Discount applied: Discount 20%
“প্রেমের কাব্য” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
মুখোমুখি তারাশঙ্কর
₹350
তারাশঙ্কর রবীন্দ্র সান্নিধ্যে উপনীত হবেন—এ অত্যন্ত স্বাভাবিক কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সন্তানসম সাহিত্যিক তারাশঙ্করের সাহিত্য পাঠে কাব্যদৃষ্টিতে নবচিন্তার রসদ পাবেন তারাশঙ্কর অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন এ আমাদের কাছে বড় বিস্ময়ের মনে হয়। তেমনি সাহিত্যিক শৈলজানন্দকে অনুসরণ করেই তারাশঙ্কর যে নতুন পথের দিশা পেয়েছিলেন—এ কথা তিনি নিজেই জানিয়ে গিয়েছেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে তারাশঙ্করের জাতীয় চিন্তা ও চেতনার বিষয়টি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। গান্ধীবাদী তারাশঙ্কর কেন বামশিবিরে যুক্ত হয়েছিলেন আবার কেনই বা সেখান থেকে তিনি সরে আসেন তারও অনুসন্ধান করতে চেয়েছি আমরা।
তেমনি বাংলা ভাষা এবং অসমে অত্যাচারিত বাঙালির জন্য তারাশঙ্করের মসীযুদ্ধ; বিদেশে সাহিত্য সম্মেলনে ছত্রিশটি দেশের বিরুদ্ধে তারাশঙ্কর কিভাবে ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির পক্ষে মুখোমুখি ভয়ঙ্কর লড়াই করেছিলেন তার এক বিশেষ অনুসন্ধান এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কোন মুখাপেক্ষি হয়ে বিধান পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর কাশী গিয়েছিলেন, কার এবং কিসের মুখাপেক্ষি হয়ে তিনি রামায়ণ গবেষণায় রত হয়েছিলেন - এই সব ভিন্নমাত্রিক বিচিত্র বিষয় নিয়ে নিবন্ধগুলি রচিত হয়েছে।
মুখোমুখি তারাশঙ্কর
₹350
তারাশঙ্কর রবীন্দ্র সান্নিধ্যে উপনীত হবেন—এ অত্যন্ত স্বাভাবিক কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে সন্তানসম সাহিত্যিক তারাশঙ্করের সাহিত্য পাঠে কাব্যদৃষ্টিতে নবচিন্তার রসদ পাবেন তারাশঙ্কর অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন এ আমাদের কাছে বড় বিস্ময়ের মনে হয়। তেমনি সাহিত্যিক শৈলজানন্দকে অনুসরণ করেই তারাশঙ্কর যে নতুন পথের দিশা পেয়েছিলেন—এ কথা তিনি নিজেই জানিয়ে গিয়েছেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মুখোমুখি হওয়ার মধ্য দিয়ে তারাশঙ্করের জাতীয় চিন্তা ও চেতনার বিষয়টি উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। গান্ধীবাদী তারাশঙ্কর কেন বামশিবিরে যুক্ত হয়েছিলেন আবার কেনই বা সেখান থেকে তিনি সরে আসেন তারও অনুসন্ধান করতে চেয়েছি আমরা।
তেমনি বাংলা ভাষা এবং অসমে অত্যাচারিত বাঙালির জন্য তারাশঙ্করের মসীযুদ্ধ; বিদেশে সাহিত্য সম্মেলনে ছত্রিশটি দেশের বিরুদ্ধে তারাশঙ্কর কিভাবে ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির পক্ষে মুখোমুখি ভয়ঙ্কর লড়াই করেছিলেন তার এক বিশেষ অনুসন্ধান এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কোন মুখাপেক্ষি হয়ে বিধান পরিষদের সদস্য তারাশঙ্কর কাশী গিয়েছিলেন, কার এবং কিসের মুখাপেক্ষি হয়ে তিনি রামায়ণ গবেষণায় রত হয়েছিলেন - এই সব ভিন্নমাত্রিক বিচিত্র বিষয় নিয়ে নিবন্ধগুলি রচিত হয়েছে।
ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা
₹600
ভারতের লোকনৃত্য অগণন। রূপে রসে স্নিগ্ধ। স্থান মাহাত্ম্যে ভাস্বর। নৃত্য আঙ্গিক, চঞ্চল চরণছন্দে মুদ্রা কেবল রেখাগতি নয়। আরও, আরও কিছু। দৃষ্টি সুখের সৃজনমুদ্রা। লেখক স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন নানারঙের নিতি নৃত্য, লোকনৃত্য। ভারত সরকারের সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপ - অধিকর্তা হওয়ার দরুন , কর্মসূত্রে রাজ্য রাজ্য ঘুরে সংগ্রহ করেছেন নৃত্যকলা। সরল বিশ্লেষণ, তৌলবিচার, শিল্পীদের শরীরী নৃত্যছন্দ, রূপবিভৰ, বস্ত্ৰ আবরণ, আভরণ স্থানিক রূপ বৈশিষ্ট্য, মেলা উৎসব, পুজো-পার্বণ লোকবিশ্বাস, সংস্কার আনন্দের বর্ণ সমাহার লক্ষ করা যাবে আমাদের দেশের সাড়ে চারশোর অধিক লোকনৃত্যে। ফলকথা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফসল - " ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা" । পুলকিত হবেন, নবীন শিল্পী ও নৃত্যকলা রসের সন্ধানী। খুঁজে নিতে পারেন অনেক, অনেক কিছু। এবং সমৃদ্ধ করতে পারেন, নিজেকে আপন চর্যার শ্রমজলে, ঐরূপে ও ঐশ্বর্যে।
ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা
₹600
ভারতের লোকনৃত্য অগণন। রূপে রসে স্নিগ্ধ। স্থান মাহাত্ম্যে ভাস্বর। নৃত্য আঙ্গিক, চঞ্চল চরণছন্দে মুদ্রা কেবল রেখাগতি নয়। আরও, আরও কিছু। দৃষ্টি সুখের সৃজনমুদ্রা। লেখক স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন নানারঙের নিতি নৃত্য, লোকনৃত্য। ভারত সরকারের সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপ - অধিকর্তা হওয়ার দরুন , কর্মসূত্রে রাজ্য রাজ্য ঘুরে সংগ্রহ করেছেন নৃত্যকলা। সরল বিশ্লেষণ, তৌলবিচার, শিল্পীদের শরীরী নৃত্যছন্দ, রূপবিভৰ, বস্ত্ৰ আবরণ, আভরণ স্থানিক রূপ বৈশিষ্ট্য, মেলা উৎসব, পুজো-পার্বণ লোকবিশ্বাস, সংস্কার আনন্দের বর্ণ সমাহার লক্ষ করা যাবে আমাদের দেশের সাড়ে চারশোর অধিক লোকনৃত্যে। ফলকথা, দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফসল - " ভারতের অনুপম লোকনৃত্য কলা" । পুলকিত হবেন, নবীন শিল্পী ও নৃত্যকলা রসের সন্ধানী। খুঁজে নিতে পারেন অনেক, অনেক কিছু। এবং সমৃদ্ধ করতে পারেন, নিজেকে আপন চর্যার শ্রমজলে, ঐরূপে ও ঐশ্বর্যে।
গল্পকথার কথা
₹250
' গল্পকথার কথা ' গ্রন্থটি কিন্তু কোনাে মৌলিক রচনা নয়। স্পার্ক নােটস নামে এক প্রকাশনার ছােটোগল্প শেখানাের বই "হাউ টু রাইট এ শর্ট স্টোরি" বইটির কাঠামাে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া, যেহেতু বাংলা ভাষায় এরকম বই নেই। কিছু আক্ষরিক অনুবাদ, কিছু নিজস্ব রচনা, পাঠক বুঝতেই পারবেন অনুবাদ অংশে যথেষ্ট আড়ষ্ট হয়েছে ভাষা, সাবলীল থাকার চেষ্টা হয়েছে মৌলিক লেখায়, তবু প্রাণভরে। ছাড়া যায়নি বইটির গ্রন্থনার ক্রমপর্যায়। বাংলা ছােটোগজের বিশাল ভাণ্ডার থেকে মনিমুক্ত না এনে বিশ্বসাহিত্যের গল্প দিয়ে প্রয়ােগ অংশটুকু সাজাতে হয়েছে নিরুপায়। বইএর কাঠামাে অবিকল রাখতে আরও অনেকদিন লেগে যেত সম্পূর্ণ করতে। বাঙালি লেখক পাঠকের জন্য একটি প্রয়ােজনীয় বই এর অভাব দুধের বদলে সাদা রঙেই না হয় গুলে দেওয়া গেল, রংটা তাে থাকল আপাতত। শিক্ষার্থী লেখককে যেমন বলার কিছু নেই, অন্তর্যামী পাঠককেও সতর্ক করার কিছু নেই, শুধু জানানাে হল।
গল্পকথার কথা
₹250
' গল্পকথার কথা ' গ্রন্থটি কিন্তু কোনাে মৌলিক রচনা নয়। স্পার্ক নােটস নামে এক প্রকাশনার ছােটোগল্প শেখানাের বই "হাউ টু রাইট এ শর্ট স্টোরি" বইটির কাঠামাে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া, যেহেতু বাংলা ভাষায় এরকম বই নেই। কিছু আক্ষরিক অনুবাদ, কিছু নিজস্ব রচনা, পাঠক বুঝতেই পারবেন অনুবাদ অংশে যথেষ্ট আড়ষ্ট হয়েছে ভাষা, সাবলীল থাকার চেষ্টা হয়েছে মৌলিক লেখায়, তবু প্রাণভরে। ছাড়া যায়নি বইটির গ্রন্থনার ক্রমপর্যায়। বাংলা ছােটোগজের বিশাল ভাণ্ডার থেকে মনিমুক্ত না এনে বিশ্বসাহিত্যের গল্প দিয়ে প্রয়ােগ অংশটুকু সাজাতে হয়েছে নিরুপায়। বইএর কাঠামাে অবিকল রাখতে আরও অনেকদিন লেগে যেত সম্পূর্ণ করতে। বাঙালি লেখক পাঠকের জন্য একটি প্রয়ােজনীয় বই এর অভাব দুধের বদলে সাদা রঙেই না হয় গুলে দেওয়া গেল, রংটা তাে থাকল আপাতত। শিক্ষার্থী লেখককে যেমন বলার কিছু নেই, অন্তর্যামী পাঠককেও সতর্ক করার কিছু নেই, শুধু জানানাে হল।
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
ছায়াযাপন
By তৃষ্ণা বসাক
₹80
মূল মৈথিলী থেকে অনুবাদ গল্প " ছায়াযাপন " । প্রাণপুরাণের ইতিবৃত্ত লেখার সাধ কোথাও একটা থেকে থাকবে। সেই পুরাণের প্রথম শব্দটি হয়তো জীবন আর জীবনেরও আগে এসে যায় যাপন। কিভাবে বেঁচে থাকা যায়, তার পাশাপাশি সমান জরুরী কিভাবে না বেঁচে থাকা যায়, সেই কৌশলটি শেখা। গেছোদাদাকে ধরতে গেলে কিভাবে বেঁচে থাকতে হতে পারে, তাও জেনে রাখা ভাল। যাপনের এই প্রযুক্তিগুলো গল্পের আকারে উঠে এসেছে।
ছায়াযাপন
By তৃষ্ণা বসাক
₹80
মূল মৈথিলী থেকে অনুবাদ গল্প " ছায়াযাপন " । প্রাণপুরাণের ইতিবৃত্ত লেখার সাধ কোথাও একটা থেকে থাকবে। সেই পুরাণের প্রথম শব্দটি হয়তো জীবন আর জীবনেরও আগে এসে যায় যাপন। কিভাবে বেঁচে থাকা যায়, তার পাশাপাশি সমান জরুরী কিভাবে না বেঁচে থাকা যায়, সেই কৌশলটি শেখা। গেছোদাদাকে ধরতে গেলে কিভাবে বেঁচে থাকতে হতে পারে, তাও জেনে রাখা ভাল। যাপনের এই প্রযুক্তিগুলো গল্পের আকারে উঠে এসেছে।