“সংস্কৃত সাহিত্যের সুলুকসন্ধান” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দ্বীপবাসিনী
Publisher: একুশ শতক
₹100
উপন্যাসের সন্ধানে যাত্রা শুরু করে এক কথাকার পৌছে যান অজানা এক দ্বীপে, তারপর কী? তারপর কাহিনীর টানে, রহস্য উদ্মােচনে নাকি নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় সামিল হবেন পাঠক ? টান টান উত্তেজনায় ভরা এক রহস্য উপন্যাস ‘ দ্বীপবাসিনী ‘
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-d01
উপন্যাসের সন্ধানে যাত্রা শুরু করে এক কথাকার পৌছে যান অজানা এক দ্বীপে, তারপর কী? তারপর কাহিনীর টানে, রহস্য উদ্মােচনে নাকি নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় সামিল হবেন পাঠক ? টান টান উত্তেজনায় ভরা এক রহস্য উপন্যাস ‘ দ্বীপবাসিনী ‘
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
পঁচিশটি গল্প
By অনিল ঘোষ
₹500
জীবন যেন নিরন্তর যাত্রাপথ। আমরা চলি অজস্র মুখের মিছিলের মধ্যে, তাঁদের অসহায়তা বিপন্নতা নিয়ে, হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ নিয়ে। গ্রাম থেকে শহর কোথাও এর ব্যত্যয় নেই। কখনও নীরব অথচ বাঙময় রণক্ষেত্রে দাঁতে-নখে লড়াই, কখনও সুন্দরবনের ওঝা গুনিনের মোহের অন্ধকার ছিঁড়েখুড়ে আলোর যাত্রায়, কখনও পানীয় জল নিয়ে লুটপাটের তামাসিকতায়, গণধর্ষণের পরিমণ্ডল পেরিয়ে জীবনের উদ্দেশ্যে জলযাত্রায়, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পরিচিত পথে, ইতিহাসের না-জানা অধ্যায়ে নিরন্তর চলাই যেন সত্য। সেইসব চলার পথের সামান্য দু একটা কণা নিয়ে এই সংকলন। পঁচিশটি গল্প লেখকের তিরিশ বছরের সাধনার ফসল।
পঁচিশটি গল্প
By অনিল ঘোষ
₹500
জীবন যেন নিরন্তর যাত্রাপথ। আমরা চলি অজস্র মুখের মিছিলের মধ্যে, তাঁদের অসহায়তা বিপন্নতা নিয়ে, হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ নিয়ে। গ্রাম থেকে শহর কোথাও এর ব্যত্যয় নেই। কখনও নীরব অথচ বাঙময় রণক্ষেত্রে দাঁতে-নখে লড়াই, কখনও সুন্দরবনের ওঝা গুনিনের মোহের অন্ধকার ছিঁড়েখুড়ে আলোর যাত্রায়, কখনও পানীয় জল নিয়ে লুটপাটের তামাসিকতায়, গণধর্ষণের পরিমণ্ডল পেরিয়ে জীবনের উদ্দেশ্যে জলযাত্রায়, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পরিচিত পথে, ইতিহাসের না-জানা অধ্যায়ে নিরন্তর চলাই যেন সত্য। সেইসব চলার পথের সামান্য দু একটা কণা নিয়ে এই সংকলন। পঁচিশটি গল্প লেখকের তিরিশ বছরের সাধনার ফসল।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি
By রাম বসু
₹300
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতার আঙিনায় কবি রাম বসুর আবির্ভাব। উত্তাল চল্লিশের রাজনৈতিক আবর্তনে সে-সময় তার কলম ঝলসে উঠেছিল। জন্ম নিয়েছিল ‘পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে’-র মতাে আশ্চর্য উদ্দীপক কবিতা। তারপর ক্রমাগত লিখে চলেছেন কবি, টানা প্রায় ছয় দশক। | চল্লিশের দশকে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাত দুনিয়া দেখেছিল হিংস্র হিটলারের ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয়। উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে একটার পর একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সমাজতন্ত্রের বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিপীড়িত মানুষ। নব্বই দশকের গোড়ায় ভেঙে পড়ল সমাজতন্ত্রের শিবির। সারা দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। কবির বিশ্বাসের জগৎও বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল।
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে নানা প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তরহীনতার মুখােমুখি হয়েছেন কবি। মানুষের জয়যাত্রার স্বপ্ন বারবার যেমন চিত্রিত করেছেন তিনি, তেমনি তার প্রশ্ন-দীর্ণ মন দার্শনিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়েছে। কবিতায় এই খণ্ড-বিখণ্ড মনের ছবি অনন্য দক্ষতায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। সমাজমুখীনতা, বাস্তববাদীতা এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য গভীর আবেগ ও প্রেম যে কবিতার জন্ম দিয়েছে তাই নিয়ে এই অসামান্য সংকলন ‘ কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি ‘
কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি
By রাম বসু
₹300
গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে বাংলা কবিতার আঙিনায় কবি রাম বসুর আবির্ভাব। উত্তাল চল্লিশের রাজনৈতিক আবর্তনে সে-সময় তার কলম ঝলসে উঠেছিল। জন্ম নিয়েছিল ‘পরান মাঝি হাঁক দিয়েছে’-র মতাে আশ্চর্য উদ্দীপক কবিতা। তারপর ক্রমাগত লিখে চলেছেন কবি, টানা প্রায় ছয় দশক। | চল্লিশের দশকে সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাত দুনিয়া দেখেছিল হিংস্র হিটলারের ফ্যাসিবাদী শক্তির পরাজয়। উপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে একটার পর একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে আর সমাজতন্ত্রের বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন নিপীড়িত মানুষ। নব্বই দশকের গোড়ায় ভেঙে পড়ল সমাজতন্ত্রের শিবির। সারা দুনিয়া চমকে গিয়েছিল। কবির বিশ্বাসের জগৎও বিরাট ধাক্কা খেয়েছিল।
দীর্ঘ পথ চলতে চলতে নানা প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা ও উত্তরহীনতার মুখােমুখি হয়েছেন কবি। মানুষের জয়যাত্রার স্বপ্ন বারবার যেমন চিত্রিত করেছেন তিনি, তেমনি তার প্রশ্ন-দীর্ণ মন দার্শনিক ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়েছে। কবিতায় এই খণ্ড-বিখণ্ড মনের ছবি অনন্য দক্ষতায় লিপিবদ্ধ করেছেন কবি। সমাজমুখীনতা, বাস্তববাদীতা এবং নিপীড়িত মানুষের জন্য গভীর আবেগ ও প্রেম যে কবিতার জন্ম দিয়েছে তাই নিয়ে এই অসামান্য সংকলন ‘ কবিতা সমগ্রের কাছাকাছি ‘
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
স্বাধীনতা আন্দোলনে কিশোর কিশোরী
₹100
জন্মালেই মানুষ হয় না। প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে ত্যাগ চাই। সেই ত্যাগের মহিমা দিয়েই গড়ে ওঠে ইতিহাস। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস সেই সাক্ষ্য আজও বহন করে আসছে। ১৯০৮ থেকে ১৯৪২, দীর্ঘ এক ইতিহাস। মহান আত্মত্যাগ ও আত্মবলিদানের ইতিহাস। যাতে রয়েছেন বেশ কিছু কিশাের কিশােরী। তবে আরও বেশ কিছু কিশাের কিশােরী অনাদৃত রয়ে গেছেন। সেই সব কিশাের কিশােরীর বীরত্ব পূর্ণ আত্মত্যাগ ও আত্মবলিদানের হৃদয় বিদারক কাহিনী পরিবেশিত হয়েছে, ' স্বাধীনতা আন্দোলনে কিশোর কিশোরী ' গ্রন্থে যা পাঠক-পাঠিকাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। বহতি নদীর মত ইতিহাসের সেই ধারাকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল ভাবনা।
স্বাধীনতা আন্দোলনে কিশোর কিশোরী
₹100
জন্মালেই মানুষ হয় না। প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে ত্যাগ চাই। সেই ত্যাগের মহিমা দিয়েই গড়ে ওঠে ইতিহাস। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস সেই সাক্ষ্য আজও বহন করে আসছে। ১৯০৮ থেকে ১৯৪২, দীর্ঘ এক ইতিহাস। মহান আত্মত্যাগ ও আত্মবলিদানের ইতিহাস। যাতে রয়েছেন বেশ কিছু কিশাের কিশােরী। তবে আরও বেশ কিছু কিশাের কিশােরী অনাদৃত রয়ে গেছেন। সেই সব কিশাের কিশােরীর বীরত্ব পূর্ণ আত্মত্যাগ ও আত্মবলিদানের হৃদয় বিদারক কাহিনী পরিবেশিত হয়েছে, ' স্বাধীনতা আন্দোলনে কিশোর কিশোরী ' গ্রন্থে যা পাঠক-পাঠিকাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। বহতি নদীর মত ইতিহাসের সেই ধারাকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল ভাবনা।