“আমার একান্নটি গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
স্বাধীনতার দাবী
₹300
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বাধীনতা সংগ্রামী সতেন্দ্রনাথ মজুমদারের 'স্বাধীনতার দাবী' এক অসামান্য দুর্লভ গ্রন্থ। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ চাই প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই পূর্ণ স্বরাজ দাবির সপক্ষে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্ষুরধার কলমে ‘স্বাধীনতার দাবী' গ্রন্থ লিখেছিলেন দুঃসাহসী সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাই গ্রন্থটি ছিল সকলের দৃষ্টির আড়ালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব অসামান্য অথচ কেউই কখনো চোখে দেখার সুযোগ পাননি। ইতিহাসবিদ এবং গবেষকরা জাতীয় গ্রন্থাগার সহ সমস্ত গ্রন্থাগার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারেন নি। শোনা যায় একটি কপি নাকি লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়মে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল কিন্তু কোনো ইতিহাসবিদ নিজের চোখে দেখে সে প্রসঙ্গে কিছু লেখেন নি। আশ্চর্য দুর্লভ সেই গ্রন্থ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৯২ বছর পর প্রকাশ করা হল। ইতিহাস গবেষক ছাড়াও সাধারণ পাঠক মুগ্ধ হবেন এই গ্রন্থের ভষা, যুক্তি বিন্যাস, ইতিহাস বিশ্লেষণ ও দুঃসাহসী উপস্থাপনের গুনে।
স্বাধীনতার দাবী
₹300
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক স্বাধীনতা সংগ্রামী সতেন্দ্রনাথ মজুমদারের 'স্বাধীনতার দাবী' এক অসামান্য দুর্লভ গ্রন্থ। গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে জাতীয় কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ চাই প্রস্তাব গ্রহণ করার পর এই পূর্ণ স্বরাজ দাবির সপক্ষে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে ক্ষুরধার কলমে ‘স্বাধীনতার দাবী' গ্রন্থ লিখেছিলেন দুঃসাহসী সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। গ্রন্থটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সমস্ত কপি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাই গ্রন্থটি ছিল সকলের দৃষ্টির আড়ালে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গ্রন্থটির গুরুত্ব অসামান্য অথচ কেউই কখনো চোখে দেখার সুযোগ পাননি। ইতিহাসবিদ এবং গবেষকরা জাতীয় গ্রন্থাগার সহ সমস্ত গ্রন্থাগার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সংগ্রহ করতে পারেন নি। শোনা যায় একটি কপি নাকি লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়মে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল কিন্তু কোনো ইতিহাসবিদ নিজের চোখে দেখে সে প্রসঙ্গে কিছু লেখেন নি। আশ্চর্য দুর্লভ সেই গ্রন্থ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ৯২ বছর পর প্রকাশ করা হল। ইতিহাস গবেষক ছাড়াও সাধারণ পাঠক মুগ্ধ হবেন এই গ্রন্থের ভষা, যুক্তি বিন্যাস, ইতিহাস বিশ্লেষণ ও দুঃসাহসী উপস্থাপনের গুনে।
ইকির – মিকির
₹100
গত দুই দশকে বাংলা ছড়াচর্চায় নিবেদিত দুই তরুণ কবি শৈলেন্দ্র হালদার ও দেবাশিস্ বসু নিরলস নিষ্ঠায় ও অন্তহীন আন্তরিকতায় সম্পাদনা করেছেন সমকালের প্রায় আড়াইশাে ছড়ার প্রতিনিধিত্থানীয় ' ইকির - মিকির ' সংকলনটি। পাতায়-পাতায় খুদেদের আঁকিবুকি প্রকাশন-সৌকর্ষের সহায়ক হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। বর্তমান সংকলনটি কেন্দ্র করে বাংলা ছড়াচর্চার নবতর মানচিত্র নির্মাণ হলে আমাদের প্রয়াস সার্থক হবে।
ইকির – মিকির
₹100
গত দুই দশকে বাংলা ছড়াচর্চায় নিবেদিত দুই তরুণ কবি শৈলেন্দ্র হালদার ও দেবাশিস্ বসু নিরলস নিষ্ঠায় ও অন্তহীন আন্তরিকতায় সম্পাদনা করেছেন সমকালের প্রায় আড়াইশাে ছড়ার প্রতিনিধিত্থানীয় ' ইকির - মিকির ' সংকলনটি। পাতায়-পাতায় খুদেদের আঁকিবুকি প্রকাশন-সৌকর্ষের সহায়ক হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। বর্তমান সংকলনটি কেন্দ্র করে বাংলা ছড়াচর্চার নবতর মানচিত্র নির্মাণ হলে আমাদের প্রয়াস সার্থক হবে।
নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প
By অরিন্দম বসু
₹150
গল্প লেখার শুরু ৯৫ সাল থেকে। এ পর্যন্ত যে সব গল্প গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার ভেতর থেকে পঁচিশটি বেছে নিয়েই এই গল্পগ্রন্থ ' নির্বাচিত পঁচিশ গল্প '। গল্প উচ্চকিত স্বরে কথা বলে না। কিন্তু কিছুটা কোমল নিচু গলায় বলা কথা দূর থেকে এসে বিঁধে যায়। এমনকী লেখকও সেখানে দূরে দাঁড়িয়েই সব দেখেন, মন্তব্যহীন। এই বইয়ের গল্প পরপর খেয়াল করলেই দেখা যাবে এক দীর্ঘ সময়ের পরিবর্তন কীভাবে গড়িয়ে এসেছে, কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনযাপনের মানুষজন সময়ের প্রেক্ষাপটে বদলেছে, বদলে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত কিছুর ওপর, মায়াময় এই পৃথিবীর ওপর কোথায় ছায়া ফেলেছে জীবনরহস্য।
নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প
By অরিন্দম বসু
₹150
গল্প লেখার শুরু ৯৫ সাল থেকে। এ পর্যন্ত যে সব গল্প গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার ভেতর থেকে পঁচিশটি বেছে নিয়েই এই গল্পগ্রন্থ ' নির্বাচিত পঁচিশ গল্প '। গল্প উচ্চকিত স্বরে কথা বলে না। কিন্তু কিছুটা কোমল নিচু গলায় বলা কথা দূর থেকে এসে বিঁধে যায়। এমনকী লেখকও সেখানে দূরে দাঁড়িয়েই সব দেখেন, মন্তব্যহীন। এই বইয়ের গল্প পরপর খেয়াল করলেই দেখা যাবে এক দীর্ঘ সময়ের পরিবর্তন কীভাবে গড়িয়ে এসেছে, কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনযাপনের মানুষজন সময়ের প্রেক্ষাপটে বদলেছে, বদলে যাচ্ছে। আর এই সমস্ত কিছুর ওপর, মায়াময় এই পৃথিবীর ওপর কোথায় ছায়া ফেলেছে জীবনরহস্য।
পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব
₹200
" পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব " গ্রন্থে নানা জাতীয় লিপির ইতিবৃত্ত, বাংলা লিপির উদ্ভব, ভারতীয় জ্ঞানভান্ডারে পাণ্ডুলিপির গুরুত্ত্ব, প্রচ্ছদ অলঙ্করণের প্রাচীন রীতি, বাংলা মুদ্রণ ও তাঁর পশ্চাৎপট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি থেকে মুদ্রণব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত কিছু উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যেমন পঞ্চানন কর্মকার, উইলিয়াম কেরী, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, সাতকড়ি মুখোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইত্যাদি ব্যক্তিত্বদের নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব
₹200
" পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব " গ্রন্থে নানা জাতীয় লিপির ইতিবৃত্ত, বাংলা লিপির উদ্ভব, ভারতীয় জ্ঞানভান্ডারে পাণ্ডুলিপির গুরুত্ত্ব, প্রচ্ছদ অলঙ্করণের প্রাচীন রীতি, বাংলা মুদ্রণ ও তাঁর পশ্চাৎপট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি থেকে মুদ্রণব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত কিছু উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যেমন পঞ্চানন কর্মকার, উইলিয়াম কেরী, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, সাতকড়ি মুখোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইত্যাদি ব্যক্তিত্বদের নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।