“বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
মুর্গাঝুটির লাল ধুল
By জয়া গোয়ালা
Publisher: একুশ শতক
₹80
ত্রিপুরার মনতলা চা-বাগানের এক শ্রমিক দম্পতির সন্তান তিনি। আজন্ম নিঃস্ব শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের জীবনের যন্ত্রণা ও লড়াই, তার নিজের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আরোপিত কিছু নয়, ফলে তাঁর সৃষ্ট উপন্যাস সেই টাটকা অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেয়। সৃজনকর্ম চিহ্নিত হয় অসামান্য গভীরতায়। ‘ মুর্গাঝুটির লাল ধুল ‘ উপন্যাসটি তারই একটি নিদর্শন।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-mjld01
ত্রিপুরার মনতলা চা-বাগানের এক শ্রমিক দম্পতির সন্তান তিনি। আজন্ম নিঃস্ব শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের জীবনের যন্ত্রণা ও লড়াই, তার নিজের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আরোপিত কিছু নয়, ফলে তাঁর সৃষ্ট উপন্যাস সেই টাটকা অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেয়। সৃজনকর্ম চিহ্নিত হয় অসামান্য গভীরতায়। ‘ মুর্গাঝুটির লাল ধুল ‘ উপন্যাসটি তারই একটি নিদর্শন।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মনসমুদ্র
₹300
সমুদ্রের মতোই মানুষের মন কখনও শান্ত কখনও উত্তাল।
এথেনা ও সায়ন দুই তরুণ তরুণী পরস্পরকে ভালবেসেছিল। মধ্যবয়স্ক মনোজের আবির্ভাবে এথেনা বদলে যায়। মনোজ যেন তাকে ভর করে। একসময় সায়নকে ছেড়ে সে মনোজের সঙ্গে ঘর বাঁধে। অন্যদিকে জয়তী স্বামীর অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন। সে আশা ভরসায় নতুন করে সংসার পাততে চায় বৈরাগীর সঙ্গে। গানে ডুব দেওয়া রমানাথও এক আশ্চর্য মানুষ। সুরের জাদুতে সে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকে।
মানুষের ক্ষতবিক্ষত মনের সন্ধানেই এই উপন্যাস যাত্রা শুরু করেছে। অলিগলি বেয়ে তা এগিয়ে গেছে অমোঘ এক সত্যের দিকে। তার নাম ভালবাসা। সায়ন, এথেনা , জয়তী, বৈরাগীরা কি পথ খুঁজে পাবে? ভালবাসা কি সত্যি শক্তিমান? তার হাতে কি উপশমের জাদুদন্ড আছে? মনসমুদ্রে অবিরাম বয়ে যাওয়া ঝড় কি কখনও শান্ত হয়ে উঠবে?
এই উপন্যাস তাই খুঁজতে চেয়েছে।
মনসমুদ্র
₹300
সমুদ্রের মতোই মানুষের মন কখনও শান্ত কখনও উত্তাল।
এথেনা ও সায়ন দুই তরুণ তরুণী পরস্পরকে ভালবেসেছিল। মধ্যবয়স্ক মনোজের আবির্ভাবে এথেনা বদলে যায়। মনোজ যেন তাকে ভর করে। একসময় সায়নকে ছেড়ে সে মনোজের সঙ্গে ঘর বাঁধে। অন্যদিকে জয়তী স্বামীর অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন। সে আশা ভরসায় নতুন করে সংসার পাততে চায় বৈরাগীর সঙ্গে। গানে ডুব দেওয়া রমানাথও এক আশ্চর্য মানুষ। সুরের জাদুতে সে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকে।
মানুষের ক্ষতবিক্ষত মনের সন্ধানেই এই উপন্যাস যাত্রা শুরু করেছে। অলিগলি বেয়ে তা এগিয়ে গেছে অমোঘ এক সত্যের দিকে। তার নাম ভালবাসা। সায়ন, এথেনা , জয়তী, বৈরাগীরা কি পথ খুঁজে পাবে? ভালবাসা কি সত্যি শক্তিমান? তার হাতে কি উপশমের জাদুদন্ড আছে? মনসমুদ্রে অবিরাম বয়ে যাওয়া ঝড় কি কখনও শান্ত হয়ে উঠবে?
এই উপন্যাস তাই খুঁজতে চেয়েছে।
মহুলবনীর সেংগেল
₹200
সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায় এর এক বিখ্যাত উপন্যাস ' মহুলবনীর সেংগেল ' । এটি একটি আদিবাসী গায়ের কাহিনি যে-গ্রাম একদা ছিল শান্ত, নিরীহ মানুষদের নাচেগানে বর্ণময়। তাদের জীবনের বঞ্চনার কথা বলে কিছু মানুষ চাইলো ক্ষমতার অধিকারী হতে। তাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন, দুই বিপরীতমুখী ক্ষমতার চাপে আদিবাসী জীবন হয়ে উঠল বিষময়।
শান্ত, নিরীহ আদিবাসীদের জীবন ঘুলিয়ে উঠেছে একদিকে অতিবিপ্লবীদের হানায়, অন্যদিকে তাদের এলাকায় প্রশাসন ও পুলিশের ঘন ঘন টহল দেওয়ায়। দুপাশের সাঁড়াশি চাপে গোটা জঙ্গলমহল টালমাটাল। যারা পরবের স্বপ্নে বিভোর ছিল, তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই ব্যস্ত। মাও - অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের সেই সংকট এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট।
মহুলবনীর সেংগেল
₹200
সাহিত্যিক তপন বন্দোপাধ্যায় এর এক বিখ্যাত উপন্যাস ' মহুলবনীর সেংগেল ' । এটি একটি আদিবাসী গায়ের কাহিনি যে-গ্রাম একদা ছিল শান্ত, নিরীহ মানুষদের নাচেগানে বর্ণময়। তাদের জীবনের বঞ্চনার কথা বলে কিছু মানুষ চাইলো ক্ষমতার অধিকারী হতে। তাদের লক্ষ্যচ্যুত করতে তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন, দুই বিপরীতমুখী ক্ষমতার চাপে আদিবাসী জীবন হয়ে উঠল বিষময়।
শান্ত, নিরীহ আদিবাসীদের জীবন ঘুলিয়ে উঠেছে একদিকে অতিবিপ্লবীদের হানায়, অন্যদিকে তাদের এলাকায় প্রশাসন ও পুলিশের ঘন ঘন টহল দেওয়ায়। দুপাশের সাঁড়াশি চাপে গোটা জঙ্গলমহল টালমাটাল। যারা পরবের স্বপ্নে বিভোর ছিল, তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই ব্যস্ত। মাও - অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের সেই সংকট এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট।
সময়ের সঙ্গী
₹150
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্ধকার শেষ কথা নয়, আলোর কথাই বলেছেন তিনি সময়ের সঙ্গী বইটিতে। আর একবার প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় তার গল্পে।
সময়ের সঙ্গী
₹150
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অন্ধকার শেষ কথা নয়, আলোর কথাই বলেছেন তিনি সময়ের সঙ্গী বইটিতে। আর একবার প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন সবার উপরে মানুষ সত্য। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় তার গল্পে।
আমার আপন গান
₹200
আপন গীতসৃষ্টির নেশা তাঁর জীবনে বারেবারেই তার অন্য স্মৃতিকে ঝাপসা করে দিয়েছে। সেই আপন গানের বিচিত্র লীলাবিস্তার গীতবিতান-এর প্রদর্শালায় পূজা', 'প্রেম', প্রকৃতি', 'স্বদেশ, “বিচিত্র এইসব কক্ষে কক্ষে বিলসিত। তারই কয়েকটির উপর নতুন আলােকপাত ' আমার আপন গান ' গ্রন্থে, রবীন্দ্রসংগীতের এক কুশলী উন্মেষকারের কলমে। রবীন্দ্রসংগীতের শ্রোতা, শিল্পী, শিক্ষার্থী, উপভােক্তা—সকলেরই কাছেই জিজ্ঞাসার দিগন্ত প্রসারিত করবে।
আমার আপন গান
₹200
আপন গীতসৃষ্টির নেশা তাঁর জীবনে বারেবারেই তার অন্য স্মৃতিকে ঝাপসা করে দিয়েছে। সেই আপন গানের বিচিত্র লীলাবিস্তার গীতবিতান-এর প্রদর্শালায় পূজা', 'প্রেম', প্রকৃতি', 'স্বদেশ, “বিচিত্র এইসব কক্ষে কক্ষে বিলসিত। তারই কয়েকটির উপর নতুন আলােকপাত ' আমার আপন গান ' গ্রন্থে, রবীন্দ্রসংগীতের এক কুশলী উন্মেষকারের কলমে। রবীন্দ্রসংগীতের শ্রোতা, শিল্পী, শিক্ষার্থী, উপভােক্তা—সকলেরই কাছেই জিজ্ঞাসার দিগন্ত প্রসারিত করবে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।