“রহস্য সংগ্রহ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
মধুবনির নকশাপাড়
By ইন্দিরা দাশ
Publisher: একুশ শতক
₹150
“মধুবনির নকশাপাড়” গল্পগ্রন্থে রয়েছে দশটি গল্প। কোনও গল্পের আবহ যেমন মাটিমাখা অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের বেঁচে থাকার কষ্ট-ঘাম-যন্ত্রণা অথবা ভালোবাসার চিহ্ন তেমনই কোনও আখ্যানের দেহ আবার নাগরিক জীবনের হতাশা-মনখারাপ-বিষাদ কিংবা প্রেমের সংকেত। এই চিহ্ন ও সংকেত আবিষ্কৃত হয়েছে লেখিকার গদ্যনির্মাণের কুশলতায়। এই জীবন ও সময়কে তাঁর বলবার বয়ানে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-mn01
“মধুবনির নকশাপাড়” গল্পগ্রন্থে রয়েছে দশটি গল্প। কোনও গল্পের আবহ যেমন মাটিমাখা অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের বেঁচে থাকার কষ্ট-ঘাম-যন্ত্রণা অথবা ভালোবাসার চিহ্ন তেমনই কোনও আখ্যানের দেহ আবার নাগরিক জীবনের হতাশা-মনখারাপ-বিষাদ কিংবা প্রেমের সংকেত। এই চিহ্ন ও সংকেত আবিষ্কৃত হয়েছে লেখিকার গদ্যনির্মাণের কুশলতায়। এই জীবন ও সময়কে তাঁর বলবার বয়ানে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
উধাও পথের ডাকে
₹200
' উধাও পথের ডাকে ' বইটিতে আছে দিল্লি, দক্ষিণ ভারত, আসাম ও মেঘালয়ের একটি করে, উত্তরপ্রদেশের দুটি, মহারাষ্ট্রের তিনটি, সিকিমের পাঁচটি (যার মধ্যে একটি ট্রেবুট) ও উড়িষ্যার মােট সাতটি পর্যটন স্থানের বিবরণ। লিখতে বসে দেখলাম, গত দু'দশক ধরে আমি ঘুরে বেড়িয়েছি ঠিক হিসেব করে নয়, বেশ কিছুটা এলােমেলাে ভাবে। মন যেখানে টেনেছে, ছুটে গেছি সেখানেই, তা সে শহর, সমুদ্র, মন্দির, পাহাড়, জঙ্গল-যাই হােক না কেন।
হিমালয় ভ্রমণ যদিও আমার নেশা, তবে ঐতিহাসিক স্থান আর ভারতের প্রাচীন মন্দিরগুলােও আমায় ভীষণ টানে। বড় ভালাে লাগে মন্দিরগুলাের পৌরাণিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানতে, লােকগাথা শুনতে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাদের আজকের হাল হকিকৎ জানতে ও পাঠকদের জানাতে। তাই বেশ কিছুটা তথ্য ভারাক্রান্ত হলেও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কামাখ্যা ও মথুরা বৃন্দাবনের মন্দিরগুলিকে।
উধাও পথের ডাকে
₹200
' উধাও পথের ডাকে ' বইটিতে আছে দিল্লি, দক্ষিণ ভারত, আসাম ও মেঘালয়ের একটি করে, উত্তরপ্রদেশের দুটি, মহারাষ্ট্রের তিনটি, সিকিমের পাঁচটি (যার মধ্যে একটি ট্রেবুট) ও উড়িষ্যার মােট সাতটি পর্যটন স্থানের বিবরণ। লিখতে বসে দেখলাম, গত দু'দশক ধরে আমি ঘুরে বেড়িয়েছি ঠিক হিসেব করে নয়, বেশ কিছুটা এলােমেলাে ভাবে। মন যেখানে টেনেছে, ছুটে গেছি সেখানেই, তা সে শহর, সমুদ্র, মন্দির, পাহাড়, জঙ্গল-যাই হােক না কেন।
হিমালয় ভ্রমণ যদিও আমার নেশা, তবে ঐতিহাসিক স্থান আর ভারতের প্রাচীন মন্দিরগুলােও আমায় ভীষণ টানে। বড় ভালাে লাগে মন্দিরগুলাের পৌরাণিক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট জানতে, লােকগাথা শুনতে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় তাদের আজকের হাল হকিকৎ জানতে ও পাঠকদের জানাতে। তাই বেশ কিছুটা তথ্য ভারাক্রান্ত হলেও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কামাখ্যা ও মথুরা বৃন্দাবনের মন্দিরগুলিকে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
আসমান জমিন কথা
₹200
আমাদিগের আত্মপরিচয় আপনি দিবার রীতি নাই, অন্য প্রসঙ্গে লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। একথাটা বলতে পারে প্রতিটি সার্থক ছােটগল্প কিংবা আখ্যান। তার হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকৃত পরিচয় লুকিয়ে থাকে। এই 'আসমান জমিন কথা' নামক গল্পসংকলনেও আছে। আছে রণবীরের অন্যসব বয়ানেও। এখানে আছে ব্রাত্যজনের ভূমিসংলগ্ন জমিনকথা এবং কল্পনার আরেক আকাশ, আসমানকথা। দূরবীক্ষণের মধ্য দিয়ে জমি বা আকাশ দেখা নয়, অণুবীক্ষণের অন্তরঙ্গ আলােকপাত। দেখার এই বিশেষ ধরনই সবকিছু যাকে মহানগরের কৃত্রিম বাস্তব পরাস্ত করতে পারে নি। শৈশব-কৈশাের-যৌবনের বরাকভূমি যেন হয়ে ওঠে মায়াবী নদীর পারের দেশ, এই পৃথিবী একবার পায় যাকে - পায় নাকো আর। বাস্তবই স্বপ্ন হয়ে ওঠে স্মৃতির আতসকাচে। পরিচিত মানুষজনের আদল মাত্র থাকে, ওরা হয়ে ওঠে আরেক অস্তিত্ব। মনের ভেতরই যার বসত, তাকে নতুন পাওয়া আলােয় উদ্ভাসিত করে গল্পকথার সাজ। সমস্ত ভাঙনের মধ্যে জেগে থাকে ভালবাসা, টাপুর-টুপুর বৃষ্টি ঝরে সম্পর্কের চোরা-ফাটলের উপর। এরই নাম জীবন যার জন্যে আকাঙ্ক্ষা ফুরােয় না কখনও।
গল্পকার রণবীর পুরকায়স্থের এই তাে আসমান, এই তাে জমিন, যাদের দ্বিরালাপ লক্ষ করে আবিষ্ট তিনি। বহুম্বরিক ও অন্তর্মুখী লিখনশৈলীতে উন্মােচিত হয়েছে চিরবিস্ময়ের বােধ মানুষ ও তার জগৎ সম্পর্কে যার আরম্ভ আছে কিন্তু শেষ নেই।
আসমান জমিন কথা
₹200
আমাদিগের আত্মপরিচয় আপনি দিবার রীতি নাই, অন্য প্রসঙ্গে লিখেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। একথাটা বলতে পারে প্রতিটি সার্থক ছােটগল্প কিংবা আখ্যান। তার হয়ে ওঠার মধ্যেই প্রকৃত পরিচয় লুকিয়ে থাকে। এই 'আসমান জমিন কথা' নামক গল্পসংকলনেও আছে। আছে রণবীরের অন্যসব বয়ানেও। এখানে আছে ব্রাত্যজনের ভূমিসংলগ্ন জমিনকথা এবং কল্পনার আরেক আকাশ, আসমানকথা। দূরবীক্ষণের মধ্য দিয়ে জমি বা আকাশ দেখা নয়, অণুবীক্ষণের অন্তরঙ্গ আলােকপাত। দেখার এই বিশেষ ধরনই সবকিছু যাকে মহানগরের কৃত্রিম বাস্তব পরাস্ত করতে পারে নি। শৈশব-কৈশাের-যৌবনের বরাকভূমি যেন হয়ে ওঠে মায়াবী নদীর পারের দেশ, এই পৃথিবী একবার পায় যাকে - পায় নাকো আর। বাস্তবই স্বপ্ন হয়ে ওঠে স্মৃতির আতসকাচে। পরিচিত মানুষজনের আদল মাত্র থাকে, ওরা হয়ে ওঠে আরেক অস্তিত্ব। মনের ভেতরই যার বসত, তাকে নতুন পাওয়া আলােয় উদ্ভাসিত করে গল্পকথার সাজ। সমস্ত ভাঙনের মধ্যে জেগে থাকে ভালবাসা, টাপুর-টুপুর বৃষ্টি ঝরে সম্পর্কের চোরা-ফাটলের উপর। এরই নাম জীবন যার জন্যে আকাঙ্ক্ষা ফুরােয় না কখনও।
গল্পকার রণবীর পুরকায়স্থের এই তাে আসমান, এই তাে জমিন, যাদের দ্বিরালাপ লক্ষ করে আবিষ্ট তিনি। বহুম্বরিক ও অন্তর্মুখী লিখনশৈলীতে উন্মােচিত হয়েছে চিরবিস্ময়ের বােধ মানুষ ও তার জগৎ সম্পর্কে যার আরম্ভ আছে কিন্তু শেষ নেই।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
ধরা অধরার মাঝে
₹250
" ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থটি চরিত্রের দিক থেকে ইতিহাস না রম্যরচনা, না কি দুটোই একসঙ্গে, ভেবে কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। এতে রাশি রাশি তথ্য আছে, একজন পদার্থবিজ্ঞানী কী করে ঘটনাচক্রে বড় মাপের আমলা হয়ে উঠলেন তার গল্প আছে, আর সেই সূত্রে সরকারি কাজকর্মের ধরণ-ধারণ নিয়ে মজার মজার ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে। এতই মজার যে একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কোনও রেহাই নেই।
গ্রন্থটির আপাদমস্তক টস্ টস্ করছে অনুপম রসবোধে। তার সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত তির্যক মন্তব্য— কখনও আশপাশে ঘটে যাওয়া কাণ্ড-কারখানা নিয়ে আর কখনও বা নিজেকে নিয়েই। নিজেকে দিয়ে রসিকতা করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। কিন্তু এই লেখকের আছে। আর তা প্রচুর পরিমাণেই। ফলে এই বইটির উপভোগ্যতার কোনও জবাব নেই। এতে একই সঙ্গে আছেন জ্যোতি বসু, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, কাস্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো চরিত্রেরা। আবার পাশাপাশি বিরাজ করছেন মমতাও।
পদার্থবিজ্ঞানী থেকে মুখ্য সচিব হয়ে ওঠা গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা অসমাপ্ত রেখে আই এ এস হয়েছিলেন। চাকুরিস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের দীর্ঘ শাসনকালের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলায় নানা দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে কাজ করে মুখ্যসচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের উঁচু থেকে নীচের মহল পর্যন্ত নানাভাবে নজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের জেলার নেতা-কর্মী-সংগঠক ছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। তিনি তার চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথা " ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন সংক্ষিপ্ততম পরিসরে।
টানটান গদ্যে তীব্র কৌতূক আর ঠাট্টাতামাশা ও মজা করার মধ্য দিয়ে পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। পাঠক পড়তে পড়তে বলবেন— বাহ্। এতো দিন লেখেন নি কেন!
ধরা অধরার মাঝে
₹250
" ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থটি চরিত্রের দিক থেকে ইতিহাস না রম্যরচনা, না কি দুটোই একসঙ্গে, ভেবে কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। এতে রাশি রাশি তথ্য আছে, একজন পদার্থবিজ্ঞানী কী করে ঘটনাচক্রে বড় মাপের আমলা হয়ে উঠলেন তার গল্প আছে, আর সেই সূত্রে সরকারি কাজকর্মের ধরণ-ধারণ নিয়ে মজার মজার ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে। এতই মজার যে একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কোনও রেহাই নেই।
গ্রন্থটির আপাদমস্তক টস্ টস্ করছে অনুপম রসবোধে। তার সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত তির্যক মন্তব্য— কখনও আশপাশে ঘটে যাওয়া কাণ্ড-কারখানা নিয়ে আর কখনও বা নিজেকে নিয়েই। নিজেকে দিয়ে রসিকতা করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। কিন্তু এই লেখকের আছে। আর তা প্রচুর পরিমাণেই। ফলে এই বইটির উপভোগ্যতার কোনও জবাব নেই। এতে একই সঙ্গে আছেন জ্যোতি বসু, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, কাস্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো চরিত্রেরা। আবার পাশাপাশি বিরাজ করছেন মমতাও।
পদার্থবিজ্ঞানী থেকে মুখ্য সচিব হয়ে ওঠা গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা অসমাপ্ত রেখে আই এ এস হয়েছিলেন। চাকুরিস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের দীর্ঘ শাসনকালের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলায় নানা দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে কাজ করে মুখ্যসচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের উঁচু থেকে নীচের মহল পর্যন্ত নানাভাবে নজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের জেলার নেতা-কর্মী-সংগঠক ছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। তিনি তার চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথা " ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন সংক্ষিপ্ততম পরিসরে।
টানটান গদ্যে তীব্র কৌতূক আর ঠাট্টাতামাশা ও মজা করার মধ্য দিয়ে পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। পাঠক পড়তে পড়তে বলবেন— বাহ্। এতো দিন লেখেন নি কেন!
নির্বাচিত প্রেমের কবিতা
₹150
পৃথিবীব্যাপী নানা সংঘাত, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নরনারীর মনে প্রেমের আবেদনে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। নারীর চোখের ভাষা যেমন পুরুষ খোঁজে, পুরুষের চোখের ভাষাও খোঁজে নারী। নরনারীর এই অনিবার্য অনুসন্ধানের অনুভূতিই কবির কলমে রচিত হয় কবিতা, লেখকের কলমে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। ঈশ্বরের দুই সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের ইতিহাস।
পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষদের যোগাযোগের অন্যতম সূত্রও প্রেম। মানবমনে প্রেম আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আজও সুন্দর। সেই সুন্দরকে সুন্দরতর করে তোলে প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা। কিন্তু তাঁর প্রেমিকারা সবসময় অধরা, তারা বাস করে কবির মনের এক নিভৃতে, তাকে উদ্দেশ্য করেই লিখে গেছেন একের পর এক প্রেমের কবিতা। কবিতা দিয়েই সাহিত্যজীবন শুরু তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দীর্ঘ চল্লিশ বছরে প্রকাশিত হয়েছে নটি কাব্যগ্রন্থ, তা ছাড়া পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত, অথচ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি এমন কবিতার সংখ্যাও অনেক। সেই সমস্ত কবিতা থেকে শুধুমাত্র প্রেমের কবিতা বাছাই করে প্রকাশিত হল ' নির্বাচিত প্রেমের কবিতা ' সংকলনটি।
নির্বাচিত প্রেমের কবিতা
₹150
পৃথিবীব্যাপী নানা সংঘাত, হানাহানি, বিশৃঙ্খলার মধ্যেও নরনারীর মনে প্রেমের আবেদনে বিন্দুমাত্র ভাটা নেই। নারীর চোখের ভাষা যেমন পুরুষ খোঁজে, পুরুষের চোখের ভাষাও খোঁজে নারী। নরনারীর এই অনিবার্য অনুসন্ধানের অনুভূতিই কবির কলমে রচিত হয় কবিতা, লেখকের কলমে রচিত হয় গল্প-উপন্যাস। ঈশ্বরের দুই সৃষ্টির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েই রচিত হয় মানবজীবনের ইতিহাস।
পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষদের সঙ্গে অন্য প্রান্তের মানুষদের যোগাযোগের অন্যতম সূত্রও প্রেম। মানবমনে প্রেম আছে বলেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা আজও সুন্দর। সেই সুন্দরকে সুন্দরতর করে তোলে প্রেমের গল্প, প্রেমের কবিতা। কিন্তু তাঁর প্রেমিকারা সবসময় অধরা, তারা বাস করে কবির মনের এক নিভৃতে, তাকে উদ্দেশ্য করেই লিখে গেছেন একের পর এক প্রেমের কবিতা। কবিতা দিয়েই সাহিত্যজীবন শুরু তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দীর্ঘ চল্লিশ বছরে প্রকাশিত হয়েছে নটি কাব্যগ্রন্থ, তা ছাড়া পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত, অথচ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়নি এমন কবিতার সংখ্যাও অনেক। সেই সমস্ত কবিতা থেকে শুধুমাত্র প্রেমের কবিতা বাছাই করে প্রকাশিত হল ' নির্বাচিত প্রেমের কবিতা ' সংকলনটি।