Discount applied: Discount 20%
“রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেড়শো গজে জীবন
Publisher: একুশ শতক
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dgj01
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর ” দেড়শো গজে জীবন ” উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
কার্ল মার্কস : জীবন ও দর্শন
₹150
কার্ল মার্কসের জীবন, সৃষ্টি, দর্শন ও তার প্রয়ােগরীতি সম্পর্কে বাঙালি পাঠকের আগ্রহ নিরন্তর রয়েছে। ' কার্ল মার্কস : জীবন ও দর্শন ' গ্রন্থে মার্কসের জীবন ও সৃষ্টি এবং মার্কসীয় দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত সহায়িকা এবং বিশ্বখ্যাত মার্কসবাদীদের রচনাবলীর বিষয়ভিত্তিক সূত্র সন্ধান দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য আপাত জিজ্ঞাসু ও অনুসন্ধানী উভয় অংশের পাঠকদের মার্কসবাদ চর্চায় সহায়তাদান। পাঠক সাধারণ গ্রহণ করলে শ্রম সার্থক হবে।
কার্ল মার্কস : জীবন ও দর্শন
₹150
কার্ল মার্কসের জীবন, সৃষ্টি, দর্শন ও তার প্রয়ােগরীতি সম্পর্কে বাঙালি পাঠকের আগ্রহ নিরন্তর রয়েছে। ' কার্ল মার্কস : জীবন ও দর্শন ' গ্রন্থে মার্কসের জীবন ও সৃষ্টি এবং মার্কসীয় দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত সহায়িকা এবং বিশ্বখ্যাত মার্কসবাদীদের রচনাবলীর বিষয়ভিত্তিক সূত্র সন্ধান দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য আপাত জিজ্ঞাসু ও অনুসন্ধানী উভয় অংশের পাঠকদের মার্কসবাদ চর্চায় সহায়তাদান। পাঠক সাধারণ গ্রহণ করলে শ্রম সার্থক হবে।
আকাশবাণীতে তিন দশক
₹100
আকাশবাণীতে তিন দশক গ্রন্থে একদিকে রয়েছে ভারতবর্ষে আকাশবাণীর সূচনার ইতিহাস, আকাশবাণী নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া - এই ভুল ধারণার খণ্ডন, আকাশবাণীতে অ্যানাউন্সার, নিউজ রিডার - ইত্যাদি পদে প্রার্থীর কাঙ্ক্ষিত যােগ্যতা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক তথ্য; অন্যদিকে ভারতের বিভিন্ন জনপদে - যেমন উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমায়, শৈল-সুন্দরী হিমাচল-রাজধানী শিমলায়, চিত্র প্রতিম পর্বতমালা শােভিত উদয়পুর অথবা ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জম্মু-কাশ্মীরের দুর্গম-দুর্লভ পার্বত্য ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে ভ্ৰমণ-আলেখ্য। অন্তরঙ্গে রয়েছে। আকাশবাণীর ঘনিষ্ঠ নেপথ্য কাহিনী যা পাঠককে যুগপৎ চমকিত ও বিস্মিত করবে।
আকাশবাণীতে তিন দশক
₹100
আকাশবাণীতে তিন দশক গ্রন্থে একদিকে রয়েছে ভারতবর্ষে আকাশবাণীর সূচনার ইতিহাস, আকাশবাণী নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া - এই ভুল ধারণার খণ্ডন, আকাশবাণীতে অ্যানাউন্সার, নিউজ রিডার - ইত্যাদি পদে প্রার্থীর কাঙ্ক্ষিত যােগ্যতা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক তথ্য; অন্যদিকে ভারতের বিভিন্ন জনপদে - যেমন উত্তর-পূর্ব সীমান্তে নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমায়, শৈল-সুন্দরী হিমাচল-রাজধানী শিমলায়, চিত্র প্রতিম পর্বতমালা শােভিত উদয়পুর অথবা ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত জম্মু-কাশ্মীরের দুর্গম-দুর্লভ পার্বত্য ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে ভ্ৰমণ-আলেখ্য। অন্তরঙ্গে রয়েছে। আকাশবাণীর ঘনিষ্ঠ নেপথ্য কাহিনী যা পাঠককে যুগপৎ চমকিত ও বিস্মিত করবে।
মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ
₹500
মরিচঝাঁপি একটি দ্বীপের নাম। সুন্দরবনের এই নিষিদ্ধ দ্বীপে ডেকে আনা হয়েছিল দণ্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুদের। শূন্যহাতে তারা গড়ে তুলছিল এক স্বপ্নের জনবসতি, নেতাজিনগর। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি ভুলে দেশ-ভিখারি মানুষগুলোকে বুলেটের ডগায় উৎখাত করে। দেশভাগের পর নিম্নবর্গের উদ্বাস্তুরা দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত হয়েছিল বাংলা থেকে। তাদের বিরামহীন ক্যারাভান যাত্রা এবং বিপন্নতার কারণ তলিয়ে দেখেছেন লেখক। স্বাধীনতা উত্তরকাল নিয়ে মরিচঝাঁপির প্রক্ষাপটে ইতিপূর্বে খুব কমই উপন্যাস লেখা হয়েছে। 'মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ' প্রবহমান কালের সেই সব বিবর্ণ মানুষের কথনে একটি ঐতিহাসিক আখ্যান।
মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ
₹500
মরিচঝাঁপি একটি দ্বীপের নাম। সুন্দরবনের এই নিষিদ্ধ দ্বীপে ডেকে আনা হয়েছিল দণ্ডকারণ্যের উদ্বাস্তুদের। শূন্যহাতে তারা গড়ে তুলছিল এক স্বপ্নের জনবসতি, নেতাজিনগর। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি ভুলে দেশ-ভিখারি মানুষগুলোকে বুলেটের ডগায় উৎখাত করে। দেশভাগের পর নিম্নবর্গের উদ্বাস্তুরা দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত হয়েছিল বাংলা থেকে। তাদের বিরামহীন ক্যারাভান যাত্রা এবং বিপন্নতার কারণ তলিয়ে দেখেছেন লেখক। স্বাধীনতা উত্তরকাল নিয়ে মরিচঝাঁপির প্রক্ষাপটে ইতিপূর্বে খুব কমই উপন্যাস লেখা হয়েছে। 'মরিচঝাঁপির নিষিদ্ধ মানুষ' প্রবহমান কালের সেই সব বিবর্ণ মানুষের কথনে একটি ঐতিহাসিক আখ্যান।
ভূমি ও কুসুম
By সেলিনা হোসেন
₹350
দেশবিভাগের সময় থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অনেক ছিটমহল রয়ে গেছে। রাষ্ট্রবিন্যাস ও ভৌগোলিকতার কারণে সেখানকার যাপিত জীবন নিয়ন্ত্রিত। কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি, পরবাসী, খণ্ডিত সে জীবন নিয়ে রচিত সেলিনা হোসেনের ' ভূমি ও কুসুম '।
ছিটমহলবাসীর সুখ - দুঃখ, ব্যাথা - বেদনা, সংগ্রাম, প্রত্যয় এবং প্রত্যাশা নিয়ে ' ভূমি ও কুসুম ' - ই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা উপন্যাস। ভাষাহীন অর্গলবদ্ধ জীবনে মুক্তির ও স্বাধীনতার মুক্ত হওয়া ছড়িয়ে কাঁটাতারের দেয়াল ভাঙার ডাক দেয় উপন্যাসের নতুন প্রজন্মের নায়িকা। কিন্তু আইনি ফাঁসে আটকে পড়া সেই জীবনে আলো জ্বলে না। স্তব্ধ হয়ে থাকে চারিদিক। এদেরই জীবন - সংগ্রামের এক মর্মদস্তু কাহিনীবিন্ন্যাসই এই উপন্যাস। রাষ্ট্রযন্ত্র, সীমান্ত এবং সীমান্তরক্ষীরা নিয়ন্ত্রণ করে এদের গতিপথ।
এককথায় বলতে গেলে উপন্যাসটি ছিটমহলের মানুষদের আন্তঃসম্পর্কের এক অমোঘ দলিল।
ভূমি ও কুসুম
By সেলিনা হোসেন
₹350
দেশবিভাগের সময় থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অনেক ছিটমহল রয়ে গেছে। রাষ্ট্রবিন্যাস ও ভৌগোলিকতার কারণে সেখানকার যাপিত জীবন নিয়ন্ত্রিত। কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দি, পরবাসী, খণ্ডিত সে জীবন নিয়ে রচিত সেলিনা হোসেনের ' ভূমি ও কুসুম '।
ছিটমহলবাসীর সুখ - দুঃখ, ব্যাথা - বেদনা, সংগ্রাম, প্রত্যয় এবং প্রত্যাশা নিয়ে ' ভূমি ও কুসুম ' - ই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা উপন্যাস। ভাষাহীন অর্গলবদ্ধ জীবনে মুক্তির ও স্বাধীনতার মুক্ত হওয়া ছড়িয়ে কাঁটাতারের দেয়াল ভাঙার ডাক দেয় উপন্যাসের নতুন প্রজন্মের নায়িকা। কিন্তু আইনি ফাঁসে আটকে পড়া সেই জীবনে আলো জ্বলে না। স্তব্ধ হয়ে থাকে চারিদিক। এদেরই জীবন - সংগ্রামের এক মর্মদস্তু কাহিনীবিন্ন্যাসই এই উপন্যাস। রাষ্ট্রযন্ত্র, সীমান্ত এবং সীমান্তরক্ষীরা নিয়ন্ত্রণ করে এদের গতিপথ।
এককথায় বলতে গেলে উপন্যাসটি ছিটমহলের মানুষদের আন্তঃসম্পর্কের এক অমোঘ দলিল।
চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প
₹100
উৎপলেন্দু চক্রবর্তী চিত্রপরিচালক হিসেবে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। শুরু হয়েছিল তার সাড়া জাগানাে তথ্যচিত্র মুক্তি চাই দিয়ে তারপর একের পর এক ছবি (ময়নাতদন্ত, চোখ, দেবশিশু) তাকে চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারিতে নিয়ে আসে। তিনি একগুচ্ছ টেলিফিল্মও উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযােগ্য ‘বিকল্প”, রঙ’, ‘অপরিচিতা। তার দুটি কাহিনি চিত্র প্রসব ও ফাসি এবং মোহনবাগান ক্লাবের উপর একটি তথ্যচিত্র গুনীজনের প্রশংসা পেলেও এখনও ক্যানবন্দি হয়ে আছে, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
কিন্তু অনেকেরই জানা নেই উৎপলেন্দুর শিল্পী জীবন শুরু হয় গল্প লেখা দিয়ে। ছাত্রজীবনে নকশালপন্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন আদিবাসী অঞ্চলে কাটান এবং সেই অভিজ্ঞতার ছাপ পাওয়া যায় তার নানান গল্প ও উপন্যাসে। ‘ চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প ‘ গ্রন্থে মধ্যে ‘চোখ’ এবং আরো কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প তুলে ধরেছেন। উৎপলেন্দুই বােধহয় একমাত্র চিত্রপরিচালক যিনি তার সব কটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি নির্মান করেছেন নিজের গল্প থেকে।
চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প
₹100
উৎপলেন্দু চক্রবর্তী চিত্রপরিচালক হিসেবে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। শুরু হয়েছিল তার সাড়া জাগানাে তথ্যচিত্র মুক্তি চাই দিয়ে তারপর একের পর এক ছবি (ময়নাতদন্ত, চোখ, দেবশিশু) তাকে চলচ্চিত্র জগতের প্রথম সারিতে নিয়ে আসে। তিনি একগুচ্ছ টেলিফিল্মও উপহার দিয়েছেন। যার মধ্যে উল্লেখযােগ্য ‘বিকল্প”, রঙ’, ‘অপরিচিতা। তার দুটি কাহিনি চিত্র প্রসব ও ফাসি এবং মোহনবাগান ক্লাবের উপর একটি তথ্যচিত্র গুনীজনের প্রশংসা পেলেও এখনও ক্যানবন্দি হয়ে আছে, এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
কিন্তু অনেকেরই জানা নেই উৎপলেন্দুর শিল্পী জীবন শুরু হয় গল্প লেখা দিয়ে। ছাত্রজীবনে নকশালপন্থী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি বেশ কিছুদিন আদিবাসী অঞ্চলে কাটান এবং সেই অভিজ্ঞতার ছাপ পাওয়া যায় তার নানান গল্প ও উপন্যাসে। ‘ চোখ ও অন্যান্য ছোট গল্প ‘ গ্রন্থে মধ্যে ‘চোখ’ এবং আরো কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প তুলে ধরেছেন। উৎপলেন্দুই বােধহয় একমাত্র চিত্রপরিচালক যিনি তার সব কটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি নির্মান করেছেন নিজের গল্প থেকে।
লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন
₹50
লালমােহন ঘােষ ছিলেন একজন দেশসেবক। তিনি আমার আদর্শ। মা-বাবার সন্তানদের মধ্যে আমি সব থেকে ছােটো। কিন্তু তার জীবনকথা লিখে রাখার এই গুরু দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ল। এই কাজটা আমার ছােড়দার করার কথা, তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, তার পক্ষে এই কাজটা সহজ এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। ভাগ্যক্রমে পেলাম অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তীকে। তিনি আমাকে সাহায্য করতে রাজি হলেন, শুরু করলাম ' লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন ' বই-এর কাজ।
বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট করেও মা ভাইদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড়ভাই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে, মেজভাই আরটিস্ট গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে, সেজভাইকে এগ্রিকালচার পড়িয়েছিলেন, কিন্তু টি. বি. হওয়াতে পড়া শেষ কত পারেনি। পরে রেডিও ইনজিনিয়ারিং শিখে চাকরি পায় ; আর ছােটভাই ট্রিপল এম.এ. ও ল পাশ করে সাংবাদিকতা করে। এই অবস্থায় সবাই চাকরি পেলে আমাদের অবস্থা ভালই হত, কিন্তু 1947-1948 সালে চাকরির বাজার ছিল খুব খারাপ। বিশেষত আমাদের দেশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। বাবা বিধানচন্দ্র রায়ের ডাকা মন্ত্রীসভায় যােগ দিলেন না। উপরস্ত সমালােচনা ও বিরোধিতা করলেন। তাতে কংগ্রেসের অনকেই তার উপর ক্ষুব্ধ হলেন। তাতে ভাইদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল, এইভাবে অতিকষ্টে দিন কেটেছে মা-বাবার। তবুও বাবা কারাে কাছে মাথা নত করে ছেলেদের চাকরির জন্য অনুরােধ করেননি। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় যােগ দেবার ডাক এল। তাও বাবা ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। সেই অবস্থাতেও লােকের দুঃখ কষ্টে এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে আমার স্বাধীনতা-সংগ্রামী পিতার প্রতি এই আমার নিবেদন।
লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন
₹50
লালমােহন ঘােষ ছিলেন একজন দেশসেবক। তিনি আমার আদর্শ। মা-বাবার সন্তানদের মধ্যে আমি সব থেকে ছােটো। কিন্তু তার জীবনকথা লিখে রাখার এই গুরু দায়িত্ব আমার উপরেই পড়ল। এই কাজটা আমার ছােড়দার করার কথা, তিনি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, তার পক্ষে এই কাজটা সহজ এবং সুন্দরভাবে করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমার পক্ষে যা প্রায় অসম্ভব। ভাগ্যক্রমে পেলাম অধ্যাপিকা সুমিতা চক্রবর্তীকে। তিনি আমাকে সাহায্য করতে রাজি হলেন, শুরু করলাম ' লালমোহন ঘোষ : একটি জীবন ' বই-এর কাজ।
বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট করেও মা ভাইদের লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বড়ভাই ইনজিনিয়ার যাদবপুর থেকে, মেজভাই আরটিস্ট গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে, সেজভাইকে এগ্রিকালচার পড়িয়েছিলেন, কিন্তু টি. বি. হওয়াতে পড়া শেষ কত পারেনি। পরে রেডিও ইনজিনিয়ারিং শিখে চাকরি পায় ; আর ছােটভাই ট্রিপল এম.এ. ও ল পাশ করে সাংবাদিকতা করে। এই অবস্থায় সবাই চাকরি পেলে আমাদের অবস্থা ভালই হত, কিন্তু 1947-1948 সালে চাকরির বাজার ছিল খুব খারাপ। বিশেষত আমাদের দেশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। বাবা বিধানচন্দ্র রায়ের ডাকা মন্ত্রীসভায় যােগ দিলেন না। উপরস্ত সমালােচনা ও বিরোধিতা করলেন। তাতে কংগ্রেসের অনকেই তার উপর ক্ষুব্ধ হলেন। তাতে ভাইদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল, এইভাবে অতিকষ্টে দিন কেটেছে মা-বাবার। তবুও বাবা কারাে কাছে মাথা নত করে ছেলেদের চাকরির জন্য অনুরােধ করেননি। এই অবস্থায় দিল্লি থেকে রাজ্যসভায় যােগ দেবার ডাক এল। তাও বাবা ফিরিয়ে দিলেন। এইভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। সেই অবস্থাতেও লােকের দুঃখ কষ্টে এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা দিবসের পুণ্য দিনে আমার স্বাধীনতা-সংগ্রামী পিতার প্রতি এই আমার নিবেদন।