“তেভাগার তিন তীর্থ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
গুহামানুষের গল্প
₹40
ছোটদের গুহামানুষের গল্প পড়তে আর শুনতে, দুটোতেই তারা আকর্ষিত হয়। ' গুহামানুষের গল্প ' গ্রন্থটি ছোটদের জন্য একটি অসাধারণ গ্রন্থ। আঁকা ছবি আর লেখায় বইটি অন্যমাত্রা পেয়েছে, হয়ে উঠেছে আরো আকর্ষণীয়। গুহা মানুষেরা কিভাবে তাদের দিন কাটাত, কিভাবে আগুন জ্বালাতে শিখলো, কিভাবে ভেলা বানালো, কিভাবে চাকা চালালো এবং ফসল ফলালো ফুটে উঠেছে গ্রন্থটিতে।
গুহামানুষের গল্প
₹40
ছোটদের গুহামানুষের গল্প পড়তে আর শুনতে, দুটোতেই তারা আকর্ষিত হয়। ' গুহামানুষের গল্প ' গ্রন্থটি ছোটদের জন্য একটি অসাধারণ গ্রন্থ। আঁকা ছবি আর লেখায় বইটি অন্যমাত্রা পেয়েছে, হয়ে উঠেছে আরো আকর্ষণীয়। গুহা মানুষেরা কিভাবে তাদের দিন কাটাত, কিভাবে আগুন জ্বালাতে শিখলো, কিভাবে ভেলা বানালো, কিভাবে চাকা চালালো এবং ফসল ফলালো ফুটে উঠেছে গ্রন্থটিতে।
ধুলামাটির আখ্যান
By তৃণময় সেন
₹200
সাত ভাই চম্পার দেশ উত্তরপূর্ব ভারতে বঙ্গ সাহিত্যের এক রত্নখনি বর্তমান।কথাসাহিত্যের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বারবার সৃষ্টি হয়েছে নবীন সব পাঠকৃতি। দেখার চোখ পালটে গেছে, প্রবীণরা তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ করে ফিরে গেছেন প্যাভেলিয়ানে। যখন পালটে যাচ্ছে কথাভাষা তখন ব্যাটন ধরার জন্য দৌড়তে শুরু করেছেন একঝাঁক নতুন কথাকার। রূপদক্ষ শিল্পীর আগমনে আবার উর্বর হয়েছে উত্তরপূর্বের শিল্পভূমি। প্রান্তিক ভারতবর্ষ সীমান্তে নদীতীরবর্তী ভূখণ্ডের কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ জনবিন্যাস প্রাধান্য পেয়েছে কথাবয়নে। বাঙালিপ্রধান প্রধান তিন জেলা কাছাড় হাইলাকান্দি করিমগঞ্জের প্রধান শহরসীমা থেকে নিরাপদ দূরত্বে বেড়ে ওঠা কথাকার তৃণময় সেন এখন দিল্লির বাসিন্দা, বহুজাতিকের কর্মচারী। দূরে থাকলেও তৃণময় উত্তরপূর্বের কথাসাহিত্যে এক অপরিহার্য নাম। লিটিল ম্যাগাজিন থেকে সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এখন ‘ধুলামাটির আখ্যান’ নামের অনবদ্য এক ছোটোগল্প সংকলন গ্রন্থ প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছেন।
ধুলামাটির আখ্যান
By তৃণময় সেন
₹200
সাত ভাই চম্পার দেশ উত্তরপূর্ব ভারতে বঙ্গ সাহিত্যের এক রত্নখনি বর্তমান।কথাসাহিত্যের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বারবার সৃষ্টি হয়েছে নবীন সব পাঠকৃতি। দেখার চোখ পালটে গেছে, প্রবীণরা তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ করে ফিরে গেছেন প্যাভেলিয়ানে। যখন পালটে যাচ্ছে কথাভাষা তখন ব্যাটন ধরার জন্য দৌড়তে শুরু করেছেন একঝাঁক নতুন কথাকার। রূপদক্ষ শিল্পীর আগমনে আবার উর্বর হয়েছে উত্তরপূর্বের শিল্পভূমি। প্রান্তিক ভারতবর্ষ সীমান্তে নদীতীরবর্তী ভূখণ্ডের কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ জনবিন্যাস প্রাধান্য পেয়েছে কথাবয়নে। বাঙালিপ্রধান প্রধান তিন জেলা কাছাড় হাইলাকান্দি করিমগঞ্জের প্রধান শহরসীমা থেকে নিরাপদ দূরত্বে বেড়ে ওঠা কথাকার তৃণময় সেন এখন দিল্লির বাসিন্দা, বহুজাতিকের কর্মচারী। দূরে থাকলেও তৃণময় উত্তরপূর্বের কথাসাহিত্যে এক অপরিহার্য নাম। লিটিল ম্যাগাজিন থেকে সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এখন ‘ধুলামাটির আখ্যান’ নামের অনবদ্য এক ছোটোগল্প সংকলন গ্রন্থ প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
By কৃষ্ণ ধর
₹150
কবিতার প্রকৃত বিচার গ্রহণযোগ্যতায়। কোনো সময়সীমায় তাকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা দুরূহ। তবু সেই অনির্বচনীয় প্রকল্পে প্রকাশনার জগৎ অনেক সময় উৎসাহী হয়ে পাঠক সমীপে শ্রেষ্ঠ কবিতাগুচ্ছ পরিবেশন করে। এই প্রয়াসটিও তারই অনুসারী। নিঃসন্দেহে পাঠকরুচিই শেষপর্যন্ত নির্ধারণ করবে এর গ্রহণযোগ্যতা। নির্বাচনের সময়ে মনে রাখার চেষ্টা হয়েছে কবিতাগুলিতে কৰিৱ নিৰ্মাণ বৈশিষ্ট্য যাতে যথাযথভাবে সংবেদী পারত উপলব্ধি করতে পারেন। একজন কবি যখন লেখেন তখন তিনি একা। কিন্তু গ্রন্থাকারে প্রকাশের পর তার ওপর সম্পূর্ণ অধিকার তো পাঠকের ওপরই অর্পণ করা হয়। প্রকাশকালের নিরিখে ১৯৬২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে গ্রন্থিত কবিতাসমূহ থেকে এই নির্বাচন ' শ্রেষ্ঠ কবিতা ' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। অবশ্য নির্বাচন নিয়ে শেষ কথা কে বলবে। সৃজনের এই মহিমাই তো শিল্পের অনির্বাণ শিখা ভাষাকে অবলম্বন করে দীপ্যমান করে রাখে।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
By কৃষ্ণ ধর
₹150
কবিতার প্রকৃত বিচার গ্রহণযোগ্যতায়। কোনো সময়সীমায় তাকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা দুরূহ। তবু সেই অনির্বচনীয় প্রকল্পে প্রকাশনার জগৎ অনেক সময় উৎসাহী হয়ে পাঠক সমীপে শ্রেষ্ঠ কবিতাগুচ্ছ পরিবেশন করে। এই প্রয়াসটিও তারই অনুসারী। নিঃসন্দেহে পাঠকরুচিই শেষপর্যন্ত নির্ধারণ করবে এর গ্রহণযোগ্যতা। নির্বাচনের সময়ে মনে রাখার চেষ্টা হয়েছে কবিতাগুলিতে কৰিৱ নিৰ্মাণ বৈশিষ্ট্য যাতে যথাযথভাবে সংবেদী পারত উপলব্ধি করতে পারেন। একজন কবি যখন লেখেন তখন তিনি একা। কিন্তু গ্রন্থাকারে প্রকাশের পর তার ওপর সম্পূর্ণ অধিকার তো পাঠকের ওপরই অর্পণ করা হয়। প্রকাশকালের নিরিখে ১৯৬২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে গ্রন্থিত কবিতাসমূহ থেকে এই নির্বাচন ' শ্রেষ্ঠ কবিতা ' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। অবশ্য নির্বাচন নিয়ে শেষ কথা কে বলবে। সৃজনের এই মহিমাই তো শিল্পের অনির্বাণ শিখা ভাষাকে অবলম্বন করে দীপ্যমান করে রাখে।
ধূসর মস্কো
By সেরিনা জাহান
₹300
১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ - এই ছয় বছর লেখিকা মস্কোতে ছিলেন লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয় এ আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার ছাত্রী হিসাবে। সরাসরি দেখেছেন সেই সময়ের রাশিয়ার অশান্ত - অস্থির - দিশেহারা সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা। লেনিনের নেতৃত্বে জারের রাশিয়া থেকে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নে উত্তরণের ইতিহাস একটু একটু করে ভাঙতে দেখেছেন এই ৬ বছরে। একটি ইতিহাস ভাঙতে দেখার সাক্ষী লেখিকা। তারই বর্ণনা এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
ধূসর মস্কো
By সেরিনা জাহান
₹300
১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ - এই ছয় বছর লেখিকা মস্কোতে ছিলেন লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয় এ আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতার ছাত্রী হিসাবে। সরাসরি দেখেছেন সেই সময়ের রাশিয়ার অশান্ত - অস্থির - দিশেহারা সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা। লেনিনের নেতৃত্বে জারের রাশিয়া থেকে পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নে উত্তরণের ইতিহাস একটু একটু করে ভাঙতে দেখেছেন এই ৬ বছরে। একটি ইতিহাস ভাঙতে দেখার সাক্ষী লেখিকা। তারই বর্ণনা এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
ধরা অধরার মাঝে
₹250
" ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থটি চরিত্রের দিক থেকে ইতিহাস না রম্যরচনা, না কি দুটোই একসঙ্গে, ভেবে কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। এতে রাশি রাশি তথ্য আছে, একজন পদার্থবিজ্ঞানী কী করে ঘটনাচক্রে বড় মাপের আমলা হয়ে উঠলেন তার গল্প আছে, আর সেই সূত্রে সরকারি কাজকর্মের ধরণ-ধারণ নিয়ে মজার মজার ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে। এতই মজার যে একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কোনও রেহাই নেই।
গ্রন্থটির আপাদমস্তক টস্ টস্ করছে অনুপম রসবোধে। তার সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত তির্যক মন্তব্য— কখনও আশপাশে ঘটে যাওয়া কাণ্ড-কারখানা নিয়ে আর কখনও বা নিজেকে নিয়েই। নিজেকে দিয়ে রসিকতা করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। কিন্তু এই লেখকের আছে। আর তা প্রচুর পরিমাণেই। ফলে এই বইটির উপভোগ্যতার কোনও জবাব নেই। এতে একই সঙ্গে আছেন জ্যোতি বসু, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, কাস্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো চরিত্রেরা। আবার পাশাপাশি বিরাজ করছেন মমতাও।
পদার্থবিজ্ঞানী থেকে মুখ্য সচিব হয়ে ওঠা গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা অসমাপ্ত রেখে আই এ এস হয়েছিলেন। চাকুরিস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের দীর্ঘ শাসনকালের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলায় নানা দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে কাজ করে মুখ্যসচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের উঁচু থেকে নীচের মহল পর্যন্ত নানাভাবে নজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের জেলার নেতা-কর্মী-সংগঠক ছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। তিনি তার চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথা " ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন সংক্ষিপ্ততম পরিসরে।
টানটান গদ্যে তীব্র কৌতূক আর ঠাট্টাতামাশা ও মজা করার মধ্য দিয়ে পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। পাঠক পড়তে পড়তে বলবেন— বাহ্। এতো দিন লেখেন নি কেন!
ধরা অধরার মাঝে
₹250
" ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থটি চরিত্রের দিক থেকে ইতিহাস না রম্যরচনা, না কি দুটোই একসঙ্গে, ভেবে কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। এতে রাশি রাশি তথ্য আছে, একজন পদার্থবিজ্ঞানী কী করে ঘটনাচক্রে বড় মাপের আমলা হয়ে উঠলেন তার গল্প আছে, আর সেই সূত্রে সরকারি কাজকর্মের ধরণ-ধারণ নিয়ে মজার মজার ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে। এতই মজার যে একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কোনও রেহাই নেই।
গ্রন্থটির আপাদমস্তক টস্ টস্ করছে অনুপম রসবোধে। তার সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত তির্যক মন্তব্য— কখনও আশপাশে ঘটে যাওয়া কাণ্ড-কারখানা নিয়ে আর কখনও বা নিজেকে নিয়েই। নিজেকে দিয়ে রসিকতা করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। কিন্তু এই লেখকের আছে। আর তা প্রচুর পরিমাণেই। ফলে এই বইটির উপভোগ্যতার কোনও জবাব নেই। এতে একই সঙ্গে আছেন জ্যোতি বসু, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, কাস্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো চরিত্রেরা। আবার পাশাপাশি বিরাজ করছেন মমতাও।
পদার্থবিজ্ঞানী থেকে মুখ্য সচিব হয়ে ওঠা গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা অসমাপ্ত রেখে আই এ এস হয়েছিলেন। চাকুরিস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের দীর্ঘ শাসনকালের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলায় নানা দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে কাজ করে মুখ্যসচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের উঁচু থেকে নীচের মহল পর্যন্ত নানাভাবে নজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের জেলার নেতা-কর্মী-সংগঠক ছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। তিনি তার চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথা " ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন সংক্ষিপ্ততম পরিসরে।
টানটান গদ্যে তীব্র কৌতূক আর ঠাট্টাতামাশা ও মজা করার মধ্য দিয়ে পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। পাঠক পড়তে পড়তে বলবেন— বাহ্। এতো দিন লেখেন নি কেন!