“একুশে ফেব্রুয়ারি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
নীল নির্জনে সবুজ আহ্বানে
Publisher: একুশ শতক
₹150
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
0.4
একই ধরণের গ্রন্থ
প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
₹300
বাংলা কবিতায় নতুন একটি ধারা সূচিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এইধারা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিল পঞ্চাশের কবিতায় সমকালীনতা, জীবনের আখ্যানের চলাচল, অন্তর্নিহিত স্পন্দন, ব্যাপক বোহেমিয়ানিজম, এবং যথার্থ নাগরিকতা ইত্যাদির মিশেল নিয়ে বাংলা কবিতায় প্রাণময় এবং সৌন্দর্যপৄষ্ঠ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শক্তি কবিতাকে নিয়ে অনুভূতিময় এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য আবহ এনেছিলেন বাংলা কবিতায়।
প্রেসিডেন্সী কলেজ এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করলেও, ছিল অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬তে ‘যম' কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। আদর করে কবিতাকে পদ্য বলতেই পছন্দ করতেন। একটা সময় সত্তরের দশকে 'সাপ্তাহিক বাংলা কবিতা' নামের সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা ছাড়াও কিছুদিন হিন্দমোটরস কারখানার কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার জীবিকা থেকে অবসরের পরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে ছিলেন। " প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায় " সংকলনে একত্রিত হওয়া অনেক লেখাই প্রমাণ করবে শক্তি থাকবেন চিরকাল থাকবেন মানুষের, পশুপাখির এবং প্রকৃতির ভালোবাসায়। একজন প্রকৃত কবির অধিষ্ঠান এই লেখাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, সামাজিক সম্পর্ক যেন এক অবারিত আকাঙ্ক্ষার আবিষ্কারের মতো।
সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি শক্তির প্রয়াণের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সব লেখা থেকে নির্বাচন করেই এই সংকলন প্রকাশিত হল। 'বিভাব', কারুভাষ শ্লোক’, পি.ই.এন প্রকাশিত পুস্তিকা, সাংস্কৃতিক খবর, মাসিক কবি পত্র, সংবাদ প্রবাহ প্রভৃতি পত্রিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কবির জীবন চলাচল, তাঁর বর্ণময় জীবনআখ্যান এবং স্বভা সমগ্রতা ছুঁয়ে দেখারই চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায়
₹300
বাংলা কবিতায় নতুন একটি ধারা সূচিত হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এইধারা আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিল পঞ্চাশের কবিতায় সমকালীনতা, জীবনের আখ্যানের চলাচল, অন্তর্নিহিত স্পন্দন, ব্যাপক বোহেমিয়ানিজম, এবং যথার্থ নাগরিকতা ইত্যাদির মিশেল নিয়ে বাংলা কবিতায় প্রাণময় এবং সৌন্দর্যপৄষ্ঠ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শক্তি কবিতাকে নিয়ে অনুভূতিময় এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য আবহ এনেছিলেন বাংলা কবিতায়।
প্রেসিডেন্সী কলেজ এবং পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করলেও, ছিল অসমাপ্ত। বুদ্ধদেব বসুর কবিতা পত্রিকায় ১৯৫৬তে ‘যম' কবিতাটি প্রথম ছাপা হয়। আদর করে কবিতাকে পদ্য বলতেই পছন্দ করতেন। একটা সময় সত্তরের দশকে 'সাপ্তাহিক বাংলা কবিতা' নামের সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা ছাড়াও কিছুদিন হিন্দমোটরস কারখানার কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার জীবিকা থেকে অবসরের পরে শক্তি চট্টোপাধ্যায় সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসেবে বিশ্বভারতীতে ছিলেন। " প্রসঙ্গ শক্তি চট্টোপাধ্যায় " সংকলনে একত্রিত হওয়া অনেক লেখাই প্রমাণ করবে শক্তি থাকবেন চিরকাল থাকবেন মানুষের, পশুপাখির এবং প্রকৃতির ভালোবাসায়। একজন প্রকৃত কবির অধিষ্ঠান এই লেখাগুলির মধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, সামাজিক সম্পর্ক যেন এক অবারিত আকাঙ্ক্ষার আবিষ্কারের মতো।
সংকলনে প্রকাশিত লেখাগুলি শক্তির প্রয়াণের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সে সব লেখা থেকে নির্বাচন করেই এই সংকলন প্রকাশিত হল। 'বিভাব', কারুভাষ শ্লোক’, পি.ই.এন প্রকাশিত পুস্তিকা, সাংস্কৃতিক খবর, মাসিক কবি পত্র, সংবাদ প্রবাহ প্রভৃতি পত্রিকার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। কবির জীবন চলাচল, তাঁর বর্ণময় জীবনআখ্যান এবং স্বভা সমগ্রতা ছুঁয়ে দেখারই চেষ্টা করা হয়েছে।
বিপন্ন বসুধা : বিপর্যয় পরিবেশ
₹100
এই পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস মােটামুটি দশ লক্ষ বছরের। আর মানুষের পরিবেশ সচেতনতার ইতিহাসটি ? মােটামুটি চার দশক হল তার বয়েস। এই সুদীর্ঘকাল মানুষ প্রকৃতির কথা, পরিবেশের কথা ভাববার অবকাশ পায়নি। অর্থাৎ পরিবেশের বেহাল দশা সম্বন্ধে আমরা যতটা সচেতন হয়েছি বলে মনে করা হচ্ছে, কার্যত তা এক মিথ্যের ফানুসমাত্র। তা হলে এখন করনীয় কী ? সব কিছু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে হাত পা গুটিয়ে থাকা ? না, এখনাে এতটা নেতিবাচক হবার বােধহয় আসেনি। কথায় আছে, একটা মিথ্যেকেও বারবার বলা হলে তা এক সময় সত্যি হয়ে দাড়ায়। এই আগুবাক্যকে ভরসা করেই আমাদের এগােতে হবে। বারবার ধাক্কা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যদি টনক নড়ে। ' বিপন্ন বসুধা : বিপর্যস্ত পরিবেশ ' বই সেই ধাক্কা দেবার হাতিয়ার।
বিপন্ন বসুধা : বিপর্যয় পরিবেশ
₹100
এই পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাস মােটামুটি দশ লক্ষ বছরের। আর মানুষের পরিবেশ সচেতনতার ইতিহাসটি ? মােটামুটি চার দশক হল তার বয়েস। এই সুদীর্ঘকাল মানুষ প্রকৃতির কথা, পরিবেশের কথা ভাববার অবকাশ পায়নি। অর্থাৎ পরিবেশের বেহাল দশা সম্বন্ধে আমরা যতটা সচেতন হয়েছি বলে মনে করা হচ্ছে, কার্যত তা এক মিথ্যের ফানুসমাত্র। তা হলে এখন করনীয় কী ? সব কিছু নিয়তির হাতে ছেড়ে দিয়ে হাত পা গুটিয়ে থাকা ? না, এখনাে এতটা নেতিবাচক হবার বােধহয় আসেনি। কথায় আছে, একটা মিথ্যেকেও বারবার বলা হলে তা এক সময় সত্যি হয়ে দাড়ায়। এই আগুবাক্যকে ভরসা করেই আমাদের এগােতে হবে। বারবার ধাক্কা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যদি টনক নড়ে। ' বিপন্ন বসুধা : বিপর্যস্ত পরিবেশ ' বই সেই ধাক্কা দেবার হাতিয়ার।
এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা
₹100
সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি উদয়ন ভট্টাচার্য। প্রথম কবিতার বই ‘বাদামী ঘোড়ায় শেষ অশ্বারোহী’ পড়ে কবি অমিয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘তোমার কবিতায় মালিন্য স্পর্শ করেনি।' শ্রীপান্থের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন PROBE INDIA পত্রিকায়। তাঁর দশম কবিতার বই " এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা "। আগে প্রকাশিত প্রায় সব কাব্যগ্রন্থগুলির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গেছে।
এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকদের কাছে নতুন বার্তা দিতে চায়। কোভিড আবহাওয়ায় আমাদের এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা।এই জীবন,এই মৃত্যু।কয়েকটি কবিতায় তার উল্লেখ আছে। সমাজ ব্যবস্থার দৈন্যতা, বঞ্চনা,প্রলোভন,দম্ভ,সময় সবই কবিতার বিষয়।কবি কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন কোভিড যোদ্ধাদের।
এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা
₹100
সত্তর দশকের বিশিষ্ট কবি উদয়ন ভট্টাচার্য। প্রথম কবিতার বই ‘বাদামী ঘোড়ায় শেষ অশ্বারোহী’ পড়ে কবি অমিয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, ‘তোমার কবিতায় মালিন্য স্পর্শ করেনি।' শ্রীপান্থের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন PROBE INDIA পত্রিকায়। তাঁর দশম কবিতার বই " এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা "। আগে প্রকাশিত প্রায় সব কাব্যগ্রন্থগুলির প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে গেছে।
এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকদের কাছে নতুন বার্তা দিতে চায়। কোভিড আবহাওয়ায় আমাদের এই আশ্চর্য বেঁচে থাকা।এই জীবন,এই মৃত্যু।কয়েকটি কবিতায় তার উল্লেখ আছে। সমাজ ব্যবস্থার দৈন্যতা, বঞ্চনা,প্রলোভন,দম্ভ,সময় সবই কবিতার বিষয়।কবি কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন কোভিড যোদ্ধাদের।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।