“গল্প পঁচিশ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
মহাবিদ্রোহের আরও গল্প
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৮৫৭ সালের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন লগ্নে বইটি প্রকাশিত হয়। সিপাহীদের কায়েম হওয়া হুকুম, রক্তাক্ত দিল্লি ,ইংরেজ ফৌজের দিল্লি পুনর্দখলের চেষ্টা – সমস্তই নিপুন ভাবে বর্ণিত হয়েছে ‘ মহাবিদ্রোহের আরও গল্প ‘ গ্রন্থে। ইংরেজ সৈনিকদের পাশবিক অত্যাচারের প্রত্যক্ষ বাস্তবতা গল্পে উপস্থিত।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-mag01
১৮৫৭ সালের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন লগ্নে বইটি প্রকাশিত হয়। সিপাহীদের কায়েম হওয়া হুকুম, রক্তাক্ত দিল্লি ,ইংরেজ ফৌজের দিল্লি পুনর্দখলের চেষ্টা – সমস্তই নিপুন ভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইংরেজ সৈনিকদের পাশবিক অত্যাচারের প্রত্যক্ষ বাস্তবতা গল্পে উপস্থিত।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ
₹120
' সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ ' গ্রন্থটিতে সৌরজগতের অতীত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে প্রাণের বিকাশ ও প্রাণের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইত্যাদি ছাড়াও আলােচনার স্থান পেয়েছে রাতের আকাশ অন্ধকার কেন' রচনাটি। আপাত দৃষ্টিতে রাতের আকাশের অন্ধকারের বিষয়টি নিতান্তই সহজ সরল। কেননা রাতের আকাশে সূর্য থাকে না। তাই রাতের আকাশ অন্ধকার। সূর্য না থাকলেও রাতে নক্ষত্র তো থাকে এবং তাদের সংখ্যাও অনেক। তাই অনেক দুরের হলেও নক্ষত্রদের সম্মিলিত আলােয় রাতের আকাশ উজ্জ্বল হওয়ার কথা। অথচ রাতের আকাশ থাকে অন্ধকার।
সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ
₹120
' সৌরজগতের সৃষ্টি ও নানা প্রসঙ্গ ' গ্রন্থটিতে সৌরজগতের অতীত, ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানের কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে প্রাণের বিকাশ ও প্রাণের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ ইত্যাদি ছাড়াও আলােচনার স্থান পেয়েছে রাতের আকাশ অন্ধকার কেন' রচনাটি। আপাত দৃষ্টিতে রাতের আকাশের অন্ধকারের বিষয়টি নিতান্তই সহজ সরল। কেননা রাতের আকাশে সূর্য থাকে না। তাই রাতের আকাশ অন্ধকার। সূর্য না থাকলেও রাতে নক্ষত্র তো থাকে এবং তাদের সংখ্যাও অনেক। তাই অনেক দুরের হলেও নক্ষত্রদের সম্মিলিত আলােয় রাতের আকাশ উজ্জ্বল হওয়ার কথা। অথচ রাতের আকাশ থাকে অন্ধকার।
পিরামিড : দেশে দেশে
By সমীর রক্ষিত
₹150
বেশির ভাগ মানুষের ধারণা পিরামিড একমাত্র মিশরেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু একথা সত্যি নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও পিরামিড তৈরি হয়েছিল তবে মিশরের পিরামিডের আকার, উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে প্রাচীনও অবশ্যই। এখানকার পিরামিড তৈরির উদ্দেশ্য এক রকম ফারাও বা সম্রাটদের সমাধি হিসেবে। আর পাথর দিয়ে যেহেতু তৈরি হয়েছিল ফলে মিশরের পিরামিড অতি প্রাচীনকাল থেকে বহুদিন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
কিন্তু পৃথিবীর অন্য দেশেও যেমন, মেসোপটেমিয়ায় এবং দক্ষিণ আমেরিকায়ও পিরামিড তৈরি হয়েছিল। মেসোপটেমিয়ার পিরামিড ‘জিগুরাত’ নামে পরিচিত।
পিরামিড : দেশে দেশে
By সমীর রক্ষিত
₹150
বেশির ভাগ মানুষের ধারণা পিরামিড একমাত্র মিশরেই তৈরি হয়েছিল। কিন্তু একথা সত্যি নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও পিরামিড তৈরি হয়েছিল তবে মিশরের পিরামিডের আকার, উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে প্রাচীনও অবশ্যই। এখানকার পিরামিড তৈরির উদ্দেশ্য এক রকম ফারাও বা সম্রাটদের সমাধি হিসেবে। আর পাথর দিয়ে যেহেতু তৈরি হয়েছিল ফলে মিশরের পিরামিড অতি প্রাচীনকাল থেকে বহুদিন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
কিন্তু পৃথিবীর অন্য দেশেও যেমন, মেসোপটেমিয়ায় এবং দক্ষিণ আমেরিকায়ও পিরামিড তৈরি হয়েছিল। মেসোপটেমিয়ার পিরামিড ‘জিগুরাত’ নামে পরিচিত।
বিশ্বায়ন ও হাতি
By কিশোর চৌধুরী
₹100
হাতিদের প্রতি লেখকের আকর্ষণ বহুদিনের এবং হাতি নিয়ে তার পড়াশুনাও অত্যন্ত গভীর। হাতিদের প্রতি তার দরদও অনস্বীকার্য। তাঁর গভীর অরণ্যপ্রীতি এবং বন্যপ্রাণীপ্রেম সত্যি প্রশংসনীয়। বনজঙ্গল এবং বন্যপ্রাণী ছাড়াও সে নানা আদিবাসীদের কথাও মুনশিয়ানার সঙ্গে লিখেছেন ' বিশ্বায়ন ও হাতি ' গ্রন্থটিতে, যা গভীর অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। যে সমস্ত অঞ্চল নিয়ে তিনি লিখেছেন সেগুলি হলো সারান্ডা, উড়িষ্যার কালাহান্ডি ও ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া, অবুঝমার, নারায়ণপুর, বাস্তারা ইত্যাদি।
পাঠকেরা কিশাের চৌধুরীর এই বইটি পড়ে উপভােগ তাে করবেনই এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বিস্তৃত হবে।
বিশ্বায়ন ও হাতি
By কিশোর চৌধুরী
₹100
হাতিদের প্রতি লেখকের আকর্ষণ বহুদিনের এবং হাতি নিয়ে তার পড়াশুনাও অত্যন্ত গভীর। হাতিদের প্রতি তার দরদও অনস্বীকার্য। তাঁর গভীর অরণ্যপ্রীতি এবং বন্যপ্রাণীপ্রেম সত্যি প্রশংসনীয়। বনজঙ্গল এবং বন্যপ্রাণী ছাড়াও সে নানা আদিবাসীদের কথাও মুনশিয়ানার সঙ্গে লিখেছেন ' বিশ্বায়ন ও হাতি ' গ্রন্থটিতে, যা গভীর অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। যে সমস্ত অঞ্চল নিয়ে তিনি লিখেছেন সেগুলি হলো সারান্ডা, উড়িষ্যার কালাহান্ডি ও ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া, অবুঝমার, নারায়ণপুর, বাস্তারা ইত্যাদি।
পাঠকেরা কিশাের চৌধুরীর এই বইটি পড়ে উপভােগ তাে করবেনই এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বিস্তৃত হবে।
ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক
₹50
ক্লোজ-ফ্রেন্ড তারা। কেউ কলেজে পড়ান, কেউ ইউনিভার্সিটিতে। বােটানিষ্ট, জিওলজিষ্ট, কেউ বা বায়ােলজির প্রফেসার। তাদের বৈকালিক-আলােচনায় হঠাৎ করে আসে আন্দামানের কথা। উঠল ব্যারনদ্বীপের প্রসঙ্গ। ওই দ্বীপে আছে আগ্নেয়গিরি। ভারতবর্ষের একমাত্র জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। না, সে-দ্বীপে যাওয়া যায় না, যাওয়ার অনুমতি মেলে না। প্ল্যান করে ফেললেন তারা। যাবেন ওই ব্যারনদ্বীপে। প্লেনে পাের্টব্লেয়ার, লঞ্চ ভাড়া করে বেরুলেন ব্যারনের দিকে। শেষে পৌছােলেনও। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। উত্তেজনায় টানটান ' ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক ' গ্রন্থের দ্বিতীয় লেখাটিও। এক অধ্যাপক দুই ছাত্রকে নিয়ে বেরিয়েছেন সুন্দরবনে। সন্ধান পেয়েছেন বিস্ময়কর ম্যানগ্রোভের। রহস্য-রােমাঞ্চের পরতে পরতে বিজ্ঞানের মিশেল। শেষ লেখাটিও প্রবলভাবে বিজ্ঞানবােধের, সংস্কারবিরােধিতার।
ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক
₹50
ক্লোজ-ফ্রেন্ড তারা। কেউ কলেজে পড়ান, কেউ ইউনিভার্সিটিতে। বােটানিষ্ট, জিওলজিষ্ট, কেউ বা বায়ােলজির প্রফেসার। তাদের বৈকালিক-আলােচনায় হঠাৎ করে আসে আন্দামানের কথা। উঠল ব্যারনদ্বীপের প্রসঙ্গ। ওই দ্বীপে আছে আগ্নেয়গিরি। ভারতবর্ষের একমাত্র জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি। না, সে-দ্বীপে যাওয়া যায় না, যাওয়ার অনুমতি মেলে না। প্ল্যান করে ফেললেন তারা। যাবেন ওই ব্যারনদ্বীপে। প্লেনে পাের্টব্লেয়ার, লঞ্চ ভাড়া করে বেরুলেন ব্যারনের দিকে। শেষে পৌছােলেনও। সে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। উত্তেজনায় টানটান ' ব্যারনদ্বীপে আতঙ্ক ' গ্রন্থের দ্বিতীয় লেখাটিও। এক অধ্যাপক দুই ছাত্রকে নিয়ে বেরিয়েছেন সুন্দরবনে। সন্ধান পেয়েছেন বিস্ময়কর ম্যানগ্রোভের। রহস্য-রােমাঞ্চের পরতে পরতে বিজ্ঞানের মিশেল। শেষ লেখাটিও প্রবলভাবে বিজ্ঞানবােধের, সংস্কারবিরােধিতার।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।