Discount applied: Discount 20%
“Indian Media : Critical Issues” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রবীন্দ্রনাথ ও মণিপুরী নৃত্য
Publisher: একুশ শতক
₹50
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-rom01
Categories:
প্রবন্ধ, রবীন্দ্র বিষয়ক, সমস্ত বই
একই ধরণের গ্রন্থ
অরণ্য হে
₹150
বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বিকেলের ও বিদেশের প্রতিদিনে সাংবাদিকতা করেছেন। ফোটোগ্রাফি জানেন অল্পবিস্তর। ভ্রমণে অপরিসীম আগ্রহ। জঙ্গলে জীবনের কাব্য খুঁজে বেড়ান। অরণ্য আর পশুপক্ষীপ্রেম তার লেখার প্রেরণা।
আনন্দমেলা, সানন্দা, ভ্রমণ, সাপ্তাহিক বর্তমান ও একুশ শতকে লিখে থাকেন। এই গ্রন্থে ভারতের পাঁচটি নামকরা জঙ্গল ঋতুর রকমফেরের ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা নিয়ে বিবৃত। কখনও ইতিহাস, কখনও আজকের মানুষ তার লেখনীতে প্রেম, ভালােবাসা, ভয়, নিয়মনীতির সামাজিকতায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। অরণ্য হয়ে উঠেছে মূর্ত।
অরণ্য হে
₹150
বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। বিকেলের ও বিদেশের প্রতিদিনে সাংবাদিকতা করেছেন। ফোটোগ্রাফি জানেন অল্পবিস্তর। ভ্রমণে অপরিসীম আগ্রহ। জঙ্গলে জীবনের কাব্য খুঁজে বেড়ান। অরণ্য আর পশুপক্ষীপ্রেম তার লেখার প্রেরণা।
আনন্দমেলা, সানন্দা, ভ্রমণ, সাপ্তাহিক বর্তমান ও একুশ শতকে লিখে থাকেন। এই গ্রন্থে ভারতের পাঁচটি নামকরা জঙ্গল ঋতুর রকমফেরের ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা নিয়ে বিবৃত। কখনও ইতিহাস, কখনও আজকের মানুষ তার লেখনীতে প্রেম, ভালােবাসা, ভয়, নিয়মনীতির সামাজিকতায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। অরণ্য হয়ে উঠেছে মূর্ত।
কারুবাসনার কবি জীবনানন্দ
₹150
বাংলা কাব্যভুবনে রবীন্দ্রনাথ কবিসম্রাট। তার পরে যাঁরা কবি খ্যাতি পেয়েছেন, জনপ্রিয় হয়েছেন তারাও প্রণম্য। কিন্তু রবীন্দ্রযুগের পর কবিতায় জীবনানন্দ-যুগ সৃষ্টির অসামান্য প্রতিভা ও শক্তির পরিচয় দিয়েছেন জীবনানন্দ দাশ। তাই তাকে ঘিরে অজস্র আলােচনা ও গ্রন্থ আজও প্রকাশিত হয়ে চলেছে। বাঙালি কবিরা এখনও পর্যন্ত জীবনানন্দ-প্রাণিত। আমার অন্যতম প্রিয় কবি জীবনানন্দ। আসলে জীবনানন্দ নিয়ে ভাবতে গিয়ে বেশ কিছু লেখা জমে উঠেছিল। সেইসব নতুন লেখার সঙ্গে কয়েকটি পুরনাে লেখা যুক্ত করে কারুবাসনার কবি জীবনানন্দ প্রকাশ করা হলাে। যাঁরা জীবনানন্দকে অগতানুগতিক ভাবে পড়তে ও জানতে চান, মনে করি এই গ্রন্থ তাদের প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ করবে। সহৃদয় সুপাঠকের পাঠপ্রতিক্রিয়া পেলে খুশি হবাে।
কারুবাসনার কবি জীবনানন্দ
₹150
বাংলা কাব্যভুবনে রবীন্দ্রনাথ কবিসম্রাট। তার পরে যাঁরা কবি খ্যাতি পেয়েছেন, জনপ্রিয় হয়েছেন তারাও প্রণম্য। কিন্তু রবীন্দ্রযুগের পর কবিতায় জীবনানন্দ-যুগ সৃষ্টির অসামান্য প্রতিভা ও শক্তির পরিচয় দিয়েছেন জীবনানন্দ দাশ। তাই তাকে ঘিরে অজস্র আলােচনা ও গ্রন্থ আজও প্রকাশিত হয়ে চলেছে। বাঙালি কবিরা এখনও পর্যন্ত জীবনানন্দ-প্রাণিত। আমার অন্যতম প্রিয় কবি জীবনানন্দ। আসলে জীবনানন্দ নিয়ে ভাবতে গিয়ে বেশ কিছু লেখা জমে উঠেছিল। সেইসব নতুন লেখার সঙ্গে কয়েকটি পুরনাে লেখা যুক্ত করে কারুবাসনার কবি জীবনানন্দ প্রকাশ করা হলাে। যাঁরা জীবনানন্দকে অগতানুগতিক ভাবে পড়তে ও জানতে চান, মনে করি এই গ্রন্থ তাদের প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ করবে। সহৃদয় সুপাঠকের পাঠপ্রতিক্রিয়া পেলে খুশি হবাে।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
তেভাগার তিন তীর্থ
₹600
পৃথিবীর আদিমতম লড়াই জমির লড়াই। আজও সে লড়াই অব্যাহত। কখনো জয়, কখনো পরাজয়, কিন্তু লড়াই চলমান। সাম্প্রতিক মহাযুদ্ধে আবার প্রমাণ হল যে, আমাদের দেশে কৃষকরাই প্রকৃত লড়াই করেন এবং তাঁরাই পথ দেখান। প্রকৃতি দেয় জমি। কান্না, ঘাম, রক্তের বিনিময়ে সেই জমিতে ফসল ফলান কৃষকবন্ধুরা। আর সেই ফসল ভোগ করে বলদর্পী জমিদার, জোতদার, মহাজন তথা শক্তিমানেরা। আর কৃষক ঘরে ফেরে শূন্য হাতে। সঙ্গে থাকে বাড়তি ঋণের বোঝা, ক্ষুধা, অনাহার, ক্রমক্ষীয়মান কঙ্কাল সদৃশ রোগপীড়িত দেহ। যুগযুগ ধরে চলতে থাকা এমন ব্যবস্থাকে ‘বিধিলিপি' বলে মেনে নিয়ে কৃষকের মনুষ্যেতর জীবন কেটে যায়। এমন দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অপর নাম তেভাগা আন্দোলন।
এমন নয় যে এর আগে বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়নি। সব আমলেই নিরন্ন, পদদলিত, অপমানিত কৃষক মাথা তুলবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, সেগুলি স্ফুলিঙ্গ থেকে অগ্নিশিখায় পরিণত হতে পারেনি। তেভাগাই বাংলার বুকে প্রথম সুসংগঠিত ব্যাপক বিদ্রোহ—যেখানে যুগলাঞ্ছিত কৃষক সরাসরি রাজশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। তারই বিবরণ রয়েছে আলোচ্য " তেভাগার তিন তীর্থ " বইটিতে। তেভাগা মানে শুধু উৎপন্ন ফসলের ভাগাভাগির হিসেবের লড়াই নয়, তার চেয়েও আরো বড় অন্যকিছু। দেশ বিভাগের কুটিল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধের ডাক এসেছিল এই কৃষক সমাজ থেকেই। সেই পাপ আজও দূর হয়নি, এখনও চলেছে। তাই অভিযাত্রা থামছে না। শোষণ ও সাম্প্রদায়িকতার দুই দুর্লঙ্ঘ্য পাহাড় যতদিন না অপসারিত হয় ততদিন শুধু কৃষকের নয় শ্রমিক, কৃষকসহ সকল শোষিত মানুষের সংগ্রাম চলবেই। আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
অতিদূর সমুদ্রের পর
₹80
প্রকৃতি ও ইতিহাসের তেমন গভীর কোনাে খোঁজখবর না নিয়েই হেমন্তের এক সকালে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে রওনা দিয়েছিলাম আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে। আমার পায়ের তলার ত্বক, হয়তাে বা পাথর ছড়ানাে পথে পথে মাইল মাইল হাঁটার ক্ষতচিহ্নময়, তবে গড়পড়তা শহরে বাঙালির মতাে সরষে সেখানে নেই। তবু যা দেখেছি এ দেশের নানা প্রান্তে, সবকিছুকে কোথায় যেন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছিল আন্দামান, তার প্রকৃতি, মানুষ ও ইতিহাসের নিরিখে। ইতালির রাজনৈতিক দার্শনিক আন্তোনিও গ্রামসি লিখেছিলেন, 'মানুষ আসলে ইতিহাসের পরিণাম, কোনােভাবেই প্রকৃতির নয়। তাঁর সেই লিখনের মানে বােঝার মতাে বাস্তব, আমার মতাে তুচ্ছ মানুষের জীবন চার দশক পেরনাের পর আন্দামানের মাটিতে পা দিতেই আমাকে ধাক্কা দেবে সারাক্ষণ, একথা কল্পনাও করতে পারি নি কখনাে। না, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের নির্বোধ ছাত্র হয়েও নয়, কমিউনিস্ট পরিবারে জন্মে অ-কমিউনিস্ট হয়েও নয়। তবু, ধাক্কা যখন দিল, তখন, যতটা যাওয়া যায়, দ্বীপপুঞ্জের জলে, স্থলে, অভ্যন্তরে, মানবমনের গহনে, যেতে যেন আমাকে হবেই। সেই যাত্রাই বুঝি আমার মতাে মানুষের নিয়তি। পাঁচ বছর আগের আন্দামান সফর তাই, আজও আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তথ্য আর বিশ্লেষণ আর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের মনের খোঁজ পেতে। সংগ্রহ করি বই, সাময়িক ও দৈনিকপত্রে প্রকাশিত সমস্ত খবর। যদি, সে সবের মাধ্যমে ছুঁয়ে থাকতে পারি ওই ইতিহাসের লােকজনদের। ' অতিদূর সমুদ্রের পর ' গ্রন্থটিতে সেই সব তথ্য উঠে এসেছে।
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l