“খবর যখন অবাক করে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
মুর্গাঝুটির লাল ধুল
By জয়া গোয়ালা
Publisher: একুশ শতক
₹80
ত্রিপুরার মনতলা চা-বাগানের এক শ্রমিক দম্পতির সন্তান তিনি। আজন্ম নিঃস্ব শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের জীবনের যন্ত্রণা ও লড়াই, তার নিজের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আরোপিত কিছু নয়, ফলে তাঁর সৃষ্ট উপন্যাস সেই টাটকা অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেয়। সৃজনকর্ম চিহ্নিত হয় অসামান্য গভীরতায়। ‘ মুর্গাঝুটির লাল ধুল ‘ উপন্যাসটি তারই একটি নিদর্শন।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-mjld01
ত্রিপুরার মনতলা চা-বাগানের এক শ্রমিক দম্পতির সন্তান তিনি। আজন্ম নিঃস্ব শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের জীবনের যন্ত্রণা ও লড়াই, তার নিজের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আরোপিত কিছু নয়, ফলে তাঁর সৃষ্ট উপন্যাস সেই টাটকা অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেয়। সৃজনকর্ম চিহ্নিত হয় অসামান্য গভীরতায়। ‘ মুর্গাঝুটির লাল ধুল ‘ উপন্যাসটি তারই একটি নিদর্শন।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
ঠাকুরবাড়ির হেমেন্দ্রনাথ
₹300
হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের সেজদা। বাড়ির ছোটদের এমনকি মেয়ে, বউদের লেখা পড়া শেখাতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথকেও পড়িয়েছেন। ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রবল ভাবে বিজ্ঞানমনস্ক, বিজ্ঞান - প্রবন্ধ গ্রন্থের লেখক। অথচ বাঙালি রা হেমেন্দ্রনাথকে মনে রাখেনি। দেরিতে হলেও হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর আলোকিত হলেন , পার্থেজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর কলমে।
ঠাকুরবাড়ির হেমেন্দ্রনাথ
₹300
হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের সেজদা। বাড়ির ছোটদের এমনকি মেয়ে, বউদের লেখা পড়া শেখাতেন তিনি। রবীন্দ্রনাথকেও পড়িয়েছেন। ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রবল ভাবে বিজ্ঞানমনস্ক, বিজ্ঞান - প্রবন্ধ গ্রন্থের লেখক। অথচ বাঙালি রা হেমেন্দ্রনাথকে মনে রাখেনি। দেরিতে হলেও হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর আলোকিত হলেন , পার্থেজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর কলমে।
বার্ষিকীর বারান্দা
₹200
আমাদের ছোটোদের সাহিত্য অতীব সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির আড়ালে বার্ষিকীর ভূমিকাও কম নয়। স্মরণীয় বহু ছোটোদের লেখার প্রথমপাঠ লুকিয়ে রয়েছে ছিন্ন-জীর্ণ হারানো-পুরোনো বার্ষিকীতে। বছর-বছর প্রকাশিত এই সব বার্ষিকীর পাতায় পাতায় কত না বিস্ময়। ১৩২৫-এ ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের কথা ভেবে বার্ষিকী প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরই সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম বার্ষিকী ‘পার্বণী’ প্রকাশিত হয়েছিল, শারদোৎসবের প্রাক্কালে। প্রকাশমাত্রই অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রবীন্দ্রজামাতার হাত ধরেই ছোটোদের সাহিত্যের নতুন এক দরজা খুলে যায়। গলি, মেঠোপথ, পিচপথ পেরিয়ে দাঁড়ায় উন্মুক্ত এক প্রাঙ্গণে। সন্দেহ নেই যে, এর ফলে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পরিসর অনেক বিস্তৃত হয়েছিল।
এখন আর পুজোর মুখে নতুন লেখার ডালি সাজিয়ে সে-ভাবে বার্ষিকী প্রকাশিত হয় না। দু-একটি যদিও বা প্রকাশিত হয়, তা পুরোনো লেখারই পুনর্মুদ্রণ। বার্ষিকী নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক বার্ষিকীই এখন সুলভ নয়। তাই বার্ষিকীর হারানো ইতিহাস ফিরে দেখতে চেয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বার্ষিকীর এই বারান্দায় দাঁড়ালে, লেখাগুলি পড়লে ছোটোরা জানতে পারবে আমাদের শিশু-কিশোর সাহিত্যের সমৃদ্ধির ইতিহাস। মনে মনে তারা নিশ্চয়ই গৌরববোধ করবে, কত সোনার ফসল তাদের জন্য ছড়ানো রয়েছে। বড়োরা অনায়াসে পেয়ে যাবেন অনেক স্মরণীয় রচনার প্রথম প্রকাশের হদিশ। স্পষ্ট হয়ে উঠবে বার্ষিকীর প্রবহমানতা, খানিক ইতিহাস। ধারাবাহিকতা রেখে সব বার্ষিকীর কথা লেখা না হলেও অনেকখানিই তুলে ধরা হয়েছে " বার্ষিকীর বারান্দা " গ্রন্থে।
বার্ষিকীর বারান্দা
₹200
আমাদের ছোটোদের সাহিত্য অতীব সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির আড়ালে বার্ষিকীর ভূমিকাও কম নয়। স্মরণীয় বহু ছোটোদের লেখার প্রথমপাঠ লুকিয়ে রয়েছে ছিন্ন-জীর্ণ হারানো-পুরোনো বার্ষিকীতে। বছর-বছর প্রকাশিত এই সব বার্ষিকীর পাতায় পাতায় কত না বিস্ময়। ১৩২৫-এ ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের কথা ভেবে বার্ষিকী প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরই সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম বার্ষিকী ‘পার্বণী’ প্রকাশিত হয়েছিল, শারদোৎসবের প্রাক্কালে। প্রকাশমাত্রই অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রবীন্দ্রজামাতার হাত ধরেই ছোটোদের সাহিত্যের নতুন এক দরজা খুলে যায়। গলি, মেঠোপথ, পিচপথ পেরিয়ে দাঁড়ায় উন্মুক্ত এক প্রাঙ্গণে। সন্দেহ নেই যে, এর ফলে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পরিসর অনেক বিস্তৃত হয়েছিল।
এখন আর পুজোর মুখে নতুন লেখার ডালি সাজিয়ে সে-ভাবে বার্ষিকী প্রকাশিত হয় না। দু-একটি যদিও বা প্রকাশিত হয়, তা পুরোনো লেখারই পুনর্মুদ্রণ। বার্ষিকী নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক বার্ষিকীই এখন সুলভ নয়। তাই বার্ষিকীর হারানো ইতিহাস ফিরে দেখতে চেয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বার্ষিকীর এই বারান্দায় দাঁড়ালে, লেখাগুলি পড়লে ছোটোরা জানতে পারবে আমাদের শিশু-কিশোর সাহিত্যের সমৃদ্ধির ইতিহাস। মনে মনে তারা নিশ্চয়ই গৌরববোধ করবে, কত সোনার ফসল তাদের জন্য ছড়ানো রয়েছে। বড়োরা অনায়াসে পেয়ে যাবেন অনেক স্মরণীয় রচনার প্রথম প্রকাশের হদিশ। স্পষ্ট হয়ে উঠবে বার্ষিকীর প্রবহমানতা, খানিক ইতিহাস। ধারাবাহিকতা রেখে সব বার্ষিকীর কথা লেখা না হলেও অনেকখানিই তুলে ধরা হয়েছে " বার্ষিকীর বারান্দা " গ্রন্থে।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
নব্য তোতাকাহিনী ও অন্যান্য
₹300
আমাদের সময় ও সমাজ ইদানীং বহুধা আক্রান্ত। অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ ক্রমশ আততায়ীর চরিত্র অর্জন করে ইতিহাস ভাবাদর্শ-প্রগতি মূল্যবোধকে নস্যাত করতে উদ্যত। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান নীতির ফ্যাসিবাদী পতাকাবাহীরা গত সাত বছরে উত্তরোত্তর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দিয়ে সমাজমন ও রাষ্ট্রসংস্থাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তথাকথিত জাতীয় শিক্ষানীতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দিয়ে শাসকেরা আগামী প্রজন্মগুলির মগজধোলাই করে নিজেদের পাইকবরকন্দাজে পরিণত করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের তোতা কাহিনির বিকটতম সংস্করণ তৈরি করেছে ধর্মান্ধ অত্যাচারী শক্তি। সামূহিক সর্বনাশের এই কালবেলায় নব্যতোতাকাহিনির ভয়ংকর স্বরূপ উদঘাটন করেছেন মননশীল প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে রুগ্ন ও নিরালোক সমাজের বিপন্নতার বিভিন্ন দিকের ওপর বিশ্লেষণী আলোকপাত করেছেন আরো কিছু সময়ের স্বর খচিত প্রবন্ধে।
নব্য তোতাকাহিনী ও অন্যান্য
₹300
আমাদের সময় ও সমাজ ইদানীং বহুধা আক্রান্ত। অভ্যন্তরীন উপনিবেশবাদ ক্রমশ আততায়ীর চরিত্র অর্জন করে ইতিহাস ভাবাদর্শ-প্রগতি মূল্যবোধকে নস্যাত করতে উদ্যত। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান নীতির ফ্যাসিবাদী পতাকাবাহীরা গত সাত বছরে উত্তরোত্তর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে দিয়ে সমাজমন ও রাষ্ট্রসংস্থাকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তথাকথিত জাতীয় শিক্ষানীতি একতরফাভাবে চাপিয়ে দিয়ে শাসকেরা আগামী প্রজন্মগুলির মগজধোলাই করে নিজেদের পাইকবরকন্দাজে পরিণত করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথের তোতা কাহিনির বিকটতম সংস্করণ তৈরি করেছে ধর্মান্ধ অত্যাচারী শক্তি। সামূহিক সর্বনাশের এই কালবেলায় নব্যতোতাকাহিনির ভয়ংকর স্বরূপ উদঘাটন করেছেন মননশীল প্রাবন্ধিক তপোধীর ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে রুগ্ন ও নিরালোক সমাজের বিপন্নতার বিভিন্ন দিকের ওপর বিশ্লেষণী আলোকপাত করেছেন আরো কিছু সময়ের স্বর খচিত প্রবন্ধে।
নদিয়া জেলার লোকসঙ্গীতে বৈষ্ণব প্রভাব
By মায়া মজুমদার
₹300
বাংলা লোকসংগীতের ধারায় নদিয়া জেলার একটি বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে, সে লোকসংগীতটির ধারা পুষ্ট হয়েছে শ্রীচৈতন্য প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্মের সঙ্গে লোকায়াত বৈষ্ণবধর্ম ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে। বৈষ্ণবধর্মের নামসংকীর্তন মানুষকে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে প্রলুব্ধ করলেও নদিয়া জেলায় শ্রীচৈতন্য প্রচারিত ধর্মীয় আবেগ বা ভাবটি কেবল সংকীর্তনের মধ্যে জায়মান থাকেনি, বরং তা বাংলার লোকসংগীতে তার সাঙ্গীকরণের দিকটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে বহু মাত্রিক চেতনার পরিসরের দ্বারা–বিশেষ করে নদিয়ায় যে লোকসঙ্গীতের উদ্ভব ও বিকাশের পথে, যে ধর্মটি নদিয়ার লোকসংগীতকে পুষ্ট করেছে, সেটি অবশ্যই শ্রীচৈতন্য প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্মান্দোলনের ধারা।
শ্রীচৈতন্যের ‘প্রেমভক্তি’ আচ্ছন্নভাবে নদিয়ার লোকসংগীতকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে, যেমন—সারি, জারি, অষ্টক, কবিগান, কর্মসংগীত, বোলান ও অন্যান্য ধর্মীয় সঙ্গীতকে। আর এর মূলে পদাবলীর কথা সঙ্গীতসহ সুর-তাল-লয় সুষমাও নদিয়ার লোকসংগীতকে প্রভাবিত করেছে বলা চলে। নদিয়ার অধিকাংশ সঙ্গীতেই রাধা, কৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য প্রসঙ্গ এমন নিবিড়ভাবে বন্দিত হয়েছে, এবং যাকে বলতে গেলে উপেক্ষা করা যায়নি। ' নদিয়া জেলার লোকসংগীতে বৈষ্ণব প্রভাব ' গ্রন্থটি যেকোনো বৈষ্ণবধর্ম জিজ্ঞাসু ব্যক্তিত্ব, বহু অজ্ঞাত অজানা বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজেও যেমন ঋদ্ধ হতে পারবেন, তেমনি সাধারণ পাঠকও গ্রন্থটির মধ্যে পেয়ে যাবেন অনেক নতুন তথ্য।
নদিয়া জেলার লোকসঙ্গীতে বৈষ্ণব প্রভাব
By মায়া মজুমদার
₹300
বাংলা লোকসংগীতের ধারায় নদিয়া জেলার একটি বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে, সে লোকসংগীতটির ধারা পুষ্ট হয়েছে শ্রীচৈতন্য প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্মের সঙ্গে লোকায়াত বৈষ্ণবধর্ম ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনে। বৈষ্ণবধর্মের নামসংকীর্তন মানুষকে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে প্রলুব্ধ করলেও নদিয়া জেলায় শ্রীচৈতন্য প্রচারিত ধর্মীয় আবেগ বা ভাবটি কেবল সংকীর্তনের মধ্যে জায়মান থাকেনি, বরং তা বাংলার লোকসংগীতে তার সাঙ্গীকরণের দিকটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে বহু মাত্রিক চেতনার পরিসরের দ্বারা–বিশেষ করে নদিয়ায় যে লোকসঙ্গীতের উদ্ভব ও বিকাশের পথে, যে ধর্মটি নদিয়ার লোকসংগীতকে পুষ্ট করেছে, সেটি অবশ্যই শ্রীচৈতন্য প্রবর্তিত বৈষ্ণবধর্মান্দোলনের ধারা।
শ্রীচৈতন্যের ‘প্রেমভক্তি’ আচ্ছন্নভাবে নদিয়ার লোকসংগীতকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে, যেমন—সারি, জারি, অষ্টক, কবিগান, কর্মসংগীত, বোলান ও অন্যান্য ধর্মীয় সঙ্গীতকে। আর এর মূলে পদাবলীর কথা সঙ্গীতসহ সুর-তাল-লয় সুষমাও নদিয়ার লোকসংগীতকে প্রভাবিত করেছে বলা চলে। নদিয়ার অধিকাংশ সঙ্গীতেই রাধা, কৃষ্ণ, শ্রীচৈতন্য প্রসঙ্গ এমন নিবিড়ভাবে বন্দিত হয়েছে, এবং যাকে বলতে গেলে উপেক্ষা করা যায়নি। ' নদিয়া জেলার লোকসংগীতে বৈষ্ণব প্রভাব ' গ্রন্থটি যেকোনো বৈষ্ণবধর্ম জিজ্ঞাসু ব্যক্তিত্ব, বহু অজ্ঞাত অজানা বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়ে নিজেও যেমন ঋদ্ধ হতে পারবেন, তেমনি সাধারণ পাঠকও গ্রন্থটির মধ্যে পেয়ে যাবেন অনেক নতুন তথ্য।