Discount applied: Discount 20%
“আমার আপন গান” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
কোন ভাঙ্গনের পথে
Publisher: একুশ শতক
₹150
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
আমলাকথা
₹250
সাম্প্রতিক সাহিত্য-মহলে নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যয় এক পরিচিত নাম । তিনি কবি, কথক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (একজিকিউটিভ)- এ পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে প্রমােশন পান আই.এ.এস-এ। পশ্চিমবাংলার বহু জেলায় চাকরির অভিজ্ঞতা তার। দেখেছেন অনেক জনপদ। অনেক মানুষ। প্রায় সাইত্রিশ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন-আমলাকথা (প্রথম খণ্ড)। পাঠকের মনে হবে তিনি মজার এক উপন্যাসই পড়ছেন। আমলাকথা’র (দ্বিতীয় খণ্ড)-ও প্রকাশ পাবে যথাসময়ে।
আমলাকথা
₹250
সাম্প্রতিক সাহিত্য-মহলে নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যয় এক পরিচিত নাম । তিনি কবি, কথক ও প্রাবন্ধিক। ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস (একজিকিউটিভ)- এ পেশাগত জীবন শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে প্রমােশন পান আই.এ.এস-এ। পশ্চিমবাংলার বহু জেলায় চাকরির অভিজ্ঞতা তার। দেখেছেন অনেক জনপদ। অনেক মানুষ। প্রায় সাইত্রিশ বছরের চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন-আমলাকথা (প্রথম খণ্ড)। পাঠকের মনে হবে তিনি মজার এক উপন্যাসই পড়ছেন। আমলাকথা’র (দ্বিতীয় খণ্ড)-ও প্রকাশ পাবে যথাসময়ে।
একজন যুক্তিবাদীর মৃত্যু ও অন্যান্য লেখা
By অংশুতোষ খাঁ
₹200
দেশজুড়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাত - পাত - ধৰ্ম - বর্ণ চেতনা সাধারণ মানুষের ভাবনাচিন্তা আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। এমন সংকটের সময়ে পরাধীন ভারতের যে বিজ্ঞানীরা আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা আন্তর্জাতিক মানে পৌছে দিয়েছিলেন এবং দুনিয়াজুড়ে যাঁরা যুক্তি বিজ্ঞান বিচার বোধের চর্চা শানিত করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন প্রসঙ্গে এই সংকলনের প্রবন্ধগুলি রচিত। সঙ্গে আছে ম্যাক্সিম গোর্কির একটি দুষ্প্রাপ্য রচনার অনুবাদ। যে কোনো চিন্তাশীল পাঠক এই সুখপাঠ্য সংকলন পরে সমৃদ্ধ হবেন।
আশুতোষ কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও জ্ঞানবিজ্ঞান আন্দোলনের সংগঠক অধ্যাপক অংশুতোষ খাঁর সমস্ত লেখাই সহজ সরল কিন্তু গভীর চিন্তার স্মারক। এই প্রবন্ধ সংকলন তাঁর সম্পন্ন কলমের উজ্জ্বল ফসল।
একজন যুক্তিবাদীর মৃত্যু ও অন্যান্য লেখা
By অংশুতোষ খাঁ
₹200
দেশজুড়ে মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলির তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাত - পাত - ধৰ্ম - বর্ণ চেতনা সাধারণ মানুষের ভাবনাচিন্তা আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। এমন সংকটের সময়ে পরাধীন ভারতের যে বিজ্ঞানীরা আধুনিক বিজ্ঞানচর্চা আন্তর্জাতিক মানে পৌছে দিয়েছিলেন এবং দুনিয়াজুড়ে যাঁরা যুক্তি বিজ্ঞান বিচার বোধের চর্চা শানিত করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন প্রসঙ্গে এই সংকলনের প্রবন্ধগুলি রচিত। সঙ্গে আছে ম্যাক্সিম গোর্কির একটি দুষ্প্রাপ্য রচনার অনুবাদ। যে কোনো চিন্তাশীল পাঠক এই সুখপাঠ্য সংকলন পরে সমৃদ্ধ হবেন।
আশুতোষ কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও জ্ঞানবিজ্ঞান আন্দোলনের সংগঠক অধ্যাপক অংশুতোষ খাঁর সমস্ত লেখাই সহজ সরল কিন্তু গভীর চিন্তার স্মারক। এই প্রবন্ধ সংকলন তাঁর সম্পন্ন কলমের উজ্জ্বল ফসল।
দুখের আখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹130
' দুখের আখ্যান ' উপন্যাসের নায়ক সাত বছর অতিক্রান্ত এক বালক। নাম দুখে। সুন্দরবনের গরান খালি গায়ের থেকে বাবা পঞ্চানন, স্ত্রী গঙ্গা ও তাদের নিয়ে চলে আসে কলকাতায়। সুন্দরবনের ঢাবি, পরে মধু সংগ্রাহক পঞ্চানন আক্রান্ত হন দক্ষিণ রায় বা বাঘের হাতে। চিকিৎসা সূত্রে কলকাতা আসা। এরপর তার কর্মজীবন বাড়ি তৈরীর কাজের। আর গঙ্গা কাজে ঢুকে যায় এক কালি তৈরির কারখানায়। দুখেও কাজ পায় চায়ের দোকানে। বিচিত্র এই জীবন। শহরে সমাজে যেন নিজেকে নিরাবরণ করে দেয় তার সামনে। নিজের কঠোর শ্রম আর এক সহকর্মীর বন্ধুত্বে সে অর্জন করে নেয় আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা।
সুন্দরবনে তার জন্মমুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ। প্রবল এক ঝড়ের রাতে তার জন্ম। যখন বাজপড়া তালগাছের ডগায় আগুন লাগে। তার বাবা হয় সংজ্ঞাহীন। আর তার মা গঙ্গার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য দেখা দেন বনবিবি। তিনি প্রায় অচৈতন্য গঙ্গাকে উপহার দিয়ে যান দুখেকে। আর সুন্দরবনের এক লােককথা বা মিথ বনবিবি, জঙ্গলী শা, ধােনাই-দুখের আখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় দুখের জীবন। গােড়াতে সুন্দরবন পরে মহানগর কলকাতার বিচিত্র যােগাযােগে এই মিথের আশ্চর্য উন্মােচন ঘটে দুখের জীবনে। এক লােককথা নতুন তাৎপর্য নিয়ে জড়িয়ে যায় গােটা উপন্যাসে। যা আবহমানকালের এক আশ্চর্য সমাজসত্য।
দুখের আখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹130
' দুখের আখ্যান ' উপন্যাসের নায়ক সাত বছর অতিক্রান্ত এক বালক। নাম দুখে। সুন্দরবনের গরান খালি গায়ের থেকে বাবা পঞ্চানন, স্ত্রী গঙ্গা ও তাদের নিয়ে চলে আসে কলকাতায়। সুন্দরবনের ঢাবি, পরে মধু সংগ্রাহক পঞ্চানন আক্রান্ত হন দক্ষিণ রায় বা বাঘের হাতে। চিকিৎসা সূত্রে কলকাতা আসা। এরপর তার কর্মজীবন বাড়ি তৈরীর কাজের। আর গঙ্গা কাজে ঢুকে যায় এক কালি তৈরির কারখানায়। দুখেও কাজ পায় চায়ের দোকানে। বিচিত্র এই জীবন। শহরে সমাজে যেন নিজেকে নিরাবরণ করে দেয় তার সামনে। নিজের কঠোর শ্রম আর এক সহকর্মীর বন্ধুত্বে সে অর্জন করে নেয় আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা।
সুন্দরবনে তার জন্মমুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ। প্রবল এক ঝড়ের রাতে তার জন্ম। যখন বাজপড়া তালগাছের ডগায় আগুন লাগে। তার বাবা হয় সংজ্ঞাহীন। আর তার মা গঙ্গার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য দেখা দেন বনবিবি। তিনি প্রায় অচৈতন্য গঙ্গাকে উপহার দিয়ে যান দুখেকে। আর সুন্দরবনের এক লােককথা বা মিথ বনবিবি, জঙ্গলী শা, ধােনাই-দুখের আখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় দুখের জীবন। গােড়াতে সুন্দরবন পরে মহানগর কলকাতার বিচিত্র যােগাযােগে এই মিথের আশ্চর্য উন্মােচন ঘটে দুখের জীবনে। এক লােককথা নতুন তাৎপর্য নিয়ে জড়িয়ে যায় গােটা উপন্যাসে। যা আবহমানকালের এক আশ্চর্য সমাজসত্য।