Discount applied: Discount 20%
“স্বাধীনতার দাবী” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
সময়ের সঙ্গী
Publisher: একুশ শতক
₹150
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্ধকার শেষ কথা নয়, আলোর কথাই বলেছেন তিনি সময়ের সঙ্গী বইটিতে। আর একবার প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় তার গল্পে। এই গল্প গ্রন্থটি পাঠকের কাছে সমাদৃত হলে লেখিকার প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্ধকার শেষ কথা নয়, আলোর কথাই বলেছেন তিনি সময়ের সঙ্গী বইটিতে। আর একবার প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় তার গল্পে।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
দেশ বিদেশের আরো কিছু গল্প
By শ্যামল মৈত্র
₹120
' দেশ বিদেশের আরো কিছু গল্প ' গ্রন্থটিতে মোট ১৭ টি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথমেই নজরে এল, তা হল, দেশি ও বিদেশি—দুই জাতের ফুল দিয়েই তিনি মালাটি গেঁথেছেন। তার এই সংকলনে মালয়ালম, হিন্দি, মারাঠি, তেলেগু ও ডােগরি জাতীয় দেশজ ভাষার গল্প যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, ইন্দোনেশিয়, চিনা, ব্রহ্মদেশীয়, পােলিশ ও ইতালিয় ভাষার গল্প। সংকলনটির আরও একটি বিশেষত্ব হল, এতে দিনাে বুঝাতি'র রচিত কল্পবাস্তবতার দুরুহ গল্পের (এই পৃথিবীর শেষদিন) পাশে ইন্দোনেশিয় লােককথা (কাবায়ন ও এক জাদুপাখি)ও স্থান পেয়েছে। ভালাে লাগল এটাও দেখে যে, গল্পগুলি খুব এলােমেলােভাবে নির্বাচিত হয়নি। ওই নির্বাচনের মধ্যে অনুবাদক তখা সংকলকের একটি প্রগতিশীল বােধ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। অনুবাদক ও সংকলক সেজন্য পাঠক-সমাজের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ পাবেন।
দেশ বিদেশের আরো কিছু গল্প
By শ্যামল মৈত্র
₹120
' দেশ বিদেশের আরো কিছু গল্প ' গ্রন্থটিতে মোট ১৭ টি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলি নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথমেই নজরে এল, তা হল, দেশি ও বিদেশি—দুই জাতের ফুল দিয়েই তিনি মালাটি গেঁথেছেন। তার এই সংকলনে মালয়ালম, হিন্দি, মারাঠি, তেলেগু ও ডােগরি জাতীয় দেশজ ভাষার গল্প যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, ইন্দোনেশিয়, চিনা, ব্রহ্মদেশীয়, পােলিশ ও ইতালিয় ভাষার গল্প। সংকলনটির আরও একটি বিশেষত্ব হল, এতে দিনাে বুঝাতি'র রচিত কল্পবাস্তবতার দুরুহ গল্পের (এই পৃথিবীর শেষদিন) পাশে ইন্দোনেশিয় লােককথা (কাবায়ন ও এক জাদুপাখি)ও স্থান পেয়েছে। ভালাে লাগল এটাও দেখে যে, গল্পগুলি খুব এলােমেলােভাবে নির্বাচিত হয়নি। ওই নির্বাচনের মধ্যে অনুবাদক তখা সংকলকের একটি প্রগতিশীল বােধ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ পেয়েছে। অনুবাদক ও সংকলক সেজন্য পাঠক-সমাজের অকুণ্ঠ ধন্যবাদ পাবেন।
রিজিয়া রহমান : ছয়টি উপন্যাস
₹600
রিজিয়া রহমানের সংকলনভুক্ত এই ছয়টি উপন্যাসে, বিন্যাসে, কাহিনীতে বাঙালি জাতিসত্তা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল, বালুচ ও কালাতের স্বাধীনতাকামী মানুষের সংগ্রাম, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবিরোধী জনযুদ্ধ, বাংলাদেশের নিরন্ন নারীসমাজের রুখে দাঁড়ানোর ইতিকথা, ব্রিটনীদের দাসত্ব ও দাসত্বমুক্তির বিজয়গাথা এবং বঙ্গ লুণ্ঠনকারী বীরদপীর উত্তরাধিকারের মর্মদত্ত পরিণতি ইত্যাদি বিম্বিত।
‘বং থেকে বাংলা (১৯৭৮)'-য় লেখিকা বাঙালির জাতিসত্তা, তাঁদের সময় ও সংগ্রামকে সচেতন ঐতিহ্যে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। ‘একাল চিরকাল (১৯৮৪)' মূলত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা সাঁওতাল সমাজের শোষক-শোষিতের দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্বমোচনের অস্তিত্ব, অধিকার প্রতিষ্ঠার ও জাতিসত্তার যুথবদ্ধ সংগ্রামের ইতিহাস। অন্যদিকে, 'রক্তের অক্ষর (১৯৭৮)'-এ লেখিকা প্রকাশ করেছেন বাংলার নগরজীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং পাশবিক হিংস্রতায় দ্বিধাদীন এক ধূসর জগতের কথকতা। রিজিয়া রহমানের 'শিলায় শিলায় আগুন’-এর মূল প্রতিপাদ্য পাকিস্তানের সামরিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে বালুচ ও কালাতের মুক্তিকামী মানুষের বিদ্রোেহ ও রক্তাক্ত যুদ্ধের বৃত্তান্ত। এই উপন্যাস শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনাকে সঞ্চারিত করে। উপনিবেশবাদীর নিষ্পেষণে দাসত্বে পর্যুদস্ত ব্রিটনীদের অত্যাচারের আর্তনাদ শুনেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। কিন্তু বঙ্কিমের অক্ষমতার মর্মবেদনাকে, অলিখিত এবং অসমাপ্ত আখ্যানকে নির্ভীকতায় লিপিবদ্ধ করেছেন রিজিয়া রহমান তাঁর ‘অলিখিত উপাখ্যান'-এ। 'সোনার বাংলা' লুণ্ঠনকারী তথাকথিত হার্মাদ জলদস্যু বীর গঞ্জালেসের উত্তরপুরুষের অসহায় পরিণতির এক ঐতিহাসিক বাতাবরণ লেখিকার 'উত্তর পুরুষ' উপন্যাস।
ইতিহাস, সমাজ, মানুষ এবং তাঁদের টিকে থাকার, প্রতিষ্ঠার ও জাগরণের সংগ্রামের দলিল রিজিয়া রহমানের সাহসী কলমে চিত্রিত হয়েছে এই ছয়টি উপন্যাসে।
রিজিয়া রহমান : ছয়টি উপন্যাস
₹600
রিজিয়া রহমানের সংকলনভুক্ত এই ছয়টি উপন্যাসে, বিন্যাসে, কাহিনীতে বাঙালি জাতিসত্তা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল, বালুচ ও কালাতের স্বাধীনতাকামী মানুষের সংগ্রাম, সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবিরোধী জনযুদ্ধ, বাংলাদেশের নিরন্ন নারীসমাজের রুখে দাঁড়ানোর ইতিকথা, ব্রিটনীদের দাসত্ব ও দাসত্বমুক্তির বিজয়গাথা এবং বঙ্গ লুণ্ঠনকারী বীরদপীর উত্তরাধিকারের মর্মদত্ত পরিণতি ইত্যাদি বিম্বিত।
‘বং থেকে বাংলা (১৯৭৮)'-য় লেখিকা বাঙালির জাতিসত্তা, তাঁদের সময় ও সংগ্রামকে সচেতন ঐতিহ্যে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। ‘একাল চিরকাল (১৯৮৪)' মূলত ক্ষুদ্র জাতিসত্তা সাঁওতাল সমাজের শোষক-শোষিতের দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্বমোচনের অস্তিত্ব, অধিকার প্রতিষ্ঠার ও জাতিসত্তার যুথবদ্ধ সংগ্রামের ইতিহাস। অন্যদিকে, 'রক্তের অক্ষর (১৯৭৮)'-এ লেখিকা প্রকাশ করেছেন বাংলার নগরজীবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং পাশবিক হিংস্রতায় দ্বিধাদীন এক ধূসর জগতের কথকতা। রিজিয়া রহমানের 'শিলায় শিলায় আগুন’-এর মূল প্রতিপাদ্য পাকিস্তানের সামরিক শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে বালুচ ও কালাতের মুক্তিকামী মানুষের বিদ্রোেহ ও রক্তাক্ত যুদ্ধের বৃত্তান্ত। এই উপন্যাস শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনাকে সঞ্চারিত করে। উপনিবেশবাদীর নিষ্পেষণে দাসত্বে পর্যুদস্ত ব্রিটনীদের অত্যাচারের আর্তনাদ শুনেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। কিন্তু বঙ্কিমের অক্ষমতার মর্মবেদনাকে, অলিখিত এবং অসমাপ্ত আখ্যানকে নির্ভীকতায় লিপিবদ্ধ করেছেন রিজিয়া রহমান তাঁর ‘অলিখিত উপাখ্যান'-এ। 'সোনার বাংলা' লুণ্ঠনকারী তথাকথিত হার্মাদ জলদস্যু বীর গঞ্জালেসের উত্তরপুরুষের অসহায় পরিণতির এক ঐতিহাসিক বাতাবরণ লেখিকার 'উত্তর পুরুষ' উপন্যাস।
ইতিহাস, সমাজ, মানুষ এবং তাঁদের টিকে থাকার, প্রতিষ্ঠার ও জাগরণের সংগ্রামের দলিল রিজিয়া রহমানের সাহসী কলমে চিত্রিত হয়েছে এই ছয়টি উপন্যাসে।
লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন
₹50
লালমােহন ঘােষ ছিলেন একজন দেশসেবক। তিনি আমার আদর্শ। মা-বাবার সন্তানদের মধ্যে আমি সব থেকে ছােটো। কিন্তু তার জীবনকথা লিখে রাখার এই গুরু দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ল। এই কাজটা আমার ছােড়দার করার কথা, তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, তার পক্ষে এই কাজটা সহজ এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। ভাগ্যক্রমে পেলাম অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তীকে। তিনি আমাকে সাহায্য করতে রাজি হলেন, শুরু করলাম ' লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন ' বই-এর কাজ।
বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট করেও মা ভাইদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড়ভাই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে, মেজভাই আরটিস্ট গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে, সেজভাইকে এগ্রিকালচার পড়িয়েছিলেন, কিন্তু টি. বি. হওয়াতে পড়া শেষ কত পারেনি। পরে রেডিও ইনজিনিয়ারিং শিখে চাকরি পায় ; আর ছােটভাই ট্রিপল এম.এ. ও ল পাশ করে সাংবাদিকতা করে। এই অবস্থায় সবাই চাকরি পেলে আমাদের অবস্থা ভালই হত, কিন্তু 1947-1948 সালে চাকরির বাজার ছিল খুব খারাপ। বিশেষত আমাদের দেশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। বাবা বিধানচন্দ্র রায়ের ডাকা মন্ত্রীসভায় যােগ দিলেন না। উপরস্ত সমালােচনা ও বিরোধিতা করলেন। তাতে কংগ্রেসের অনকেই তার উপর ক্ষুব্ধ হলেন। তাতে ভাইদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল, এইভাবে অতিকষ্টে দিন কেটেছে মা-বাবার। তবুও বাবা কারাে কাছে মাথা নত করে ছেলেদের চাকরির জন্য অনুরােধ করেননি। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় যােগ দেবার ডাক এল। তাও বাবা ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। সেই অবস্থাতেও লােকের দুঃখ কষ্টে এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে আমার স্বাধীনতা-সংগ্রামী পিতার প্রতি এই আমার নিবেদন।
লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন
₹50
লালমােহন ঘােষ ছিলেন একজন দেশসেবক। তিনি আমার আদর্শ। মা-বাবার সন্তানদের মধ্যে আমি সব থেকে ছােটো। কিন্তু তার জীবনকথা লিখে রাখার এই গুরু দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ল। এই কাজটা আমার ছােড়দার করার কথা, তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, তার পক্ষে এই কাজটা সহজ এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। ভাগ্যক্রমে পেলাম অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তীকে। তিনি আমাকে সাহায্য করতে রাজি হলেন, শুরু করলাম ' লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন ' বই-এর কাজ।
বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট করেও মা ভাইদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড়ভাই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে, মেজভাই আরটিস্ট গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে, সেজভাইকে এগ্রিকালচার পড়িয়েছিলেন, কিন্তু টি. বি. হওয়াতে পড়া শেষ কত পারেনি। পরে রেডিও ইনজিনিয়ারিং শিখে চাকরি পায় ; আর ছােটভাই ট্রিপল এম.এ. ও ল পাশ করে সাংবাদিকতা করে। এই অবস্থায় সবাই চাকরি পেলে আমাদের অবস্থা ভালই হত, কিন্তু 1947-1948 সালে চাকরির বাজার ছিল খুব খারাপ। বিশেষত আমাদের দেশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। বাবা বিধানচন্দ্র রায়ের ডাকা মন্ত্রীসভায় যােগ দিলেন না। উপরস্ত সমালােচনা ও বিরোধিতা করলেন। তাতে কংগ্রেসের অনকেই তার উপর ক্ষুব্ধ হলেন। তাতে ভাইদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল, এইভাবে অতিকষ্টে দিন কেটেছে মা-বাবার। তবুও বাবা কারাে কাছে মাথা নত করে ছেলেদের চাকরির জন্য অনুরােধ করেননি। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় যােগ দেবার ডাক এল। তাও বাবা ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। সেই অবস্থাতেও লােকের দুঃখ কষ্টে এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে আমার স্বাধীনতা-সংগ্রামী পিতার প্রতি এই আমার নিবেদন।