“অস্ট্রিয়ার রূপকথা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
বাংলা ছড়ায় সমাজ -ভাবনা
By দেবাশীষ বসু
Publisher: একুশ শতক
₹200
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
ক্যুইজে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর
By জয়ন্ত সাহা
₹200
দুই মলাটে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর। ঘটনার গভীরে যেতে যেতে ক্যুইজের মোড়ক ছেড়ে প্রয়োজনে বিস্তারিত আলোচনা এই বইটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার স্বপ্নকে সামনে রেখে দেশ এগিয়েছে। সাফল্যের মুকুটে গুঁজেছে অসংখ্য পালক। আবার না পাওয়ার বেদনা সংখ্যাতীত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।'ভারতের পরমাণু কর্মসূচি', 'সংসদীয় গণতন্ত্র', 'অর্থনীতির জগৎ', 'প্রকৃতি ও পরিবেশ', 'প্রাকৃতিক বিপর্যয়', 'মহাকাশ গবেষণা', 'সামরিক মহড়া', 'খেলারদুনিয়া','বাংলা ও বাঙালি', 'শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি' সহ একাধিক বিষয়ে অজস্র প্রশ্ন ও তার উত্তর ক্যুইজের আকারে উপস্থাপনা করা হয়েছে "ক্যুইজে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর" গ্রন্থে।
ক্যুইজে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর
By জয়ন্ত সাহা
₹200
দুই মলাটে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর। ঘটনার গভীরে যেতে যেতে ক্যুইজের মোড়ক ছেড়ে প্রয়োজনে বিস্তারিত আলোচনা এই বইটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার স্বপ্নকে সামনে রেখে দেশ এগিয়েছে। সাফল্যের মুকুটে গুঁজেছে অসংখ্য পালক। আবার না পাওয়ার বেদনা সংখ্যাতীত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।'ভারতের পরমাণু কর্মসূচি', 'সংসদীয় গণতন্ত্র', 'অর্থনীতির জগৎ', 'প্রকৃতি ও পরিবেশ', 'প্রাকৃতিক বিপর্যয়', 'মহাকাশ গবেষণা', 'সামরিক মহড়া', 'খেলারদুনিয়া','বাংলা ও বাঙালি', 'শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি' সহ একাধিক বিষয়ে অজস্র প্রশ্ন ও তার উত্তর ক্যুইজের আকারে উপস্থাপনা করা হয়েছে "ক্যুইজে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর" গ্রন্থে।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান
₹50
বাংলার কীর্তন গানের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্তর পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গানের কথা, রূপ, রস ও মর্মসত্য সন্ধান ও লিখনের প্রয়াস পেয়েছি। চেষ্টা করেছি গায়নরীতি বুঝিয়ে বলার। রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান এর একটি তালিকাও যুক্ত করেছি এই সঙ্গে, পাঠকের কাজে লাগতে পারে ভেবে। কোনাে কোনাে গানের কীর্তনাঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুলতে পারেন। হােক না বিতর্ক, ভালােই তাে, চর্চা বাড়বে।
রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান
₹50
বাংলার কীর্তন গানের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্তর পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গানের কথা, রূপ, রস ও মর্মসত্য সন্ধান ও লিখনের প্রয়াস পেয়েছি। চেষ্টা করেছি গায়নরীতি বুঝিয়ে বলার। রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান এর একটি তালিকাও যুক্ত করেছি এই সঙ্গে, পাঠকের কাজে লাগতে পারে ভেবে। কোনাে কোনাে গানের কীর্তনাঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুলতে পারেন। হােক না বিতর্ক, ভালােই তাে, চর্চা বাড়বে।
ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী
₹600
" ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী " গ্রন্থে সনাতন চক্রবর্তীর ভাগবত অনুবাদকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভারতীয় ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের একটি ধারাপথের বিবরণ ও স্বরূপ তুলে ধরেছেন লেখক। পূর্ব ভারতের ভক্তিবাদের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য এবং শ্রীমদ্ভাগবত সম্পর্কিত নানান তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কতখানি সে সম্পর্কে মননশীল ভাবনা লেখক রেখে গেছেন। বাংলায় ভাগবত অনুবাদের আদিপর্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়ে'র প্রসঙ্গ এনেছেন। এনেছেন রঘুনাথ ভাগবতাচার্যের 'শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী' গ্রন্থটিকে। পাশাপাশি মাধব রচিত 'শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলে'র স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছেন। দুঃখী শ্যামদাসের 'গোবিন্দমঙ্গল' এবং অভিরাম দাস বিরচিত 'গোবিন্দবিজয়' গ্রন্থটিও এই ধারাবাহিক বিশ্লেষণে স্থান পেয়েছে। সবশেষে সনাতন চক্রবর্তীর 'ভাষাবন্ধ ভাগবতে'র পাঠ-পর্যালোচনা ও তত্ত্বনির্ভর বিশ্লেষণ আছে গ্রন্থের বৃহৎ অংশ জুড়ে। এই আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে এসেছে কবি সনাতনের ব্যক্তিপরিচিতি ও তাঁর পুথি-পরিচয়ের প্রসঙ্গটি। ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লেখক বেদের বিবিধ অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেছেন। বেদের যুগে ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্নরূপে দেবত্ব আরোপ করেছেন। গ্রন্থকার এই অংশে অগ্নি, বরুণ, ঊষা সকলের দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন এবং বর্ষণকারী দেবতা ইন্দ্রের প্রসঙ্গ এনেছেন। দেবতাদের প্রীত রাখবার জন্য পরিকল্পিতভাবে যাগযজ্ঞ আর প্রীতিকারক স্তব-স্তুতির যে উদ্ভব ঘটেছে সে বিষয়ে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করে গেছেন। দিয়েছেন বৈদিক দেবতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে শাস্ত্রজ্ঞান নির্ভর ভাবনা। উপনিষদের ঋষিরা বোধি বা ইনটিউটিভ্ পার্সেপশনের সাহায্যে ব্রহ্মই যে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মূল এই উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার পর তাঁদের অন্তরে যখন এই সত্যটির উদ্ভাস ঘটে আর তখনই তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ হয়। তখন উদাত্ত কণ্ঠে ঋষিগণ ঘোষণা করতে পারলেন যে আমরা ব্রহ্মকে জেনেছি আর তাকে জানলেই অমৃত লাভ করা যায়- এই ধারণাকে প্রমাণ করবার জন্য লেখক শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের সংস্কৃত তথ্য তুলে ধরে যুক্তিবাদ এবং অধ্যাত্মবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। বেদ ও উপনিষদের যুগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা চিন্তন স্বাধীনতার পরিসর ছিল যথেষ্ট, সেকথা গ্রন্থকার উপনিষদের সূক্ত উদ্ধার করে বোঝাবার চেষ্টা করেছেন। ভাগবতের বাংলা অনুবাদ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজগুলির মধ্যে এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে মৌলিকতার দাবি রাখে।
ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী
₹600
" ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী " গ্রন্থে সনাতন চক্রবর্তীর ভাগবত অনুবাদকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভারতীয় ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের একটি ধারাপথের বিবরণ ও স্বরূপ তুলে ধরেছেন লেখক। পূর্ব ভারতের ভক্তিবাদের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য এবং শ্রীমদ্ভাগবত সম্পর্কিত নানান তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কতখানি সে সম্পর্কে মননশীল ভাবনা লেখক রেখে গেছেন। বাংলায় ভাগবত অনুবাদের আদিপর্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়ে'র প্রসঙ্গ এনেছেন। এনেছেন রঘুনাথ ভাগবতাচার্যের 'শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী' গ্রন্থটিকে। পাশাপাশি মাধব রচিত 'শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলে'র স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছেন। দুঃখী শ্যামদাসের 'গোবিন্দমঙ্গল' এবং অভিরাম দাস বিরচিত 'গোবিন্দবিজয়' গ্রন্থটিও এই ধারাবাহিক বিশ্লেষণে স্থান পেয়েছে। সবশেষে সনাতন চক্রবর্তীর 'ভাষাবন্ধ ভাগবতে'র পাঠ-পর্যালোচনা ও তত্ত্বনির্ভর বিশ্লেষণ আছে গ্রন্থের বৃহৎ অংশ জুড়ে। এই আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে এসেছে কবি সনাতনের ব্যক্তিপরিচিতি ও তাঁর পুথি-পরিচয়ের প্রসঙ্গটি। ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লেখক বেদের বিবিধ অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেছেন। বেদের যুগে ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্নরূপে দেবত্ব আরোপ করেছেন। গ্রন্থকার এই অংশে অগ্নি, বরুণ, ঊষা সকলের দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন এবং বর্ষণকারী দেবতা ইন্দ্রের প্রসঙ্গ এনেছেন। দেবতাদের প্রীত রাখবার জন্য পরিকল্পিতভাবে যাগযজ্ঞ আর প্রীতিকারক স্তব-স্তুতির যে উদ্ভব ঘটেছে সে বিষয়ে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করে গেছেন। দিয়েছেন বৈদিক দেবতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে শাস্ত্রজ্ঞান নির্ভর ভাবনা। উপনিষদের ঋষিরা বোধি বা ইনটিউটিভ্ পার্সেপশনের সাহায্যে ব্রহ্মই যে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মূল এই উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার পর তাঁদের অন্তরে যখন এই সত্যটির উদ্ভাস ঘটে আর তখনই তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ হয়। তখন উদাত্ত কণ্ঠে ঋষিগণ ঘোষণা করতে পারলেন যে আমরা ব্রহ্মকে জেনেছি আর তাকে জানলেই অমৃত লাভ করা যায়- এই ধারণাকে প্রমাণ করবার জন্য লেখক শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের সংস্কৃত তথ্য তুলে ধরে যুক্তিবাদ এবং অধ্যাত্মবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। বেদ ও উপনিষদের যুগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা চিন্তন স্বাধীনতার পরিসর ছিল যথেষ্ট, সেকথা গ্রন্থকার উপনিষদের সূক্ত উদ্ধার করে বোঝাবার চেষ্টা করেছেন। ভাগবতের বাংলা অনুবাদ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজগুলির মধ্যে এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে মৌলিকতার দাবি রাখে।
গোয়েন্দা সাহিত্য ব্যোমকেশ বক্সী ও অন্যান্য
₹200
বুদ্ধিদীপ্ত ব্যোমকেশ ঘােরালাে-প্যাচালাে জটিল রহস্য অনায়াস দক্ষতায়, সহজ-স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উন্মোচন করেছে। ওদেশের এদেশের বহু গােয়েন্দা-চরিত্রই ঠিক রক্ত-মাংসের মানুষ হয়ে ওঠে নি। ব্যোমকেশ বিরল ব্যতিক্রম। মাটির পৃথিবীতে তার অবস্থান। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ অতুলনীয়। এমন আরেকটি চরিত্রের সন্ধান এদেশের গােয়েন্দা-সাহিত্যে পাওয়া যায় না, ওদেশেও কি আছে? ব্যোমকেশ সত্যিই একমেবাদ্বিতীয়। সেই ব্যোমকেশকে নিয়ে মনােজ্ঞ প্রবন্ধ। গােয়েন্দা-সাহিত্যের রূপরেখা।
গল্প-গােয়েন্দারা দাঁড়িয়েছে বিচার-বিশ্লেষণের আলােয়। এই আলাে ছড়িয়ে পড়েছে সাহিত্যের নানা অঙ্গনে। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও নিদারুণ কৃচ্ছসাধনের পাশাপাশি রয়েছেন আধুনিকতার অগ্রপথিক মদনমােহন তর্কালঙ্কার। এসেছে শিশুশিক্ষা, বর্ণপরিচয়'-এর প্রসঙ্গ। নানা দিকে দৃষ্টি প্রসারিত, পরিব্যপ্ত - জীবনানন্দ-বিভূতিভূষণ-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ছােটোগল্পের আলাে-অন্ধকার পেরিয়ে লােকায়ত ছড়ার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে। পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মূলত ছােটোদের লেখক, শিশুসাহিত্যের গবেষক। এসেছে শিশুসাহিত্যের প্রসঙ্গও। বিস্মৃত শিবরতন মিত্র ও চিরায়ত-চিরকালীন উপেন্দ্রকিশাের। সব মিলিয়ে চোদ্দোটি প্রবন্ধ। বিবিধ জিজ্ঞাসা, বিচিত্র বিষয়ের সমাবেশ। শাণিত যুক্তিতে স্বকীয় রচনাশৈলীতে অনালােচিত অনালােকিত বিষয়ের অবতারণা। ' গোয়েন্দা সাহিত্য ব্যোমকেশ বক্সী ও অন্যান্য ' গ্রন্থে চেনা বিষয় ঘিরেও রয়েছে নতুনতর ভাবনা, পুনর্মূল্যায়ন।
গোয়েন্দা সাহিত্য ব্যোমকেশ বক্সী ও অন্যান্য
₹200
বুদ্ধিদীপ্ত ব্যোমকেশ ঘােরালাে-প্যাচালাে জটিল রহস্য অনায়াস দক্ষতায়, সহজ-স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উন্মোচন করেছে। ওদেশের এদেশের বহু গােয়েন্দা-চরিত্রই ঠিক রক্ত-মাংসের মানুষ হয়ে ওঠে নি। ব্যোমকেশ বিরল ব্যতিক্রম। মাটির পৃথিবীতে তার অবস্থান। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ অতুলনীয়। এমন আরেকটি চরিত্রের সন্ধান এদেশের গােয়েন্দা-সাহিত্যে পাওয়া যায় না, ওদেশেও কি আছে? ব্যোমকেশ সত্যিই একমেবাদ্বিতীয়। সেই ব্যোমকেশকে নিয়ে মনােজ্ঞ প্রবন্ধ। গােয়েন্দা-সাহিত্যের রূপরেখা।
গল্প-গােয়েন্দারা দাঁড়িয়েছে বিচার-বিশ্লেষণের আলােয়। এই আলাে ছড়িয়ে পড়েছে সাহিত্যের নানা অঙ্গনে। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও নিদারুণ কৃচ্ছসাধনের পাশাপাশি রয়েছেন আধুনিকতার অগ্রপথিক মদনমােহন তর্কালঙ্কার। এসেছে শিশুশিক্ষা, বর্ণপরিচয়'-এর প্রসঙ্গ। নানা দিকে দৃষ্টি প্রসারিত, পরিব্যপ্ত - জীবনানন্দ-বিভূতিভূষণ-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ছােটোগল্পের আলাে-অন্ধকার পেরিয়ে লােকায়ত ছড়ার বিস্তৃত প্রাঙ্গণে। পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মূলত ছােটোদের লেখক, শিশুসাহিত্যের গবেষক। এসেছে শিশুসাহিত্যের প্রসঙ্গও। বিস্মৃত শিবরতন মিত্র ও চিরায়ত-চিরকালীন উপেন্দ্রকিশাের। সব মিলিয়ে চোদ্দোটি প্রবন্ধ। বিবিধ জিজ্ঞাসা, বিচিত্র বিষয়ের সমাবেশ। শাণিত যুক্তিতে স্বকীয় রচনাশৈলীতে অনালােচিত অনালােকিত বিষয়ের অবতারণা। ' গোয়েন্দা সাহিত্য ব্যোমকেশ বক্সী ও অন্যান্য ' গ্রন্থে চেনা বিষয় ঘিরেও রয়েছে নতুনতর ভাবনা, পুনর্মূল্যায়ন।
মানবজাতি কি বিনাশের পথে
₹350
সভ্যতার অন্যতম অভিশাপ দূষন। বায়ু দূষন, জল দূষন, মাটি দূষন। এছাড়া জনসংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি, নির্বিচারে সবুজ নিধন, অস্বাভাবিক শক্তি চাহিদা, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত কল-কারখানা, অ্যাকুইফার নিঃষেশ করে জল উত্তোলন, সবে মিলে বিপদ চারিদিক থেকে গ্রাস করছে। বিপদের শিকড় কতটা গভীরে, আদৌ প্রতিকারের উপায় আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় আলােচিত হয়েছে ' মানবজাতি কি বিনাশের পথে ' গ্রন্থে। বিশ্বে সমগ্র মানবজাতি আজ এক গভীর সংকটের মুখে। গণজাগরণ, বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া, প্রয়ােজনে প্রতিরােধ গড়ে তােলা ছাড়া অন্য পথ নাই। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য বিপদ সম্পর্কে সাধারন মানুষকে অবহিত করা।
মানবজাতি কি বিনাশের পথে
₹350
সভ্যতার অন্যতম অভিশাপ দূষন। বায়ু দূষন, জল দূষন, মাটি দূষন। এছাড়া জনসংখ্যা অত্যধিক হারে বৃদ্ধি, নির্বিচারে সবুজ নিধন, অস্বাভাবিক শক্তি চাহিদা, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত কল-কারখানা, অ্যাকুইফার নিঃষেশ করে জল উত্তোলন, সবে মিলে বিপদ চারিদিক থেকে গ্রাস করছে। বিপদের শিকড় কতটা গভীরে, আদৌ প্রতিকারের উপায় আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় আলােচিত হয়েছে ' মানবজাতি কি বিনাশের পথে ' গ্রন্থে। বিশ্বে সমগ্র মানবজাতি আজ এক গভীর সংকটের মুখে। গণজাগরণ, বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া, প্রয়ােজনে প্রতিরােধ গড়ে তােলা ছাড়া অন্য পথ নাই। এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য বিপদ সম্পর্কে সাধারন মানুষকে অবহিত করা।