Add to Wishlist
কোন ভাঙ্গনের পথে
Publisher: একুশ শতক
₹150
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত
₹200
রবীন্দ্র-যুগে জন্মগ্রহণ করেও অতুলপ্রসাদ সেন বাংলা সংগীতে আপন স্বাতন্ত্র্য নিয়ে আজও মানুষের মনে জীবিত রয়েছেন। তাঁর গানে যেমন রয়েছে কাব্যগুণ, তেমনি সুরের ক্ষেত্রে বাংলার বাউল-কীর্তন, ভাবসংগীতের পাশাপাশি লক্ষ্ণৌয়ের ঠুংরি, টপ্পা, গজল, রাগপ্রধান, খেয়ালের সুর মিলে মিশে তাঁর সংগীতকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছে। লক্ষ্ণৌয়ের একজন সফল ব্যারিস্টার এবং জনদরদী সেবা-পরায়ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন অতুলপ্রসাদ। অতুলপ্রসাদের জীবন ও সংগীত নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে অতুলপ্রসাদের সংগীতকে আরও উজ্জ্বলভাবে পাঠক সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন দীপান্বিতা সেন। 'অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত' গ্রন্থটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র গ্রন্থের মর্যাদা পাবে এটাই প্রত্যাশিত।
অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত
₹200
রবীন্দ্র-যুগে জন্মগ্রহণ করেও অতুলপ্রসাদ সেন বাংলা সংগীতে আপন স্বাতন্ত্র্য নিয়ে আজও মানুষের মনে জীবিত রয়েছেন। তাঁর গানে যেমন রয়েছে কাব্যগুণ, তেমনি সুরের ক্ষেত্রে বাংলার বাউল-কীর্তন, ভাবসংগীতের পাশাপাশি লক্ষ্ণৌয়ের ঠুংরি, টপ্পা, গজল, রাগপ্রধান, খেয়ালের সুর মিলে মিশে তাঁর সংগীতকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছে। লক্ষ্ণৌয়ের একজন সফল ব্যারিস্টার এবং জনদরদী সেবা-পরায়ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন অতুলপ্রসাদ। অতুলপ্রসাদের জীবন ও সংগীত নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে অতুলপ্রসাদের সংগীতকে আরও উজ্জ্বলভাবে পাঠক সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন দীপান্বিতা সেন। 'অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত' গ্রন্থটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র গ্রন্থের মর্যাদা পাবে এটাই প্রত্যাশিত।
সন্ধ্যাবেলায় মন কেমন করে
By ঈশা দেব পাল
₹250
সন্ধে মানেই বাড়ি ফেরা। সন্ধেবেলায় শুধুই শিকড়ের টান। চিনির বালিকাবেলাতেও লেগে থাকে গোধূলির রক্তিমাভা। চিনি যখন চিরশ্রী হয় তখনও তাকে ডাক পাঠায়। সেই শৈশব কৈশোরের অলস মায়াজড়ানো ফুরিয়ে যাওয়া বিকেল। এই কাহিনি আশির দশকে বড় হতে থাকা এক বালিকার চোখ দিয়ে দেখা পৃথিবীর আলতো রূপ। ইন্দিরা গান্ধীর অকাল মৃত্যুর প্রসঙ্গ যেমন আছে এতে, তেমনই আছে শান্ত মফস্বলী জীবনে গার্লস ইস্কুল গড়ার প্রস্তুতি। আর আছে কিশোর-কিশোরী যুবক -যুবতীর প্রেম, দাম্পত্য, ভাঙন। ঘটনা ফুরিয়ে যায়, অনুভূতি থেকে যায়। এই উপন্যাসের মূল অবলম্বন সেই অনুভব।
সন্ধ্যাবেলায় মন কেমন করে
By ঈশা দেব পাল
₹250
সন্ধে মানেই বাড়ি ফেরা। সন্ধেবেলায় শুধুই শিকড়ের টান। চিনির বালিকাবেলাতেও লেগে থাকে গোধূলির রক্তিমাভা। চিনি যখন চিরশ্রী হয় তখনও তাকে ডাক পাঠায়। সেই শৈশব কৈশোরের অলস মায়াজড়ানো ফুরিয়ে যাওয়া বিকেল। এই কাহিনি আশির দশকে বড় হতে থাকা এক বালিকার চোখ দিয়ে দেখা পৃথিবীর আলতো রূপ। ইন্দিরা গান্ধীর অকাল মৃত্যুর প্রসঙ্গ যেমন আছে এতে, তেমনই আছে শান্ত মফস্বলী জীবনে গার্লস ইস্কুল গড়ার প্রস্তুতি। আর আছে কিশোর-কিশোরী যুবক -যুবতীর প্রেম, দাম্পত্য, ভাঙন। ঘটনা ফুরিয়ে যায়, অনুভূতি থেকে যায়। এই উপন্যাসের মূল অবলম্বন সেই অনুভব।
ধুলামাটির আখ্যান
By তৃণময় সেন
₹200
সাত ভাই চম্পার দেশ উত্তরপূর্ব ভারতে বঙ্গ সাহিত্যের এক রত্নখনি বর্তমান।কথাসাহিত্যের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বারবার সৃষ্টি হয়েছে নবীন সব পাঠকৃতি। দেখার চোখ পালটে গেছে, প্রবীণরা তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ করে ফিরে গেছেন প্যাভেলিয়ানে। যখন পালটে যাচ্ছে কথাভাষা তখন ব্যাটন ধরার জন্য দৌড়তে শুরু করেছেন একঝাঁক নতুন কথাকার। রূপদক্ষ শিল্পীর আগমনে আবার উর্বর হয়েছে উত্তরপূর্বের শিল্পভূমি। প্রান্তিক ভারতবর্ষ সীমান্তে নদীতীরবর্তী ভূখণ্ডের কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ জনবিন্যাস প্রাধান্য পেয়েছে কথাবয়নে। বাঙালিপ্রধান প্রধান তিন জেলা কাছাড় হাইলাকান্দি করিমগঞ্জের প্রধান শহরসীমা থেকে নিরাপদ দূরত্বে বেড়ে ওঠা কথাকার তৃণময় সেন এখন দিল্লির বাসিন্দা, বহুজাতিকের কর্মচারী। দূরে থাকলেও তৃণময় উত্তরপূর্বের কথাসাহিত্যে এক অপরিহার্য নাম। লিটিল ম্যাগাজিন থেকে সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এখন ‘ধুলামাটির আখ্যান’ নামের অনবদ্য এক ছোটোগল্প সংকলন গ্রন্থ প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছেন।
ধুলামাটির আখ্যান
By তৃণময় সেন
₹200
সাত ভাই চম্পার দেশ উত্তরপূর্ব ভারতে বঙ্গ সাহিত্যের এক রত্নখনি বর্তমান।কথাসাহিত্যের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। সময়ের সঙ্গে তাল রেখে বারবার সৃষ্টি হয়েছে নবীন সব পাঠকৃতি। দেখার চোখ পালটে গেছে, প্রবীণরা তাদের নির্ধারিত ওভার শেষ করে ফিরে গেছেন প্যাভেলিয়ানে। যখন পালটে যাচ্ছে কথাভাষা তখন ব্যাটন ধরার জন্য দৌড়তে শুরু করেছেন একঝাঁক নতুন কথাকার। রূপদক্ষ শিল্পীর আগমনে আবার উর্বর হয়েছে উত্তরপূর্বের শিল্পভূমি। প্রান্তিক ভারতবর্ষ সীমান্তে নদীতীরবর্তী ভূখণ্ডের কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ জনবিন্যাস প্রাধান্য পেয়েছে কথাবয়নে। বাঙালিপ্রধান প্রধান তিন জেলা কাছাড় হাইলাকান্দি করিমগঞ্জের প্রধান শহরসীমা থেকে নিরাপদ দূরত্বে বেড়ে ওঠা কথাকার তৃণময় সেন এখন দিল্লির বাসিন্দা, বহুজাতিকের কর্মচারী। দূরে থাকলেও তৃণময় উত্তরপূর্বের কথাসাহিত্যে এক অপরিহার্য নাম। লিটিল ম্যাগাজিন থেকে সামাজিক মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে এখন ‘ধুলামাটির আখ্যান’ নামের অনবদ্য এক ছোটোগল্প সংকলন গ্রন্থ প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছেন।
গাড়োয়ালের গহীন পথে
By সঞ্জীব দাস
₹350
পুন্যভূমি গাড়োয়াল। দেবভূমি গাড়োয়াল। হিমালয়ের এই পর্বতশ্রেণী নিয়ে ইতিপূর্বে অগুনতি ভ্রমণ সাহিত্য রচিত হয়েছে। কোথাও পাওয়া যায় দেবভূমির মাহাত্ম্যকথা আবার কোথাও পর্বত-পদচারনার রোমাঞ্চ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত থেকেছে প্রকৃতি। যদিও পাকদন্ডীর গল্প নিয়েই এই বই! তবে গাড়োয়াল হিমালয়ের এক ভিন্ন রূপ তুলে ধরে এই গ্রন্থ। দেওরিয়া তাল, চন্দ্রশিলা, তুঙ্গনাথকে সাথী রেখে হাঁটার পথে উঠে আসে এক অচিন হিমালয়ের আফসানা; পাহাড়ের আশ্চর্য জগৎ, রন পা ধারী পাইনের বনে লুকিয়ে থাকা গল্পরা, বুগিয়ালে অস্ত্রনমিত সূর্য; হাঁটার সঙ্গীরা, তাদের মজা, আনন্দ, দুঃখ; পোর্টার, গাইড ও চলার পথে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে থাকা গাড়োয়ালি মানুষ, তাদের সহজ সরল চলন আর সিকি জীবনের টুকরো কথা এসবই ছড়িয়ে আছে বই জুড়ে। আবার সেই পাকদন্ডী-পথ বারংবার জড়িয়ে ধরে গাড়োয়ালের নিরাভরণ, নিরাবরণ প্রকৃতি। কখনো শান্ত, মোহিনী আবার পরক্ষণেই সে রুদ্ররূপী। রহস্যের স্তরভূমি ভেদ করে কখনোবা তার নিষ্কম্প কণ্ঠ জেগে ওঠে! খাঁচার আগল খুলে সে বলে ওঠে এই পাহাড় ধ্বংসের আড়ালে থাকা রুদ্ধ সত্য। প্রকৃতিমনা লেখকের তীক্ষ্ণ কলমের বিশ্লেষণে তা মরমীয়া হয়ে ওঠে। পাহাড়ের গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পাহাড়, জীবন আর সময় মিলিয়ে মিশিয়ে প্যালেটে রঙ গুলে এ যেন তুলি বোলানোর চেষ্টা! এক অনন্য বায়োস্কপ! কত ভালবাসলে তবে প্রকৃতির পৃষ্ঠা খোলা যায়! আহা! পড়তে পড়তে, দেখতে দেখতে কখন যেন গাড়োয়াল হিমালয়ের ঢেউ খেলানো অসীমে মন হারিয়ে যেতে চায়।
গাড়োয়ালের গহীন পথে
By সঞ্জীব দাস
₹350
পুন্যভূমি গাড়োয়াল। দেবভূমি গাড়োয়াল। হিমালয়ের এই পর্বতশ্রেণী নিয়ে ইতিপূর্বে অগুনতি ভ্রমণ সাহিত্য রচিত হয়েছে। কোথাও পাওয়া যায় দেবভূমির মাহাত্ম্যকথা আবার কোথাও পর্বত-পদচারনার রোমাঞ্চ। তবে অনেক ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত থেকেছে প্রকৃতি। যদিও পাকদন্ডীর গল্প নিয়েই এই বই! তবে গাড়োয়াল হিমালয়ের এক ভিন্ন রূপ তুলে ধরে এই গ্রন্থ। দেওরিয়া তাল, চন্দ্রশিলা, তুঙ্গনাথকে সাথী রেখে হাঁটার পথে উঠে আসে এক অচিন হিমালয়ের আফসানা; পাহাড়ের আশ্চর্য জগৎ, রন পা ধারী পাইনের বনে লুকিয়ে থাকা গল্পরা, বুগিয়ালে অস্ত্রনমিত সূর্য; হাঁটার সঙ্গীরা, তাদের মজা, আনন্দ, দুঃখ; পোর্টার, গাইড ও চলার পথে কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে থাকা গাড়োয়ালি মানুষ, তাদের সহজ সরল চলন আর সিকি জীবনের টুকরো কথা এসবই ছড়িয়ে আছে বই জুড়ে। আবার সেই পাকদন্ডী-পথ বারংবার জড়িয়ে ধরে গাড়োয়ালের নিরাভরণ, নিরাবরণ প্রকৃতি। কখনো শান্ত, মোহিনী আবার পরক্ষণেই সে রুদ্ররূপী। রহস্যের স্তরভূমি ভেদ করে কখনোবা তার নিষ্কম্প কণ্ঠ জেগে ওঠে! খাঁচার আগল খুলে সে বলে ওঠে এই পাহাড় ধ্বংসের আড়ালে থাকা রুদ্ধ সত্য। প্রকৃতিমনা লেখকের তীক্ষ্ণ কলমের বিশ্লেষণে তা মরমীয়া হয়ে ওঠে। পাহাড়ের গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পাহাড়, জীবন আর সময় মিলিয়ে মিশিয়ে প্যালেটে রঙ গুলে এ যেন তুলি বোলানোর চেষ্টা! এক অনন্য বায়োস্কপ! কত ভালবাসলে তবে প্রকৃতির পৃষ্ঠা খোলা যায়! আহা! পড়তে পড়তে, দেখতে দেখতে কখন যেন গাড়োয়াল হিমালয়ের ঢেউ খেলানো অসীমে মন হারিয়ে যেতে চায়।