“বর্ণালি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
অপরাহ্নের আলো
₹125
এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলিতে আধুনিক বাস্তবতা এবং সাবেকি ব্যঞ্জনার একটি সমন্বয় ঘটেছে। আর কোথাও এসেছে রোমান্টিকতা ও বিরহের মিহি সুর। তাই জীবন ও ভাবনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এই গ্রন্থের সকল কবিতাগুলির মাধ্যমে হৃদয়বেদ্য অনুভূতির জাগরণে লেখিকার 'অপরাহ্নের আলো' কাব্যগ্রন্থের সৃষ্টি।
অপরাহ্নের আলো
₹125
এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলিতে আধুনিক বাস্তবতা এবং সাবেকি ব্যঞ্জনার একটি সমন্বয় ঘটেছে। আর কোথাও এসেছে রোমান্টিকতা ও বিরহের মিহি সুর। তাই জীবন ও ভাবনার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এই গ্রন্থের সকল কবিতাগুলির মাধ্যমে হৃদয়বেদ্য অনুভূতির জাগরণে লেখিকার 'অপরাহ্নের আলো' কাব্যগ্রন্থের সৃষ্টি।
ডেভিড ম্যাককাচন চর্চা
₹250
ডেভিড ম্যাককাচন - এক ব্যাতিক্রমী ভারতবন্ধু। বাংলার মন্দির এবং বাংলার পটচিত্র নিয়ে চর্চা করতে গেলে ডেভিডকে স্মরণ করতে হবে। না বাইবেলের ডেভিড নয় - বঙ্গপ্রেমিক ডেভিড ; পুরো নাম- ডেভিড জন ম্যাককাচন (১৯৩০-১৯৭২)।
একুশ শতকে ডেভিড চর্চার নতুন অধ্যায় শুরু করা হোক। তাঁকে শুধু মন্দিরপ্রেমী হিসাবে দেগে দেওয়া ঠিক নয়। মন্দির - মসজিদ - গির্জা - বৌদ্ধবিহার নিয়ে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। আসলে তিনি সমন্বয়বাদী। তিনি প্রাচ্যের স্থাপত্যশিল্প মজে ছিলেন। প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের সম্প্রীতি সূত্র সন্ধান করেছিলেন।
৩২ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় ধরা পড়েছে সামগ্রিক ডেভিড ম্যাককাচন। শুধু জীবন - সান্নিধ্য স্মৃতি সুধা নয়, তাঁর গবেষণা কর্মের মূল্যবান মূল্যায়ণ করা হয়েছে বইটিতে। শুধুমাত্র বাঙালি তথা ভারতীয়দের পর্যালোচনা নয়, সেই সঙ্গে বিদেশি গবেষকদের এক মিলিত সম্মিলন। বিস্মৃত এক বিদেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক দুষ্প্রাপ্য দলিল।
১. বঙ্গপ্রেমিক ম্যাককাচনের মূল্যায়ণ নিয়ে এই প্রথম সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
২. বাংলা ভাষায় দেশি বিদেশি সমালোচকদের পর্যালোচনা একই মলাটে আনা হলো।
৩. ম্যাককাচন সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, নির্বাচিত পুরাতন রচনার সাথে একবারে নির্দিষ্ট নতুন রচনাও সামনে আনা হলো।
৪. সত্যজিত রায়ের ' ম্যাককাচন ' বানানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ডেভিড ম্যাককাচন চর্চা
₹250
ডেভিড ম্যাককাচন - এক ব্যাতিক্রমী ভারতবন্ধু। বাংলার মন্দির এবং বাংলার পটচিত্র নিয়ে চর্চা করতে গেলে ডেভিডকে স্মরণ করতে হবে। না বাইবেলের ডেভিড নয় - বঙ্গপ্রেমিক ডেভিড ; পুরো নাম- ডেভিড জন ম্যাককাচন (১৯৩০-১৯৭২)।
একুশ শতকে ডেভিড চর্চার নতুন অধ্যায় শুরু করা হোক। তাঁকে শুধু মন্দিরপ্রেমী হিসাবে দেগে দেওয়া ঠিক নয়। মন্দির - মসজিদ - গির্জা - বৌদ্ধবিহার নিয়ে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। আসলে তিনি সমন্বয়বাদী। তিনি প্রাচ্যের স্থাপত্যশিল্প মজে ছিলেন। প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের সম্প্রীতি সূত্র সন্ধান করেছিলেন।
৩২ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় ধরা পড়েছে সামগ্রিক ডেভিড ম্যাককাচন। শুধু জীবন - সান্নিধ্য স্মৃতি সুধা নয়, তাঁর গবেষণা কর্মের মূল্যবান মূল্যায়ণ করা হয়েছে বইটিতে। শুধুমাত্র বাঙালি তথা ভারতীয়দের পর্যালোচনা নয়, সেই সঙ্গে বিদেশি গবেষকদের এক মিলিত সম্মিলন। বিস্মৃত এক বিদেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক দুষ্প্রাপ্য দলিল।
১. বঙ্গপ্রেমিক ম্যাককাচনের মূল্যায়ণ নিয়ে এই প্রথম সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
২. বাংলা ভাষায় দেশি বিদেশি সমালোচকদের পর্যালোচনা একই মলাটে আনা হলো।
৩. ম্যাককাচন সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, নির্বাচিত পুরাতন রচনার সাথে একবারে নির্দিষ্ট নতুন রচনাও সামনে আনা হলো।
৪. সত্যজিত রায়ের ' ম্যাককাচন ' বানানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প
By উষা রায়
₹150
বাংলা সাহিত্যে একদা হাসির গল্পের প্রাচুর্য থাকলেও অধুনা বিরল। লুপ্ত প্রায়। হুতােম দিয়ে সেই শুরু। কলকাতাইয়া দৈনন্দিন জীবন, বাবু-বিবি কালচার, হাটে বাজারের নক্সা, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাস্যরসের মাধ্যমে বাঙালী জীবনের মধ্যবিত্ততাকে তিনি তাঁর শাণিত তরবারির মতো লেখনী দ্বারা ফালা ফালা করে ছাড়লেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে পড়ে তা যেন আরও খােলতাই হল। কমলাকান্তের দপ্তর, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ত্রৈলোক্যনাথ মুখােপাধ্যায়, কথঞ্চিৎ প্রভাত কুমার মুখােপাধ্যায়, তদুপরি পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসু। এ বলেন আমায় দেখ, ও বলেন, আমায় দেখ।
ধারাটি লুপ্তপ্রায়। তবু যা হােক হালফিল কিছু লেখক এই উষর টাড়-টিকরে পুর্ণোদ্যমে হলকর্ষণ শুরু করেছেন। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম উষা রায়। যেমন গল্প গ্রন্থনা, কৌতুকী ঠাট, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ তেমনি তার উপযোগী মেদহীন ঝর ঝরে ভাষা। একবারে কাট কাট। কাট কাট হলেও কোথাও জন রস রয়ে গেলো। রসোত্তীর্ণ তো বটেই। ' ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প ' গ্রন্থটি এককথায় অসাধারণ।
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প
By উষা রায়
₹150
বাংলা সাহিত্যে একদা হাসির গল্পের প্রাচুর্য থাকলেও অধুনা বিরল। লুপ্ত প্রায়। হুতােম দিয়ে সেই শুরু। কলকাতাইয়া দৈনন্দিন জীবন, বাবু-বিবি কালচার, হাটে বাজারের নক্সা, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাস্যরসের মাধ্যমে বাঙালী জীবনের মধ্যবিত্ততাকে তিনি তাঁর শাণিত তরবারির মতো লেখনী দ্বারা ফালা ফালা করে ছাড়লেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে পড়ে তা যেন আরও খােলতাই হল। কমলাকান্তের দপ্তর, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ত্রৈলোক্যনাথ মুখােপাধ্যায়, কথঞ্চিৎ প্রভাত কুমার মুখােপাধ্যায়, তদুপরি পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসু। এ বলেন আমায় দেখ, ও বলেন, আমায় দেখ।
ধারাটি লুপ্তপ্রায়। তবু যা হােক হালফিল কিছু লেখক এই উষর টাড়-টিকরে পুর্ণোদ্যমে হলকর্ষণ শুরু করেছেন। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম উষা রায়। যেমন গল্প গ্রন্থনা, কৌতুকী ঠাট, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ তেমনি তার উপযোগী মেদহীন ঝর ঝরে ভাষা। একবারে কাট কাট। কাট কাট হলেও কোথাও জন রস রয়ে গেলো। রসোত্তীর্ণ তো বটেই। ' ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প ' গ্রন্থটি এককথায় অসাধারণ।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
যে কথা বলতে চেয়েছি
₹300
চরম বামপন্থার সঙ্গে চরম দক্ষিণপন্থার মুখােমুখি এই মিলন উৎসবের দিনে সম্পাদকীয় মন্তব্য কতদূর পেলব হতে পারে? এইসব প্রশ্ন বারবার আমাকে, আমাদেরকে আলােড়িত করেছে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে এইসব প্রসঙ্গ রাজনীতির ব্যাপার বলে আড়াল করা সম্ভব? সম্ভব না। কোনাে রাজনৈতিক দলের অনুগত না হয়েও, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির প্রতি অনুগত থেকে, কারও পক্ষে এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। এসব এড়িয়ে গেলে নিজেকেই নিজের কাছে অপরাধী চিহ্নিত হয়ে থাকতে হবে, এই দৃঢ় বিশ্বাস থেকে ' যে কথা বলতে চেয়েছি ', সম্পাদকীয় স্তম্ভে বলেছি। কোনাে লেখক-শিল্পীকে আমরা ব্রাত্য করে দিইনি। আবার তাদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য হাত কচলিয়ে দাঁড়াতে চাইনি। বলেছি, আপনাদের কথা আপনারা লিখুন, আমাদের কথা আমরা বলব। বিরােধ এড়িয়ে নয়, মুখােমুখি আলােচনার দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে হবে। এই দ্বান্দ্বিক অভিঘাতের কতটা সম্পাদকীয় স্তম্ভে ধরা পড়েছে, তার বিচারের ভার পাঠকসমাজের। একসঙ্গে সবগুলি পড়ার সুযােগ করে দেওয়া সম্ভব হল, ফলে মন্তব্যের ধারাবাহিকতা লক্ষ করা সহজ হবে। এখানে মােট ১১৩টি সম্পাদকীয় সংকলিত হল।
যে কথা বলতে চেয়েছি
₹300
চরম বামপন্থার সঙ্গে চরম দক্ষিণপন্থার মুখােমুখি এই মিলন উৎসবের দিনে সম্পাদকীয় মন্তব্য কতদূর পেলব হতে পারে? এইসব প্রশ্ন বারবার আমাকে, আমাদেরকে আলােড়িত করেছে। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে এইসব প্রসঙ্গ রাজনীতির ব্যাপার বলে আড়াল করা সম্ভব? সম্ভব না। কোনাে রাজনৈতিক দলের অনুগত না হয়েও, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির প্রতি অনুগত থেকে, কারও পক্ষে এসব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। এসব এড়িয়ে গেলে নিজেকেই নিজের কাছে অপরাধী চিহ্নিত হয়ে থাকতে হবে, এই দৃঢ় বিশ্বাস থেকে ' যে কথা বলতে চেয়েছি ', সম্পাদকীয় স্তম্ভে বলেছি। কোনাে লেখক-শিল্পীকে আমরা ব্রাত্য করে দিইনি। আবার তাদের অনুকম্পা পাওয়ার জন্য হাত কচলিয়ে দাঁড়াতে চাইনি। বলেছি, আপনাদের কথা আপনারা লিখুন, আমাদের কথা আমরা বলব। বিরােধ এড়িয়ে নয়, মুখােমুখি আলােচনার দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে হবে। এই দ্বান্দ্বিক অভিঘাতের কতটা সম্পাদকীয় স্তম্ভে ধরা পড়েছে, তার বিচারের ভার পাঠকসমাজের। একসঙ্গে সবগুলি পড়ার সুযােগ করে দেওয়া সম্ভব হল, ফলে মন্তব্যের ধারাবাহিকতা লক্ষ করা সহজ হবে। এখানে মােট ১১৩টি সম্পাদকীয় সংকলিত হল।