Add to Wishlist
শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে
Publisher: একুশ শতক
₹100
“শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে” কবি সুনন্দ অধিকারী ষষ্ঠ কাব্যগ্ৰন্থ। আশা করা যায় এই গ্ৰন্থটিও পূর্বের মতোই পাঠক সমাদৃত হবে। এখানে কবির ব্যক্তিগত যাপন অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাবে কাব্যাকারে প্রকাশিত হয়েছে যেমন। অন্যদিকে আবার ফুটে উঠেছে বর্তমান সময়ের চালচিত্র। বেশ কিছু কবিতায় স্পষ্ট সুররিয়ালিজমের ছোঁয়া।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-sgpa01
“শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ার আগে” কবি সুনন্দ অধিকারী ষষ্ঠ কাব্যগ্ৰন্থ। আশা করা যায় এই গ্ৰন্থটিও পূর্বের মতোই পাঠক সমাদৃত হবে। এখানে কবির ব্যক্তিগত যাপন অভিজ্ঞতা অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাবে কাব্যাকারে প্রকাশিত হয়েছে যেমন। অন্যদিকে আবার ফুটে উঠেছে বর্তমান সময়ের চালচিত্র। বেশ কিছু কবিতায় স্পষ্ট সুররিয়ালিজমের ছোঁয়া।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
পুরুলিয়ার মন্দির
₹300
পুরুলিয়া জেলার মন্দির স্থাপত্যের হাজার বছরের ব্যাখ্যা ও মননশীল বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। জেলার প্রস্তর নির্মিত শিখর মন্দির, পীড়া মন্দির, চারচালা, আটচালা, পঞ্চরত্ন মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরগুলির চিত্রসহ ও বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় ৭০ টি মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গ্রন্থের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
পুরুলিয়ার মন্দির
₹300
পুরুলিয়া জেলার মন্দির স্থাপত্যের হাজার বছরের ব্যাখ্যা ও মননশীল বিশ্লেষণ এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে। জেলার প্রস্তর নির্মিত শিখর মন্দির, পীড়া মন্দির, চারচালা, আটচালা, পঞ্চরত্ন মন্দির, জোড়বাংলা মন্দিরগুলির চিত্রসহ ও বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রায় ৭০ টি মন্দির সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গ্রন্থের মর্যাদা বাড়িয়েছে।
বাংলা গীতিকার রূপতাত্ত্বিক ও গঠনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
₹150
আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত ‘মৈমনসিংহগীতিকা' এবং 'পূর্ববঙ্গগীতিকা' র সমস্ত রচনাকে বৈজ্ঞানিক ও পাশ্চাত্য লােকবিজ্ঞানের আলােকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে আলােচনা করা হয়েছে ' বাংলা গীতিকার রূপতাত্ত্বিক ও গঠনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ' গ্রন্থে যা ইতিপূর্বে এই উপমহাদেশে চোখে পড়ে নাই।
গ্রন্থের প্রত্যেকটি পরবর্তী পরিচ্ছেদই অব্যবহিত পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদের অপরিহার্য স্তর। উপযুক্ত নির্দেশিকা থাকায় বিষয়কে বুঝতেও সুবিধা হয়। দীনেশচন্দ্রের সঙ্গে অন্যান্য সংগ্রাহক, সম্পাদকের গীতিকার Motif, Motifeme এর সাদৃশ্য ও পার্থক্য, লােককথা ও গীতিকার তুলনা, শিষ্ট সাহিত্যের সঙ্গে গীতিকার তুলনামূলক আলােচনা ভাষা ও রূপতত্ত্ব ও গঠনত্ত্বের দিক থেকে বিশ্লেষণ করে এই তরুণ গবেষক গীতিকার একটি সার্বিক আলােচনা করেছেন। নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণ বুদ্ধি, তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং কঠোর শ্রমের দ্বারা এই দুরূহ কার্য সম্পাদন করেছেন অত্যন্ত সহজ, সরল ভাষায়। ফলে শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক, সাধারণ পাঠক সকলেই বইটি পড়ে তাত্ত্বিক ও রূপগত দিক থেকে আনন্দ লাভ করবেন। বইটি বাংলার লােকসংস্কৃতি চর্চার এক নতুন দ্বিগ্নলয়ের সন্ধান দেয়।
বাংলা গীতিকার রূপতাত্ত্বিক ও গঠনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
₹150
আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত ‘মৈমনসিংহগীতিকা' এবং 'পূর্ববঙ্গগীতিকা' র সমস্ত রচনাকে বৈজ্ঞানিক ও পাশ্চাত্য লােকবিজ্ঞানের আলােকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে আলােচনা করা হয়েছে ' বাংলা গীতিকার রূপতাত্ত্বিক ও গঠনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ' গ্রন্থে যা ইতিপূর্বে এই উপমহাদেশে চোখে পড়ে নাই।
গ্রন্থের প্রত্যেকটি পরবর্তী পরিচ্ছেদই অব্যবহিত পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদের অপরিহার্য স্তর। উপযুক্ত নির্দেশিকা থাকায় বিষয়কে বুঝতেও সুবিধা হয়। দীনেশচন্দ্রের সঙ্গে অন্যান্য সংগ্রাহক, সম্পাদকের গীতিকার Motif, Motifeme এর সাদৃশ্য ও পার্থক্য, লােককথা ও গীতিকার তুলনা, শিষ্ট সাহিত্যের সঙ্গে গীতিকার তুলনামূলক আলােচনা ভাষা ও রূপতত্ত্ব ও গঠনত্ত্বের দিক থেকে বিশ্লেষণ করে এই তরুণ গবেষক গীতিকার একটি সার্বিক আলােচনা করেছেন। নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণ বুদ্ধি, তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং কঠোর শ্রমের দ্বারা এই দুরূহ কার্য সম্পাদন করেছেন অত্যন্ত সহজ, সরল ভাষায়। ফলে শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক, সাধারণ পাঠক সকলেই বইটি পড়ে তাত্ত্বিক ও রূপগত দিক থেকে আনন্দ লাভ করবেন। বইটি বাংলার লােকসংস্কৃতি চর্চার এক নতুন দ্বিগ্নলয়ের সন্ধান দেয়।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।
মধ্যযুগের বাংলা কাব্য – মন্দ মধুর হাওয়া
₹250
বঙ্গপ্রদেশে তুর্কি-আক্রমণ বাঙালির সমাজ-সংস্কৃতির ঐতিহ্যময় শিকড়ে যে গভীর ক্ষতের জন্ম দিয়েছিল—তাকে অস্বীকার করে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতি-প্রকৃতি নির্ণীত হতে পারেনি। তুর্কি-শাসন পরবর্তী প্রায় সাড়ে পাঁচশাে বছরের বাঙালি তার প্রাচীন-ঐতিহ্যের সঙ্গে সংঘাত ও আপােসের মধ্য দিয়ে স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে নিরন্তর সচেষ্ট থেকেছে। বঙ্গপ্রদেশের অধিবাসী বাঙালি হলেও সেই বাঙালি কখনাে অভিন্ন জাতিসত্তায় বিকশিত হতে পারেনি-তার নানাবিধ উচ্চারণ ওই প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে শােনা যায়। মধ্যযুগীয় সেই বঙ্গপ্রদেশ আজ পুবে-পশ্চিমে ধর্মীয় বাতাবরণে বিভাজিত।
হিন্দু-বাঙালির মন মধ্যযুগীয় মন্দ-মধুর হাওয়ায় সৃজন করতে চেয়েছে আপন সত্তা—আর সে-সত্তার গঠন ইসলামের সঙ্গে পার্থক্য তৈরির মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চারিত হয়েছে। যদিও ইসলামি-সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে সেদিনের সাহিত্য স্ফুর্তিলাভ করতে পারেনি। এই উত্তরাধুনিক সময়েও সেই অতীতের পুনরাবৃত্তি কিংবা তাকে স্মরণ করলে মধ্যযুগের সাহিত্যের পাঠ অসম্পূর্ণ থেকে যায় - সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না । অ-বিরুনির কথায়—“শিক্ষা হল পুনরাবৃত্তির সুফল। এ-গ্রন্থ প্রকল্পে বাঙালির সমাজ-ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সে-কথাই উচ্চারিত হতে দেখা যাবে।