Discount applied: Discount 20%
“সাক্ষাৎকার সংগ্রহ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
চোর – A Manual Of Thieves
By সমীর বিশ্বাস
Publisher: একুশ শতক
₹400
যে-সব ব্যক্তি সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি-রাহাজানি-জলদস্যুতা প্রভৃতি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকে তাদের নিয়েই ‘ চোর – A Manual On Thieves ‘ গ্রন্থে আলােচনা করা হয়েছে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-camt01
যে-সব ব্যক্তি সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি-রাহাজানি-জলদস্যুতা প্রভৃতি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকে তাদের নিয়েই ‘ চোর – A Manual On Thieves ‘ গ্রন্থে আলােচনা করা হয়েছে।
Additional information
Weight | 0.6 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও বাংলার লোকসংস্কৃতি
₹100
পশ্চিমবঙ্গের দাই, লৌকিক গয়না, লোকধর্ম ও ধর্মরাজের ঘোড়া, সর্প সংস্কৃতি প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়েও তিনি নতুনভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। প্রথাসিদ্ধ ভাবাবেগ সম্পূর্ণভাবে বর্জন করে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির সাম্প্রতিক অবস্থানকে বিশ্লেষণ করেছেন লেখিকা। এটাই সমাজবিজ্ঞাননির্ভর ও সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার প্রাথমিক শর্ত। ' সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও বাংলার লোকসংস্কৃতি ' গ্রন্থটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে পাঠক আমাদের লোকসংস্কৃতির মর্মান্তিক অথচ অবশ্যম্ভাবী পরিণতি বিষয়ে সচেতন হবেন।
সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও বাংলার লোকসংস্কৃতি
₹100
পশ্চিমবঙ্গের দাই, লৌকিক গয়না, লোকধর্ম ও ধর্মরাজের ঘোড়া, সর্প সংস্কৃতি প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়েও তিনি নতুনভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। প্রথাসিদ্ধ ভাবাবেগ সম্পূর্ণভাবে বর্জন করে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির সাম্প্রতিক অবস্থানকে বিশ্লেষণ করেছেন লেখিকা। এটাই সমাজবিজ্ঞাননির্ভর ও সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার প্রাথমিক শর্ত। ' সংস্কৃতির উত্তরাধিকার ও বাংলার লোকসংস্কৃতি ' গ্রন্থটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে পাঠক আমাদের লোকসংস্কৃতির মর্মান্তিক অথচ অবশ্যম্ভাবী পরিণতি বিষয়ে সচেতন হবেন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
অক্ষরশাহি
By মুর্শিদ এ এম
₹250
এমন তো কতই হয়। এক মাঝির দাঁড় নিয়ে পাড়ি দেয় নিঠাঁই জলে, ঢেউয়ে ঢেউয়ে আরেক মাঝি। দুই নদীর মিলনে দু-ধারার জল, দুই তার রং। গভীর-অগভীর কত খাত অতলের! উত্তাল ঢেউ, আকাশের নীল, পাখির পাখসাটে হাওয়া কাটে শন শন। পাড়ের লতা দোলে ফুল আর দোলে প্রজাপতি। বাঁশিতে সুর আসে। বিরল স্থাণু মানুষেরা কখনও বা হাঁক দেয়। হাত ধরে কেউ-কেউ। পাড় ভাঙে, গড়ে ওঠে ফের। ভালোবাসার মতো। সেইসব ওঠানামা আর ভেঙে যাওয়া গড়ে তোলার আখ্যান একান্তে রচে যায় রূপ-অরূপ এক অক্ষরকর্মীর যাপন।
অক্ষরশাহি
By মুর্শিদ এ এম
₹250
এমন তো কতই হয়। এক মাঝির দাঁড় নিয়ে পাড়ি দেয় নিঠাঁই জলে, ঢেউয়ে ঢেউয়ে আরেক মাঝি। দুই নদীর মিলনে দু-ধারার জল, দুই তার রং। গভীর-অগভীর কত খাত অতলের! উত্তাল ঢেউ, আকাশের নীল, পাখির পাখসাটে হাওয়া কাটে শন শন। পাড়ের লতা দোলে ফুল আর দোলে প্রজাপতি। বাঁশিতে সুর আসে। বিরল স্থাণু মানুষেরা কখনও বা হাঁক দেয়। হাত ধরে কেউ-কেউ। পাড় ভাঙে, গড়ে ওঠে ফের। ভালোবাসার মতো। সেইসব ওঠানামা আর ভেঙে যাওয়া গড়ে তোলার আখ্যান একান্তে রচে যায় রূপ-অরূপ এক অক্ষরকর্মীর যাপন।
বুদ্ধদেব বসু ও বিষ্ণু দে এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ
By সুমন গুন
₹125
যত দিন যাচ্ছে, কবিতা নিয়ে কথা বলার তাগিদ আরও পেয়ে বসছে আমাকে। অ্যাকাডেমিক মন্ত্র আমার আসেনা, আবার বাগান বানিয়ে বাতাসা ছড়ানাের কায়দায় লেখার বুচিও তৈরি হয়নি। তবু আমার তুচ্ছ লেখালেখি যে গুটিকয় পাঠকের ক্রমবর্ধমান প্রশ্রয় পেয়ে চলেছে, তাঁদের সৌজনেই কবিতা নিয়ে আয়তনে মােটামুটি নধর কয়েকটি বই তাে বেরিয়ে গেল। সেই তালিকায় আরও একটি যুক্ত হলাে এবার। দেশ, অনুষ্টুপ, বঙ্গদর্শন, প্রতিক্ষণ, কবিসম্মেলন, ভাষানগর, যাপনচিত্র, শুধু বিঘে দুই, রাখালিয়া, নকশিকথা ইত্যাদি পত্রিকা এবং দু-একটি সংকলনে নানা সময়ে ছাপা কয়েকটি লেখা রইল ' বুদ্ধদেব বসু ও বিষ্ণু দে এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ ' বইয়ে।
বুদ্ধদেব বসু ও বিষ্ণু দে এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ
By সুমন গুন
₹125
যত দিন যাচ্ছে, কবিতা নিয়ে কথা বলার তাগিদ আরও পেয়ে বসছে আমাকে। অ্যাকাডেমিক মন্ত্র আমার আসেনা, আবার বাগান বানিয়ে বাতাসা ছড়ানাের কায়দায় লেখার বুচিও তৈরি হয়নি। তবু আমার তুচ্ছ লেখালেখি যে গুটিকয় পাঠকের ক্রমবর্ধমান প্রশ্রয় পেয়ে চলেছে, তাঁদের সৌজনেই কবিতা নিয়ে আয়তনে মােটামুটি নধর কয়েকটি বই তাে বেরিয়ে গেল। সেই তালিকায় আরও একটি যুক্ত হলাে এবার। দেশ, অনুষ্টুপ, বঙ্গদর্শন, প্রতিক্ষণ, কবিসম্মেলন, ভাষানগর, যাপনচিত্র, শুধু বিঘে দুই, রাখালিয়া, নকশিকথা ইত্যাদি পত্রিকা এবং দু-একটি সংকলনে নানা সময়ে ছাপা কয়েকটি লেখা রইল ' বুদ্ধদেব বসু ও বিষ্ণু দে এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ ' বইয়ে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।