কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।