“গোকুলবাহিনী” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ওসোর প্রেম
By উমাশঙ্কর
Publisher: একুশ শতক
₹200
ওসো ছিলেন একজন ভারতীয় মানুষ্যঈশ্বর এবং রজনী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে এক বিতর্কিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা এবং মরমী হিসাবে দেখা হত। তাঁর জীবন কাহিনী “ওসোর প্রেম” বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
Tags:
oshor prem, umasankar, উমাশঙ্কর, ওসোর প্রেম
ওসো ছিলেন একজন ভারতীয় মানুষ্যঈশ্বর এবং রজনী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর জীবদ্দশায় তাঁকে এক বিতর্কিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের নেতা এবং মরমী হিসাবে দেখা হত। তাঁর জীবন কাহিনী “ওসোর প্রেম” বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর
₹150
Tarasankar has a lot to wirte about, but dose not seem to know how to write.' একথা বলেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কিন্তু রীতি সচেতন সমালােকচ ও পাঠককে মনে রাখতে হবে, উপন্যাসের জন্ম কোন রূপ (form) জিজ্ঞাসার নিবৃত্তির জন্য নয়, বরং জীবনরহস্যের স্বর-সন্ধানেই তার পথ চলা। আখ্যান-নিমিতির বিষয়টি লেখকের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত 'ভিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। লেখক যে দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনকে দেখেছেন। এবং যে আঙ্গিকে দেখাতে চাইছেন তা যদি পাঠকের হৃদয়ে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়, আশ্রিত আঙ্গিকে যদি জীবনের রসহ্যময় কানিনি বিশ্বাসযােগ্য হয়ে ওঠে তাহলে সে আঙ্গিক শ্রেষ্ঠতার দাবী রাখে। Percy Lubbok মনে করেন 'The best form is that which make the most of its subject there is no other meaning of form in fiction." তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের যেসব প্রেক্ষিত নির্বাচন করেছেন এবং যে আঙ্গিকে রূপায়িত করেছেন তাতে কোনাে অসংগতি চোখে পড়ে না। তিনি কথকতার সচ্ছল ভঙ্গিতে, অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ, প্রতীক-প্রতিমার ঋদ্ধ শৈলীতে, ভাষার বিশ্বস্ততায়, তার জীবনকে দেখার ব্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার অকৃত্রিম স্পর্শে তাঁর আখ্যানের গ্রাহ্যতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। লেখক ' উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর ' গ্রন্থে তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর
₹150
Tarasankar has a lot to wirte about, but dose not seem to know how to write.' একথা বলেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কিন্তু রীতি সচেতন সমালােকচ ও পাঠককে মনে রাখতে হবে, উপন্যাসের জন্ম কোন রূপ (form) জিজ্ঞাসার নিবৃত্তির জন্য নয়, বরং জীবনরহস্যের স্বর-সন্ধানেই তার পথ চলা। আখ্যান-নিমিতির বিষয়টি লেখকের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত 'ভিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। লেখক যে দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনকে দেখেছেন। এবং যে আঙ্গিকে দেখাতে চাইছেন তা যদি পাঠকের হৃদয়ে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়, আশ্রিত আঙ্গিকে যদি জীবনের রসহ্যময় কানিনি বিশ্বাসযােগ্য হয়ে ওঠে তাহলে সে আঙ্গিক শ্রেষ্ঠতার দাবী রাখে। Percy Lubbok মনে করেন 'The best form is that which make the most of its subject there is no other meaning of form in fiction." তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের যেসব প্রেক্ষিত নির্বাচন করেছেন এবং যে আঙ্গিকে রূপায়িত করেছেন তাতে কোনাে অসংগতি চোখে পড়ে না। তিনি কথকতার সচ্ছল ভঙ্গিতে, অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ, প্রতীক-প্রতিমার ঋদ্ধ শৈলীতে, ভাষার বিশ্বস্ততায়, তার জীবনকে দেখার ব্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার অকৃত্রিম স্পর্শে তাঁর আখ্যানের গ্রাহ্যতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। লেখক ' উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর ' গ্রন্থে তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
ফেয়ারওয়েল
₹150
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অনুপ্রবেশ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে যৌন নিগ্রহের নানা ঘটনা চোখে পড়ছে ততই। যৌন হেনস্থার প্রকৃতি ও পদ্ধতিও বিচিত্র। অনেক সময় তা বর্বর, অনেক ক্ষেত্রে তা সুক্ষ চালাকির দ্বারা আবৃত। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য একই। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীকর্মীর জীবন - জীবিকা ব্যক্তিসত্ত্বা ও কর্মীসত্ত্বা।
বর্তমান উপন্যাসে ফুটে উঠেছে সেরকমই একাধিক নারী নিগ্রহের ঘটনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এক অনমনীয় এবং প্রতিবাদী নারী চরিত্রের টানটান লড়াইয়ের কথা। সাহস ও বুদ্ধির মিশেলে আইনের ফাঁক গলে অপরাধীকে যিনি বেরিয়ে যেতে দেন না।
ফেয়ারওয়েল
₹150
কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অনুপ্রবেশ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে যৌন নিগ্রহের নানা ঘটনা চোখে পড়ছে ততই। যৌন হেনস্থার প্রকৃতি ও পদ্ধতিও বিচিত্র। অনেক সময় তা বর্বর, অনেক ক্ষেত্রে তা সুক্ষ চালাকির দ্বারা আবৃত। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য একই। এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নারীকর্মীর জীবন - জীবিকা ব্যক্তিসত্ত্বা ও কর্মীসত্ত্বা।
বর্তমান উপন্যাসে ফুটে উঠেছে সেরকমই একাধিক নারী নিগ্রহের ঘটনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে এক অনমনীয় এবং প্রতিবাদী নারী চরিত্রের টানটান লড়াইয়ের কথা। সাহস ও বুদ্ধির মিশেলে আইনের ফাঁক গলে অপরাধীকে যিনি বেরিয়ে যেতে দেন না।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
উনিশে মে : ভাষার সংকট
₹250
দেশভাগের পর নবগঠিত আসাম প্রদেশে সংখ্যায় কমে যাওয়া বাঙালির মুখের ভাষা ভুলিয়ে দিতে ১৯৬০ এর ভাষা আইনে একমাত্র অসমিয়াকে করা হয় রাজ্যভাষা, প্রতিবাদে বরাক উপত্যকায় শুরু হয় ভাষা সংগ্রাম, ১৯৬১র ১৯শে মে হয় মহাবিস্ফোরণ, শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় ভাষা আইনে বরাক উপত্যকার জন্য বরাদ্দ হয় বাংলা ভাষা। তারপরেও শিক্ষাক্ষেত্রে চাকুরিক্ষেত্রে শুরু হয় চোরাগোপ্তা আক্রমণ। আবার দুই দফায় করিমগঞ্জে শহিদ হন আরও তিনজন। বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি ভাষার জন্য আর এক কিশোরীর মৃত্যু হয় পাথারকান্দিতে। মরিয়া না মরে এ কেমন বৈরী, তাও বাঙালি বেঁচে থাকে। উগ্র জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন প্রকার অসমিয়া সমাজে, শেষ প্রকাশ হয়। এনারসির আক্রমণে, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার নানা ভাবে বাঙালিকে বিপন্ন করে তোলে, নিধনে প্ররোচিত করে। উসকানির ফাঁদে পা না দিয়েও বাঙালি তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে যার যেমন অস্ত্র। শিল্পী সাহিত্যিকরাও তাদের নিজস্ব প্রহরণে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাই এখনও চলছে সংকটাপন্ন বাঙালির আন্দোলন, ১৯৬১র পর থেকে অবিরত। সেই সময় থেকে এই সময়ে গমনের কথা কিছু লিপিবদ্ধ থাকল দুই মলাটের ভিতর।
রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী
₹200
লেখক মিলন কুমার রায় এর অনেক গুলি প্রবন্ধ মধ্যে অন্যতম হলো “রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী
₹200
লেখক মিলন কুমার রায় এর অনেক গুলি প্রবন্ধ মধ্যে অন্যতম হলো “রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা
₹32
‘আশু, আশুতোষ দাস দশঘড়া হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। স্কুলে ভালো ছেলে হিসেবে সবাই এক ডাকে চেনে। থার্ড হয়ে সে নাইনে উঠেছে। ফার্স্ট-সেকেন্ড বা ফোর্থ-ফিফথ যারা হয়েছে, কেউ-ই তার মতো গরিবঘরের তাঁতিপুত্র নয়। রাজপুত্র বললেই ভালো হয়।' তাঁত বোনে আশুর বাবা। তাঁত বোনে দাদা। খটাং খট খটাং খট। মাকু চলে । তৈরি হয় শাড়ি। রংচঙে উজ্জ্বল শাড়ি। সেই শাড়ির রং আশুদের জীবনে লাগে না। বিবর্ণ ধূসরই রয়ে যায়। তাঁতিজীবনের দুঃখের বারমাস্যা, এক কিশোরের আশা নিরাশা ছোটোদের মতো করে শুনিয়েছেন লেখক। বানানো গল্পকথা নয়, ওদের কথা লিখবেন বলে ক'দিন ছিলেনও মহিষগড়িয়া গ্রামে। মানুষজন তাদের দুঃখ-সংগ্রাম, পথঘাট, গাছপালা সবই বাস্তব থেকে উঠে এসেছে ' তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা ' বইয়ের পাতায়। এ বই পড়তে পড়তে ছোটোরা গ্রামকে চিনবে। আশুর প্রতি সহানুভূতি সমবেদনা জাগবে। জীবনের উত্তাপ তাদেরও স্পর্শ করবে।
তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা
₹32
‘আশু, আশুতোষ দাস দশঘড়া হাইস্কুলে ক্লাস নাইনে পড়ে। স্কুলে ভালো ছেলে হিসেবে সবাই এক ডাকে চেনে। থার্ড হয়ে সে নাইনে উঠেছে। ফার্স্ট-সেকেন্ড বা ফোর্থ-ফিফথ যারা হয়েছে, কেউ-ই তার মতো গরিবঘরের তাঁতিপুত্র নয়। রাজপুত্র বললেই ভালো হয়।' তাঁত বোনে আশুর বাবা। তাঁত বোনে দাদা। খটাং খট খটাং খট। মাকু চলে । তৈরি হয় শাড়ি। রংচঙে উজ্জ্বল শাড়ি। সেই শাড়ির রং আশুদের জীবনে লাগে না। বিবর্ণ ধূসরই রয়ে যায়। তাঁতিজীবনের দুঃখের বারমাস্যা, এক কিশোরের আশা নিরাশা ছোটোদের মতো করে শুনিয়েছেন লেখক। বানানো গল্পকথা নয়, ওদের কথা লিখবেন বলে ক'দিন ছিলেনও মহিষগড়িয়া গ্রামে। মানুষজন তাদের দুঃখ-সংগ্রাম, পথঘাট, গাছপালা সবই বাস্তব থেকে উঠে এসেছে ' তাঁতির বাড়ি ব্যাঙের বাসা ' বইয়ের পাতায়। এ বই পড়তে পড়তে ছোটোরা গ্রামকে চিনবে। আশুর প্রতি সহানুভূতি সমবেদনা জাগবে। জীবনের উত্তাপ তাদেরও স্পর্শ করবে।