“যাপনে উদযাপনে : সাহিত্য ও বোধিচর্চা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
স্বর্গীয় রমনিও
Publisher: একুশ শতক
₹250
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এর লেখা গল্প গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম হলো “স্বর্গীয় রমনিও”, তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
বইটি পড়ুন এবং “পাঠক পর্যালোচনা” অংশে গিয়ে রিভিউ দিন। আমরা আপনাদের রিভিউ আমাদের ব্লগ “একুশের আড্ডা” এবং আমাদের Facebook, Twitter, Linkedin এবং Instagram এ প্রকাশ করবো।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES - swargio ramanio 001
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এর লেখা গল্প গ্রন্থগুলির মধ্যে অন্যতম হলো “স্বর্গীয় রমনিও”, তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
কর্পোরেট যুদ্ধ রহস্য + জিন রহস্য + দুবাইয়ের দুষ্টুচক্র
₹700
গোয়েন্দাদের বাস্তব চরিত্রায়ন এবং তাদের যুক্তিপূর্ণ কাজকর্ম লেখকের একটি বৈশিষ্ট্য। সাসপেন্স, অ্যাকশন এবং অপ্রত্যাশিত টুইস্ট এবং টার্নের তিনটি আসক্তিমূলক গ্রন্থ যা, আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা অবধি আগ্রহী করে রাখবে। ষড়যন্ত্র, রহস্য, লড়াই, পাল্টা-লড়াইয়ে পূর্ণ তিনটি জমজমাট বই এক কথায়, 'আনপুটডাউনে।'
কর্পোরেট যুদ্ধ রহস্য + জিন রহস্য + দুবাইয়ের দুষ্টুচক্র
₹700
গোয়েন্দাদের বাস্তব চরিত্রায়ন এবং তাদের যুক্তিপূর্ণ কাজকর্ম লেখকের একটি বৈশিষ্ট্য। সাসপেন্স, অ্যাকশন এবং অপ্রত্যাশিত টুইস্ট এবং টার্নের তিনটি আসক্তিমূলক গ্রন্থ যা, আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা অবধি আগ্রহী করে রাখবে। ষড়যন্ত্র, রহস্য, লড়াই, পাল্টা-লড়াইয়ে পূর্ণ তিনটি জমজমাট বই এক কথায়, 'আনপুটডাউনে।'
কাটা ঘুড়ির রঙ
By নলিনী বেরা
₹250
বাঙলা কথাসাহিত্যের অগ্রণী কথাকার নলিনী বেরা এক স্বতন্ত্র বিষয় ও লিখনশৈলীর অধিকারী। তার কলমে রূপ পায় লোকায়ত মানুষ, লোকজীবন, সর্বোপরি গ্রামীণ মানুষের ভাষা। কাটা ঘুড়ির রং’ তার ব্যতিক্রম নয়৷ ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’, ‘ইরিনা এবং সুধন্যরা’ ও ‘নাকফুল’ – তিন-তিনটি উপন্যাসের অনবদ্য সংকলন ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার মতো উপন্যাসে মাঝে মাঝে এসে পড়ে কলকাতাও। তখন কলকাতা আদতে আর কলকাতা থাকে না, হয়ে যায় লোকায়ত কলকাতা। কী শহর কী গ্রামের লোকায়ত বাস্তব জীবনে অন্তঃসলিলা ফল্গুধারার মতোই অবাস্তবিক চিন্তা ও ঘটনার মুহুর্মুহু যে প্রতিফলন ঘটে চলে, যা কী না শিল্পীর ছবিতে ফোটে বিমূর্ত হয়ে, কবির কলমে হয়ে ওঠে ‘সুররিয়ালিজম’-এর দ্যোতক, ঔপন্যাসিকের কলমে তাই যেন ‘ইলিউসন অ্যাণ্ড রিয়ালিটি'-র রূপক। ‘কাটা ঘুড়ির রঙ'-এ সেই রাঙা-ভাঙা-বিমূর্ততারই রঙ খেলা।
কাটা ঘুড়ির রঙ
By নলিনী বেরা
₹250
বাঙলা কথাসাহিত্যের অগ্রণী কথাকার নলিনী বেরা এক স্বতন্ত্র বিষয় ও লিখনশৈলীর অধিকারী। তার কলমে রূপ পায় লোকায়ত মানুষ, লোকজীবন, সর্বোপরি গ্রামীণ মানুষের ভাষা। কাটা ঘুড়ির রং’ তার ব্যতিক্রম নয়৷ ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’, ‘ইরিনা এবং সুধন্যরা’ ও ‘নাকফুল’ – তিন-তিনটি উপন্যাসের অনবদ্য সংকলন ‘কাটা ঘুড়ির রঙ’। গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার মতো উপন্যাসে মাঝে মাঝে এসে পড়ে কলকাতাও। তখন কলকাতা আদতে আর কলকাতা থাকে না, হয়ে যায় লোকায়ত কলকাতা। কী শহর কী গ্রামের লোকায়ত বাস্তব জীবনে অন্তঃসলিলা ফল্গুধারার মতোই অবাস্তবিক চিন্তা ও ঘটনার মুহুর্মুহু যে প্রতিফলন ঘটে চলে, যা কী না শিল্পীর ছবিতে ফোটে বিমূর্ত হয়ে, কবির কলমে হয়ে ওঠে ‘সুররিয়ালিজম’-এর দ্যোতক, ঔপন্যাসিকের কলমে তাই যেন ‘ইলিউসন অ্যাণ্ড রিয়ালিটি'-র রূপক। ‘কাটা ঘুড়ির রঙ'-এ সেই রাঙা-ভাঙা-বিমূর্ততারই রঙ খেলা।
গল্প সঞ্চয়
₹150
যােগীন্দ্রনাথ মূলত ছােটোদের নিয়েই ভেবেছেন, লিখেছেন। মােহনলাল নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। লিখেছেন বহু গল্পও। ছােটোদের কাছে পুরাণ-কাহিনি। ভারি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে পরিবেশন করেছেন। ছড়া-কবিতা রচনার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষভাবে স্মরণীয়। খুকুমণির ছড়া’ নামে লােকায়ত ছড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলনও সম্পাদনা করেছিলেন। ' গল্প সঞ্চয় ' হাসিখুশি যােগীন্দ্রনাথ সরকারের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। আজও তা আমাদের শৈশব-সঙ্গী। ছন্দের আনন্দে হাসিখুশি পড়তে পড়তেই বঙ্গভাষী শিশুর বর্ণ পরিচয় হয়।
গল্প সঞ্চয়
₹150
যােগীন্দ্রনাথ মূলত ছােটোদের নিয়েই ভেবেছেন, লিখেছেন। মােহনলাল নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। লিখেছেন বহু গল্পও। ছােটোদের কাছে পুরাণ-কাহিনি। ভারি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে পরিবেশন করেছেন। ছড়া-কবিতা রচনার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষভাবে স্মরণীয়। খুকুমণির ছড়া’ নামে লােকায়ত ছড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলনও সম্পাদনা করেছিলেন। ' গল্প সঞ্চয় ' হাসিখুশি যােগীন্দ্রনাথ সরকারের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। আজও তা আমাদের শৈশব-সঙ্গী। ছন্দের আনন্দে হাসিখুশি পড়তে পড়তেই বঙ্গভাষী শিশুর বর্ণ পরিচয় হয়।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
পঞ্চাশটি প্রবন্ধ
₹800
যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে না পারলাম তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, সংগীত থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে, তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কী? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।' - হাসান আজিজুল হক
ষাটের দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের যে নবযাত্রা ঘটেছিল তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। উত্তাল চল্লিশের দশকের প্রবেশমুখে রাঢ়বঙ্গে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান কিংবদন্তিতুল্য কথাশিল্পী দেশে-বিদেশে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ কেড়েছেন পাঠক-সমালোচকের, অতিক্রম করেছেন একর পর এক সাফল্যের সিঁড়ি। তাঁর হাতে বাংলা ছোটোগল্পের বাঁকবদল ঘটেছে। ষাটের দশকেই কপালে তিলক পড়ে যায় ছোটোগল্পকার হিসেবে। যে অর্থে আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথ মনন সমৃদ্ধ বিশাল গদ্যসাহিত্যের ভাণ্ডার গড়েও কবিই থেকে গেছেন, ভুলেও কেউ বলেন না 'প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ', সৃষ্টির চৌদ্দ আনাই প্রেমে ভরে দিলেও ‘বিদ্রোহী কবি'র ছাপ কোনোদিনই মুছেনি নজরুলের কপাল হতে, তেমনি বুদ্ধদেব বসুর সমৃদ্ধ অনুবাদ, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ বেমালুম ভুলে 'কবি বুদ্ধদেবে’র জয়জয়কার, তখন আমরা ধরেই নেই, হাসান আজিজুল হকের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
অবিশ্বাস্য রকমের শোনাবে, হাসান আজিজুল হকের মতো এমন শক্তিমান মেধাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা গদ্যের ইতিহাসে হাতে গোনা দু'একজন হতে পারে। বাংলা প্রবন্ধের প্রচলিত ধারণাই তিনি পালটে দিয়েছেন। গল্পের মতো গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, প্রখর-তীব্র-টাটকা যুক্তি-চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা। নিজস্ব মেজাজ ও ঢঙে জলের মতো স্বচ্ছ ও সাবলীল করে হাসান আজিজুল হক এই পঞ্চাশটি প্রবন্ধে উপস্থাপন করেছেন দেশ, জাতি, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মতামত । একজন সৃজনশীল সেলিব্রেটি লেখকের আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মতামত এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।
পঞ্চাশটি প্রবন্ধ
₹800
যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে না পারলাম তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, সংগীত থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে, তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কী? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।' - হাসান আজিজুল হক
ষাটের দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের যে নবযাত্রা ঘটেছিল তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। উত্তাল চল্লিশের দশকের প্রবেশমুখে রাঢ়বঙ্গে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান কিংবদন্তিতুল্য কথাশিল্পী দেশে-বিদেশে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ কেড়েছেন পাঠক-সমালোচকের, অতিক্রম করেছেন একর পর এক সাফল্যের সিঁড়ি। তাঁর হাতে বাংলা ছোটোগল্পের বাঁকবদল ঘটেছে। ষাটের দশকেই কপালে তিলক পড়ে যায় ছোটোগল্পকার হিসেবে। যে অর্থে আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথ মনন সমৃদ্ধ বিশাল গদ্যসাহিত্যের ভাণ্ডার গড়েও কবিই থেকে গেছেন, ভুলেও কেউ বলেন না 'প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ', সৃষ্টির চৌদ্দ আনাই প্রেমে ভরে দিলেও ‘বিদ্রোহী কবি'র ছাপ কোনোদিনই মুছেনি নজরুলের কপাল হতে, তেমনি বুদ্ধদেব বসুর সমৃদ্ধ অনুবাদ, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ বেমালুম ভুলে 'কবি বুদ্ধদেবে’র জয়জয়কার, তখন আমরা ধরেই নেই, হাসান আজিজুল হকের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
অবিশ্বাস্য রকমের শোনাবে, হাসান আজিজুল হকের মতো এমন শক্তিমান মেধাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা গদ্যের ইতিহাসে হাতে গোনা দু'একজন হতে পারে। বাংলা প্রবন্ধের প্রচলিত ধারণাই তিনি পালটে দিয়েছেন। গল্পের মতো গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, প্রখর-তীব্র-টাটকা যুক্তি-চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা। নিজস্ব মেজাজ ও ঢঙে জলের মতো স্বচ্ছ ও সাবলীল করে হাসান আজিজুল হক এই পঞ্চাশটি প্রবন্ধে উপস্থাপন করেছেন দেশ, জাতি, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মতামত । একজন সৃজনশীল সেলিব্রেটি লেখকের আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মতামত এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।