“স্বাধীনতা উত্তর সাত দশকে দেশে বিদেশে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা
Publisher: একুশ শতক
₹150
শ্যামলকান্তি দাশ – সত্তর দশকের কবিতাভুবনের এক অন্যতম অনিবার্য ও অগ্রগণ্য নাম। গ্রামবাংলার মাটির সঙ্গে শহরের ইস্পাতকে মিশিয়ে দিয়ে বাংলা কবিতায় এনেছেন এক ভিন্নতর স্বাদ ও অনন্য আবেদন – যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব ঘরানা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা। ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর বাইশটি কবিতার বই থেকে বাছাই কবিতাগুলি নিয়ে ” নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা ” গ্রন্থ।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
49
শ্যামলকান্তি দাশ – সত্তর দশকের কবিতাভুবনের এক অন্যতম অনিবার্য ও অগ্রগণ্য নাম। গ্রামবাংলার মাটির সঙ্গে শহরের ইস্পাতকে মিশিয়ে দিয়ে বাংলা কবিতায় এনেছেন এক ভিন্নতর স্বাদ ও অনন্য আবেদন – যা একেবারেই তাঁর নিজস্ব ঘরানা। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এবং সম্মাননা। ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর বাইশটি কবিতার বই থেকে বাছাই কবিতাগুলি নিয়ে ” নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা ” গ্রন্থ।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
জলাঞ্জলি
₹150
ছদ্মনামের আড়ালে নবীন লেখক কৃষ্ণেন্দু দেব নিয়মিত বাঁকাচোরা চোখে দেখা তাঁর সময় এবং যাপিত জীবন নিয়ে রসিকতা করেন। নিজে গম্ভীর থেকে অন্যকে হাসান। নিম্ন রুচির কৌতুক নকশা তাঁর কলমে আসেনা।তাঁর বিষয় গুরুগম্ভীর। পাতার পর পাতা প্রবন্ধ লেখা যায় এমন সব বিষয় আশ্চর্য দক্ষতায় নিজস্ব স্টাইলে রসাত্মক শব্দে তীক্ষ্ণ করে তোলেন।
জলাঞ্জলি
₹150
ছদ্মনামের আড়ালে নবীন লেখক কৃষ্ণেন্দু দেব নিয়মিত বাঁকাচোরা চোখে দেখা তাঁর সময় এবং যাপিত জীবন নিয়ে রসিকতা করেন। নিজে গম্ভীর থেকে অন্যকে হাসান। নিম্ন রুচির কৌতুক নকশা তাঁর কলমে আসেনা।তাঁর বিষয় গুরুগম্ভীর। পাতার পর পাতা প্রবন্ধ লেখা যায় এমন সব বিষয় আশ্চর্য দক্ষতায় নিজস্ব স্টাইলে রসাত্মক শব্দে তীক্ষ্ণ করে তোলেন।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹250
ড.আদিত্য মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশিত হল।এই বইটিতে পুরনো সমস্ত বইয়ের কিছু কিছু কবিতা নেওয়া হয়েছে।তবু তা নিয়মমাফিক নয়। এলোমেলো বলা যায়। একজনের পছন্দকে শুধুমাত্র গুরুত্ব দিয়ে এই বিবেচনা। আগ্রহী পাঠক সেদিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে একটা জীবনের ওঠাপড়া।'শ্রেষ্ঠ' কথাটি নেহাতই সংযোগ মাত্র।তেমন কিছু তার মধ্যে নেই। আছে শুধু অন্যতর এক ভাবনা।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹250
ড.আদিত্য মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশিত হল।এই বইটিতে পুরনো সমস্ত বইয়ের কিছু কিছু কবিতা নেওয়া হয়েছে।তবু তা নিয়মমাফিক নয়। এলোমেলো বলা যায়। একজনের পছন্দকে শুধুমাত্র গুরুত্ব দিয়ে এই বিবেচনা। আগ্রহী পাঠক সেদিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে একটা জীবনের ওঠাপড়া।'শ্রেষ্ঠ' কথাটি নেহাতই সংযোগ মাত্র।তেমন কিছু তার মধ্যে নেই। আছে শুধু অন্যতর এক ভাবনা।
বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা
₹250
মার্কসবাদ এক সমাজ - ভাবনামূলক দর্শন, এক জীবন বীক্ষা। মার্কসের ধারণা সার্বিকভাবে এখন সর্বত্র গৃহীত হয় না, মার্ক্সবাদী তত্ত্বেরও যুগে যুগে ঘটেছে বহু পরিবর্তন কিন্তু একদা সাম্রাজ্যবাদ, সামন্ত্রতন্ত্র, উপনিবেশিকতা এবং শোষণ সর্বস্ব ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ যে সামাজিক আদর্শ জনিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল তার মূল্য অস্বীকার করা সম্ভব নয়। মার্কসীয় তত্ত্বের মধ্যে নিহিত যে আদর্শ মানুষকে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রেরণা দেয়, শ্রেণি সংঘাতের মুখোমুখি হবার উদ্দীপনা যোগায় তারই নির্যাস যুগে যুগে ধারণ করে সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের তেমনি কিছু দৃষ্টান্ত আলোচিত হয়েছে ' বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা ' গ্রন্থে।
বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা
₹250
মার্কসবাদ এক সমাজ - ভাবনামূলক দর্শন, এক জীবন বীক্ষা। মার্কসের ধারণা সার্বিকভাবে এখন সর্বত্র গৃহীত হয় না, মার্ক্সবাদী তত্ত্বেরও যুগে যুগে ঘটেছে বহু পরিবর্তন কিন্তু একদা সাম্রাজ্যবাদ, সামন্ত্রতন্ত্র, উপনিবেশিকতা এবং শোষণ সর্বস্ব ধনতন্ত্রের বিরুদ্ধে মার্কসবাদ যে সামাজিক আদর্শ জনিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল তার মূল্য অস্বীকার করা সম্ভব নয়। মার্কসীয় তত্ত্বের মধ্যে নিহিত যে আদর্শ মানুষকে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রেরণা দেয়, শ্রেণি সংঘাতের মুখোমুখি হবার উদ্দীপনা যোগায় তারই নির্যাস যুগে যুগে ধারণ করে সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের তেমনি কিছু দৃষ্টান্ত আলোচিত হয়েছে ' বাংলা উপন্যাস ও মার্কসীয় চেতনা ' গ্রন্থে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
নাট্য ব্যক্তিত্ব বাদল সরকার
By দর্শন চৌধুরী
₹300
নাট্য ব্যক্তিত্ব বাদল সরকার – তাঁর এই থার্ড থিয়েটার তথা বিকল্প থিয়েটার নিয়ে নানামহলে নানারকম আলােচনা হয়েছে। তাঁর রাজনীতিভাবনা নিয়েও অনেক কোলাহল হয়েছে। আর অস্বীকারই বা কী করে করা যায়, রাজনীতির সেই উত্তাল, দামাল, ভয়ংকর আবহে নাট্যকর্মীর অবস্থান নির্ণয়ও সহজ থাকে না। টালমাটাল অবস্থায় ভাবনার দোলাচলতা এবং চিন্তার বিভ্রান্তি দূর করাও সহজসাধ্য হয়না।
নাটকে রাজনীতি নিয়ে যাঁদের ছুৎমার্গ রয়েছে, তাঁদের কথা না ভেবে, যারা প্রতিনিয়ত নাট্যকর্মে রাজনীতিকেই প্রধান করে তােলেন, বাদল সরকার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অতএব, তাঁর নাটকের ও নাট্যপ্রযােজনার যেমন আলােচনা করতে হয়, তেমনি তাঁর রাজনীতি ভাবনা নিয়েও ভাবতে হয়।
সমকালের একজন প্রধান বিতর্কিত নাট্যব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যে কোনাে আলােচনাই যেমন অনেককেই আকর্ষণ করে, তেমনি পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্কেরও সুত্রপাত করে। অবশ্য সেটা আলােচনার গুণে নয়, উজ্জল নাট্যব্যক্তিত্বের নাট্যকর্মকাণ্ডের ক্রিয়া ও কারণেই। প্রাবন্ধিক দুর্বল, অশক্ত, অনুপযুক্ত হয়েও সেই নাট্যসম্ভারের আলােচনা হাজির করলেন। অক্ষমকে ক্ষমা করায় দোষ নেই।
নাট্য ব্যক্তিত্ব বাদল সরকার
By দর্শন চৌধুরী
₹300
নাট্য ব্যক্তিত্ব বাদল সরকার – তাঁর এই থার্ড থিয়েটার তথা বিকল্প থিয়েটার নিয়ে নানামহলে নানারকম আলােচনা হয়েছে। তাঁর রাজনীতিভাবনা নিয়েও অনেক কোলাহল হয়েছে। আর অস্বীকারই বা কী করে করা যায়, রাজনীতির সেই উত্তাল, দামাল, ভয়ংকর আবহে নাট্যকর্মীর অবস্থান নির্ণয়ও সহজ থাকে না। টালমাটাল অবস্থায় ভাবনার দোলাচলতা এবং চিন্তার বিভ্রান্তি দূর করাও সহজসাধ্য হয়না।
নাটকে রাজনীতি নিয়ে যাঁদের ছুৎমার্গ রয়েছে, তাঁদের কথা না ভেবে, যারা প্রতিনিয়ত নাট্যকর্মে রাজনীতিকেই প্রধান করে তােলেন, বাদল সরকার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অতএব, তাঁর নাটকের ও নাট্যপ্রযােজনার যেমন আলােচনা করতে হয়, তেমনি তাঁর রাজনীতি ভাবনা নিয়েও ভাবতে হয়।
সমকালের একজন প্রধান বিতর্কিত নাট্যব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যে কোনাে আলােচনাই যেমন অনেককেই আকর্ষণ করে, তেমনি পক্ষে-বিপক্ষে নানা বিতর্কেরও সুত্রপাত করে। অবশ্য সেটা আলােচনার গুণে নয়, উজ্জল নাট্যব্যক্তিত্বের নাট্যকর্মকাণ্ডের ক্রিয়া ও কারণেই। প্রাবন্ধিক দুর্বল, অশক্ত, অনুপযুক্ত হয়েও সেই নাট্যসম্ভারের আলােচনা হাজির করলেন। অক্ষমকে ক্ষমা করায় দোষ নেই।
ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী
₹600
" ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী " গ্রন্থে সনাতন চক্রবর্তীর ভাগবত অনুবাদকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভারতীয় ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের একটি ধারাপথের বিবরণ ও স্বরূপ তুলে ধরেছেন লেখক। পূর্ব ভারতের ভক্তিবাদের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য এবং শ্রীমদ্ভাগবত সম্পর্কিত নানান তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কতখানি সে সম্পর্কে মননশীল ভাবনা লেখক রেখে গেছেন। বাংলায় ভাগবত অনুবাদের আদিপর্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়ে'র প্রসঙ্গ এনেছেন। এনেছেন রঘুনাথ ভাগবতাচার্যের 'শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী' গ্রন্থটিকে। পাশাপাশি মাধব রচিত 'শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলে'র স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছেন। দুঃখী শ্যামদাসের 'গোবিন্দমঙ্গল' এবং অভিরাম দাস বিরচিত 'গোবিন্দবিজয়' গ্রন্থটিও এই ধারাবাহিক বিশ্লেষণে স্থান পেয়েছে। সবশেষে সনাতন চক্রবর্তীর 'ভাষাবন্ধ ভাগবতে'র পাঠ-পর্যালোচনা ও তত্ত্বনির্ভর বিশ্লেষণ আছে গ্রন্থের বৃহৎ অংশ জুড়ে। এই আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে এসেছে কবি সনাতনের ব্যক্তিপরিচিতি ও তাঁর পুথি-পরিচয়ের প্রসঙ্গটি। ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লেখক বেদের বিবিধ অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেছেন। বেদের যুগে ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্নরূপে দেবত্ব আরোপ করেছেন। গ্রন্থকার এই অংশে অগ্নি, বরুণ, ঊষা সকলের দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন এবং বর্ষণকারী দেবতা ইন্দ্রের প্রসঙ্গ এনেছেন। দেবতাদের প্রীত রাখবার জন্য পরিকল্পিতভাবে যাগযজ্ঞ আর প্রীতিকারক স্তব-স্তুতির যে উদ্ভব ঘটেছে সে বিষয়ে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করে গেছেন। দিয়েছেন বৈদিক দেবতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে শাস্ত্রজ্ঞান নির্ভর ভাবনা। উপনিষদের ঋষিরা বোধি বা ইনটিউটিভ্ পার্সেপশনের সাহায্যে ব্রহ্মই যে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মূল এই উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার পর তাঁদের অন্তরে যখন এই সত্যটির উদ্ভাস ঘটে আর তখনই তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ হয়। তখন উদাত্ত কণ্ঠে ঋষিগণ ঘোষণা করতে পারলেন যে আমরা ব্রহ্মকে জেনেছি আর তাকে জানলেই অমৃত লাভ করা যায়- এই ধারণাকে প্রমাণ করবার জন্য লেখক শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের সংস্কৃত তথ্য তুলে ধরে যুক্তিবাদ এবং অধ্যাত্মবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। বেদ ও উপনিষদের যুগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা চিন্তন স্বাধীনতার পরিসর ছিল যথেষ্ট, সেকথা গ্রন্থকার উপনিষদের সূক্ত উদ্ধার করে বোঝাবার চেষ্টা করেছেন। ভাগবতের বাংলা অনুবাদ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজগুলির মধ্যে এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে মৌলিকতার দাবি রাখে।
ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী
₹600
" ভাগবতানুবাদের আদিপর্ব ও সনাতন চক্রবর্তী " গ্রন্থে সনাতন চক্রবর্তীর ভাগবত অনুবাদকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি ভারতীয় ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের একটি ধারাপথের বিবরণ ও স্বরূপ তুলে ধরেছেন লেখক। পূর্ব ভারতের ভক্তিবাদের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য এবং শ্রীমদ্ভাগবত সম্পর্কিত নানান তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবতের মাহাত্ম্য তথা ভারতীয় সংস্কৃতিতে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কতখানি সে সম্পর্কে মননশীল ভাবনা লেখক রেখে গেছেন। বাংলায় ভাগবত অনুবাদের আদিপর্ব বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি মালাধর বসুর 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়ে'র প্রসঙ্গ এনেছেন। এনেছেন রঘুনাথ ভাগবতাচার্যের 'শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী' গ্রন্থটিকে। পাশাপাশি মাধব রচিত 'শ্রীকৃষ্ণমঙ্গলে'র স্বরূপও বিশ্লেষণ করেছেন। দুঃখী শ্যামদাসের 'গোবিন্দমঙ্গল' এবং অভিরাম দাস বিরচিত 'গোবিন্দবিজয়' গ্রন্থটিও এই ধারাবাহিক বিশ্লেষণে স্থান পেয়েছে। সবশেষে সনাতন চক্রবর্তীর 'ভাষাবন্ধ ভাগবতে'র পাঠ-পর্যালোচনা ও তত্ত্বনির্ভর বিশ্লেষণ আছে গ্রন্থের বৃহৎ অংশ জুড়ে। এই আলোচনায় স্বাভাবিকভাবে এসেছে কবি সনাতনের ব্যক্তিপরিচিতি ও তাঁর পুথি-পরিচয়ের প্রসঙ্গটি। ভক্তিবাদ ও ভক্তিসাহিত্যের স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লেখক বেদের বিবিধ অংশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করেছেন। বেদের যুগে ঋষিগণ প্রকৃতির বিভিন্নরূপে দেবত্ব আরোপ করেছেন। গ্রন্থকার এই অংশে অগ্নি, বরুণ, ঊষা সকলের দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন এবং বর্ষণকারী দেবতা ইন্দ্রের প্রসঙ্গ এনেছেন। দেবতাদের প্রীত রাখবার জন্য পরিকল্পিতভাবে যাগযজ্ঞ আর প্রীতিকারক স্তব-স্তুতির যে উদ্ভব ঘটেছে সে বিষয়ে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করে গেছেন। দিয়েছেন বৈদিক দেবতার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে শাস্ত্রজ্ঞান নির্ভর ভাবনা। উপনিষদের ঋষিরা বোধি বা ইনটিউটিভ্ পার্সেপশনের সাহায্যে ব্রহ্মই যে স্রষ্টা এবং সৃষ্টির মূল এই উপলব্ধিতে উপনীত হওয়ার পর তাঁদের অন্তরে যখন এই সত্যটির উদ্ভাস ঘটে আর তখনই তাঁদের মধ্যে ব্রাহ্মীস্থিতি লাভ হয়। তখন উদাত্ত কণ্ঠে ঋষিগণ ঘোষণা করতে পারলেন যে আমরা ব্রহ্মকে জেনেছি আর তাকে জানলেই অমৃত লাভ করা যায়- এই ধারণাকে প্রমাণ করবার জন্য লেখক শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের সংস্কৃত তথ্য তুলে ধরে যুক্তিবাদ এবং অধ্যাত্মবাদের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। বেদ ও উপনিষদের যুগে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা চিন্তন স্বাধীনতার পরিসর ছিল যথেষ্ট, সেকথা গ্রন্থকার উপনিষদের সূক্ত উদ্ধার করে বোঝাবার চেষ্টা করেছেন। ভাগবতের বাংলা অনুবাদ নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজগুলির মধ্যে এই গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে মৌলিকতার দাবি রাখে।