন দেখতেন পরজ-এর দিনরাত্রি যাপন হবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধনায়। প্রহর থেকে প্রহরে সে ডুবে থাকবে ভৈরবী, পুরবী, ইমন আর দরবারীর সুরে। শৈশব ও কৈশোরে বাবার বদলির চাকরি আর তারপর নিজের কর্মজীবনে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়ায় পরজ। প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব বর্ণ, গন্ধ আর সৌরভে ভরা। আবার প্রতিটি অবস্থানেই থাকে তার নিজস্ব নিভৃত নির্জন নিঃসঙ্গতা। এ যেন এক সুর থেকে অন্য সুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া। এক রাগে অন্য রাগের আবির্ভাব ও তিরোভাব।
ছায়ানট ও হাম্বীরের পাশেই যেমন কেদার ও কামোদের অবস্থান, ঠিক তেমনই পরজের কৈশোরে ঝঙ্কার তোলে রহস্য ঘেরা এক প্রায়-তরুণী মধুবস্ত্রী। কৈশোরের প্রথম উদ্ভাসে তা ছিল নিষিদ্ধতার গোপন শিহরণ। কলকাতায় এসে গান শিখে ফেরার পথে অবস্তিকাদির চোখের তারার ইমনের ঘন ছায়ায় অজান্তেই প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম। পূর্ণ যৌবনে রূপলেখার সান্নিধ্যের বিষন্ন বেহাগ। পরজ অনুভব করে তীব্র সুখে মিশে থাকে যন্ত্রণার অনুভূতি। সে জানতে পারে, 'চালতে চালতে অনজানে মে রিস্তা বন্ যাতা হ্যায়'। চলার পথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশ্চর্য সব মানুষের সঙ্গে। এঁরা কেউ বা গায়ক, কেউ বা শ্রোতা। কিন্তু মার্গ সঙ্গীতের আশ্চর্য মীড়, সুত, ঘসিট এক জীবনের সঙ্গে অন্য জীবনকে গেঁথে ‘প্রহর শেষে’ রেখে যায় এক অতুলনীয় মূর্ছনা। প্রহর থেকে প্রহরাস্তরে উপন্যাস ‘প্রহর শেষে’ কি পারবে নিঃসঙ্গতার শেষ প্রহরের সুরে সুর মেলাতে?
কানাডার সাম্প্রতিক কবিতা
₹100
শিল্পীর চেতনা ও অনুভূতির সচেতন অভিপ্রকাশে মূর্ত হয় তাঁর সৃষ্টি। সেই সৃষ্টির গুণমান এক উল্লেখযােগ্য উচ্চতায় পৌছালে উত্তরণ ঘটে সে শিল্পের। ব্যাপারটা কবিতার ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযােজ্য। কবি হৃদয়ের একান্ত অনুভূতি, বােধ ও সত্তা এক সূক্ষ্ম আত্মায় উন্মােচিত হয় কবিতায়। শব্দের বহুকৌণিক, বহুমাত্রিক দীপ্তি বিচ্ছুরণে ব্যক্তিক অনুভূতি হয়ে ওঠে সর্বজনীন। তখন তার দাবি অমােঘ। ' কানাডার সাম্প্রতিক কবিতা ' র ওপর কাজ করতে করতে আমার মনে হয়েছে সে দেশের বর্তমান কাব্যধারা যথেষ্ট সমৃদ্ধ, উন্নত ও বেগবান, এবং সে সম্পর্কে আমাদের পরিচয় থাকা সম্ভবত জরুরি ও আবশ্যিক।
একটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একগুচ্ছ কবির কবিতায় ধরা পড়ে সমসাময়িক কাব্যধারার এক নিবিড় রূপ ও মান। কানাডার মতন বস্তুতান্ত্রিক দেশে যেসব কবিরা রয়েছেন ঠিক এ মুহূর্তে তারা কী ভাবছেন, কী লিখছেন তা জানার আগ্রহ প্রকৃত কবিতাপ্রেমিক মাত্রেরই থাকা স্বাভাবিক। সেই বিশ্বাস থেকে আমার এ প্রয়াস। এ ধরনের কাজের প্রয়ােজনীয়তা কিংবা মূল্য কতটা তা নির্ণয়ের ভার গুণীজনদের। তবে মনে হয়, কবিতাকে যারা খুব সাধারণ অর্থে ভালােবাসেন তাদেরও সংকলনটি ভাল লাগবে।
সংকলনে কানাডার বহু প্রথম সারির কবির কবিতা গ্রন্থিত হল। এর বেশ কিছু কবিতা কিছু লিটল ম্যাগে প্রকাশিত হয়েছে। পাঠক ও সম্পাদকদের আগ্রহ আমাকে উদবুদ্ধ করেছে কবিতাগুলি একত্রিত করে একটি সুসংহত রূপ দিতে, তাদের ধন্যবাদ।
কানাডার সাম্প্রতিক কবিতা
₹100
শিল্পীর চেতনা ও অনুভূতির সচেতন অভিপ্রকাশে মূর্ত হয় তাঁর সৃষ্টি। সেই সৃষ্টির গুণমান এক উল্লেখযােগ্য উচ্চতায় পৌছালে উত্তরণ ঘটে সে শিল্পের। ব্যাপারটা কবিতার ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযােজ্য। কবি হৃদয়ের একান্ত অনুভূতি, বােধ ও সত্তা এক সূক্ষ্ম আত্মায় উন্মােচিত হয় কবিতায়। শব্দের বহুকৌণিক, বহুমাত্রিক দীপ্তি বিচ্ছুরণে ব্যক্তিক অনুভূতি হয়ে ওঠে সর্বজনীন। তখন তার দাবি অমােঘ। ' কানাডার সাম্প্রতিক কবিতা ' র ওপর কাজ করতে করতে আমার মনে হয়েছে সে দেশের বর্তমান কাব্যধারা যথেষ্ট সমৃদ্ধ, উন্নত ও বেগবান, এবং সে সম্পর্কে আমাদের পরিচয় থাকা সম্ভবত জরুরি ও আবশ্যিক।
একটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একগুচ্ছ কবির কবিতায় ধরা পড়ে সমসাময়িক কাব্যধারার এক নিবিড় রূপ ও মান। কানাডার মতন বস্তুতান্ত্রিক দেশে যেসব কবিরা রয়েছেন ঠিক এ মুহূর্তে তারা কী ভাবছেন, কী লিখছেন তা জানার আগ্রহ প্রকৃত কবিতাপ্রেমিক মাত্রেরই থাকা স্বাভাবিক। সেই বিশ্বাস থেকে আমার এ প্রয়াস। এ ধরনের কাজের প্রয়ােজনীয়তা কিংবা মূল্য কতটা তা নির্ণয়ের ভার গুণীজনদের। তবে মনে হয়, কবিতাকে যারা খুব সাধারণ অর্থে ভালােবাসেন তাদেরও সংকলনটি ভাল লাগবে।
সংকলনে কানাডার বহু প্রথম সারির কবির কবিতা গ্রন্থিত হল। এর বেশ কিছু কবিতা কিছু লিটল ম্যাগে প্রকাশিত হয়েছে। পাঠক ও সম্পাদকদের আগ্রহ আমাকে উদবুদ্ধ করেছে কবিতাগুলি একত্রিত করে একটি সুসংহত রূপ দিতে, তাদের ধন্যবাদ।
বন্দেমাতরম
By তাপস রায়
₹350
১৮৮২-তে, মানে ১৪০ বছর আগে ‘আনন্দমঠ' গ্রন্থাকারে বের হল। ঋষি অরবিন্দ এই উপন্যাসটিকে সামনে রেখেই বঙ্কিমচন্দ্রকে বলেছিলেন নতুন ভারতের নির্মাতা। এই উপন্যাসের ভেতরে থাকা একটি গান অবশ্যই আজও ভারত আত্মাকে মথিত করে চলেছে – তা হলো বন্দেমাতরম।
আর এই ‘বন্দেমাতরম' উপন্যাস শুধু বাংলার রেনেসাঁর পুরোধা ব্যক্তিত্ব বঙ্কিমচন্দ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে বসে নেই, বলা যাবে উনিশ শতকের এই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্রে বসিয়ে আধখানা উনিশ শতককে তাঁর চারপাশে চলিষ্ণুতা দিতে চেয়েছে। এই উপন্যাস গম্ভীর বঙ্কিমকে ফুরফুরে রোমান্টিকতার আবহে রেখে চলাফেরা করেছে। আশা করা যায় রোমান্টিকতার সেই অধরা মাধুরী চৈত্র বাতাসের মতো পাঠকের মনেও বয়ে যাবে।
বন্দেমাতরম
By তাপস রায়
₹350
১৮৮২-তে, মানে ১৪০ বছর আগে ‘আনন্দমঠ' গ্রন্থাকারে বের হল। ঋষি অরবিন্দ এই উপন্যাসটিকে সামনে রেখেই বঙ্কিমচন্দ্রকে বলেছিলেন নতুন ভারতের নির্মাতা। এই উপন্যাসের ভেতরে থাকা একটি গান অবশ্যই আজও ভারত আত্মাকে মথিত করে চলেছে – তা হলো বন্দেমাতরম।
আর এই ‘বন্দেমাতরম' উপন্যাস শুধু বাংলার রেনেসাঁর পুরোধা ব্যক্তিত্ব বঙ্কিমচন্দ্রর মুখের দিকে তাকিয়ে বসে নেই, বলা যাবে উনিশ শতকের এই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্রে বসিয়ে আধখানা উনিশ শতককে তাঁর চারপাশে চলিষ্ণুতা দিতে চেয়েছে। এই উপন্যাস গম্ভীর বঙ্কিমকে ফুরফুরে রোমান্টিকতার আবহে রেখে চলাফেরা করেছে। আশা করা যায় রোমান্টিকতার সেই অধরা মাধুরী চৈত্র বাতাসের মতো পাঠকের মনেও বয়ে যাবে।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।