“গোধূলিতে ভোরের স্মৃতি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
রাড় বাংলা দুঃখিনী মা আমার
By অমিত রায়
Publisher: একুশ শতক
₹200
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES - dukhhini ma amar 001
রাড় বাংলার প্রকৃতি ও লোকজীবনের সঙ্গে মিশে থাকে শহরের প্রাত্যহিক জীবন। এই প্রত্যক্ষতা ও সংকটের কথা তিনি ছন্দে নিয়ে আসেন সচেতন ভাবেই। ঐতিহ্যের এই পরম্পরা তার কবিতার স্বভূমি। কবিতার আদিগন্ত আকাশ।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মুখোমুখি তারাশঙ্কর
₹350
তারাশঙ্কর রবীন্দ্র সান্নিধ্যে উপনীত হবেন—এ অত্যন্ত স্বাভাবিক কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সন্তানসম সাহিত্যিক তারাশঙ্করের সাহিত্য পাঠে কাব্যদৃষ্টিতে নবচিন্তার রসদ পাবেন তারাশঙ্কর অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন এ আমাদের কাছে বড় বিস্ময়ের মনে হয়। তেমনি সাহিত্যিক শৈলজানন্দকে অনুসরণ করেই তারাশঙ্কর যে নতুন পথের দিশা পেয়েছিলেন—এ কথা তিনি নিজেই জানিয়ে গিয়েছেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে তারাশঙ্করের জাতীয় চিন্তা ও চেতনার বিষয়টি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। গান্ধীবাদী তারাশঙ্কর কেন বামশিবিরে যুক্ত হয়েছিলেন আবার কেনই বা সেখান থেকে তিনি সরে আসেন তারও অনুসন্ধান করতে চেয়েছি আমরা।
তেমনি বাংলা ভাষা এবং অসমে অত্যাচারিত বাঙালির জন্য তারাশঙ্করের মসীযুদ্ধ; বিদেশে সাহিত্য সম্মেলনে ছত্রিশটি দেশের বিরুদ্ধে তারাশঙ্কর কিভাবে ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির পক্ষে মুখোমুখি ভয়ঙ্কর লড়াই করেছিলেন তার এক বিশেষ অনুসন্ধান এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কোন মুখাপেক্ষি হয়ে বিধান পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর কাশী গিয়েছিলেন, কার এবং কিসের মুখাপেক্ষি হয়ে তিনি রামায়ণ গবেষণায় রত হয়েছিলেন - এই সব ভিন্নমাত্রিক বিচিত্র বিষয় নিয়ে নিবন্ধগুলি রচিত হয়েছে।
মুখোমুখি তারাশঙ্কর
₹350
তারাশঙ্কর রবীন্দ্র সান্নিধ্যে উপনীত হবেন—এ অত্যন্ত স্বাভাবিক কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সন্তানসম সাহিত্যিক তারাশঙ্করের সাহিত্য পাঠে কাব্যদৃষ্টিতে নবচিন্তার রসদ পাবেন তারাশঙ্কর অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন এ আমাদের কাছে বড় বিস্ময়ের মনে হয়। তেমনি সাহিত্যিক শৈলজানন্দকে অনুসরণ করেই তারাশঙ্কর যে নতুন পথের দিশা পেয়েছিলেন—এ কথা তিনি নিজেই জানিয়ে গিয়েছেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে তারাশঙ্করের জাতীয় চিন্তা ও চেতনার বিষয়টি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। গান্ধীবাদী তারাশঙ্কর কেন বামশিবিরে যুক্ত হয়েছিলেন আবার কেনই বা সেখান থেকে তিনি সরে আসেন তারও অনুসন্ধান করতে চেয়েছি আমরা।
তেমনি বাংলা ভাষা এবং অসমে অত্যাচারিত বাঙালির জন্য তারাশঙ্করের মসীযুদ্ধ; বিদেশে সাহিত্য সম্মেলনে ছত্রিশটি দেশের বিরুদ্ধে তারাশঙ্কর কিভাবে ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির পক্ষে মুখোমুখি ভয়ঙ্কর লড়াই করেছিলেন তার এক বিশেষ অনুসন্ধান এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কোন মুখাপেক্ষি হয়ে বিধান পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর কাশী গিয়েছিলেন, কার এবং কিসের মুখাপেক্ষি হয়ে তিনি রামায়ণ গবেষণায় রত হয়েছিলেন - এই সব ভিন্নমাত্রিক বিচিত্র বিষয় নিয়ে নিবন্ধগুলি রচিত হয়েছে।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ
By জয়ন্ত রায়
₹1,200
‘রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ' একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। গতানুগতিক জীবনীর বাইরে ভারতপথিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ের ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আজকের এই সমকালীন সময়কালের পাশাপাশি যুগনায়ক রামমোহনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছে গ্রন্থে। রামমোহন রায় যে নিছক ধর্মগুরু ছিলেন না, তাঁর কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিক যুগের নবজাগরণ এসেছিল, সে কথা উঠে এসেছে গ্রন্থে। তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণামূলক এই প্রকাশনায় আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে রামমোহনের পূর্ণা চিত্র অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে। সুধী পাঠক ও তরুণ গবেষকেরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি। এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অখণ্ড বাংলার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সাথে রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলের দ্বান্দ্বিক ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন লেখক। মোট ২১টি পর্বে ও উপপর্বে সাজানো এই গ্রন্থের শেষে ‘পরিশিষ্ট’ অংশটি প্রাসঙ্গিকভাবেই যুক্ত করেছেন তিনি। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ও আলোকিত বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিশিষ্ট উল্লেখের কারণে আরও গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনায়।
রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ
By জয়ন্ত রায়
₹1,200
‘রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ' একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। গতানুগতিক জীবনীর বাইরে ভারতপথিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ের ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আজকের এই সমকালীন সময়কালের পাশাপাশি যুগনায়ক রামমোহনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছে গ্রন্থে। রামমোহন রায় যে নিছক ধর্মগুরু ছিলেন না, তাঁর কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিক যুগের নবজাগরণ এসেছিল, সে কথা উঠে এসেছে গ্রন্থে। তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণামূলক এই প্রকাশনায় আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে রামমোহনের পূর্ণা চিত্র অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে। সুধী পাঠক ও তরুণ গবেষকেরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি। এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অখণ্ড বাংলার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সাথে রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলের দ্বান্দ্বিক ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন লেখক। মোট ২১টি পর্বে ও উপপর্বে সাজানো এই গ্রন্থের শেষে ‘পরিশিষ্ট’ অংশটি প্রাসঙ্গিকভাবেই যুক্ত করেছেন তিনি। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ও আলোকিত বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিশিষ্ট উল্লেখের কারণে আরও গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনায়।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹250
ড.আদিত্য মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশিত হল।এই বইটিতে পুরনো সমস্ত বইয়ের কিছু কিছু কবিতা নেওয়া হয়েছে।তবু তা নিয়মমাফিক নয়। এলোমেলো বলা যায়। একজনের পছন্দকে শুধুমাত্র গুরুত্ব দিয়ে এই বিবেচনা। আগ্রহী পাঠক সেদিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে একটা জীবনের ওঠাপড়া।'শ্রেষ্ঠ' কথাটি নেহাতই সংযোগ মাত্র।তেমন কিছু তার মধ্যে নেই। আছে শুধু অন্যতর এক ভাবনা।
শ্রেষ্ঠ কবিতা
₹250
ড.আদিত্য মুখোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশিত হল।এই বইটিতে পুরনো সমস্ত বইয়ের কিছু কিছু কবিতা নেওয়া হয়েছে।তবু তা নিয়মমাফিক নয়। এলোমেলো বলা যায়। একজনের পছন্দকে শুধুমাত্র গুরুত্ব দিয়ে এই বিবেচনা। আগ্রহী পাঠক সেদিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে একটা জীবনের ওঠাপড়া।'শ্রেষ্ঠ' কথাটি নেহাতই সংযোগ মাত্র।তেমন কিছু তার মধ্যে নেই। আছে শুধু অন্যতর এক ভাবনা।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।