Discount applied: Discount 20%
“আধুনিক শিল্পভাবনা : ইমপ্রেশনিজম” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
অ্যান্টিডোট
By ড. শাওন সেন
Publisher: একুশ শতক
₹200
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট – এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-antidote
Tags:
antidote, dr. shaon sen, অ্যান্টিডোট, ড. শাওন সেন
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট – এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ
₹500
মরিচঝাঁপি একটি দ্বীপের নাম। সুন্দরবনের এই নিষিদ্ধ দ্বীপে ডেকে আনা হয়েছিল দণ্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুদের। শূন্যহাতে তারা গড়ে তুলছিল এক স্বপ্নের জনবসতি, নেতাজিনগর। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি ভুলে দেশ-ভিখারি মানুষগুলোকে বুলেটের ডগায় উৎখাত করে। দেশভাগের পর নিম্নবর্গের উদ্বাস্তুরা দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত হয়েছিল বাংলা থেকে। তাদের বিরামহীন ক্যারাভান যাত্রা এবং বিপন্নতার কারণ তলিয়ে দেখেছেন লেখক। স্বাধীনতা উত্তরকাল নিয়ে মরিচঝাঁপির প্রক্ষাপটে ইতিপূর্বে খুব কমই উপন্যাস লেখা হয়েছে। 'মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ' প্রবহমান কালের সেই সব বিবর্ণ মানুষের কথনে একটি ঐতিহাসিক আখ্যান।
মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ
₹500
মরিচঝাঁপি একটি দ্বীপের নাম। সুন্দরবনের এই নিষিদ্ধ দ্বীপে ডেকে আনা হয়েছিল দণ্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুদের। শূন্যহাতে তারা গড়ে তুলছিল এক স্বপ্নের জনবসতি, নেতাজিনগর। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি ভুলে দেশ-ভিখারি মানুষগুলোকে বুলেটের ডগায় উৎখাত করে। দেশভাগের পর নিম্নবর্গের উদ্বাস্তুরা দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত হয়েছিল বাংলা থেকে। তাদের বিরামহীন ক্যারাভান যাত্রা এবং বিপন্নতার কারণ তলিয়ে দেখেছেন লেখক। স্বাধীনতা উত্তরকাল নিয়ে মরিচঝাঁপির প্রক্ষাপটে ইতিপূর্বে খুব কমই উপন্যাস লেখা হয়েছে। 'মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ' প্রবহমান কালের সেই সব বিবর্ণ মানুষের কথনে একটি ঐতিহাসিক আখ্যান।
বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র
By অমর দে
₹150
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী। ১৯৫৩ সালে " দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি " সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। " বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র " তারই বাংলা অনুবাদ। অনুবাদক অমর দে।
এই উপন্যাসের সিংহভাগ জুড়ে সমুদ্র। উপন্যাসে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বুড়ো সান্তিয়াগোর সংগ্রাম কাহিনীর সাথে সাথে সমুদ্রের সূক্ষ্ম বর্ণনা পাঠককে আকৃষ্ট করে দারুণভাবে। সমুদ্রের জল কেটে বেরিয়ে যাওয়া উডুক্কু মাছ। তলা থেকে বেরিয়ে আসা নানা জাতের হাঙর। হাঙরের বিভিন্ন শারীরিক কসরত। পড়তে গেলে বিভিন্ন ঘটনা এতই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যে, লেখক হেমিংওয়ে নিজেই বইটি সম্পর্কে বলেছেন, " আনকোরা পাঠকের জন্য এটি অন্যরকম ব্যাপার "।
উপন্যাসে দেখা যায়, সান্তিয়াগো সমুদ্রের এক বিরাট মাছকে হত্যা করে। দিনের পর দিন তাকে বড়শি বিধিয়ে রাখে। এক ভয়াবহ যন্ত্রণা পেয়েছে মাছটি। প্রথমে মাছটি যখন সহজে ধরা দেয়নি, তখন বুড়ো হুংকার ছেড়ে বলেছে ' যত বড়ই হোক, ওটাকে আমি মারবই। ওর বিরাটত্ব আর বড়াই আমি শেষ করবই।... ওকে আমি দেখাবো মানুষ কি করতে পারে আর মানুষের লেগে থাকার শক্তি কত ভয়ংকর। '
উপন্যাসে লেখক দেখিয়েছেন, যে মানুষ সম্প্রদায় মনে করে তারা বাদে দুনিয়ার বাকীসব জীবজন্তু উদ্ভিদ সবই মানুষের ভোগ্য। এবং মানুষই হচ্ছে প্রাণিজগতের রাজা, এই বুড়ো তাদেরই প্রতিনিধি। কিন্তু সমুদ্রের হাতে শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রতিনিধি বুড়ো সান্তিয়াগোর পরাজয় হয়েছিল। এ এক অসাধারণ উপন্যাস।
বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র
By অমর দে
₹150
দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী। ১৯৫৩ সালে " দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি " সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করে। " বুড়ো লোকটা ও সমুদ্র " তারই বাংলা অনুবাদ। অনুবাদক অমর দে।
এই উপন্যাসের সিংহভাগ জুড়ে সমুদ্র। উপন্যাসে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বুড়ো সান্তিয়াগোর সংগ্রাম কাহিনীর সাথে সাথে সমুদ্রের সূক্ষ্ম বর্ণনা পাঠককে আকৃষ্ট করে দারুণভাবে। সমুদ্রের জল কেটে বেরিয়ে যাওয়া উডুক্কু মাছ। তলা থেকে বেরিয়ে আসা নানা জাতের হাঙর। হাঙরের বিভিন্ন শারীরিক কসরত। পড়তে গেলে বিভিন্ন ঘটনা এতই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে যে, লেখক হেমিংওয়ে নিজেই বইটি সম্পর্কে বলেছেন, " আনকোরা পাঠকের জন্য এটি অন্যরকম ব্যাপার "।
উপন্যাসে দেখা যায়, সান্তিয়াগো সমুদ্রের এক বিরাট মাছকে হত্যা করে। দিনের পর দিন তাকে বড়শি বিধিয়ে রাখে। এক ভয়াবহ যন্ত্রণা পেয়েছে মাছটি। প্রথমে মাছটি যখন সহজে ধরা দেয়নি, তখন বুড়ো হুংকার ছেড়ে বলেছে ' যত বড়ই হোক, ওটাকে আমি মারবই। ওর বিরাটত্ব আর বড়াই আমি শেষ করবই।... ওকে আমি দেখাবো মানুষ কি করতে পারে আর মানুষের লেগে থাকার শক্তি কত ভয়ংকর। '
উপন্যাসে লেখক দেখিয়েছেন, যে মানুষ সম্প্রদায় মনে করে তারা বাদে দুনিয়ার বাকীসব জীবজন্তু উদ্ভিদ সবই মানুষের ভোগ্য। এবং মানুষই হচ্ছে প্রাণিজগতের রাজা, এই বুড়ো তাদেরই প্রতিনিধি। কিন্তু সমুদ্রের হাতে শেষ পর্যন্ত মানুষের প্রতিনিধি বুড়ো সান্তিয়াগোর পরাজয় হয়েছিল। এ এক অসাধারণ উপন্যাস।
বার্ষিকীর বারান্দা
₹200
আমাদের ছোটোদের সাহিত্য অতীব সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির আড়ালে বার্ষিকীর ভূমিকাও কম নয়। স্মরণীয় বহু ছোটোদের লেখার প্রথমপাঠ লুকিয়ে রয়েছে ছিন্ন-জীর্ণ হারানো-পুরোনো বার্ষিকীতে। বছর-বছর প্রকাশিত এই সব বার্ষিকীর পাতায় পাতায় কত না বিস্ময়। ১৩২৫-এ ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের কথা ভেবে বার্ষিকী প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরই সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম বার্ষিকী ‘পার্বণী’ প্রকাশিত হয়েছিল, শারদোৎসবের প্রাক্কালে। প্রকাশমাত্রই অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রবীন্দ্রজামাতার হাত ধরেই ছোটোদের সাহিত্যের নতুন এক দরজা খুলে যায়। গলি, মেঠোপথ, পিচপথ পেরিয়ে দাঁড়ায় উন্মুক্ত এক প্রাঙ্গণে। সন্দেহ নেই যে, এর ফলে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পরিসর অনেক বিস্তৃত হয়েছিল।
এখন আর পুজোর মুখে নতুন লেখার ডালি সাজিয়ে সে-ভাবে বার্ষিকী প্রকাশিত হয় না। দু-একটি যদিও বা প্রকাশিত হয়, তা পুরোনো লেখারই পুনর্মুদ্রণ। বার্ষিকী নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক বার্ষিকীই এখন সুলভ নয়। তাই বার্ষিকীর হারানো ইতিহাস ফিরে দেখতে চেয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বার্ষিকীর এই বারান্দায় দাঁড়ালে, লেখাগুলি পড়লে ছোটোরা জানতে পারবে আমাদের শিশু-কিশোর সাহিত্যের সমৃদ্ধির ইতিহাস। মনে মনে তারা নিশ্চয়ই গৌরববোধ করবে, কত সোনার ফসল তাদের জন্য ছড়ানো রয়েছে। বড়োরা অনায়াসে পেয়ে যাবেন অনেক স্মরণীয় রচনার প্রথম প্রকাশের হদিশ। স্পষ্ট হয়ে উঠবে বার্ষিকীর প্রবহমানতা, খানিক ইতিহাস। ধারাবাহিকতা রেখে সব বার্ষিকীর কথা লেখা না হলেও অনেকখানিই তুলে ধরা হয়েছে " বার্ষিকীর বারান্দা " গ্রন্থে।
বার্ষিকীর বারান্দা
₹200
আমাদের ছোটোদের সাহিত্য অতীব সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধির আড়ালে বার্ষিকীর ভূমিকাও কম নয়। স্মরণীয় বহু ছোটোদের লেখার প্রথমপাঠ লুকিয়ে রয়েছে ছিন্ন-জীর্ণ হারানো-পুরোনো বার্ষিকীতে। বছর-বছর প্রকাশিত এই সব বার্ষিকীর পাতায় পাতায় কত না বিস্ময়। ১৩২৫-এ ঠাকুরবাড়ির জামাতা নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছোটোদের কথা ভেবে বার্ষিকী প্রকাশের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরই সম্পাদনায় বাংলা ভাষার প্রথম বার্ষিকী ‘পার্বণী’ প্রকাশিত হয়েছিল, শারদোৎসবের প্রাক্কালে। প্রকাশমাত্রই অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রবীন্দ্রজামাতার হাত ধরেই ছোটোদের সাহিত্যের নতুন এক দরজা খুলে যায়। গলি, মেঠোপথ, পিচপথ পেরিয়ে দাঁড়ায় উন্মুক্ত এক প্রাঙ্গণে। সন্দেহ নেই যে, এর ফলে শিশু-কিশোর সাহিত্যের পরিসর অনেক বিস্তৃত হয়েছিল।
এখন আর পুজোর মুখে নতুন লেখার ডালি সাজিয়ে সে-ভাবে বার্ষিকী প্রকাশিত হয় না। দু-একটি যদিও বা প্রকাশিত হয়, তা পুরোনো লেখারই পুনর্মুদ্রণ। বার্ষিকী নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক বার্ষিকীই এখন সুলভ নয়। তাই বার্ষিকীর হারানো ইতিহাস ফিরে দেখতে চেয়েছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বার্ষিকীর এই বারান্দায় দাঁড়ালে, লেখাগুলি পড়লে ছোটোরা জানতে পারবে আমাদের শিশু-কিশোর সাহিত্যের সমৃদ্ধির ইতিহাস। মনে মনে তারা নিশ্চয়ই গৌরববোধ করবে, কত সোনার ফসল তাদের জন্য ছড়ানো রয়েছে। বড়োরা অনায়াসে পেয়ে যাবেন অনেক স্মরণীয় রচনার প্রথম প্রকাশের হদিশ। স্পষ্ট হয়ে উঠবে বার্ষিকীর প্রবহমানতা, খানিক ইতিহাস। ধারাবাহিকতা রেখে সব বার্ষিকীর কথা লেখা না হলেও অনেকখানিই তুলে ধরা হয়েছে " বার্ষিকীর বারান্দা " গ্রন্থে।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন
₹50
লালমােহন ঘােষ ছিলেন একজন দেশসেবক। তিনি আমার আদর্শ। মা-বাবার সন্তানদের মধ্যে আমি সব থেকে ছােটো। কিন্তু তার জীবনকথা লিখে রাখার এই গুরু দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ল। এই কাজটা আমার ছােড়দার করার কথা, তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, তার পক্ষে এই কাজটা সহজ এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। ভাগ্যক্রমে পেলাম অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তীকে। তিনি আমাকে সাহায্য করতে রাজি হলেন, শুরু করলাম ' লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন ' বই-এর কাজ।
বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট করেও মা ভাইদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড়ভাই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে, মেজভাই আরটিস্ট গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে, সেজভাইকে এগ্রিকালচার পড়িয়েছিলেন, কিন্তু টি. বি. হওয়াতে পড়া শেষ কত পারেনি। পরে রেডিও ইনজিনিয়ারিং শিখে চাকরি পায় ; আর ছােটভাই ট্রিপল এম.এ. ও ল পাশ করে সাংবাদিকতা করে। এই অবস্থায় সবাই চাকরি পেলে আমাদের অবস্থা ভালই হত, কিন্তু 1947-1948 সালে চাকরির বাজার ছিল খুব খারাপ। বিশেষত আমাদের দেশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। বাবা বিধানচন্দ্র রায়ের ডাকা মন্ত্রীসভায় যােগ দিলেন না। উপরস্ত সমালােচনা ও বিরোধিতা করলেন। তাতে কংগ্রেসের অনকেই তার উপর ক্ষুব্ধ হলেন। তাতে ভাইদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল, এইভাবে অতিকষ্টে দিন কেটেছে মা-বাবার। তবুও বাবা কারাে কাছে মাথা নত করে ছেলেদের চাকরির জন্য অনুরােধ করেননি। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় যােগ দেবার ডাক এল। তাও বাবা ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। সেই অবস্থাতেও লােকের দুঃখ কষ্টে এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে আমার স্বাধীনতা-সংগ্রামী পিতার প্রতি এই আমার নিবেদন।
লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন
₹50
লালমােহন ঘােষ ছিলেন একজন দেশসেবক। তিনি আমার আদর্শ। মা-বাবার সন্তানদের মধ্যে আমি সব থেকে ছােটো। কিন্তু তার জীবনকথা লিখে রাখার এই গুরু দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ল। এই কাজটা আমার ছােড়দার করার কথা, তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, তার পক্ষে এই কাজটা সহজ এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। ভাগ্যক্রমে পেলাম অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তীকে। তিনি আমাকে সাহায্য করতে রাজি হলেন, শুরু করলাম ' লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন ' বই-এর কাজ।
বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট করেও মা ভাইদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড়ভাই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে, মেজভাই আরটিস্ট গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে, সেজভাইকে এগ্রিকালচার পড়িয়েছিলেন, কিন্তু টি. বি. হওয়াতে পড়া শেষ কত পারেনি। পরে রেডিও ইনজিনিয়ারিং শিখে চাকরি পায় ; আর ছােটভাই ট্রিপল এম.এ. ও ল পাশ করে সাংবাদিকতা করে। এই অবস্থায় সবাই চাকরি পেলে আমাদের অবস্থা ভালই হত, কিন্তু 1947-1948 সালে চাকরির বাজার ছিল খুব খারাপ। বিশেষত আমাদের দেশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। বাবা বিধানচন্দ্র রায়ের ডাকা মন্ত্রীসভায় যােগ দিলেন না। উপরস্ত সমালােচনা ও বিরোধিতা করলেন। তাতে কংগ্রেসের অনকেই তার উপর ক্ষুব্ধ হলেন। তাতে ভাইদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল, এইভাবে অতিকষ্টে দিন কেটেছে মা-বাবার। তবুও বাবা কারাে কাছে মাথা নত করে ছেলেদের চাকরির জন্য অনুরােধ করেননি। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় যােগ দেবার ডাক এল। তাও বাবা ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। সেই অবস্থাতেও লােকের দুঃখ কষ্টে এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে আমার স্বাধীনতা-সংগ্রামী পিতার প্রতি এই আমার নিবেদন।