যে কোনো অর্ডারে ২০% ছাড়
SAFE & SECURE PAYMENT
Filter
তপোধীর ভট্টাচার্য সমবায়ী পাঠ
Quick View
Add to Wishlist
CompareCompare
Add to cartView cart

সমবায়ী পাঠ

600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে  নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য। শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
তপোধীর ভট্টাচার্য সমবায়ী পাঠ
Quick View
Add to Wishlist

সমবায়ী পাঠ

600
এই বিনির্মাণবাদী লেখকের ভেতরে বাস করে যে 'অন্য মানুষ', তার সৃষ্টির সাগরগর্ভে সন্ধানী আলো ফেলে মণি মুক্তো-প্রবালবেলা খোঁজ নেওয়াই এই সমবায়ী পাঠের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কেন এই লক্ষ্যভেদের প্রয়াস এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা এখানে জরুরি। ছোটোগল্প দিয়ে যাঁর বহুগামী সৃষ্টিপথের প্রথম পা ফেলা, কবিতা যাঁর প্রথম পছন্দ, তার প্রবন্ধ ও সমালোচনার নতুন ধারা আজ বাংলা সাহিত্যে নবদিগন্তের উন্মোচক। শেষোক্ত শব্দদুটি খুব ভেবেচিন্তেই ব্যবহার করা হল এখানে। এতদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার যে-ধারা চলে আসছিল, সেই ধারায় তথ্যের বিস্ফোরণ ছিল, পাণ্ডিত্য ছিল, কিন্তু চিন্তা ছিল কখনো অতীতচারী ও ধ্বংসপ্রবণ, কখনো বা অবক্ষয়ী। মাথার ওপরে রবীন্দ্রনাথ এবং তৎসঙ্গে দু-একজনের ব্যতিক্রমী চিন্তাকে বাদ দিলে বাখতিন কথিত 'seeing eye' প্রায় কারোরই ছিল না। ছিল না মুল্যবোধগত অবস্থান থেকে সাহিত্য-বিচারের মানদণ্ড। রেনেসাঁর হাত ধরে গড়ে ওঠা বঙ্গীয় আধুনিকতা সমালোচনার যে মাপকাঠিটি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল তা ছিল নাকের বিপরীতে  নরুণ। আর ঐ নরুনের আমদানি হয়েছিল সাত সাগর পাড়ি দিয়ে আসা ঔপনিবেশিক শক্তির শিল্প বিপ্লবোত্তর জাহাজে করে। উপনিবেশীকৃত চেতনায় দেশীয় আধার ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল ক্রমশ। অবক্ষয়ী আধুনিকতার করোনিয়াজনিত রোগে দেখার চোখ ক্রমশ অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এহেন দুর্দিনে পশ্চিমের জানালা থেকে আলো আহরণ করে বাংলা সাহিত্যে সমালোচনার ধারায় নতুন চক্ষুদান করলেন যে চক্ষুষ্মান সেই অন্য মানুষ’-এর নাম তপোধীর ভট্টাচার্য। শুধু তত্ত্ব নয়, বাংলা সাহিত্যের সমালোচনার ক্ষেত্রে সেই তত্ত্বের প্রয়োগ যে বিকল্প নন্দনের দ্যুতি ছড়িয়েছে তা এককথায় অপূর্ব। সাংস্কৃতিক যুদ্ধের ময়দানে সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বিপথগামিতা ও ষড়যন্ত্রকে বাপধোলা তলোয়ারের সুশিক্ষিত চালনায় জয় করে নিয়ে বীক্ষণের নব ভাগীরথীধারা বইয়ে দিয়েছেন যে-ভগীরথ তাঁর সৃষ্টির ভুবনটিকে চিনে নেওয়াটা আজ আগামীকালের জন্যে খুবই জরুরি।
Add to cartView cart
Select the fields to be shown. Others will be hidden. Drag and drop to rearrange the order.
  • Image
  • SKU
  • Rating
  • Price
  • Stock
  • Availability
  • Add to cart
  • Description
  • Content
  • Weight
  • Dimensions
  • Additional information
Click outside to hide the comparison bar
Compare
    0
    Your Cart
    Your cart is emptyReturn to Shop
    ×