“উপন্যাসে ছত্তিশগড়” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
সংকট : সংহতি ও রবীন্দ্রনাথ
Publisher: একুশ শতক
₹80
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
পথের বিদ্যুৎ
By স্বপন শর্মা
₹200
জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষ ভিড়ঠাসা ট্রেনে কি কষ্টই না সহ্য করেন। তবু কারও কারও হাস্যরস অব্যাহত। আছে সহমর্মিতা, আছে ঝগড়া আবার কদাচিৎ হাতাহাতি। এই অভিজ্ঞতাই কবিতা রূপে তুলে ধরেছেন স্বপন শর্মা তার পথের বিদ্যুৎ বইটি তে।
পথের বিদ্যুৎ
By স্বপন শর্মা
₹200
জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষ ভিড়ঠাসা ট্রেনে কি কষ্টই না সহ্য করেন। তবু কারও কারও হাস্যরস অব্যাহত। আছে সহমর্মিতা, আছে ঝগড়া আবার কদাচিৎ হাতাহাতি। এই অভিজ্ঞতাই কবিতা রূপে তুলে ধরেছেন স্বপন শর্মা তার পথের বিদ্যুৎ বইটি তে।
কলকাতার স্থাননাম
₹250
আজকের মহানগর কলকাতার বৈভবশালী চাকচিক্যের পিছনে যে দীর্ঘসময়ের বিবর্তনের চিত্রটা রয়েছে সেটা ধরা পড়ে তার স্থাননাম বিশ্লেষণের মাধ্যমেই। পুকুর, বাগান, পাড়া, তলা-অন্তিক স্থাননামগুলি আজও বহন করছে তার গ্রামীণ-জীবনের পরিচয়। কিন্তু সেভাবে কলকাতার স্থাননাম নিয়ে পৃথকভাবে কোন কাজ হয়নি। সামগ্রিক স্থাননামের আলােচনা প্রসঙ্গে কখনাে কখনাে কলকাতার স্থাননামের কথা এসেছে। শুধু কলকাতার স্থাননাম নিয়ে সম্ভবত প্রথম বই।
কলকাতার স্থাননাম
₹250
আজকের মহানগর কলকাতার বৈভবশালী চাকচিক্যের পিছনে যে দীর্ঘসময়ের বিবর্তনের চিত্রটা রয়েছে সেটা ধরা পড়ে তার স্থাননাম বিশ্লেষণের মাধ্যমেই। পুকুর, বাগান, পাড়া, তলা-অন্তিক স্থাননামগুলি আজও বহন করছে তার গ্রামীণ-জীবনের পরিচয়। কিন্তু সেভাবে কলকাতার স্থাননাম নিয়ে পৃথকভাবে কোন কাজ হয়নি। সামগ্রিক স্থাননামের আলােচনা প্রসঙ্গে কখনাে কখনাে কলকাতার স্থাননামের কথা এসেছে। শুধু কলকাতার স্থাননাম নিয়ে সম্ভবত প্রথম বই।
রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা
₹200
ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে গৌতম বুদ্ধই একমাত্র মহামানব যাঁর চারিত্রমহিমায় আকৃষ্ট রবীন্দ্রনাথ তার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতিকে জীবনে গভীরভাবে উপলব্ধি করে তাকে জাতীয় জীবনে স্থান দিয়েছেন। রবীন্দ্রসাহিত্যে বুদ্ধ যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাসাহিত্যে তার তুলনা নেই। রবীন্দ্রনাথের কথায় : এই পৃথিবীতে আমরা রাজা নই, সৈনিক নই, বণিক নই, আমরা ভিক্ষু। আমাদের বুদ্ধ ছিলেন ভিক্ষু, আমাদের দেশের যারা পূজ্যতম ঋষি ছিলেন তাঁরা ছিলেন ভিক্ষু -তাঁরা ধনের শৃঙ্খল গলায় পরেননি বলেই রক্ষা পেয়েছেন এবং রক্ষা করেছেন। বিশ্বমানবের সংজ্ঞায় রবীন্দ্রনাথের কাছে বুদ্ধ ছিলেন একান্তভাবে অপরিহার্য নাম।
গৌতম বুদ্ধ ও রবীন্দ্রনাথ উভয়েই স্বদেশ, স্বকাল সমুত্তীর্ণ হয়ে সর্বকালীন ব্যক্তিত্বে ইতিহাসে চির উদ্ভাসিত। সময়ের ভাবনার বৃত্তে যেমন তেমনি সময়ােত্তীর্ণ ভাবনার বৃত্তে উভয়েরই ভূমিকা অনিঃশেষ।
' রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা ' গ্রন্থে নানা রচনায় রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চাকে খুজে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে; ১৬ জন প্রাবন্ধিকের লেখায় যা ধরা পড়েছে বিভিন্ন ভাবে ও ভাবনায়।
রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা
₹200
ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে গৌতম বুদ্ধই একমাত্র মহামানব যাঁর চারিত্রমহিমায় আকৃষ্ট রবীন্দ্রনাথ তার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বৌদ্ধ ধর্ম ও সংস্কৃতিকে জীবনে গভীরভাবে উপলব্ধি করে তাকে জাতীয় জীবনে স্থান দিয়েছেন। রবীন্দ্রসাহিত্যে বুদ্ধ যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে বাংলাসাহিত্যে তার তুলনা নেই। রবীন্দ্রনাথের কথায় : এই পৃথিবীতে আমরা রাজা নই, সৈনিক নই, বণিক নই, আমরা ভিক্ষু। আমাদের বুদ্ধ ছিলেন ভিক্ষু, আমাদের দেশের যারা পূজ্যতম ঋষি ছিলেন তাঁরা ছিলেন ভিক্ষু -তাঁরা ধনের শৃঙ্খল গলায় পরেননি বলেই রক্ষা পেয়েছেন এবং রক্ষা করেছেন। বিশ্বমানবের সংজ্ঞায় রবীন্দ্রনাথের কাছে বুদ্ধ ছিলেন একান্তভাবে অপরিহার্য নাম।
গৌতম বুদ্ধ ও রবীন্দ্রনাথ উভয়েই স্বদেশ, স্বকাল সমুত্তীর্ণ হয়ে সর্বকালীন ব্যক্তিত্বে ইতিহাসে চির উদ্ভাসিত। সময়ের ভাবনার বৃত্তে যেমন তেমনি সময়ােত্তীর্ণ ভাবনার বৃত্তে উভয়েরই ভূমিকা অনিঃশেষ।
' রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চা ' গ্রন্থে নানা রচনায় রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধচর্চাকে খুজে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে; ১৬ জন প্রাবন্ধিকের লেখায় যা ধরা পড়েছে বিভিন্ন ভাবে ও ভাবনায়।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
প্রহর শেষে
₹100
সঙ্গীত, বহমান সময়, প্রেম ও নিঃসঙ্গতার সুক্ষ্ম সংযোগের কাহিনী ‘প্রহর শেষে'। এ উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে পরজ। রাত্রি শেষ প্রহরে জন্ম তার। মার্গ সঙ্গীত শিক্ষার্থী বাবা স্বপ্ন দেখতেন পরজ-এর দিনরাত্রি যাপন হবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধনায়। প্রহর থেকে প্রহরে সে ডুবে থাকবে ভৈরবী, পুরবী, ইমন আর দরবারীর সুরে। শৈশব ও কৈশোরে বাবার বদলির চাকরি আর তারপর নিজের কর্মজীবনে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়ায় পরজ। প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব বর্ণ, গন্ধ আর সৌরভে ভরা। আবার প্রতিটি অবস্থানেই থাকে তার নিজস্ব নিভৃত নির্জন নিঃসঙ্গতা। এ যেন এক সুর থেকে অন্য সুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া। এক রাগে অন্য রাগের আবির্ভাব ও তিরোভাব।
ছায়ানট ও হাম্বীরের পাশেই যেমন কেদার ও কামোদের অবস্থান, ঠিক তেমনই পরজের কৈশোরে ঝঙ্কার তোলে রহস্য ঘেরা এক প্রায়-তরুণী মধুবস্ত্রী। কৈশোরের প্রথম উদ্ভাসে তা ছিল নিষিদ্ধতার গোপন শিহরণ। কলকাতায় এসে গান শিখে ফেরার পথে অবস্তিকাদির চোখের তারার ইমনের ঘন ছায়ায় অজান্তেই প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম। পূর্ণ যৌবনে রূপলেখার সান্নিধ্যের বিষন্ন বেহাগ। পরজ অনুভব করে তীব্র সুখে মিশে থাকে যন্ত্রণার অনুভূতি। সে জানতে পারে, 'চালতে চালতে অনজানে মে রিস্তা বন্ যাতা হ্যায়'। চলার পথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশ্চর্য সব মানুষের সঙ্গে। এঁরা কেউ বা গায়ক, কেউ বা শ্রোতা। কিন্তু মার্গ সঙ্গীতের আশ্চর্য মীড়, সুত, ঘসিট এক জীবনের সঙ্গে অন্য জীবনকে গেঁথে ‘প্রহর শেষে’ রেখে যায় এক অতুলনীয় মূর্ছনা। প্রহর থেকে প্রহরাস্তরে উপন্যাস ‘প্রহর শেষে’ কি পারবে নিঃসঙ্গতার শেষ প্রহরের সুরে সুর মেলাতে?
প্রহর শেষে
₹100
সঙ্গীত, বহমান সময়, প্রেম ও নিঃসঙ্গতার সুক্ষ্ম সংযোগের কাহিনী ‘প্রহর শেষে'। এ উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে পরজ। রাত্রি শেষ প্রহরে জন্ম তার। মার্গ সঙ্গীত শিক্ষার্থী বাবা স্বপ্ন দেখতেন পরজ-এর দিনরাত্রি যাপন হবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সাধনায়। প্রহর থেকে প্রহরে সে ডুবে থাকবে ভৈরবী, পুরবী, ইমন আর দরবারীর সুরে। শৈশব ও কৈশোরে বাবার বদলির চাকরি আর তারপর নিজের কর্মজীবনে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়ায় পরজ। প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব বর্ণ, গন্ধ আর সৌরভে ভরা। আবার প্রতিটি অবস্থানেই থাকে তার নিজস্ব নিভৃত নির্জন নিঃসঙ্গতা। এ যেন এক সুর থেকে অন্য সুর ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া। এক রাগে অন্য রাগের আবির্ভাব ও তিরোভাব।
ছায়ানট ও হাম্বীরের পাশেই যেমন কেদার ও কামোদের অবস্থান, ঠিক তেমনই পরজের কৈশোরে ঝঙ্কার তোলে রহস্য ঘেরা এক প্রায়-তরুণী মধুবস্ত্রী। কৈশোরের প্রথম উদ্ভাসে তা ছিল নিষিদ্ধতার গোপন শিহরণ। কলকাতায় এসে গান শিখে ফেরার পথে অবস্তিকাদির চোখের তারার ইমনের ঘন ছায়ায় অজান্তেই প্রেমের অঙ্কুরোদ্গম। পূর্ণ যৌবনে রূপলেখার সান্নিধ্যের বিষন্ন বেহাগ। পরজ অনুভব করে তীব্র সুখে মিশে থাকে যন্ত্রণার অনুভূতি। সে জানতে পারে, 'চালতে চালতে অনজানে মে রিস্তা বন্ যাতা হ্যায়'। চলার পথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আশ্চর্য সব মানুষের সঙ্গে। এঁরা কেউ বা গায়ক, কেউ বা শ্রোতা। কিন্তু মার্গ সঙ্গীতের আশ্চর্য মীড়, সুত, ঘসিট এক জীবনের সঙ্গে অন্য জীবনকে গেঁথে ‘প্রহর শেষে’ রেখে যায় এক অতুলনীয় মূর্ছনা। প্রহর থেকে প্রহরাস্তরে উপন্যাস ‘প্রহর শেষে’ কি পারবে নিঃসঙ্গতার শেষ প্রহরের সুরে সুর মেলাতে?