“দেশ বিদেশের আরো গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
কোন ভাঙ্গনের পথে
Publisher: একুশ শতক
₹150
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
ডেভিড ম্যাককাচন চর্চা
₹250
ডেভিড ম্যাককাচন - এক ব্যাতিক্রমী ভারতবন্ধু। বাংলার মন্দির এবং বাংলার পটচিত্র নিয়ে চর্চা করতে গেলে ডেভিডকে স্মরণ করতে হবে। না বাইবেলের ডেভিড নয় - বঙ্গপ্রেমিক ডেভিড ; পুরো নাম- ডেভিড জন ম্যাককাচন (১৯৩০-১৯৭২)।
একুশ শতকে ডেভিড চর্চার নতুন অধ্যায় শুরু করা হোক। তাঁকে শুধু মন্দিরপ্রেমী হিসাবে দেগে দেওয়া ঠিক নয়। মন্দির - মসজিদ - গির্জা - বৌদ্ধবিহার নিয়ে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। আসলে তিনি সমন্বয়বাদী। তিনি প্রাচ্যের স্থাপত্যশিল্প মজে ছিলেন। প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের সম্প্রীতি সূত্র সন্ধান করেছিলেন।
৩২ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় ধরা পড়েছে সামগ্রিক ডেভিড ম্যাককাচন। শুধু জীবন - সান্নিধ্য স্মৃতি সুধা নয়, তাঁর গবেষণা কর্মের মূল্যবান মূল্যায়ণ করা হয়েছে বইটিতে। শুধুমাত্র বাঙালি তথা ভারতীয়দের পর্যালোচনা নয়, সেই সঙ্গে বিদেশি গবেষকদের এক মিলিত সম্মিলন। বিস্মৃত এক বিদেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক দুষ্প্রাপ্য দলিল।
১. বঙ্গপ্রেমিক ম্যাককাচনের মূল্যায়ণ নিয়ে এই প্রথম সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
২. বাংলা ভাষায় দেশি বিদেশি সমালোচকদের পর্যালোচনা একই মলাটে আনা হলো।
৩. ম্যাককাচন সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, নির্বাচিত পুরাতন রচনার সাথে একবারে নির্দিষ্ট নতুন রচনাও সামনে আনা হলো।
৪. সত্যজিত রায়ের ' ম্যাককাচন ' বানানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ডেভিড ম্যাককাচন চর্চা
₹250
ডেভিড ম্যাককাচন - এক ব্যাতিক্রমী ভারতবন্ধু। বাংলার মন্দির এবং বাংলার পটচিত্র নিয়ে চর্চা করতে গেলে ডেভিডকে স্মরণ করতে হবে। না বাইবেলের ডেভিড নয় - বঙ্গপ্রেমিক ডেভিড ; পুরো নাম- ডেভিড জন ম্যাককাচন (১৯৩০-১৯৭২)।
একুশ শতকে ডেভিড চর্চার নতুন অধ্যায় শুরু করা হোক। তাঁকে শুধু মন্দিরপ্রেমী হিসাবে দেগে দেওয়া ঠিক নয়। মন্দির - মসজিদ - গির্জা - বৌদ্ধবিহার নিয়ে তাঁর আগ্রহ অপরিসীম। আসলে তিনি সমন্বয়বাদী। তিনি প্রাচ্যের স্থাপত্যশিল্প মজে ছিলেন। প্রাচ্য - পাশ্চাত্যের সম্প্রীতি সূত্র সন্ধান করেছিলেন।
৩২ টি গুরুত্বপূর্ণ লেখায় ধরা পড়েছে সামগ্রিক ডেভিড ম্যাককাচন। শুধু জীবন - সান্নিধ্য স্মৃতি সুধা নয়, তাঁর গবেষণা কর্মের মূল্যবান মূল্যায়ণ করা হয়েছে বইটিতে। শুধুমাত্র বাঙালি তথা ভারতীয়দের পর্যালোচনা নয়, সেই সঙ্গে বিদেশি গবেষকদের এক মিলিত সম্মিলন। বিস্মৃত এক বিদেশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এক দুষ্প্রাপ্য দলিল।
১. বঙ্গপ্রেমিক ম্যাককাচনের মূল্যায়ণ নিয়ে এই প্রথম সর্ববৃহৎ উদ্যোগ।
২. বাংলা ভাষায় দেশি বিদেশি সমালোচকদের পর্যালোচনা একই মলাটে আনা হলো।
৩. ম্যাককাচন সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র - পত্রিকায় ছড়িয়ে থাকা, নির্বাচিত পুরাতন রচনার সাথে একবারে নির্দিষ্ট নতুন রচনাও সামনে আনা হলো।
৪. সত্যজিত রায়ের ' ম্যাককাচন ' বানানটি ব্যবহার করা হয়েছে।
অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়
₹400
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব - যা মৃত্যুর পরেও তার পিছু ছাড়েনি। বিদ্যুদালোকের মতো চমকপ্রদ অসংখ্য পংক্তি, অক্লান্ত জ্ঞানের খিদে, ঈর্ষণীয় মেধা, ভীরুতাহীন, আপোসহীন অকপট সৎ ও নির্ভিক উচ্চারণ হয়তো একত্রে এই বিরল গুণাবলীর কারণেই তিনি এতো বিতর্কিত।
হ্যা, শিবির পাল্টে ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একদা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও সর্বক্ষণের কর্মী এই কবির পরবর্তীকালের অনেক ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা যায়। কিন্তু মানুষের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম, সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি আনুগত্যের আদর্শে যে শেষদিন পর্যন্ত চিড় ধরেনি এতটুকুও তা উপলব্ধি করা যায় তার সমগ্র রচনা ধারাবাহিক ও নিমগ্ন পাঠ করলে।
আসলে কালের নিয়মেই সময় ও সমাজ ক্রমশ বদলাচ্ছিল। পুঁজির অনিবার্য আগ্রাসনে বদলাচ্ছিল মানুষের মূল্যবোধ। কায়েমি স্বার্থ, ভোগবাদের হাহানি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোেভ মানুষের সৎ বিবেককে ক্রমশ উপড়ে নিচ্ছিল। বিশ্বাস আর নৈতিকতার শিকড়েও পড়েছিল অদ্ভুত টান। এসবেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল জীবনে, ক্রিয়াকর্মে, সাহিত্য শিল্প-সংস্কৃতির ধর্মেও। সুভাষ কিন্তু সভ্যতার এই নীতিনৈতিকতাহীন অধোগামী স্রোতধারার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলেন না। আর সেখানেই সংঘাত। সংঘাত ব্যক্তির সঙ্গে সংঘাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সুভাষ কিন্তু উপর্যুপরি সংঘাত-আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েও নিজের বোধ ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে একবিন্দুও টলেননি।
বহু লেখকই একসময় ফুরিয়ে যান। শুকিয়ে যায় কলমের ধারা। সুভাষের কিন্তু জীবনের অস্তিমমুহূর্ত পর্যন্ত কমেনি লেখনীর ধার, দৃপ্ত প্রত্যয়ী ঋজু ও স্পষ্ট প্রকাশভঙ্গী, দৃষ্টির স্বচ্ছতা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা। জীবনের শেষ প্রহর পর্যন্ত প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত স্ফূরণে অফুরান ছিলেন কবি সুভাষ।
কবিতা বাদ দিয়েও কবি সুভাষের যে বিপুল গদ্যের সম্ভার, রিপোর্টাজ উপন্যাস-গল্প-কথিকা-অনুবাদ-রূপান্তর-ভাষান্তর-আত্মজৈবনিক গদ্যমালা—এগুলি নিয়ে কোনো কোনো লেখক পত্রপত্রিকায় কিছু খুচরো লেখালেখি করলেও কবি-ব্যক্তিত্ব, কবি ও গদ্যকার সুভাষকে সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন করা হয়েছে ' অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ' গবেষণাধর্মী গ্রন্থটিতে।
অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়
₹400
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব - যা মৃত্যুর পরেও তার পিছু ছাড়েনি। বিদ্যুদালোকের মতো চমকপ্রদ অসংখ্য পংক্তি, অক্লান্ত জ্ঞানের খিদে, ঈর্ষণীয় মেধা, ভীরুতাহীন, আপোসহীন অকপট সৎ ও নির্ভিক উচ্চারণ হয়তো একত্রে এই বিরল গুণাবলীর কারণেই তিনি এতো বিতর্কিত।
হ্যা, শিবির পাল্টে ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একদা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও সর্বক্ষণের কর্মী এই কবির পরবর্তীকালের অনেক ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা যায়। কিন্তু মানুষের প্রতি, প্রকৃতির প্রতি গভীর প্রেম, সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি আনুগত্যের আদর্শে যে শেষদিন পর্যন্ত চিড় ধরেনি এতটুকুও তা উপলব্ধি করা যায় তার সমগ্র রচনা ধারাবাহিক ও নিমগ্ন পাঠ করলে।
আসলে কালের নিয়মেই সময় ও সমাজ ক্রমশ বদলাচ্ছিল। পুঁজির অনিবার্য আগ্রাসনে বদলাচ্ছিল মানুষের মূল্যবোধ। কায়েমি স্বার্থ, ভোগবাদের হাহানি, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোেভ মানুষের সৎ বিবেককে ক্রমশ উপড়ে নিচ্ছিল। বিশ্বাস আর নৈতিকতার শিকড়েও পড়েছিল অদ্ভুত টান। এসবেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছিল জীবনে, ক্রিয়াকর্মে, সাহিত্য শিল্প-সংস্কৃতির ধর্মেও। সুভাষ কিন্তু সভ্যতার এই নীতিনৈতিকতাহীন অধোগামী স্রোতধারার সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলেন না। আর সেখানেই সংঘাত। সংঘাত ব্যক্তির সঙ্গে সংঘাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। সুভাষ কিন্তু উপর্যুপরি সংঘাত-আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েও নিজের বোধ ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে একবিন্দুও টলেননি।
বহু লেখকই একসময় ফুরিয়ে যান। শুকিয়ে যায় কলমের ধারা। সুভাষের কিন্তু জীবনের অস্তিমমুহূর্ত পর্যন্ত কমেনি লেখনীর ধার, দৃপ্ত প্রত্যয়ী ঋজু ও স্পষ্ট প্রকাশভঙ্গী, দৃষ্টির স্বচ্ছতা, অনুভূতির সূক্ষ্মতা। জীবনের শেষ প্রহর পর্যন্ত প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত স্ফূরণে অফুরান ছিলেন কবি সুভাষ।
কবিতা বাদ দিয়েও কবি সুভাষের যে বিপুল গদ্যের সম্ভার, রিপোর্টাজ উপন্যাস-গল্প-কথিকা-অনুবাদ-রূপান্তর-ভাষান্তর-আত্মজৈবনিক গদ্যমালা—এগুলি নিয়ে কোনো কোনো লেখক পত্রপত্রিকায় কিছু খুচরো লেখালেখি করলেও কবি-ব্যক্তিত্ব, কবি ও গদ্যকার সুভাষকে সম্পূর্ণভাবে অধ্যয়ন ও মূল্যায়ন করা হয়েছে ' অক্লান্ত পদাতিক : কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ' গবেষণাধর্মী গ্রন্থটিতে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
এখানে টাওয়ার নেই
By তৃষ্ণা বসাক
₹100
সবাই চেয়েছিল কোনরকমে দার্জিলিং পৌঁছতে, আর মানব ততই ওদের নিয়ে যাচ্ছিল অজানা, অনাঘ্রাত প্রকৃতির কাছে, আর এই দ্বন্দ্বের মধ্যে সে-ই তো ক্রমে হয়ে উঠেছিল আদিম পুরুষ, দলের বিভিন্ন বয়সের, এমনকি অগম্য সম্পর্কের নারীরাও চাইছিল তার বন্যতার স্বাদ পেতে। তার কাছ থেকে সত্যিই কি বিচ্ছেদ চাইছিল তার স্ত্রী সোহিনী? ঘরের পুঁইমাচাকাতর তীর্থযাত্রীর মতো কেউ কেউ আবার কেবল পেতে চাইছিল মোবাইলের টাওয়ার। ভ্রমণরত দলটি এভাবেই ক্রমে একা হয়ে পড়েছিল সীমায়িত নিশ্চলতায় কিংবা বারবার আত্ম-অবলোকনের পিছুটানে। দলছুট হাতির মতো বিচরণ করতে করতে তারা কি পৌঁছতে পারল তাদের ঈপ্সিত গন্তব্যে? নাকি শেষপর্যন্ত তা হয়ে দাঁড়াল এক বিভ্রমকাহিনী? এক অসাধারণ উপন্যাস " এখানে টাওয়ার নেই "
এখানে টাওয়ার নেই
By তৃষ্ণা বসাক
₹100
সবাই চেয়েছিল কোনরকমে দার্জিলিং পৌঁছতে, আর মানব ততই ওদের নিয়ে যাচ্ছিল অজানা, অনাঘ্রাত প্রকৃতির কাছে, আর এই দ্বন্দ্বের মধ্যে সে-ই তো ক্রমে হয়ে উঠেছিল আদিম পুরুষ, দলের বিভিন্ন বয়সের, এমনকি অগম্য সম্পর্কের নারীরাও চাইছিল তার বন্যতার স্বাদ পেতে। তার কাছ থেকে সত্যিই কি বিচ্ছেদ চাইছিল তার স্ত্রী সোহিনী? ঘরের পুঁইমাচাকাতর তীর্থযাত্রীর মতো কেউ কেউ আবার কেবল পেতে চাইছিল মোবাইলের টাওয়ার। ভ্রমণরত দলটি এভাবেই ক্রমে একা হয়ে পড়েছিল সীমায়িত নিশ্চলতায় কিংবা বারবার আত্ম-অবলোকনের পিছুটানে। দলছুট হাতির মতো বিচরণ করতে করতে তারা কি পৌঁছতে পারল তাদের ঈপ্সিত গন্তব্যে? নাকি শেষপর্যন্ত তা হয়ে দাঁড়াল এক বিভ্রমকাহিনী? এক অসাধারণ উপন্যাস " এখানে টাওয়ার নেই "
হারানো বইয়ের খোঁজে
₹150
পড়ার বইয়ের বাইরে পড়ার সময় ছোটদের কমে গিয়েছে। কমে গিয়েছে বাংলা বই পড়ার অভ্যাসও। এক সময়ে ছোটদের জগৎ আলো করে থাকতেন যে সব লেখক তাঁরাও আজ স্মৃতির অতলে। সেই লেখকদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চান পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে শিশু সাহিত্যিক। বাংলার শিশু সাহিত্যের নানা হারানো সম্পদ খুঁজে বার করেছেন। তাঁর এই বইটি সেই ধারা বজায় রেখেছে। স্মৃতির অতল থেকে তুলে এনেছে হারিয়ে যাওয়া চল্লিশ জন শিশু সাহিত্যিকের একটি করে বইয়ের পরিচয়। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী থেকে যে সংকলনের যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ে। প্রত্যেক লেখকের অধুনা দুষ্প্রাপ্য একটি করে বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেখক। টুকটুকে রামায়ণ, আইসক্রীম সন্দেশ, সাঁজের কথা-র মতো বইয়ের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন। রয়েছে গ্রন্থের অলংকরণও। সঙ্গে মিশে গিয়েছে লেখকের পরিচয়। দুইয়ে মিলে সহজ, সরল প্রা়ঞ্জল উপস্থাপনা।
হারানো বইয়ের খোঁজে
₹150
পড়ার বইয়ের বাইরে পড়ার সময় ছোটদের কমে গিয়েছে। কমে গিয়েছে বাংলা বই পড়ার অভ্যাসও। এক সময়ে ছোটদের জগৎ আলো করে থাকতেন যে সব লেখক তাঁরাও আজ স্মৃতির অতলে। সেই লেখকদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চান পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে শিশু সাহিত্যিক। বাংলার শিশু সাহিত্যের নানা হারানো সম্পদ খুঁজে বার করেছেন। তাঁর এই বইটি সেই ধারা বজায় রেখেছে। স্মৃতির অতল থেকে তুলে এনেছে হারিয়ে যাওয়া চল্লিশ জন শিশু সাহিত্যিকের একটি করে বইয়ের পরিচয়। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী থেকে যে সংকলনের যাত্রা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ে। প্রত্যেক লেখকের অধুনা দুষ্প্রাপ্য একটি করে বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেখক। টুকটুকে রামায়ণ, আইসক্রীম সন্দেশ, সাঁজের কথা-র মতো বইয়ের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন। রয়েছে গ্রন্থের অলংকরণও। সঙ্গে মিশে গিয়েছে লেখকের পরিচয়। দুইয়ে মিলে সহজ, সরল প্রা়ঞ্জল উপস্থাপনা।