“হারানো বইয়ের খোঁজে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
বাংলা সাহিত্যের তিন কথক
By প্রবীর সরকার
Publisher: একুশ শতক
₹200
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
গল্প পঁচিশ
₹250
আমার প্রথম দুটো গল্পের বইয়ের কোনও কপি এখন আর কোথাও পাওয়া যায়না। আমার বা আমারই বােনের মতাে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে তা থাকলেও থাকতে পারে। সম্ভাব্যতার কী অনবদ্য সম্প্রসারণ! প্রথম দুটি গল্পের বইয়ের অনস্তিত্ব অনুভব করে সেই বই দুটি থেকে ৬টি গল্প এই ' গল্প পঁচিশ ' সংকলনে নিয়েছি। গত পঁচিশ বছরে লেখা পঁচিশটি গল্প। তার বেশি হলেই কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়ে যেত।
গল্প পঁচিশ
₹250
আমার প্রথম দুটো গল্পের বইয়ের কোনও কপি এখন আর কোথাও পাওয়া যায়না। আমার বা আমারই বােনের মতাে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে তা থাকলেও থাকতে পারে। সম্ভাব্যতার কী অনবদ্য সম্প্রসারণ! প্রথম দুটি গল্পের বইয়ের অনস্তিত্ব অনুভব করে সেই বই দুটি থেকে ৬টি গল্প এই ' গল্প পঁচিশ ' সংকলনে নিয়েছি। গত পঁচিশ বছরে লেখা পঁচিশটি গল্প। তার বেশি হলেই কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়ে যেত।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
নির্বাচিত কালি – কলম
₹200
কল্লোলকে ঘিরে যে নতুনতর সাহিত্য-সৃষ্টির প্রয়াস, কালি-কলমের আত্মপ্রকাশে তা আরও প্রাণরসে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল। কারণ, কল্লোল ও কালি-কলমের মধ্যে আদর্শগত কোনও প্রভেদ ছিল না। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ভাষায় বলা যায়, একই মুক্ত বিহঙ্গের দুই দীপ্ত পাখা। কালি-কলম দীর্ঘায়ু হয়নি। ক্রমাগত এসেছে নানা প্রতিকূলতা। সম্পাদনার দায়িত্ব থেকে প্রথমে প্রেমেন্দ্র মিত্র, পরে শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায় সরে দাঁড়িয়েছেন। একা সামলেছেন মুরলীধর বসু।
কালি-কলমের স্বল্পায়ু জীবন ঘটনাবহুল। প্রকাশিত হয়েছে অজস্র স্মরণীয় রচনা। কোনও কোনও লেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে। এমনকি গ্রেফতারি পরােয়ানা নিয়ে পুলিশ হাজির হয়েছে পত্রিকা-দপ্তরে। পুলিশ-বিভাগের বিচারে অশ্লীল-সাহিত্য প্রচার করেছে কালি-কলম। ধুলাে-মলিন কালি-কলমের পাতা থেকে রকমারি রচনা নিয়ে এই সংকলন ' নির্বাচিত কালি – কলম '। গল্প-উপন্যাস-কবিতার পাশাপাশি গ্রন্থিত হয়েছে মূল্যবান প্রবন্ধ। কালি-কলম প্রাচীন ঐতিহ্যবহ গ্রন্থাগারেও সহজলভ্য নয়। দুষ্প্রাপ্য পত্রিকাটির নির্বাচিত রচনার মহার্থ সংকলন প্রকাশিত হল পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযােগ্য সম্পাদনায়।
নির্বাচিত কালি – কলম
₹200
কল্লোলকে ঘিরে যে নতুনতর সাহিত্য-সৃষ্টির প্রয়াস, কালি-কলমের আত্মপ্রকাশে তা আরও প্রাণরসে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছিল। কারণ, কল্লোল ও কালি-কলমের মধ্যে আদর্শগত কোনও প্রভেদ ছিল না। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ভাষায় বলা যায়, একই মুক্ত বিহঙ্গের দুই দীপ্ত পাখা। কালি-কলম দীর্ঘায়ু হয়নি। ক্রমাগত এসেছে নানা প্রতিকূলতা। সম্পাদনার দায়িত্ব থেকে প্রথমে প্রেমেন্দ্র মিত্র, পরে শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায় সরে দাঁড়িয়েছেন। একা সামলেছেন মুরলীধর বসু।
কালি-কলমের স্বল্পায়ু জীবন ঘটনাবহুল। প্রকাশিত হয়েছে অজস্র স্মরণীয় রচনা। কোনও কোনও লেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড়ও উঠেছে। এমনকি গ্রেফতারি পরােয়ানা নিয়ে পুলিশ হাজির হয়েছে পত্রিকা-দপ্তরে। পুলিশ-বিভাগের বিচারে অশ্লীল-সাহিত্য প্রচার করেছে কালি-কলম। ধুলাে-মলিন কালি-কলমের পাতা থেকে রকমারি রচনা নিয়ে এই সংকলন ' নির্বাচিত কালি – কলম '। গল্প-উপন্যাস-কবিতার পাশাপাশি গ্রন্থিত হয়েছে মূল্যবান প্রবন্ধ। কালি-কলম প্রাচীন ঐতিহ্যবহ গ্রন্থাগারেও সহজলভ্য নয়। দুষ্প্রাপ্য পত্রিকাটির নির্বাচিত রচনার মহার্থ সংকলন প্রকাশিত হল পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযােগ্য সম্পাদনায়।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।
কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ
₹250
What is self? How can the self be grasped? কীভাবে আমার সত্তা পারিপার্শ্বিক পরিসরে এবং সময়ােচিত কারণে ভাবনার নানা নির্যাসকে গড়ে তােলে—এই দুটো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিভিন্ন পাঠ-বিন্যাসের প্রচেষ্টা। উপন্যাস ও গল্পের সুবিন্যস্ত প্রেক্ষাপটে নিজের চিন্তাগুলােকে একটু গুছিয়ে নেওয়া। বিশ থেকে একুশ শতকের নানা সময়ে প্রকাশিত গল্প-উপন্যাসগুলিতে সেই প্রয়াসকেই একজন নিবিষ্ট পাঠক হিসেবে গুছিয়ে তুলতে চেয়েছি সময়ের অন্তত এবং বহিত পরিসরে, যেহেতু ' কথা সাহিত্যের বহুমাত্রিক পাঠ ' গ্রন্থটি স্ব-নির্বাচিত গল্প-উপনাসের পাঠ প্রতিক্রিয়ার।
উপন্যাস সম্বন্ধে নিজের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে মিলান কুন্দেরা সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেছিলেন তার "The Art of Novel" গ্রন্থে। এই পৃথিবীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কটা ঠিক কেমন, বােঝাতে গিয়ে বলেছিলেন তা যেন ঠিক খােলসে আবৃত শামুকের মতাে। শামুক তার নিজেকে ঢাকবার (সে নিরাপত্তার আধারও হতে পারে) খােলসটিকে সঙ্গে নিয়েই চলে। প্রয়োজনে সে নিজেকে লুকিয়ে ফেলে। তখন মুখ আর মুখােশের আড়ালটা বােঝা যায় না। অন্যদিকে আবার বলা যায় এতটাই সংশ্লিষ্ট এই নির্ভরতা। শামুক যেমন খােলসে আধারিত হয়েই আছে ঠিক তেমনি মানুষও পৃথিবীর প্রকোষ্ঠে লীন হয়েই আছে। তাই আধারের পরিবর্তনের সাথে সাথে আয়ের পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। আর সেই আধার-বন্দি মানুষের যাপনের নানা মাত্রিকতাকে উপন্যাস ধারণ করে তার ভাষায়। উপন্যাসে যদি তা ঘটে থাকে বিস্তারিত ধারায় তবে ছােটোগল্পে এর সংহত রূপকেই পাঠ করেন পাঠক।
তাই বলা যায়, কথাসাহিত্যের দুটি ধারাতেই পাঠক বিস্মিত আবিষ্কারক এবং অভিযাত্রীর ভূমিকা পালন করে এগিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠ-অভিজ্ঞতার মাত্রাও পরিবর্তিত হয়।