“প্রবন্ধ সংগ্রহ” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
বটপাকুড়ের ফেনা
By শঙ্খ ঘোষ
₹350
একটানা প্রায় ছ ' বছর ধরে কবি শঙ্খ ঘোষ " সৃষ্টির একুশ শতক " পত্রিকায় লিখেছিলেন এই জার্নালধর্মী অনন্য স্মৃতি সঞ্চয় " বটপাকুড়ের ফেনা "। কবিতার মতোই মনোরম গদ্য। ভূমিকা বা উপসংহারের বালাই নেই। জীবনের অতলে চারিয়ে যাওয়া ঘটনাবলিতে শুধু উঁকি মারা মাত্র। যার মধ্যে ব্যক্তি ও কবি শঙ্খ ঘোষের মধ্যেকার একটা যোগসূত্র লক্ষ্য করা যায়। সেই অর্থে এই বই কোনো আত্মকথা নয়, কোনো ডায়েরি নয়। এই বই যেন দুটি মানুষের এক গ্রন্থিতে পথ চলার এক নিরন্তর জার্নাল। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বটপাকুড়ের ফেনা পাঠকের নজর কেড়েছে, পেয়েছে আকুন্ঠ অভিনন্দন।
একুশ শতক থেকে প্রকাশিত লেখকের অন্যান্য গ্রন্থগুলি হলো পুরোনো চিঠির ঝাঁপি এবং পুরোনো চিঠির ঝাঁপি ( দ্বিতীয় খন্ড )
বটপাকুড়ের ফেনা
By শঙ্খ ঘোষ
₹350
একটানা প্রায় ছ ' বছর ধরে কবি শঙ্খ ঘোষ " সৃষ্টির একুশ শতক " পত্রিকায় লিখেছিলেন এই জার্নালধর্মী অনন্য স্মৃতি সঞ্চয় " বটপাকুড়ের ফেনা "। কবিতার মতোই মনোরম গদ্য। ভূমিকা বা উপসংহারের বালাই নেই। জীবনের অতলে চারিয়ে যাওয়া ঘটনাবলিতে শুধু উঁকি মারা মাত্র। যার মধ্যে ব্যক্তি ও কবি শঙ্খ ঘোষের মধ্যেকার একটা যোগসূত্র লক্ষ্য করা যায়। সেই অর্থে এই বই কোনো আত্মকথা নয়, কোনো ডায়েরি নয়। এই বই যেন দুটি মানুষের এক গ্রন্থিতে পথ চলার এক নিরন্তর জার্নাল। গ্রন্থাকারে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বটপাকুড়ের ফেনা পাঠকের নজর কেড়েছে, পেয়েছে আকুন্ঠ অভিনন্দন।
একুশ শতক থেকে প্রকাশিত লেখকের অন্যান্য গ্রন্থগুলি হলো পুরোনো চিঠির ঝাঁপি এবং পুরোনো চিঠির ঝাঁপি ( দ্বিতীয় খন্ড )
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস ভাষা ও শৈলী
By মফিজ উদ্দিন
₹300
শ্যামল গঙ্গাপাধ্যায় ছিলেন একজন বাঙালি উপন্যাসিক এবং সম্পাদক। তিনি মোগল সম্রাট দারা শুকোহের জীবন অবলম্বনে শাহজাদা দারাসুকো উপন্যাসের জন্য ১৯৯৩ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পেয়েছিলেন। লেখক মফিজ উদ্দিন, তাঁর কিছু পছন্দের উপন্যাস এখানে তুলে ধরেছেন।
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস ভাষা ও শৈলী
By মফিজ উদ্দিন
₹300
শ্যামল গঙ্গাপাধ্যায় ছিলেন একজন বাঙালি উপন্যাসিক এবং সম্পাদক। তিনি মোগল সম্রাট দারা শুকোহের জীবন অবলম্বনে শাহজাদা দারাসুকো উপন্যাসের জন্য ১৯৯৩ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পেয়েছিলেন। লেখক মফিজ উদ্দিন, তাঁর কিছু পছন্দের উপন্যাস এখানে তুলে ধরেছেন।
জীবনানন্দ
₹150
জীবনান্দের কবিতাতেই পাঠক পেয়েছেন একই সঙ্গে যুগ সংকটের সত্যতম প্রতিবিম্ব আর নিত্যকালের রোমান্টিক নিবিড়তার স্বাদ। অ - দৃষ্টপূৰ্ব দৃষ্টিকোণ; ও - পূর্বভাবিত ভাবনা; আর সতেজ, সাহসী ও আশ্চর্য অভিব্যাক্তময় ভাষা। চিত্রকল্পের অভিনব বহুমাত্রিকতা নিয়ে জীবনানন্দ - প্রধানত জীবানানন্দই হয়ে উঠলেন বাংলার আধুনিক কবিদের অবিসংবাদিত প্রতিনিধি।
এখানে সন্নিবেশিত হলো জীবনানন্দের দশটি কবিতা এবং প্রতিটি কবিতার চারটি করে ভাষান্তর। চারটি প্রধান ইউরোপীয় ভাষা - ইংরেজি, ফরাসি, স্পেনীয় এবং জার্মান - আমরা বেছে নিয়েছি। জীবনানন্দের মাপের একজন কবিকে দশটি মাত্র কবিতা দিয়ে কখনো বোঝা যায় না। তবুও সেই অসম্ভবকে স্পর্শ করার অক্ষম প্রয়াস এই সংকলন।
প্রথম কবিতাটি ' রূপসী বাংলা ' সংকলনের দ্বিতীয় কবিতা। রূপসী বাংলা সংকলনের কবিতাগুলিতে প্রকাশ পায় বাংলার প্রকৃতি ও গ্রাম জীবনের শান্ত সৌন্দর্য মগ্ন মুগ্ধতা।
জীবনানন্দ এক অসামান্য রোমান্টিক কবি। ' বনলতা সেন ' তাঁর সুবিখ্যাত রোমান্টিক প্রেমের কবিতা। প্রেমের সঙ্গেই বহু উপলব্ধির সংশ্লেষ এই কবিতায়। ' ঘাস ' কবিতায় মূর্ত হয়ে ওঠে নিসর্গের নিবিড় ইন্দ্রিয় - সংবেদন। ' হরিণেরা - ও ' রোমান্টিক সৌন্দর্য দৃষ্টির কবিতা। প্রকৃতির রূপময়তাকে দেখা হয়েছে কিছুটা সুররিয়েলিস্তিক ভঙ্গিতে।
' কমলালেবু ' কবিতায় উঠে এসেছে জীবনের অতি পরিচিত কোনো দৃশ্যের মধ্যে জীবনের সুমহান বিপুলতার সংহত ছায়া। নিজের প্রাণকে আর্তের জন্য উৎসর্গ করে দেওয়াই যে জীবনের পূর্ণতম চরিতার্থতা।
' ভিখারি ' কবিতাটিতে ধারা পড়েছে জীবনের কঠোর বাস্তবতা - মানব সভ্যতার ভয়াবহ বৈষম্য ও অসংগতি। জীবনানন্দ এক গভীর সমাজ মনস্ক কবি ছিলেন।
' আকাশলীনা ' তাঁর আরো একটি আশ্চর্য প্রেমের কবিতা। প্রেয়সী এখানে বাস্তবের ভূমি থেকে ক্রমে আকাশ - মৃত্তিকাব্যাপ্ত সমগ্র ধরিত্রীতে লীন হয়ে গেছে।
' অদ্ভুত আঁধার এক ..... ' কবিতাটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিষ্ঠূরতা, বোমা বিস্ফোরণের ভয়ঙ্করতা তথাকথিত মানব - সভ্যতায় বীতশ্রদ্ধ কবির নৈরাশ্যের - তিক্ত হৃদয়ের ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
জীবনানন্দ
₹150
জীবনান্দের কবিতাতেই পাঠক পেয়েছেন একই সঙ্গে যুগ সংকটের সত্যতম প্রতিবিম্ব আর নিত্যকালের রোমান্টিক নিবিড়তার স্বাদ। অ - দৃষ্টপূৰ্ব দৃষ্টিকোণ; ও - পূর্বভাবিত ভাবনা; আর সতেজ, সাহসী ও আশ্চর্য অভিব্যাক্তময় ভাষা। চিত্রকল্পের অভিনব বহুমাত্রিকতা নিয়ে জীবনানন্দ - প্রধানত জীবানানন্দই হয়ে উঠলেন বাংলার আধুনিক কবিদের অবিসংবাদিত প্রতিনিধি।
এখানে সন্নিবেশিত হলো জীবনানন্দের দশটি কবিতা এবং প্রতিটি কবিতার চারটি করে ভাষান্তর। চারটি প্রধান ইউরোপীয় ভাষা - ইংরেজি, ফরাসি, স্পেনীয় এবং জার্মান - আমরা বেছে নিয়েছি। জীবনানন্দের মাপের একজন কবিকে দশটি মাত্র কবিতা দিয়ে কখনো বোঝা যায় না। তবুও সেই অসম্ভবকে স্পর্শ করার অক্ষম প্রয়াস এই সংকলন।
প্রথম কবিতাটি ' রূপসী বাংলা ' সংকলনের দ্বিতীয় কবিতা। রূপসী বাংলা সংকলনের কবিতাগুলিতে প্রকাশ পায় বাংলার প্রকৃতি ও গ্রাম জীবনের শান্ত সৌন্দর্য মগ্ন মুগ্ধতা।
জীবনানন্দ এক অসামান্য রোমান্টিক কবি। ' বনলতা সেন ' তাঁর সুবিখ্যাত রোমান্টিক প্রেমের কবিতা। প্রেমের সঙ্গেই বহু উপলব্ধির সংশ্লেষ এই কবিতায়। ' ঘাস ' কবিতায় মূর্ত হয়ে ওঠে নিসর্গের নিবিড় ইন্দ্রিয় - সংবেদন। ' হরিণেরা - ও ' রোমান্টিক সৌন্দর্য দৃষ্টির কবিতা। প্রকৃতির রূপময়তাকে দেখা হয়েছে কিছুটা সুররিয়েলিস্তিক ভঙ্গিতে।
' কমলালেবু ' কবিতায় উঠে এসেছে জীবনের অতি পরিচিত কোনো দৃশ্যের মধ্যে জীবনের সুমহান বিপুলতার সংহত ছায়া। নিজের প্রাণকে আর্তের জন্য উৎসর্গ করে দেওয়াই যে জীবনের পূর্ণতম চরিতার্থতা।
' ভিখারি ' কবিতাটিতে ধারা পড়েছে জীবনের কঠোর বাস্তবতা - মানব সভ্যতার ভয়াবহ বৈষম্য ও অসংগতি। জীবনানন্দ এক গভীর সমাজ মনস্ক কবি ছিলেন।
' আকাশলীনা ' তাঁর আরো একটি আশ্চর্য প্রেমের কবিতা। প্রেয়সী এখানে বাস্তবের ভূমি থেকে ক্রমে আকাশ - মৃত্তিকাব্যাপ্ত সমগ্র ধরিত্রীতে লীন হয়ে গেছে।
' অদ্ভুত আঁধার এক ..... ' কবিতাটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিষ্ঠূরতা, বোমা বিস্ফোরণের ভয়ঙ্করতা তথাকথিত মানব - সভ্যতায় বীতশ্রদ্ধ কবির নৈরাশ্যের - তিক্ত হৃদয়ের ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
হৃদয়ভূমি
By সমীর রক্ষিত
₹300
লোকগায়ক শিবসুন্দরের গানে উপন্যাসের শুরু এবং শেষ। সে গান ভাবাবেগের প্রেম-গীতি নয়, ঈশ্বরমুখী ভক্তিগীতিও নয়। সেই গানের উৎসে আর বিস্তারে স্পন্দিত হয় ভারতভূমির হৃদয়। উপন্যাসের নাম 'হৃদয়ভূমি'।
এই স্বাদেশিকতাবোধের জাগরণ ঘটতে শুরু করেছিল উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে। সেই ধারাই দুটি স্রোতে ক্রমশ গিয়ে মিলেছিল স্বাধীনতায়। একদিকে ব্রিটিশ শাসনের শেকল-ছেঁড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অন্যদিকে দীর্ঘকালব্যাপী রক্ষণশীল সামাজিক অনুশাসনের চাপ ছিন্ন করে ব্যক্তির আত্মমর্যাদা অর্জন করবার স্বাধীনতা। একদিকে বিদেশি শাসকের অধীনতা থেকে মুক্তি; অন্যদিকে সামস্ততন্ত্রের ও জমিদারের বিপরীতে প্রজা, পুরুষতন্ত্রের অনুশাসন অগ্রাহ্য করে নারীর পদক্ষেপ, ‘ধর্মীয়’ নিষেধের বিরুদ্ধে মানব সাম্যবোধের যুক্তির যাত্রা শুরু। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাস এই প্রশ্নতি-যাত্রার চলচ্চিত্র। স্থান অবিভক্ত বঙ্গের পূর্বাঞ্চল। কাল ঊনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণ।
উপন্যাস ইতিহাস নয়। ইতিহাসের চেনা চরিত্রেরা অবশ্য মাঝে মাঝেই দেখা দিয়েছেন। যেমন—ইশা খাঁ, বেমগ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী। কিন্তু কেন্দ্রীয় আখ্যানে আছে এক জমিদার বংশের দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। কৌলিক উপাধি রায় রায়ান। পিতা শ্রীনাথ ত্যাজ্য পুত্র করেছেন মেজ ছেলে রামনাথকে। যুগের আধুনিকতার চালচলন মানতে পারেন না তিনি।
নব জাগরণের আলোেক স্পর্শে পুত্র রামনাথের মনের কোনো কোনো জানালা খুলেছে। কিন্তু সম্পূর্ণভাবে দরজা খুলে দিতে যে তিনি পারেননি, তা নিজেও সবটা জানেন না। স্ত্রী কনকলতা জাগ্রত-মনন এবং মানবদরদি হৃদয়ের অধিকারী। বিপন্ন মেয়েদের জন্য রায়ভিলার একতলায় চিকিৎসালয় খুললেন কনকলতা। চিকিৎসা হবে নির্যাতনের শিকার, যৌন রোগাক্রান্ত, গণিকা অপবাদে ক্লিষ্ট মেয়েদের। রামনাথের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ব্রহ্মসংগীতের সুরে দ্বারোদ্ঘাটন হল সেবা নিকেতনের—‘অন্তর মম বিকশিত কর'। রামনাথের কণ্ঠেও তখন নতুন জীবনে যোগ দেওয়ার আকুলতা। 'হৃদয়ভূমি' উপন্যাসে এই আশ্বাসের বাণী।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।
আসামের বাংলা ছোটগল্প
₹400
আসামের বাঙালি জীবনের ভূমিতল সত্যের ভিতটা গণভোট ও দেশভাগের হঠাৎ ঘায়ে যখন ছিন্নভিন্ন অবস্থা থেকে একটু থিতু হচ্ছে তখনই বলা হয় বাঙালি বিদেশি, বলা হয় বাংলায় পড়াশুনা করা যাবে না স্বাধীন দেশে, তাড়াতে হবে স্বভূমি থেকে বাঙালিকে, তাঁবু গোটাতে হবে। কিন্তু বাঙালি যাবে কোথায়, কেন যাবে বংশ পরম্পরায় আসামবাসী বাঙালি। স্থায়ী বসতি থেকে উৎখাতের রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি প্রথম প্রতিবাদ করে ১৯৬১র উনিশে মে আর সেদিনই এগারোজন শহিদ হন, স্বাধীন দেশে প্রথম ভাষাশহিদ। এর পরেও দফায় দফায় শহিদ হয়েছেন দক্ষিণ আসামে, এমনকি উত্তর আসামের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও চোরাগাপ্তা বাঙালি হত্যা হয়েছে। গোরেশ্বর হত্যাকাণ্ড হয়েছে নেলির চরমানুষদের হত্যা হয়েছে। এমন যখন অবস্থা তখন আসামের বাঙালি সর্বাত্মক প্রতিরোধে নেমেছে যার যেমন ক্ষমতা সেই অস্ত্র হাতে। আসামের বাঙালির কবি শক্তিপদ ব্রহ্মচারী কবিতায় জানিয়েছেন তাঁর ক্ষোভ, 'যে কেড়েছে বাস্তুভিটে, সে-ই কেড়েছে ভয়, আকাশ জুড়ে লেখা আমার আত্মপরিচয়। কথাসাহিত্যিকরাও এক নবভাষায় লিখেছেন তার যন্ত্রণার যাপন কথা, তার বিরাগ।
দ্বন্দ্ব আরও সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে, আসামের বাঙালি এখন ধ্বংসের মুখোমুখি। রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের অছিলায় চল্লিশ লাখের উপর বাঙালির নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশাল বিশাল গারদ তৈরি হয়েছে বরাক উপত্যকায় ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়। বিদেশি, বহিরাগত ও রাষ্ট্রহীন তকমাধারী বাঙালির জন্য বন্দীশিবির। আসামের ভূমিপুত্র বাঙালি জানে না কোন সে বাহির থেকে তার আগমন, কোন সে বিদেশ, কোথায় যাবে জানে না বিপন্ন বাঙালি। এই যখন অবস্থা তখন বাঙালি কথাসাহিত্যিকও তার সীমিত ক্ষমতায় রচনা করে চলেছেন এক যৌথ আখ্যান, বঞ্চনার মহা-ইতিহাস। মহড়া দিচ্ছেন প্রতিরোধের। বলছেন তোমরা কে হে, মারী মন্বস্তরে মরে নি যে বাঙালি তাকে মারার তোমরা কো আসামে বাংলা কথাসাহিত্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকার স্বাধীনতার আগে থেকেই ছিল, কিন্তু সত্তরের দশক থেকে ঔজ্জ্বল্য দীপ্যমান হতে শুরু করে। অস্তিত্ব সংকট যত ঘনীভূত হচ্ছে, ততই কথকের সমবায় দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়েছে, বৃহৎকথার লিখন চলছে অনেক হাতে। এবং বাংলা কথাসাহিত্যেও এক নির্মম সত্যভাষার সূচনা হয়েছে আসামে। এরকম চুয়াল্লিশ জন কথাকারের নির্বাচিত গল্প নিয়ে " আসামের বাংলা ছোটগল্প " সংকলন গ্রন্থে প্রতিফলিত সময় এর দর্পন।