“Reviewing Bollywood” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ওসোর প্রেম
By উমাশঙ্কর
Publisher: একুশ শতক
₹200
ওসো ছিলেন একজন ভারতীয় মানুষ্যঈশ্বর এবং রজনী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে এক বিতর্কিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা এবং মরমী হিসাবে দেখা হত। তাঁর জীবন কাহিনী “ওসোর প্রেম” বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
Tags:
oshor prem, umasankar, উমাশঙ্কর, ওসোর প্রেম
ওসো ছিলেন একজন ভারতীয় মানুষ্যঈশ্বর এবং রজনী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে এক বিতর্কিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা এবং মরমী হিসাবে দেখা হত। তাঁর জীবন কাহিনী “ওসোর প্রেম” বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
উইনি ম্যান্ডেলার “পার্ট অব মাই সোল”
By অশোক রাহা
₹200
নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর অনবদ্য গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন 'সংগ্রামই আমার জীবন। তার দীর্ঘ জীবন সংগ্রাম আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অবিচল থাকার এক অনন্য দলিল। আর এই অনন্য সংগ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রী উইনি ম্যান্ডেলার ছিল অসামান্য অবদান। নেলসন যখন রোবেন দ্বীপপুঞ্জে বন্দি, হাড়ভাঙা পরিশ্রমে ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত, তখন শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবিতে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-এ নেতৃত্ব করেছেন উইনি। বস্তুত উইনির অবিরাম প্রচেষ্টাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তির দাবি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আবেগ সৃষ্টি করেছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের বিরুদ্ধে মুখরিত করেছিল। উইনির সেই মহান প্রচেষ্টার অনেক ছবি, বিধৃত আছে " পার্ট অব মাই সোল " গ্রন্থে।
উইনি ম্যান্ডেলা, অ্যানি বেনজামিনকে তার সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারের টেপ-রেকর্ডিং করতে সুযোগ দিয়েছিলেন, এবং তা বেশ দীর্ঘকাল যাবৎ। উপরন্তু, তাঁকে আস্থাভাজন বিবেচনায় তিনি কারান্তরাল থেকে লেখা তাঁর স্বামীর চিঠিপত্র এবং অপরাপর দলিলগুলি দিয়েছিলেন বাছাই করে সম্পাদনা ও প্রকাশনার জন্যে। বর্তমান গ্রন্থখানি তারই ফসল।
'পার্ট অব মাই সোল' তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, কিন্তু নিজের জীবনের কথা থাকা সত্ত্বেও মামুলি আত্মকথা নয়। উইনির জীবনবোধ ভিন্নতর—' এই বিশাল মুক্তির যন্ত্রে আমি অতি নগণ্য। এই আদর্শের সংগ্রামে আমাদের কালো মানুষেরা মরছে প্রতিদিন। ...আমার ব্যক্তিগত জীবনে কী ঘটছে বা না ঘটছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর '—এই কথা কটির মধ্যেই রয়েছে তাঁর আত্মকথার মূল সুরের দ্যোতনা।
প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই উইনিও নেই, নেই সেই নেলসন - উইনির অবিচ্ছিন্ন সংগ্রাম, তবু কেন এ গ্রন্থের পুনঃপ্রকাশ। ইতিহাসের উপাদান কখনো গুরুত্ব হারায় না। নেলসন - উইনির বিচ্ছেদ যেমন সত্য, তেমন সত্য তাঁদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম। উইনির জীবনকথা কোনো স্বামীসঙ্গহীন নারীর জীবনকথা নয়, এটা দক্ষিণ আফ্রিকার বর্নবিদ্দেষবাদবিরোধী সংগ্রামের এক অনন্য দলিলও।
জাত - পাত - ধর্ম - বর্ণের ভেদাভেদে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত ভারতবর্ষের মানুষও লড়াই-সংগ্রামের মধ্যবর্তীতায় উন্নততর মানবজীবন অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রগতি ও প্রতিক্রিয়ার দ্বন্দ্ব আমাদের কখনো এক কদম এগিয়ে দিচ্ছে, আবার কখনো দু-কদম পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতিহাসের নিয়মে মানবসমাজকে সামনের দিকে এগোতেই হবে। এই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই যাঁরা করছেন, তাঁদের কাছে এই গ্রন্থের গুরুত্ব কখনোও কমবে না।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা
₹150
ধর্ম নয়, সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধন বিশ্বের তেত্রিশ কোটি বাঙালির জাতীয়তাবাদকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌছে দিয়েছে। ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশের বাঙালি জাতিসত্তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিন্ন সম্প্রীতির সংস্কৃতির শেকড় বাংলার মাটিতে প্রােথিত হলে ধর্মের অপব্যবহার তাকে কোনােদিনও উন্মুল করতে পারে না। এই বিবেচনায় -ই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালের কলকাতার সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা হৃৎকমলের টানে প্রায় এক কোটি উদ্বাস্তু বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছেন। পশ্চিমবাংলার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করে পাক-সেনাদের বর্বরােচিত আক্রমণকে পরাভূত করার জন্য সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেছেন। শিল্প মাধ্যমের সব দিগন্তই তখন আগুন ঝরার বর্ণমালা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবি ও অ-প্রধান কবিদের কলম থেকে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপন, মাতৃভূমির স্মৃতি, পাক-বাহিনীর প্রতি তীব্র ধিক্কার, ঘৃণা এবং প্রতিবাদ, প্রতিরােধের যে স্ফুলিঙ্গ একদিন কাব্যিক ব্যাঞ্জনায় এবং কঠিনে-কোমলে, শ্লেষে আটপৌড়ে শব্দের ধনুর্বাণ হয়ে কবিতার শরীর নির্মাণ করেছিল, সাংস্কৃতিক হাতিয়ার হিসেবে এই কবিতা দুইবাংলার বাঙালিকে জাগ্রত করেছিল, উজ্জীবিত করেছিল, তারই একটি সুনির্বাচিত ঐতিহাসিক দলিল এই রাজনৈতিক কাব্য-সংকলন ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও কলকাতার কবিতা '। এই কবিতাগুলাে একটি বিশেষ সময় ও ক্রান্তিকালকে অন্বীত করেছে।
গল্পে জলছবি
₹150
গল্পে জলছবি শুচিস্মিতা দেবের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বারোটি ছোটো বড়ো গল্পের সংকলন। চালচিত্র ও নকশিকথার পর গল্পে জলছবি লেখিকার তৃতীয় প্রকাশন। এই গল্পগুলির উপজীব্য বিষয়বন্ধ হল প্রতিদিনের জীবন যাপনের অন্তরালে সমাস্তরালভাবে বয়ে যাওয়া ভাল-মন্দের ছন্দে আটা আমাদের মানসজীবনের গভীর অনুসন্ধান। নৈরাশ্যকে তিনি প্রশ্রয় দেননি। সমাজ ও মানুষকে অন্ধকার থেকে আলাের দিকে মুখ ফেরাবার উৎসাহ দিয়েছেন, মানবিকতা ও মূল্যবােধকে বাঁচিয়ে রাখার কথা লিখেছেন। অ্যালবাম সাজানাের কুশলতায় জীবনের জলছবিগুলি গল্পের মাধ্যমে, নিপুণ যত্নে, একের পর এক সাজিয়ে গড়ে তুলেছেন তার গল্পে জলছবি।
গল্পে জলছবি
₹150
গল্পে জলছবি শুচিস্মিতা দেবের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বারোটি ছোটো বড়ো গল্পের সংকলন। চালচিত্র ও নকশিকথার পর গল্পে জলছবি লেখিকার তৃতীয় প্রকাশন। এই গল্পগুলির উপজীব্য বিষয়বন্ধ হল প্রতিদিনের জীবন যাপনের অন্তরালে সমাস্তরালভাবে বয়ে যাওয়া ভাল-মন্দের ছন্দে আটা আমাদের মানসজীবনের গভীর অনুসন্ধান। নৈরাশ্যকে তিনি প্রশ্রয় দেননি। সমাজ ও মানুষকে অন্ধকার থেকে আলাের দিকে মুখ ফেরাবার উৎসাহ দিয়েছেন, মানবিকতা ও মূল্যবােধকে বাঁচিয়ে রাখার কথা লিখেছেন। অ্যালবাম সাজানাের কুশলতায় জীবনের জলছবিগুলি গল্পের মাধ্যমে, নিপুণ যত্নে, একের পর এক সাজিয়ে গড়ে তুলেছেন তার গল্পে জলছবি।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান
₹50
বাংলার কীর্তন গানের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্তর পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গানের কথা, রূপ, রস ও মর্মসত্য সন্ধান ও লিখনের প্রয়াস পেয়েছি। চেষ্টা করেছি গায়নরীতি বুঝিয়ে বলার। রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান এর একটি তালিকাও যুক্ত করেছি এই সঙ্গে, পাঠকের কাজে লাগতে পারে ভেবে। কোনাে কোনাে গানের কীর্তনাঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুলতে পারেন। হােক না বিতর্ক, ভালােই তাে, চর্চা বাড়বে।
রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান
₹50
বাংলার কীর্তন গানের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্তর পটভূমিতে রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গানের কথা, রূপ, রস ও মর্মসত্য সন্ধান ও লিখনের প্রয়াস পেয়েছি। চেষ্টা করেছি গায়নরীতি বুঝিয়ে বলার। রবীন্দ্রনাথের কীর্তনাঙ্গের গান এর একটি তালিকাও যুক্ত করেছি এই সঙ্গে, পাঠকের কাজে লাগতে পারে ভেবে। কোনাে কোনাে গানের কীর্তনাঙ্গ পরিচিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুলতে পারেন। হােক না বিতর্ক, ভালােই তাে, চর্চা বাড়বে।