Discount applied: Discount 20%
“মুসলমানমঙ্গল” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
ওসোর প্রেম
By উমাশঙ্কর
₹200
ওসো ছিলেন একজন ভারতীয় মানুষ্যঈশ্বর এবং রজনী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে এক বিতর্কিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা এবং মরমী হিসাবে দেখা হত। তাঁর জীবন কাহিনী "ওসোর প্রেম" বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
ওসোর প্রেম
By উমাশঙ্কর
₹200
ওসো ছিলেন একজন ভারতীয় মানুষ্যঈশ্বর এবং রজনী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে এক বিতর্কিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা এবং মরমী হিসাবে দেখা হত। তাঁর জীবন কাহিনী "ওসোর প্রেম" বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে
₹250
এতকাল আমরা জেনে এসেছি - এই আধুনিক বিশ্ব গড়ে তোলার মূল কারিগর-পাশ্চাত্য সভ্যতা। আর সেটা এমনভাবে মনে করা হয় যেন এর আগের সময়টা সার্বিকভাবে ছিল প্রাগৈতিহাসিক কাল।
কিন্তু যারা চোখের ঠুলি সরিয়ে আপাত মুগ্ধতা অতিক্রম করতে পেরেছেন, দেখতে পাবেন বর্তমান বিশ্বে কীভাবে সক্রিয় রয়েছে তাদের নির্লজ্জ শোষন প্রকৃতি - তাদের দ্বিচারিতা কীভাবে ভোগপ্রবণ সাধারণ মানুষজনকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। এইভাবেই জীবনযাপনের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই মোহগ্রস্ত করে রাখেন অধিকাংশ প্রবক্তা-বুদ্ধিজীবীদের-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও, যারা এই আধুনিকতাকে রেঁনেসা নামে এক অলৌকিক মোড়কে সেটা প্রচার করে যাচ্ছেন।
ইতিহাস বলে—প্রকৃত রেঁনেসার মূল শিরদাঁড়া স্তম্ভ ছিল প্রখর ও নিষ্কলুষ যুক্তিবোধ—তার প্রধান লক্ষ্য ছিল, আত্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষসত্তার সৃজনশীলতার উন্মেষ।
কিন্তু এটাই আশ্চর্যের মূল সুত্র দুটি আজ নিতান্তই অর্থহীনতায় পর্যবসিত, উপযোগিতার নিরিখে দ্রুত বাতিলের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যারা সেই দৌড়ে সামিল হতে পারছেনা বিপর্যস্ত, ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাধারণ মানুষরা মুনাফা শিকারীদের কাছে নেহাতই অবজ্ঞার পাত্র। তাচ্ছিল্য
করার উপযুক্ত।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে গ্রন্থটি বস্তুত সেই অনুসন্ধান, যা এর উৎসভূমি খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছে।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে
₹250
এতকাল আমরা জেনে এসেছি - এই আধুনিক বিশ্ব গড়ে তোলার মূল কারিগর-পাশ্চাত্য সভ্যতা। আর সেটা এমনভাবে মনে করা হয় যেন এর আগের সময়টা সার্বিকভাবে ছিল প্রাগৈতিহাসিক কাল।
কিন্তু যারা চোখের ঠুলি সরিয়ে আপাত মুগ্ধতা অতিক্রম করতে পেরেছেন, দেখতে পাবেন বর্তমান বিশ্বে কীভাবে সক্রিয় রয়েছে তাদের নির্লজ্জ শোষন প্রকৃতি - তাদের দ্বিচারিতা কীভাবে ভোগপ্রবণ সাধারণ মানুষজনকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। এইভাবেই জীবনযাপনের প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই মোহগ্রস্ত করে রাখেন অধিকাংশ প্রবক্তা-বুদ্ধিজীবীদের-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও, যারা এই আধুনিকতাকে রেঁনেসা নামে এক অলৌকিক মোড়কে সেটা প্রচার করে যাচ্ছেন।
ইতিহাস বলে—প্রকৃত রেঁনেসার মূল শিরদাঁড়া স্তম্ভ ছিল প্রখর ও নিষ্কলুষ যুক্তিবোধ—তার প্রধান লক্ষ্য ছিল, আত্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষসত্তার সৃজনশীলতার উন্মেষ।
কিন্তু এটাই আশ্চর্যের মূল সুত্র দুটি আজ নিতান্তই অর্থহীনতায় পর্যবসিত, উপযোগিতার নিরিখে দ্রুত বাতিলের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যারা সেই দৌড়ে সামিল হতে পারছেনা বিপর্যস্ত, ভুলণ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাধারণ মানুষরা মুনাফা শিকারীদের কাছে নেহাতই অবজ্ঞার পাত্র। তাচ্ছিল্য
করার উপযুক্ত।
নবজাগরণ বিশ্বের পশ্চিমে ও পূর্বে গ্রন্থটি বস্তুত সেই অনুসন্ধান, যা এর উৎসভূমি খুঁজে পাবার চেষ্টা করেছে।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
পঁচিশ ফোড়ন
₹300
একুশ শতকে দাড়িয়ে বিশ শতকের ফেলে আসা নানা ছবিকে ধুলো সরিয়ে ফিরে দেখার গল্প। শৈশব আর কৈশোর বড় কাছের সময়। নিজের সময়। আনন্দের সময়। লেখক কল্যাণ সেনগুপ্ত তেমন ভাবেই দেখেছেন পুরনো কলকাতাকে নিজে বেড়ে ওঠার সময়। তখন টিভি ছিল না, ফোন ছিল না, মেট্রো রেল ছিল না, আধুনিক মল ছিল না কিন্তু পাড়া ছিল, রোয়াক ছিল, প্যান্ডেল করে ফাংশান ছিল। ইস্ট বেঙ্গল মোহনবাগান ছিল, উত্তম সুচিত্রা ছিল। সুখ দুঃখতে ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল। এর ওর খবর নেওয়া ছিল। গল্পগুলির মাধ্যমে সেই কিশোরকে আবার ছুঁতে চেয়ে তারই কাছে ফিরে যেতে চেয়েছেন লেখক।
পঁচিশ ফোড়ন
₹300
একুশ শতকে দাড়িয়ে বিশ শতকের ফেলে আসা নানা ছবিকে ধুলো সরিয়ে ফিরে দেখার গল্প। শৈশব আর কৈশোর বড় কাছের সময়। নিজের সময়। আনন্দের সময়। লেখক কল্যাণ সেনগুপ্ত তেমন ভাবেই দেখেছেন পুরনো কলকাতাকে নিজে বেড়ে ওঠার সময়। তখন টিভি ছিল না, ফোন ছিল না, মেট্রো রেল ছিল না, আধুনিক মল ছিল না কিন্তু পাড়া ছিল, রোয়াক ছিল, প্যান্ডেল করে ফাংশান ছিল। ইস্ট বেঙ্গল মোহনবাগান ছিল, উত্তম সুচিত্রা ছিল। সুখ দুঃখতে ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল। এর ওর খবর নেওয়া ছিল। গল্পগুলির মাধ্যমে সেই কিশোরকে আবার ছুঁতে চেয়ে তারই কাছে ফিরে যেতে চেয়েছেন লেখক।