Discount applied: Discount 20%
“দুর্গম হিমালয়ের ডাকে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
প্রাণের প্রাণ গীতবিতানে
Publisher: একুশ শতক
₹200
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ppg01
গীতা-উপনিষদের পাতা খুললে বেজে ওঠে গীতবিতানের গান। আবার গান গাইতে বসলেও গীতা-উপনিষদ এসে সহযাত্রী হয় গানের মর্মলোকের পথযাত্রায়। এমনই কিছু অনুভবের কথা রয়েছে এ গ্রন্থে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মাটির চিত্রী রামকিঙ্কর
₹300
রাধামাধব মণ্ডল, এ প্রজন্মের তরুণ লেখকদের তিনি মুখ। রামকিঙ্করকে নিয়ে গবেষণার কাজে, বার বার শান্তিনিকেতন লাইব্রেরিতে এসেছেন তিনি। কথা বলেছেন, সে যুগের বহু প্রবীণ আশ্রমিকদের সঙ্গে। এভাবেই শিল্পীর খোঁজে, নানা মানুষের কাছে গিয়েছেন লেখক। এমন একজন মাটির শিল্পীকে নিয়ে কাজ করা মুখের কথা নয়। শিল্পীর জীবন যাপনের ইতিহাসের সঙ্গে একাত্ম হতে পারলেই, সেই গবেষণা সার্বিক বাস্তবতা লাভ করে। সে দিক দিয়ে রাধামাধবের ভূমিকা অপরিসীম। কল্পনাশক্তি নয়, গবেষণার রীতি নীতি মেনেই বইয়ের আলোচনায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি ভাস্কর্য্য, মাটির চিত্রী রামকিঙ্কর বেইজ।
রামকিঙ্কর বেইজ, জীবনযাপন ও শিল্পভাবনায় প্রথাভাঙা, নবীনতার অভিলাষী। পরিমিত ও প্রথামাফিক সংজ্ঞায়নের বাইরে গিয়ে তিনি বোধ ও শিল্পকলার সীমাকে বার বার প্রসারিত করেছেন। শিল্পভাবনার মতোই বিচিত্রপথগামী তার জীবনচর্যা - বিতর্কিত, উৎকেন্দ্রিক এবং নিজস্ব। সেই বিচিত্র, সংজ্ঞাবহির্ভূত প্রান্তিক ও অপসায়িত জীবনের আলো অন্ধকারের খোঁজ দিয়েছেন তরুণ লেখক রাধামাধব মণ্ডল তার এই মূল্যবান প্রবন্ধগ্রন্থে। লোকায়ত জীবন-দর্শনের একনিষ্ঠ গবেষক রাধামাধব মানুষ রামকিঙ্করের অপরূপ শিল্পী সত্ত্বাটিকে এখানে বিধৃত করেছেন, যে শিল্পসত্ত্বায় মাটি-শিকড়-জলের আঘ্রানে মিশেছে চিরায়তের সংগীত। বাঙালির রামকিঙ্কর চর্চায় একটি বিশিষ্ট সংযোজন।
মাটির চিত্রী রামকিঙ্কর
₹300
রাধামাধব মণ্ডল, এ প্রজন্মের তরুণ লেখকদের তিনি মুখ। রামকিঙ্করকে নিয়ে গবেষণার কাজে, বার বার শান্তিনিকেতন লাইব্রেরিতে এসেছেন তিনি। কথা বলেছেন, সে যুগের বহু প্রবীণ আশ্রমিকদের সঙ্গে। এভাবেই শিল্পীর খোঁজে, নানা মানুষের কাছে গিয়েছেন লেখক। এমন একজন মাটির শিল্পীকে নিয়ে কাজ করা মুখের কথা নয়। শিল্পীর জীবন যাপনের ইতিহাসের সঙ্গে একাত্ম হতে পারলেই, সেই গবেষণা সার্বিক বাস্তবতা লাভ করে। সে দিক দিয়ে রাধামাধবের ভূমিকা অপরিসীম। কল্পনাশক্তি নয়, গবেষণার রীতি নীতি মেনেই বইয়ের আলোচনায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তি ভাস্কর্য্য, মাটির চিত্রী রামকিঙ্কর বেইজ।
রামকিঙ্কর বেইজ, জীবনযাপন ও শিল্পভাবনায় প্রথাভাঙা, নবীনতার অভিলাষী। পরিমিত ও প্রথামাফিক সংজ্ঞায়নের বাইরে গিয়ে তিনি বোধ ও শিল্পকলার সীমাকে বার বার প্রসারিত করেছেন। শিল্পভাবনার মতোই বিচিত্রপথগামী তার জীবনচর্যা - বিতর্কিত, উৎকেন্দ্রিক এবং নিজস্ব। সেই বিচিত্র, সংজ্ঞাবহির্ভূত প্রান্তিক ও অপসায়িত জীবনের আলো অন্ধকারের খোঁজ দিয়েছেন তরুণ লেখক রাধামাধব মণ্ডল তার এই মূল্যবান প্রবন্ধগ্রন্থে। লোকায়ত জীবন-দর্শনের একনিষ্ঠ গবেষক রাধামাধব মানুষ রামকিঙ্করের অপরূপ শিল্পী সত্ত্বাটিকে এখানে বিধৃত করেছেন, যে শিল্পসত্ত্বায় মাটি-শিকড়-জলের আঘ্রানে মিশেছে চিরায়তের সংগীত। বাঙালির রামকিঙ্কর চর্চায় একটি বিশিষ্ট সংযোজন।
যে কথা বলতে চেয়েছি
₹300
চরম বামপন্থার সঙ্গে চরম দক্ষিণপন্থার মুখােমুখি এই মিলন উৎসবের দিনে সম্পাদকীয় মন্তব্য কতদূর পেলব হতে পারে? এইসব প্রশ্ন বারবার আমাকে, আমাদেরকে আলােড়িত করেছে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে এইসব প্রসঙ্গ রাজনীতির ব্যাপার বলে আড়াল করা সম্ভব? সম্ভব না। কোনাে রাজনৈতিক দলের অনুগত না হয়েও, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির প্রতি অনুগত থেকে, কারও পক্ষে এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। এসব এড়িয়ে গেলে নিজেকেই নিজের কাছে অপরাধী চিহ্নিত হয়ে থাকতে হবে, এই দৃঢ় বিশ্বাস থেকে ' যে কথা বলতে চেয়েছি ', সম্পাদকীয় স্তম্ভে বলেছি। কোনাে লেখক-শিল্পীকে আমরা ব্রাত্য করে দিইনি। আবার তাদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য হাত কচলিয়ে দাঁড়াতে চাইনি। বলেছি, আপনাদের কথা আপনারা লিখুন, আমাদের কথা আমরা বলব। বিরােধ এড়িয়ে নয়, মুখােমুখি আলােচনার দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে হবে। এই দ্বান্দ্বিক অভিঘাতের কতটা সম্পাদকীয় স্তম্ভে ধরা পড়েছে, তার বিচারের ভার পাঠকসমাজের। একসঙ্গে সবগুলি পড়ার সুযােগ করে দেওয়া সম্ভব হল, ফলে মন্তব্যের ধারাবাহিকতা লক্ষ করা সহজ হবে। এখানে মােট ১১৩টি সম্পাদকীয় সংকলিত হল।
যে কথা বলতে চেয়েছি
₹300
চরম বামপন্থার সঙ্গে চরম দক্ষিণপন্থার মুখােমুখি এই মিলন উৎসবের দিনে সম্পাদকীয় মন্তব্য কতদূর পেলব হতে পারে? এইসব প্রশ্ন বারবার আমাকে, আমাদেরকে আলােড়িত করেছে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে এইসব প্রসঙ্গ রাজনীতির ব্যাপার বলে আড়াল করা সম্ভব? সম্ভব না। কোনাে রাজনৈতিক দলের অনুগত না হয়েও, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির প্রতি অনুগত থেকে, কারও পক্ষে এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। এসব এড়িয়ে গেলে নিজেকেই নিজের কাছে অপরাধী চিহ্নিত হয়ে থাকতে হবে, এই দৃঢ় বিশ্বাস থেকে ' যে কথা বলতে চেয়েছি ', সম্পাদকীয় স্তম্ভে বলেছি। কোনাে লেখক-শিল্পীকে আমরা ব্রাত্য করে দিইনি। আবার তাদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য হাত কচলিয়ে দাঁড়াতে চাইনি। বলেছি, আপনাদের কথা আপনারা লিখুন, আমাদের কথা আমরা বলব। বিরােধ এড়িয়ে নয়, মুখােমুখি আলােচনার দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে হবে। এই দ্বান্দ্বিক অভিঘাতের কতটা সম্পাদকীয় স্তম্ভে ধরা পড়েছে, তার বিচারের ভার পাঠকসমাজের। একসঙ্গে সবগুলি পড়ার সুযােগ করে দেওয়া সম্ভব হল, ফলে মন্তব্যের ধারাবাহিকতা লক্ষ করা সহজ হবে। এখানে মােট ১১৩টি সম্পাদকীয় সংকলিত হল।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
ইছামতি সাজঘর
By অজিত মন্ডল
₹200
ষাট ও সত্তরের দশক। অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ সমাজজীবনের একটা খণ্ডচিত্র ' ইছামতি সাজঘর ' উপন্যাসের পটভূমি।
দেশবিভাগের ঠিক পরেই পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ছিন্নমূল বহু পরিবার প্রত্যন্ত দ্বীপময় গ্রামগুলিতে এসে সস্তায় জমি কিনে বসতি স্থাপন করে। তারও আগে সুন্দরবনবাসী বলতে ছিল কিছু ‘হাতকাটালি’ জমিদারী-প্রজা, রাচি ছােটনাগপুর থেকে প্রেরিত জঙ্গল হাসিলের কাজে দক্ষ দরিদ্র আদিবাসী জনগােষ্ঠী আর পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে আগত স্বল্প সংখ্যক বানভাসি অসহায় পরিবার।
একদা বহির্জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশা ও প্রকৃতির মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের আড়ালে স্বপ্নময় আবেগ-স্পন্দন ধরা পড়ল। কেটে গেল আরও কয়েকটা অস্থির দশক, অধিকার অর্জন ও রক্ষার সংগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ রাজনীতি ও ভৌগােলিক মানচিত্র। পুরনাে দিনের সঙ্গে বর্তমানের মিল খোঁজা বৃথা। কেবল ওই সময়ের জীবিত আঞ্চলিক ব্যক্তিরাই গ্রন্থের কাহিনীসূত্র ও প্রেক্ষাপট খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস।
কাহিনীতে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নাড়ির যােগ আছে বলে কল্পনার স্থান সীমিত, যেটুকু না থাকলে শিল্প হয় না সেটুকুই। শেষকথা কাহিনী ও পটভূমি যে সময়েরই হােক রসােত্তীর্ণ হওয়াটা জরুরি। মাননীয় বিচারক স্বয়ং পাঠক, লেখকের তেমনি উপলব্ধি।
ইছামতি সাজঘর
By অজিত মন্ডল
₹200
ষাট ও সত্তরের দশক। অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ সমাজজীবনের একটা খণ্ডচিত্র ' ইছামতি সাজঘর ' উপন্যাসের পটভূমি।
দেশবিভাগের ঠিক পরেই পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ছিন্নমূল বহু পরিবার প্রত্যন্ত দ্বীপময় গ্রামগুলিতে এসে সস্তায় জমি কিনে বসতি স্থাপন করে। তারও আগে সুন্দরবনবাসী বলতে ছিল কিছু ‘হাতকাটালি’ জমিদারী-প্রজা, রাচি ছােটনাগপুর থেকে প্রেরিত জঙ্গল হাসিলের কাজে দক্ষ দরিদ্র আদিবাসী জনগােষ্ঠী আর পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে আগত স্বল্প সংখ্যক বানভাসি অসহায় পরিবার।
একদা বহির্জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশা ও প্রকৃতির মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের আড়ালে স্বপ্নময় আবেগ-স্পন্দন ধরা পড়ল। কেটে গেল আরও কয়েকটা অস্থির দশক, অধিকার অর্জন ও রক্ষার সংগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ রাজনীতি ও ভৌগােলিক মানচিত্র। পুরনাে দিনের সঙ্গে বর্তমানের মিল খোঁজা বৃথা। কেবল ওই সময়ের জীবিত আঞ্চলিক ব্যক্তিরাই গ্রন্থের কাহিনীসূত্র ও প্রেক্ষাপট খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস।
কাহিনীতে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নাড়ির যােগ আছে বলে কল্পনার স্থান সীমিত, যেটুকু না থাকলে শিল্প হয় না সেটুকুই। শেষকথা কাহিনী ও পটভূমি যে সময়েরই হােক রসােত্তীর্ণ হওয়াটা জরুরি। মাননীয় বিচারক স্বয়ং পাঠক, লেখকের তেমনি উপলব্ধি।