Discount applied: Discount 20%
“শিক্ষক আন্দোলনের ধারা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রবীন্দ্রনাথ ও মণিপুরী নৃত্য
Publisher: একুশ শতক
₹50
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-rom01
Categories:
প্রবন্ধ, রবীন্দ্র বিষয়ক, সমস্ত বই
একই ধরণের গ্রন্থ
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল
₹400
আশুতোষের স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল কর্মকাণ্ড অর্থাৎ বহির্জীবন, তার বিরাট ব্যক্তিত্ব, ভাবজগত, জীবনদর্শন—অন্তর্জীবন –এ এমন নিবিড়, জটিল, ঘনসন্নিবন্ধ, তথ্যাকীর্ণ বিষয়সস্তার যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনিবার্যতা জানা থাকলেও সফলতার দাবী ধৃষ্টতাই হবে। তার আত্মজীবনীমূলক লেখা ও জীবনীমূলক লেখাগুলির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারও পারিবারিক সদস্যদের লেখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারা নিকটজন ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের মৌলিক লেখা থেকে সঞ্চিত তথ্যগুলি অন্যান্যরা জীবনী লিখতে গিয়ে ব্যবহার করেছেন, সে স্বীকৃতি থাকুক আর না থাকুক। আশুতোষের রচনা ও ভাষণগুলি ইচ্ছে থাকলেও বেশি বাড়ানো গেল না—শুধু কিছু নিদর্শনমূলক রচনা সংগৃহিত হয়েছে। ‘পত্রাবলী' অংশটি নতুন সংযোজন। একাধিক লেখা, যার লেখকেরা আশুতোষের সমকালীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, তার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, তাদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকায় আশুতোষের সর্বাপেক্ষা কঠোর সমালোচক। তিনি আশুতোষের প্রয়াণের পর যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন নবীন মনীষা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা দুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ' স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল ' গ্রন্থে।
স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল
₹400
আশুতোষের স্বল্পায়ু জীবনের বিশাল কর্মকাণ্ড অর্থাৎ বহির্জীবন, তার বিরাট ব্যক্তিত্ব, ভাবজগত, জীবনদর্শন—অন্তর্জীবন –এ এমন নিবিড়, জটিল, ঘনসন্নিবন্ধ, তথ্যাকীর্ণ বিষয়সস্তার যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর অনিবার্যতা জানা থাকলেও সফলতার দাবী ধৃষ্টতাই হবে। তার আত্মজীবনীমূলক লেখা ও জীবনীমূলক লেখাগুলির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মত দ্বিতীয়বারও পারিবারিক সদস্যদের লেখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তারা নিকটজন ও প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের মৌলিক লেখা থেকে সঞ্চিত তথ্যগুলি অন্যান্যরা জীবনী লিখতে গিয়ে ব্যবহার করেছেন, সে স্বীকৃতি থাকুক আর না থাকুক। আশুতোষের রচনা ও ভাষণগুলি ইচ্ছে থাকলেও বেশি বাড়ানো গেল না—শুধু কিছু নিদর্শনমূলক রচনা সংগৃহিত হয়েছে। ‘পত্রাবলী' অংশটি নতুন সংযোজন। একাধিক লেখা, যার লেখকেরা আশুতোষের সমকালীন, ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত, তার সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ, তাদের রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকায় আশুতোষের সর্বাপেক্ষা কঠোর সমালোচক। তিনি আশুতোষের প্রয়াণের পর যে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন, সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও তৎকালীন নবীন মনীষা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা দুটিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ' স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জীবন ও সমকাল ' গ্রন্থে।
পঁচিশটি গল্প
By তন্বী হালদার
₹350
এই পঁচিশটি গল্প মূলত গল্পহীন গল্প। এই ধরনের গল্প ইংরেজিতে লেখা হলেও বাংলায় খুব বেশি লেখা হয় নি। এই গল্পগুলো পড়তে বসলে নেশা না করেও অদ্ভুত এক নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যায়।
পঁচিশটি গল্প
By তন্বী হালদার
₹350
এই পঁচিশটি গল্প মূলত গল্পহীন গল্প। এই ধরনের গল্প ইংরেজিতে লেখা হলেও বাংলায় খুব বেশি লেখা হয় নি। এই গল্পগুলো পড়তে বসলে নেশা না করেও অদ্ভুত এক নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যায়।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
সন্ধ্যাবেলায় মন কেমন করে
By ঈশা দেব পাল
₹250
সন্ধে মানেই বাড়ি ফেরা। সন্ধেবেলায় শুধুই শিকড়ের টান। চিনির বালিকাবেলাতেও লেগে থাকে গোধূলির রক্তিমাভা। চিনি যখন চিরশ্রী হয় তখনও তাকে ডাক পাঠায়। সেই শৈশব কৈশোরের অলস মায়াজড়ানো ফুরিয়ে যাওয়া বিকেল। এই কাহিনি আশির দশকে বড় হতে থাকা এক বালিকার চোখ দিয়ে দেখা পৃথিবীর আলতো রূপ। ইন্দিরা গান্ধীর অকাল মৃত্যুর প্রসঙ্গ যেমন আছে এতে, তেমনই আছে শান্ত মফস্বলী জীবনে গার্লস ইস্কুল গড়ার প্রস্তুতি। আর আছে কিশোর-কিশোরী যুবক -যুবতীর প্রেম, দাম্পত্য, ভাঙন। ঘটনা ফুরিয়ে যায়, অনুভূতি থেকে যায়। এই উপন্যাসের মূল অবলম্বন সেই অনুভব।
সন্ধ্যাবেলায় মন কেমন করে
By ঈশা দেব পাল
₹250
সন্ধে মানেই বাড়ি ফেরা। সন্ধেবেলায় শুধুই শিকড়ের টান। চিনির বালিকাবেলাতেও লেগে থাকে গোধূলির রক্তিমাভা। চিনি যখন চিরশ্রী হয় তখনও তাকে ডাক পাঠায়। সেই শৈশব কৈশোরের অলস মায়াজড়ানো ফুরিয়ে যাওয়া বিকেল। এই কাহিনি আশির দশকে বড় হতে থাকা এক বালিকার চোখ দিয়ে দেখা পৃথিবীর আলতো রূপ। ইন্দিরা গান্ধীর অকাল মৃত্যুর প্রসঙ্গ যেমন আছে এতে, তেমনই আছে শান্ত মফস্বলী জীবনে গার্লস ইস্কুল গড়ার প্রস্তুতি। আর আছে কিশোর-কিশোরী যুবক -যুবতীর প্রেম, দাম্পত্য, ভাঙন। ঘটনা ফুরিয়ে যায়, অনুভূতি থেকে যায়। এই উপন্যাসের মূল অবলম্বন সেই অনুভব।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।