Discount applied: Discount 20%
“ওসোর প্রেম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
অ্যান্টিডোট
By ড. শাওন সেন
Publisher: একুশ শতক
₹200
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট – এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-antidote
Tags:
antidote, dr. shaon sen, অ্যান্টিডোট, ড. শাওন সেন
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট – এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
স্বাধীনতা উত্তর সাত দশকে দেশে বিদেশে
₹450
এই লেখা কোনও জীবনী বা আত্মজীবনী নয়। এর মধ্যে কোনও ঐতিহাসিক তথ্য উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা নেই। বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সব সময়ের কিছু ঘটনা, কিছু ঘাত-প্রতিঘাত, কিছু চেতন-অচেতন মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, স্থান পেয়েছে এই লেখাগুলোর মধ্যে।
স্বাধীনতা উত্তর সাত দশকে দেশে বিদেশে
₹450
এই লেখা কোনও জীবনী বা আত্মজীবনী নয়। এর মধ্যে কোনও ঐতিহাসিক তথ্য উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা নেই। বর্তমান কালের পরিপ্রেক্ষিতে সেই সব সময়ের কিছু ঘটনা, কিছু ঘাত-প্রতিঘাত, কিছু চেতন-অচেতন মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, স্থান পেয়েছে এই লেখাগুলোর মধ্যে।
শিক্ষক আন্দোলনের ধারা
₹100
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি ভারতের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীনতম শিক্ষক আন্দোলনের সংগঠন, যা প্রগতিশীল চিন্তা ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে আস্থা জ্ঞাপন করে। শিক্ষাক আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমিক, কর্মচারি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তােলার ক্ষেত্রেও এই সংগঠন উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। মাধ্যমিক শিক্ষকদের অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়নে সমিতি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অবিরত সংগ্রাম আন্দোলন করে চলেছে। ' শিক্ষক আন্দোলনের ধারা ' পুস্তকটিতে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির শিক্ষা তথা শিক্ষক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলনের ইতিহাসটির গুরুত্ব কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। এই প্রয়ােজনের কথা মাথায় রেখেই এই পুস্তকটি প্রকাশের আয়ােজন যা সমাজের প্রগতিশীল মানুষ ও শিক্ষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের শিক্ষা আন্দোলন জানার লিপ্সা তৃপ্ত করবে। এবং প্রগতিশীল ভাবনা চিন্তার সহায়ক হবে।
শিক্ষক আন্দোলনের ধারা
₹100
নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি ভারতের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীনতম শিক্ষক আন্দোলনের সংগঠন, যা প্রগতিশীল চিন্তা ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রে আস্থা জ্ঞাপন করে। শিক্ষাক আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমিক, কর্মচারি, সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তােলার ক্ষেত্রেও এই সংগঠন উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। মাধ্যমিক শিক্ষকদের অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়নে সমিতি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অবিরত সংগ্রাম আন্দোলন করে চলেছে। ' শিক্ষক আন্দোলনের ধারা ' পুস্তকটিতে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির শিক্ষা তথা শিক্ষক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলনের ইতিহাসটির গুরুত্ব কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। এই প্রয়ােজনের কথা মাথায় রেখেই এই পুস্তকটি প্রকাশের আয়ােজন যা সমাজের প্রগতিশীল মানুষ ও শিক্ষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের শিক্ষা আন্দোলন জানার লিপ্সা তৃপ্ত করবে। এবং প্রগতিশীল ভাবনা চিন্তার সহায়ক হবে।
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
অনন্য জীবনানন্দ
₹80
' অনন্য জীবনানন্দ ' গ্রন্থে জীবনানন্দের উপন্যাস এবং জীবনানন্দের গল্পগত, এই দুটিই মূল প্রবন্ধ। তার প্রায় সমগ্র কথাসাহিত্য অনুশীলন করে, কাব্য-সাহিত্যকে তার প্রেক্ষাপটে রেখে, জীবনানন্দের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলি স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন লেখক, যার ফলশ্রুতি অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। তার সেইসব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কথাসাহিত্য থেকে বিশেষ উদ্ধৃতিগুলি হয়ত প্রয়ােজনে পুনরাবৃত্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধে।
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনেক মহারথীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যার অন্যতম ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির জীবিতকালেই তার কাবাদীপ্তি অনেককে চমকিত, কাউকে কাউকে বিরক্তও করেছিল, যদিও সেই দীপ্তির প্রসারণ বা অন্তর্ভেদিতা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তাদের অনেকেরই ছিল না, সন্তবত কবির নিজেরও ছিল না। ফলে সমস্ত জীবন ধরে তাকে সংশয়ে থাকতে হয়েছে। জীবিতকালে তাে বটেই, তার মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক সেই সংশয় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল পাঠক-গবেষক-সমালােচকদেরও। বস্তুত, সময়েরই আছে সেই ক্ষমতা, যে তার নির্মোহ গতির সাহায্যে, প্রকৃত দীপ্তির ওপর লৌকিক যে মলিনতা জমা করে, তা অপবৃত করে সেই দীপ্তি পৌছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকের মন তখন উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুনভাবে তা আবিষ্কার করে। সেই অলাকিক সময়ের হাত ধরেই জীবনানন্দের যাবতীয় সাহিত্যকৃতি, সমস্ত সমালােচকদের ভুল প্রমাণ করে, পাঠকের সবরকম সংশয় দূর করে, তার জন্মশতবর্ষের আগেই পাঠক-হাদয়ে মহার্ঘ্য স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
অনন্য জীবনানন্দ
₹80
' অনন্য জীবনানন্দ ' গ্রন্থে জীবনানন্দের উপন্যাস এবং জীবনানন্দের গল্পগত, এই দুটিই মূল প্রবন্ধ। তার প্রায় সমগ্র কথাসাহিত্য অনুশীলন করে, কাব্য-সাহিত্যকে তার প্রেক্ষাপটে রেখে, জীবনানন্দের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলি স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন লেখক, যার ফলশ্রুতি অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। তার সেইসব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কথাসাহিত্য থেকে বিশেষ উদ্ধৃতিগুলি হয়ত প্রয়ােজনে পুনরাবৃত্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধে।
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনেক মহারথীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যার অন্যতম ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির জীবিতকালেই তার কাবাদীপ্তি অনেককে চমকিত, কাউকে কাউকে বিরক্তও করেছিল, যদিও সেই দীপ্তির প্রসারণ বা অন্তর্ভেদিতা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তাদের অনেকেরই ছিল না, সন্তবত কবির নিজেরও ছিল না। ফলে সমস্ত জীবন ধরে তাকে সংশয়ে থাকতে হয়েছে। জীবিতকালে তাে বটেই, তার মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক সেই সংশয় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল পাঠক-গবেষক-সমালােচকদেরও। বস্তুত, সময়েরই আছে সেই ক্ষমতা, যে তার নির্মোহ গতির সাহায্যে, প্রকৃত দীপ্তির ওপর লৌকিক যে মলিনতা জমা করে, তা অপবৃত করে সেই দীপ্তি পৌছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকের মন তখন উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুনভাবে তা আবিষ্কার করে। সেই অলাকিক সময়ের হাত ধরেই জীবনানন্দের যাবতীয় সাহিত্যকৃতি, সমস্ত সমালােচকদের ভুল প্রমাণ করে, পাঠকের সবরকম সংশয় দূর করে, তার জন্মশতবর্ষের আগেই পাঠক-হাদয়ে মহার্ঘ্য স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
বই পড়ুয়ার দেখা মানুষ
By কৃষ্ণ ধর
₹100
' বই পড়ুয়ার দেখা মানুষ ' বইটি প্রকাশের একটা নেপথ্য কাহিনি আছে। সাংবাদিকতার পেশায় কর্মজীবন কেটেছে। দৈনিকের দাবি মেটাতে অনেক বিষয়েই লিখতে হয়। তখন আমি যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে। নব্বুইয়ের দশকের কথা। গ্রন্থবার্তা নামে একটি পৃষ্ঠা প্রতি শুক্রবারে বেরোত যার উদ্দেশ্যে ছিল নতুন বইয়ের খবর দেওয়া ও তার সমালোচনা প্রকাশ করা। এই পৃষ্ঠাটি পাঠকদের খুবই আগ্রহ সৃষ্টি করে। বইয়ের লেখকরাও তাঁদের বইয়ের যথাযথ মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন।
এই বইয়ের লেখাগুলি গ্রন্থবার্তার জন্যই পরিকল্পিত হয়। আমি বিদুর ছদ্মানামে একটি সাপ্তাহিক কলাম লিখতে শুরু করি। তার নাম দেওয়া হয় ' বইপড়ার টুকরো কথা '। বিদুরের আড়াল থেকে লেখক এখানে স্বনামে পাঠকদের সামনে সসংকোচে হাজির। পুরস্কার বা তিরস্কার তারই প্রাপ্য। একজন পড়ুয়া হিসেবে বাংলা সাহিত্যের গুণী লেখকদের সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য পেশ করাই আমার লক্ষ্য। যাঁদের বিষয়ে লেখা হয়েছে তারা নিজেদের মহিমায় বাংলা সাহিত্যে সুপ্রতিষ্ঠিত। সাহিত্যানুরাগী হিসেবে তাঁদের সান্নিধ্যে পৌছুবার সুযোগ ও সৌভাগ্য হয়েছিল। লেখাগুলিতে তার ছায়াপাত প্রসঙ্গক্রমে ঘটেছে।
বই পড়ুয়ার দেখা মানুষ
By কৃষ্ণ ধর
₹100
' বই পড়ুয়ার দেখা মানুষ ' বইটি প্রকাশের একটা নেপথ্য কাহিনি আছে। সাংবাদিকতার পেশায় কর্মজীবন কেটেছে। দৈনিকের দাবি মেটাতে অনেক বিষয়েই লিখতে হয়। তখন আমি যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্বে। নব্বুইয়ের দশকের কথা। গ্রন্থবার্তা নামে একটি পৃষ্ঠা প্রতি শুক্রবারে বেরোত যার উদ্দেশ্যে ছিল নতুন বইয়ের খবর দেওয়া ও তার সমালোচনা প্রকাশ করা। এই পৃষ্ঠাটি পাঠকদের খুবই আগ্রহ সৃষ্টি করে। বইয়ের লেখকরাও তাঁদের বইয়ের যথাযথ মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন।
এই বইয়ের লেখাগুলি গ্রন্থবার্তার জন্যই পরিকল্পিত হয়। আমি বিদুর ছদ্মানামে একটি সাপ্তাহিক কলাম লিখতে শুরু করি। তার নাম দেওয়া হয় ' বইপড়ার টুকরো কথা '। বিদুরের আড়াল থেকে লেখক এখানে স্বনামে পাঠকদের সামনে সসংকোচে হাজির। পুরস্কার বা তিরস্কার তারই প্রাপ্য। একজন পড়ুয়া হিসেবে বাংলা সাহিত্যের গুণী লেখকদের সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য পেশ করাই আমার লক্ষ্য। যাঁদের বিষয়ে লেখা হয়েছে তারা নিজেদের মহিমায় বাংলা সাহিত্যে সুপ্রতিষ্ঠিত। সাহিত্যানুরাগী হিসেবে তাঁদের সান্নিধ্যে পৌছুবার সুযোগ ও সৌভাগ্য হয়েছিল। লেখাগুলিতে তার ছায়াপাত প্রসঙ্গক্রমে ঘটেছে।