Discount applied: Discount 20%
“নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
যা দেখেছি যা বুঝেছি
By দীনেশ ডাকুয়া
Publisher: একুশ শতক
₹200
কোনাে ডায়েরি বা গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়ে, কিংবা নানাজনের সঙ্গে আলােচনার ভিত্তিতে লিখিত হয়নি ‘ যা দেখেছি যা বুঝেছি ‘ গ্রন্থটি। একটু একটু করে স্মৃতিনির্ভর এই রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনযাপনের খন্ড খন্ড চিত্র লিপিবদ্ধ করেছি। বলা যেতে পারে স্মৃতিনির্ভর ভাবনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে একটু একটু করে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-jdjb01
কোনাে ডায়েরি বা গ্রন্থাগারের সাহায্য নিয়ে, কিংবা নানাজনের সঙ্গে আলােচনার ভিত্তিতে লিখিত হয়নি ‘ যা দেখেছি যা বুঝেছি ‘ গ্রন্থটি। একটু একটু করে স্মৃতিনির্ভর এই রাজনৈতিক-সামাজিক জীবনযাপনের খন্ড খন্ড চিত্র লিপিবদ্ধ করেছি। বলা যেতে পারে স্মৃতিনির্ভর ভাবনা গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে একটু একটু করে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মুসলমানমঙ্গল
₹300
দ্বিভাজিত হয়নি বাঙালির মন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিভাজন আর বণিক পুঁজির ষড়যন্ত্র আমাদের মানব যোগাযোগের মধ্যে অবিরল বুনতে চায় দৃশ্য - অদৃশ্য কাঁটাতারের ব্যবধান। পৃথিবীর সকল অংশে বসবাসকারী বাঙালি পারছে না নিজেদের মধ্যে বাধাহীন চিন্তার বিনিময় এবং সমন্বয় ঘটাতে। তারপরেও বাঙালি তো হার স্বীকার করে না। সেই হার না মানা মানসিকতার উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। সমকালীন বাঙালি মুসলমান সমাজ ও মননকে ইসলামের ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনের মধ্যে প্রক্ষিপ্ত করে লিখিত হয়েছে ‘মুসলমানমঙ্গল’।
মুসলমানমঙ্গল
₹300
দ্বিভাজিত হয়নি বাঙালির মন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিভাজন আর বণিক পুঁজির ষড়যন্ত্র আমাদের মানব যোগাযোগের মধ্যে অবিরল বুনতে চায় দৃশ্য - অদৃশ্য কাঁটাতারের ব্যবধান। পৃথিবীর সকল অংশে বসবাসকারী বাঙালি পারছে না নিজেদের মধ্যে বাধাহীন চিন্তার বিনিময় এবং সমন্বয় ঘটাতে। তারপরেও বাঙালি তো হার স্বীকার করে না। সেই হার না মানা মানসিকতার উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। সমকালীন বাঙালি মুসলমান সমাজ ও মননকে ইসলামের ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনের মধ্যে প্রক্ষিপ্ত করে লিখিত হয়েছে ‘মুসলমানমঙ্গল’।
বাড়ি ঘর
By তৃষ্ণা বসাক
₹60
' বাড়ি ঘর ' উপন্যাসের ভরকেন্দ্র নিরাশ্রয়তা। গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটলেই হিংসা, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কমে না, বিস্তার কিছু ছোট হয় এইমাত্র। আরো অনেক ছোট-বড়, কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ বল এর বিভিন্ন তলে ক্রিয়াশীল, যারা কথাবস্তুর একমুখিনতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে।
বাড়ি ঘর
By তৃষ্ণা বসাক
₹60
' বাড়ি ঘর ' উপন্যাসের ভরকেন্দ্র নিরাশ্রয়তা। গৃহের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘটলেই হিংসা, সন্ত্রাসের ভয়াবহতা কমে না, বিস্তার কিছু ছোট হয় এইমাত্র। আরো অনেক ছোট-বড়, কেন্দ্রাতিগ ও কেন্দ্রাভিগ বল এর বিভিন্ন তলে ক্রিয়াশীল, যারা কথাবস্তুর একমুখিনতাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে নিজেদের মতো করে।
সাক্ষাৎকার সংগ্রহ
By জয়ন্ত সরকার
₹600
বাংলা ভাষায় সাক্ষাৎকার ভিত্তিক কয়েকটি বই ইতিপূর্বে প্রকাশিত হলেও তার সংখ্যা খুবই কম। " সাক্ষাৎকার সংগ্রহ " এক্ষেত্রে হতে পারে বেশ কিছুটা ব্যতিক্রমী। সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট মানুষজনের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা সৃষ্টিকর্মের প্রেক্ষাপট আজও অজ্ঞাত রয়ে গেছে বহু পাঠকের কাছে। তাই শুধু সাহিত্য সম্পর্কে তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, লেখার বাইরে একজন কবি বা লেখকের নিজস্ব জগতকে তুলে আনার প্রচেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকারে। তাদের জীবন বা দিনযাপন, বাল্য-কৈশোর, যৌবনের রঙিন দিনগুলি, বন্ধুবান্ধব, পদস্খলন, সম্মান-অসম্মান, ধর্ম-অধর্ম, নৈতিকতা নীতিহীনতা প্রভৃতি নানা বিষয় স্থান পেয়েছে এইসব কথোপকথনে। পাশাপাশি রয়েছে তাদের সংগ্রাম ও বেড়ে ওঠার কাহিনি, যশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে একাত্মতা ও বিচ্ছিন্নতাবোধ কিংবা নিতান্ত সাদামাঠা নানা কৌতুকস্নিগ্ধ ঘটনার খোলাখুলি বর্ণনা।
যাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গ্রন্থ, তাঁরা হলেন মনীন্দ্র গুপ্ত, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিত চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, পবিত্র সরকার, নবনীতা দেবসেন, দিব্যেন্দু পালিত, বাণী বসু, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সমরেশ মজুমদার, দেবারতি মিত্র, শংকর চক্রবর্তী, নবারুণ ভট্টাচার্য, শ্যামলকান্তি দাশ, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। টুকরো - টুকরো কথন, অভিজ্ঞতা, ঘটনাপঞ্জী ও তথ্যে সমৃদ্ধ এই সংকলনটি বাংলাভাষার অন্যতম একটি আকরগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে।
সাক্ষাৎকার সংগ্রহ
By জয়ন্ত সরকার
₹600
বাংলা ভাষায় সাক্ষাৎকার ভিত্তিক কয়েকটি বই ইতিপূর্বে প্রকাশিত হলেও তার সংখ্যা খুবই কম। " সাক্ষাৎকার সংগ্রহ " এক্ষেত্রে হতে পারে বেশ কিছুটা ব্যতিক্রমী। সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট মানুষজনের ব্যক্তিগত জীবন কিংবা সৃষ্টিকর্মের প্রেক্ষাপট আজও অজ্ঞাত রয়ে গেছে বহু পাঠকের কাছে। তাই শুধু সাহিত্য সম্পর্কে তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, লেখার বাইরে একজন কবি বা লেখকের নিজস্ব জগতকে তুলে আনার প্রচেষ্টা করা হয়েছে প্রত্যেকটি সাক্ষাৎকারে। তাদের জীবন বা দিনযাপন, বাল্য-কৈশোর, যৌবনের রঙিন দিনগুলি, বন্ধুবান্ধব, পদস্খলন, সম্মান-অসম্মান, ধর্ম-অধর্ম, নৈতিকতা নীতিহীনতা প্রভৃতি নানা বিষয় স্থান পেয়েছে এইসব কথোপকথনে। পাশাপাশি রয়েছে তাদের সংগ্রাম ও বেড়ে ওঠার কাহিনি, যশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে একাত্মতা ও বিচ্ছিন্নতাবোধ কিংবা নিতান্ত সাদামাঠা নানা কৌতুকস্নিগ্ধ ঘটনার খোলাখুলি বর্ণনা।
যাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গ্রন্থ, তাঁরা হলেন মনীন্দ্র গুপ্ত, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিত চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, পবিত্র সরকার, নবনীতা দেবসেন, দিব্যেন্দু পালিত, বাণী বসু, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সমরেশ মজুমদার, দেবারতি মিত্র, শংকর চক্রবর্তী, নবারুণ ভট্টাচার্য, শ্যামলকান্তি দাশ, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। টুকরো - টুকরো কথন, অভিজ্ঞতা, ঘটনাপঞ্জী ও তথ্যে সমৃদ্ধ এই সংকলনটি বাংলাভাষার অন্যতম একটি আকরগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হওয়ার দাবি রাখে।
এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা
₹100
সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি উদয়ন ভট্টাচার্য। প্রথম কবিতার বই ‘বাদামী ঘোড়ায় শেষ অশ্বারোহী’ পড়ে কবি অমিয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘তোমার কবিতায় মালিন্য স্পর্শ করেনি।' শ্রীপান্থের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন PROBE INDIA পত্রিকায়। তাঁর দশম কবিতার বই " এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা "। আগে প্রকাশিত প্রায় সব কাব্যগ্রন্থগুলির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গেছে।
এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকদের কাছে নতুন বার্তা দিতে চায়। কোভিড আবহাওয়ায় আমাদের এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা।এই জীবন,এই মৃত্যু।কয়েকটি কবিতায় তার উল্লেখ আছে। সমাজ ব্যবস্থার দৈন্যতা, বঞ্চনা,প্রলোভন,দম্ভ,সময় সবই কবিতার বিষয়।কবি কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন কোভিড যোদ্ধাদের।
এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা
₹100
সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি উদয়ন ভট্টাচার্য। প্রথম কবিতার বই ‘বাদামী ঘোড়ায় শেষ অশ্বারোহী’ পড়ে কবি অমিয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘তোমার কবিতায় মালিন্য স্পর্শ করেনি।' শ্রীপান্থের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন PROBE INDIA পত্রিকায়। তাঁর দশম কবিতার বই " এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা "। আগে প্রকাশিত প্রায় সব কাব্যগ্রন্থগুলির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গেছে।
এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকদের কাছে নতুন বার্তা দিতে চায়। কোভিড আবহাওয়ায় আমাদের এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা।এই জীবন,এই মৃত্যু।কয়েকটি কবিতায় তার উল্লেখ আছে। সমাজ ব্যবস্থার দৈন্যতা, বঞ্চনা,প্রলোভন,দম্ভ,সময় সবই কবিতার বিষয়।কবি কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন কোভিড যোদ্ধাদের।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।