“নির্বাচিত গৌতম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
বর্ণালি
Publisher: একুশ শতক
₹150
উনিশ কুড়ি বছর বয়স থেকে যে সব লেখা কলেজ পত্রিকা, পাড়ার পত্রিকা, সচিত্র ভারত, শাশ্বত ভারত, উদ্বোধন, নবকল্লোল, যষ্টি মধু, পাঠশালা, শুকতারা, কথা সাহিত্য ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল আর অনেক লেখা খাতাতেই পড়েছিল। সবগুলি একত্রিত করে ‘ বর্ণালি ‘ সংকলনটি তৈরি করা হয়েছে। আশাকরি পাঠকদের ভালো লাগবে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-b01
উনিশ কুড়ি বছর বয়স থেকে যে সব লেখা কলেজ পত্রিকা, পাড়ার পত্রিকা, সচিত্র ভারত, শাশ্বত ভারত, উদ্বোধন, নবকল্লোল, যষ্টি মধু, পাঠশালা, শুকতারা, কথা সাহিত্য ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল আর অনেক লেখা খাতাতেই পড়েছিল। সবগুলি একত্রিত করে ‘ বর্ণালি ‘ সংকলনটি তৈরি করা হয়েছে। আশাকরি পাঠকদের ভালো লাগবে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
আমার অকমিউনিস্ট জীবন
₹500
ঘরের দেওয়ালে বাবার আঁকা লেনিনের ছবি আর বাড়ির পাশের পোলো গ্রাউন্ডে লাল পতাকার সুবিপুল সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ এক কিশোরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। কমিউনিস্ট তাকে হতেই হবে। না হলে এত মানুষের সঙ্গে জীবন বিনিময়ের সুযোগ পৃথিবীর আর কোনো সংগঠন তাকে দিতে পারবে না। সেই অভীষ্ট পূরণ করতে সে কী না করেছে। কিন্তু এদেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলি এত ব্যক্তিস্বার্থ আর সাংগঠনিক জটিলতায় ভরা যে, সে কখনোই পার্টির সদস্য হতে পারলো না। একের পর এক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর বাবার মৃত্যু। এক অপরিণত বয়সে। দাহক্ষেত্রে বাবার প্রাণহীন শরীরে সে যখন একটা লাল পতাকা জামার মধ্যে রেখে দিয়েও দিতে পারলো না, তখন থেকেই সে নিজেকে অকমিউনিস্ট ঘোষণা করলো। পরিণত বয়সের আগেই লেখা এই রুদ্ধশ্বাস আত্মজীবনী সেই কাহিনী পাঠকের কাছে তুলে ধরবে। আশ্চর্য এই যে, সেদিনের সেই কিশোর আজও ব্রিগেডে লাল পতাকার সমাবেশে যায়। কৈশোরের স্মৃতি আর মানুষের সঙ্গ পেতে।
আমার অকমিউনিস্ট জীবন
₹500
ঘরের দেওয়ালে বাবার আঁকা লেনিনের ছবি আর বাড়ির পাশের পোলো গ্রাউন্ডে লাল পতাকার সুবিপুল সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ এক কিশোরকে অনুপ্রাণিত করেছিল। কমিউনিস্ট তাকে হতেই হবে। না হলে এত মানুষের সঙ্গে জীবন বিনিময়ের সুযোগ পৃথিবীর আর কোনো সংগঠন তাকে দিতে পারবে না। সেই অভীষ্ট পূরণ করতে সে কী না করেছে। কিন্তু এদেশের কমিউনিস্ট পার্টিগুলি এত ব্যক্তিস্বার্থ আর সাংগঠনিক জটিলতায় ভরা যে, সে কখনোই পার্টির সদস্য হতে পারলো না। একের পর এক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর বাবার মৃত্যু। এক অপরিণত বয়সে। দাহক্ষেত্রে বাবার প্রাণহীন শরীরে সে যখন একটা লাল পতাকা জামার মধ্যে রেখে দিয়েও দিতে পারলো না, তখন থেকেই সে নিজেকে অকমিউনিস্ট ঘোষণা করলো। পরিণত বয়সের আগেই লেখা এই রুদ্ধশ্বাস আত্মজীবনী সেই কাহিনী পাঠকের কাছে তুলে ধরবে। আশ্চর্য এই যে, সেদিনের সেই কিশোর আজও ব্রিগেডে লাল পতাকার সমাবেশে যায়। কৈশোরের স্মৃতি আর মানুষের সঙ্গ পেতে।
তিথির মেয়ে
₹100
সোহম ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চেয়েছিলেন। পারেন নি। ফলে সোহম প্রচণ্ড রাগে ছেলেকে মেরে ফেলেন। পরে একটি ছেলেকে দত্তক নেবার কথা ভাবেন। অনুরাধা মানতে চায় না। তিমির একজন নৈরাশ্যে ডুবে যাওয়া যুবক, তিথি তার প্রাক্তন স্ত্রী। ডিভোর্স হবার কারণ তিনি একটি মেয়ে (ঝিনাই) দত্তক হিসাবে গ্রহণ করে। নিখিলেশ আধ পাগলাটে চরিত্র। একসময় আদর্শবাদী রাজনীতি করতেন। দীক্ষাগুরু সুবল রায় হত্যায় তিনি অভিযুক্ত। যদিও তা চক্রান্ত। নিখিলেশ মৌসুমীকে ভালবাসত, মৌসুমী অনাথ। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মৌসুমীকে ত্যাগ করে নিখিলেশ। তিনি ঝিনাইকে ঘিরে স্বপ্ন দ্যাখে। সিঙ্গল মাদার হিসাবে সে প্রতি মুহূর্তে লড়ে যায় ৷ মৈনাককে সে ভালবাসে। সে ভালবাসাও একসময় অর্থহীন হয়ে যায়৷
একদিকে, সন্তানকে কমোডিটি ভাবা, দত্তক সন্তানকে অবজ্ঞা, ঘৃণা করা। অন্যদিকে দত্তক সন্তানকে ভালবাসার জীবন রাঙিয়ে দেওয়া—এই পরস্পর বিরোধী ভাবনা দ্বন্দ্ব নিয়ে উপন্যাসটি বয়ে চলেছে। ভালবাসা কি শুধু বংশধারায় সঞ্চারিত? নাকি ভালবাসা একটি মহৎ অভ্যাস যা পরশপাথর খুঁজে ফেরে। এটাই ' তিথির মেয়ে ' উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়।
তিথির মেয়ে
₹100
সোহম ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চেয়েছিলেন। পারেন নি। ফলে সোহম প্রচণ্ড রাগে ছেলেকে মেরে ফেলেন। পরে একটি ছেলেকে দত্তক নেবার কথা ভাবেন। অনুরাধা মানতে চায় না। তিমির একজন নৈরাশ্যে ডুবে যাওয়া যুবক, তিথি তার প্রাক্তন স্ত্রী। ডিভোর্স হবার কারণ তিনি একটি মেয়ে (ঝিনাই) দত্তক হিসাবে গ্রহণ করে। নিখিলেশ আধ পাগলাটে চরিত্র। একসময় আদর্শবাদী রাজনীতি করতেন। দীক্ষাগুরু সুবল রায় হত্যায় তিনি অভিযুক্ত। যদিও তা চক্রান্ত। নিখিলেশ মৌসুমীকে ভালবাসত, মৌসুমী অনাথ। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মৌসুমীকে ত্যাগ করে নিখিলেশ। তিনি ঝিনাইকে ঘিরে স্বপ্ন দ্যাখে। সিঙ্গল মাদার হিসাবে সে প্রতি মুহূর্তে লড়ে যায় ৷ মৈনাককে সে ভালবাসে। সে ভালবাসাও একসময় অর্থহীন হয়ে যায়৷
একদিকে, সন্তানকে কমোডিটি ভাবা, দত্তক সন্তানকে অবজ্ঞা, ঘৃণা করা। অন্যদিকে দত্তক সন্তানকে ভালবাসার জীবন রাঙিয়ে দেওয়া—এই পরস্পর বিরোধী ভাবনা দ্বন্দ্ব নিয়ে উপন্যাসটি বয়ে চলেছে। ভালবাসা কি শুধু বংশধারায় সঞ্চারিত? নাকি ভালবাসা একটি মহৎ অভ্যাস যা পরশপাথর খুঁজে ফেরে। এটাই ' তিথির মেয়ে ' উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়।
অনন্য জীবনানন্দ
₹80
' অনন্য জীবনানন্দ ' গ্রন্থে জীবনানন্দের উপন্যাস এবং জীবনানন্দের গল্পগত, এই দুটিই মূল প্রবন্ধ। তার প্রায় সমগ্র কথাসাহিত্য অনুশীলন করে, কাব্য-সাহিত্যকে তার প্রেক্ষাপটে রেখে, জীবনানন্দের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলি স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন লেখক, যার ফলশ্রুতি অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। তার সেইসব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কথাসাহিত্য থেকে বিশেষ উদ্ধৃতিগুলি হয়ত প্রয়ােজনে পুনরাবৃত্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধে।
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনেক মহারথীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যার অন্যতম ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির জীবিতকালেই তার কাবাদীপ্তি অনেককে চমকিত, কাউকে কাউকে বিরক্তও করেছিল, যদিও সেই দীপ্তির প্রসারণ বা অন্তর্ভেদিতা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তাদের অনেকেরই ছিল না, সন্তবত কবির নিজেরও ছিল না। ফলে সমস্ত জীবন ধরে তাকে সংশয়ে থাকতে হয়েছে। জীবিতকালে তাে বটেই, তার মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক সেই সংশয় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল পাঠক-গবেষক-সমালােচকদেরও। বস্তুত, সময়েরই আছে সেই ক্ষমতা, যে তার নির্মোহ গতির সাহায্যে, প্রকৃত দীপ্তির ওপর লৌকিক যে মলিনতা জমা করে, তা অপবৃত করে সেই দীপ্তি পৌছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকের মন তখন উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুনভাবে তা আবিষ্কার করে। সেই অলাকিক সময়ের হাত ধরেই জীবনানন্দের যাবতীয় সাহিত্যকৃতি, সমস্ত সমালােচকদের ভুল প্রমাণ করে, পাঠকের সবরকম সংশয় দূর করে, তার জন্মশতবর্ষের আগেই পাঠক-হাদয়ে মহার্ঘ্য স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
অনন্য জীবনানন্দ
₹80
' অনন্য জীবনানন্দ ' গ্রন্থে জীবনানন্দের উপন্যাস এবং জীবনানন্দের গল্পগত, এই দুটিই মূল প্রবন্ধ। তার প্রায় সমগ্র কথাসাহিত্য অনুশীলন করে, কাব্য-সাহিত্যকে তার প্রেক্ষাপটে রেখে, জীবনানন্দের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলি স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন লেখক, যার ফলশ্রুতি অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। তার সেইসব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কথাসাহিত্য থেকে বিশেষ উদ্ধৃতিগুলি হয়ত প্রয়ােজনে পুনরাবৃত্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধে।
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনেক মহারথীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যার অন্যতম ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির জীবিতকালেই তার কাবাদীপ্তি অনেককে চমকিত, কাউকে কাউকে বিরক্তও করেছিল, যদিও সেই দীপ্তির প্রসারণ বা অন্তর্ভেদিতা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তাদের অনেকেরই ছিল না, সন্তবত কবির নিজেরও ছিল না। ফলে সমস্ত জীবন ধরে তাকে সংশয়ে থাকতে হয়েছে। জীবিতকালে তাে বটেই, তার মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক সেই সংশয় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল পাঠক-গবেষক-সমালােচকদেরও। বস্তুত, সময়েরই আছে সেই ক্ষমতা, যে তার নির্মোহ গতির সাহায্যে, প্রকৃত দীপ্তির ওপর লৌকিক যে মলিনতা জমা করে, তা অপবৃত করে সেই দীপ্তি পৌছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকের মন তখন উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুনভাবে তা আবিষ্কার করে। সেই অলাকিক সময়ের হাত ধরেই জীবনানন্দের যাবতীয় সাহিত্যকৃতি, সমস্ত সমালােচকদের ভুল প্রমাণ করে, পাঠকের সবরকম সংশয় দূর করে, তার জন্মশতবর্ষের আগেই পাঠক-হাদয়ে মহার্ঘ্য স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাড়ি ঘর
By তৃষ্ণা বসাক
₹60
' বাড়ি ঘর ' উপন্যাসের ভরকেন্দ্র নিরাশ্রয়তা। গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটলেই হিংসা, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কমে না, বিস্তার কিছু ছোট হয় এইমাত্র। আরো অনেক ছোট-বড়, কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ বল এর বিভিন্ন তলে ক্রিয়াশীল, যারা কথাবস্তুর একমুখিনতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে।
বাড়ি ঘর
By তৃষ্ণা বসাক
₹60
' বাড়ি ঘর ' উপন্যাসের ভরকেন্দ্র নিরাশ্রয়তা। গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটলেই হিংসা, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কমে না, বিস্তার কিছু ছোট হয় এইমাত্র। আরো অনেক ছোট-বড়, কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ বল এর বিভিন্ন তলে ক্রিয়াশীল, যারা কথাবস্তুর একমুখিনতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে।
চিন দেশে দশ দিন
₹200
সাম্প্রতিক চিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতি কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে বইটি অপরিহার্য। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আহ্বানে সিপিআই(এম)- এর এক প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন লেখক। তাঁদের সফর ছিল মূলত রাজনৈতিক আলোচনার জন্য নির্ধারিত।
চিন দেশে দশ দিন
₹200
সাম্প্রতিক চিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতি কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে বইটি অপরিহার্য। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির আহ্বানে সিপিআই(এম)- এর এক প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন লেখক। তাঁদের সফর ছিল মূলত রাজনৈতিক আলোচনার জন্য নির্ধারিত।