“সমবায়ী পাঠ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
দুখের আখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹130
' দুখের আখ্যান ' উপন্যাসের নায়ক সাত বছর অতিক্রান্ত এক বালক। নাম দুখে। সুন্দরবনের গরান খালি গায়ের থেকে বাবা পঞ্চানন, স্ত্রী গঙ্গা ও তাদের নিয়ে চলে আসে কলকাতায়। সুন্দরবনের ঢাবি, পরে মধু সংগ্রাহক পঞ্চানন আক্রান্ত হন দক্ষিণ রায় বা বাঘের হাতে। চিকিৎসা সূত্রে কলকাতা আসা। এরপর তার কর্মজীবন বাড়ি তৈরীর কাজের। আর গঙ্গা কাজে ঢুকে যায় এক কালি তৈরির কারখানায়। দুখেও কাজ পায় চায়ের দোকানে। বিচিত্র এই জীবন। শহরে সমাজে যেন নিজেকে নিরাবরণ করে দেয় তার সামনে। নিজের কঠোর শ্রম আর এক সহকর্মীর বন্ধুত্বে সে অর্জন করে নেয় আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা।
সুন্দরবনে তার জন্মমুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ। প্রবল এক ঝড়ের রাতে তার জন্ম। যখন বাজপড়া তালগাছের ডগায় আগুন লাগে। তার বাবা হয় সংজ্ঞাহীন। আর তার মা গঙ্গার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য দেখা দেন বনবিবি। তিনি প্রায় অচৈতন্য গঙ্গাকে উপহার দিয়ে যান দুখেকে। আর সুন্দরবনের এক লােককথা বা মিথ বনবিবি, জঙ্গলী শা, ধােনাই-দুখের আখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় দুখের জীবন। গােড়াতে সুন্দরবন পরে মহানগর কলকাতার বিচিত্র যােগাযােগে এই মিথের আশ্চর্য উন্মােচন ঘটে দুখের জীবনে। এক লােককথা নতুন তাৎপর্য নিয়ে জড়িয়ে যায় গােটা উপন্যাসে। যা আবহমানকালের এক আশ্চর্য সমাজসত্য।
দুখের আখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹130
' দুখের আখ্যান ' উপন্যাসের নায়ক সাত বছর অতিক্রান্ত এক বালক। নাম দুখে। সুন্দরবনের গরান খালি গায়ের থেকে বাবা পঞ্চানন, স্ত্রী গঙ্গা ও তাদের নিয়ে চলে আসে কলকাতায়। সুন্দরবনের ঢাবি, পরে মধু সংগ্রাহক পঞ্চানন আক্রান্ত হন দক্ষিণ রায় বা বাঘের হাতে। চিকিৎসা সূত্রে কলকাতা আসা। এরপর তার কর্মজীবন বাড়ি তৈরীর কাজের। আর গঙ্গা কাজে ঢুকে যায় এক কালি তৈরির কারখানায়। দুখেও কাজ পায় চায়ের দোকানে। বিচিত্র এই জীবন। শহরে সমাজে যেন নিজেকে নিরাবরণ করে দেয় তার সামনে। নিজের কঠোর শ্রম আর এক সহকর্মীর বন্ধুত্বে সে অর্জন করে নেয় আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা।
সুন্দরবনে তার জন্মমুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ। প্রবল এক ঝড়ের রাতে তার জন্ম। যখন বাজপড়া তালগাছের ডগায় আগুন লাগে। তার বাবা হয় সংজ্ঞাহীন। আর তার মা গঙ্গার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য দেখা দেন বনবিবি। তিনি প্রায় অচৈতন্য গঙ্গাকে উপহার দিয়ে যান দুখেকে। আর সুন্দরবনের এক লােককথা বা মিথ বনবিবি, জঙ্গলী শা, ধােনাই-দুখের আখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় দুখের জীবন। গােড়াতে সুন্দরবন পরে মহানগর কলকাতার বিচিত্র যােগাযােগে এই মিথের আশ্চর্য উন্মােচন ঘটে দুখের জীবনে। এক লােককথা নতুন তাৎপর্য নিয়ে জড়িয়ে যায় গােটা উপন্যাসে। যা আবহমানকালের এক আশ্চর্য সমাজসত্য।
নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প
By তৃষ্ণা বসাক
₹200
তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী অনুবাদকর্মে তিনি প্রতিমুহুর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সমস্ত গল্পগুলি থেকে শুধুমাত্র পঁচিশটি নির্বাচিত গল্প নিয়ে প্রকাশিত হল ' নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প ' সংকলনটি। স্থান পেয়েছে মৃদু বসন্ত ও কয়েকটি বেড়াল, জলযাচক, অমেরুদণ্ডী এবং বৃষ্টি আসবে এর মতো কিছু উল্লেখযোগ্য এবং সারা জাগানো গল্প।
নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প
By তৃষ্ণা বসাক
₹200
তৃষ্ণা বসাক এই সময়ের বাংলা সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ কবি ও কথাকার। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, কল্পবিজ্ঞান, মৈথিলী অনুবাদকর্মে তিনি প্রতিমুহুর্তে পাঠকের সামনে খুলে দিচ্ছেন অনাস্বাদিত জগৎ। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত সমস্ত গল্পগুলি থেকে শুধুমাত্র পঁচিশটি নির্বাচিত গল্প নিয়ে প্রকাশিত হল ' নির্বাচিত পঁচিশটি গল্প ' সংকলনটি। স্থান পেয়েছে মৃদু বসন্ত ও কয়েকটি বেড়াল, জলযাচক, অমেরুদণ্ডী এবং বৃষ্টি আসবে এর মতো কিছু উল্লেখযোগ্য এবং সারা জাগানো গল্প।
বার্ষিকীর বারান্দা
₹200
আমাদের ছোটোদের সাহিত্য অতীব সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির আড়ালে বার্ষিকীর ভূমিকাও কম নয়। স্মরণীয় বহু ছোটোদের লেখার প্রথমপাঠ লুকিয়ে রয়েছে ছিন্ন-জীর্ণ হারানো-পুরোনো বার্ষিকীতে। বছর-বছর প্রকাশিত এই সব বার্ষিকীর পাতায় পাতায় কত না বিস্ময়। ১৩২৫-এ ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের কথা ভেবে বার্ষিকী প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরই সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম বার্ষিকী ‘পার্বণী’ প্রকাশিত হয়েছিল, শারদোৎসবের প্রাক্কালে। প্রকাশমাত্রই অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রবীন্দ্রজামাতার হাত ধরেই ছোটোদের সাহিত্যের নতুন এক দরজা খুলে যায়। গলি, মেঠোপথ, পিচপথ পেরিয়ে দাঁড়ায় উন্মুক্ত এক প্রাঙ্গণে। সন্দেহ নেই যে, এর ফলে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পরিসর অনেক বিস্তৃত হয়েছিল।
এখন আর পুজোর মুখে নতুন লেখার ডালি সাজিয়ে সে-ভাবে বার্ষিকী প্রকাশিত হয় না। দু-একটি যদিও বা প্রকাশিত হয়, তা পুরোনো লেখারই পুনর্মুদ্রণ। বার্ষিকী নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক বার্ষিকীই এখন সুলভ নয়। তাই বার্ষিকীর হারানো ইতিহাস ফিরে দেখতে চেয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বার্ষিকীর এই বারান্দায় দাঁড়ালে, লেখাগুলি পড়লে ছোটোরা জানতে পারবে আমাদের শিশু-কিশোর সাহিত্যের সমৃদ্ধির ইতিহাস। মনে মনে তারা নিশ্চয়ই গৌরববোধ করবে, কত সোনার ফসল তাদের জন্য ছড়ানো রয়েছে। বড়োরা অনায়াসে পেয়ে যাবেন অনেক স্মরণীয় রচনার প্রথম প্রকাশের হদিশ। স্পষ্ট হয়ে উঠবে বার্ষিকীর প্রবহমানতা, খানিক ইতিহাস। ধারাবাহিকতা রেখে সব বার্ষিকীর কথা লেখা না হলেও অনেকখানিই তুলে ধরা হয়েছে " বার্ষিকীর বারান্দা " গ্রন্থে।
বার্ষিকীর বারান্দা
₹200
আমাদের ছোটোদের সাহিত্য অতীব সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির আড়ালে বার্ষিকীর ভূমিকাও কম নয়। স্মরণীয় বহু ছোটোদের লেখার প্রথমপাঠ লুকিয়ে রয়েছে ছিন্ন-জীর্ণ হারানো-পুরোনো বার্ষিকীতে। বছর-বছর প্রকাশিত এই সব বার্ষিকীর পাতায় পাতায় কত না বিস্ময়। ১৩২৫-এ ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের কথা ভেবে বার্ষিকী প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরই সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম বার্ষিকী ‘পার্বণী’ প্রকাশিত হয়েছিল, শারদোৎসবের প্রাক্কালে। প্রকাশমাত্রই অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রবীন্দ্রজামাতার হাত ধরেই ছোটোদের সাহিত্যের নতুন এক দরজা খুলে যায়। গলি, মেঠোপথ, পিচপথ পেরিয়ে দাঁড়ায় উন্মুক্ত এক প্রাঙ্গণে। সন্দেহ নেই যে, এর ফলে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পরিসর অনেক বিস্তৃত হয়েছিল।
এখন আর পুজোর মুখে নতুন লেখার ডালি সাজিয়ে সে-ভাবে বার্ষিকী প্রকাশিত হয় না। দু-একটি যদিও বা প্রকাশিত হয়, তা পুরোনো লেখারই পুনর্মুদ্রণ। বার্ষিকী নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক বার্ষিকীই এখন সুলভ নয়। তাই বার্ষিকীর হারানো ইতিহাস ফিরে দেখতে চেয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বার্ষিকীর এই বারান্দায় দাঁড়ালে, লেখাগুলি পড়লে ছোটোরা জানতে পারবে আমাদের শিশু-কিশোর সাহিত্যের সমৃদ্ধির ইতিহাস। মনে মনে তারা নিশ্চয়ই গৌরববোধ করবে, কত সোনার ফসল তাদের জন্য ছড়ানো রয়েছে। বড়োরা অনায়াসে পেয়ে যাবেন অনেক স্মরণীয় রচনার প্রথম প্রকাশের হদিশ। স্পষ্ট হয়ে উঠবে বার্ষিকীর প্রবহমানতা, খানিক ইতিহাস। ধারাবাহিকতা রেখে সব বার্ষিকীর কথা লেখা না হলেও অনেকখানিই তুলে ধরা হয়েছে " বার্ষিকীর বারান্দা " গ্রন্থে।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।