“রাতচরা কয়েকটি কবিতা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দুর্গম হিমালয়ের ডাকে
Publisher: একুশ শতক
₹150
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ
By জয়ন্ত রায়
₹1,200
‘রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ' একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। গতানুগতিক জীবনীর বাইরে ভারতপথিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ের ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আজকের এই সমকালীন সময়কালের পাশাপাশি যুগনায়ক রামমোহনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছে গ্রন্থে। রামমোহন রায় যে নিছক ধর্মগুরু ছিলেন না, তাঁর কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিক যুগের নবজাগরণ এসেছিল, সে কথা উঠে এসেছে গ্রন্থে। তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণামূলক এই প্রকাশনায় আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে রামমোহনের পূর্ণা চিত্র অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে। সুধী পাঠক ও তরুণ গবেষকেরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি। এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অখণ্ড বাংলার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সাথে রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলের দ্বান্দ্বিক ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন লেখক। মোট ২১টি পর্বে ও উপপর্বে সাজানো এই গ্রন্থের শেষে ‘পরিশিষ্ট’ অংশটি প্রাসঙ্গিকভাবেই যুক্ত করেছেন তিনি। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ও আলোকিত বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিশিষ্ট উল্লেখের কারণে আরও গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনায়।
রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ
By জয়ন্ত রায়
₹1,200
‘রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ' একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। গতানুগতিক জীবনীর বাইরে ভারতপথিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ের ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আজকের এই সমকালীন সময়কালের পাশাপাশি যুগনায়ক রামমোহনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছে গ্রন্থে। রামমোহন রায় যে নিছক ধর্মগুরু ছিলেন না, তাঁর কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিক যুগের নবজাগরণ এসেছিল, সে কথা উঠে এসেছে গ্রন্থে। তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণামূলক এই প্রকাশনায় আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে রামমোহনের পূর্ণা চিত্র অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে। সুধী পাঠক ও তরুণ গবেষকেরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি। এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অখণ্ড বাংলার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সাথে রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলের দ্বান্দ্বিক ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন লেখক। মোট ২১টি পর্বে ও উপপর্বে সাজানো এই গ্রন্থের শেষে ‘পরিশিষ্ট’ অংশটি প্রাসঙ্গিকভাবেই যুক্ত করেছেন তিনি। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ও আলোকিত বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিশিষ্ট উল্লেখের কারণে আরও গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনায়।
শ্ৰেষ্ঠ কবিতা
By অনন্ত দাশ
₹200
"রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র স্মৃতি" পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক অনন্ত দাস এর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “শ্ৰেষ্ঠ কবিতা”। জীবনের গভীর উপলব্ধির সঙ্গে অভিজ্ঞতার বিস্তার তাঁর কবিতাকে দিয়েছে বহুমাত্রিকতা ।
শ্ৰেষ্ঠ কবিতা
By অনন্ত দাশ
₹200
"রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র স্মৃতি" পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক অনন্ত দাস এর অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “শ্ৰেষ্ঠ কবিতা”। জীবনের গভীর উপলব্ধির সঙ্গে অভিজ্ঞতার বিস্তার তাঁর কবিতাকে দিয়েছে বহুমাত্রিকতা ।
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপন্যাস
By মাম্পি বৈদ্য
₹350
বাংলা সাহিত্য তত্ত্বের এক নির্দিষ্ট গবেষক ড. মাম্পি বৈদ্য এর দীর্ঘদিনের গবেষণালব্ধ ফসলকে 'তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপন্যাস : আখ্যানতত্ত্ব ও নিন্মবর্গীয় চেতনার আলোকে' তার বই আকারে প্রথম উদ্যোগ।
তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপন্যাস
By মাম্পি বৈদ্য
₹350
বাংলা সাহিত্য তত্ত্বের এক নির্দিষ্ট গবেষক ড. মাম্পি বৈদ্য এর দীর্ঘদিনের গবেষণালব্ধ ফসলকে 'তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত উপন্যাস : আখ্যানতত্ত্ব ও নিন্মবর্গীয় চেতনার আলোকে' তার বই আকারে প্রথম উদ্যোগ।
শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ
₹200
খ্রিষ্টোত্তর কালে, প্রাচীন গন্ধর্ব-জ্ঞানীদের নামানুসরণে বেশ কিছু গ্রন্থ রচিত হয়। যেমন জনৈক মতঙ্গ-মুনি রচিত “বৃহদ্দেশী”, নিঃশঙ্ক শাঙ্গদেব রচিত “সংগীত-রত্নাকর” পার্শ্বদেব রচিত “সংগীত সময়সার”... ইত্যাদি ইত্যাদি। ওই সময় নারদ নামধেয় একাধিক ব্যক্তি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন যার মধ্যে “সংগীত মকরন্দ” অন্যতম। এটি একটি সংকলন গ্রন্থ বলা যায়। বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থের মূল্যবান বিষয় 'শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ' গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই গ্রন্থ পাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংগীতপ্রেমীরা উপকৃত হবেন।
শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ
₹200
খ্রিষ্টোত্তর কালে, প্রাচীন গন্ধর্ব-জ্ঞানীদের নামানুসরণে বেশ কিছু গ্রন্থ রচিত হয়। যেমন জনৈক মতঙ্গ-মুনি রচিত “বৃহদ্দেশী”, নিঃশঙ্ক শাঙ্গদেব রচিত “সংগীত-রত্নাকর” পার্শ্বদেব রচিত “সংগীত সময়সার”... ইত্যাদি ইত্যাদি। ওই সময় নারদ নামধেয় একাধিক ব্যক্তি বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন যার মধ্যে “সংগীত মকরন্দ” অন্যতম। এটি একটি সংকলন গ্রন্থ বলা যায়। বেশ কিছু প্রাচীন গ্রন্থের মূল্যবান বিষয় 'শ্রীনারদবিরচিত সংগীত মকরন্দ' গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, এই গ্রন্থ পাঠে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংগীতপ্রেমীরা উপকৃত হবেন।
পঞ্চাশটি প্রবন্ধ
₹800
যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে না পারলাম তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, সংগীত থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে, তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কী? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।' - হাসান আজিজুল হক
ষাটের দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের যে নবযাত্রা ঘটেছিল তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। উত্তাল চল্লিশের দশকের প্রবেশমুখে রাঢ়বঙ্গে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান কিংবদন্তিতুল্য কথাশিল্পী দেশে-বিদেশে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ কেড়েছেন পাঠক-সমালোচকের, অতিক্রম করেছেন একর পর এক সাফল্যের সিঁড়ি। তাঁর হাতে বাংলা ছোটোগল্পের বাঁকবদল ঘটেছে। ষাটের দশকেই কপালে তিলক পড়ে যায় ছোটোগল্পকার হিসেবে। যে অর্থে আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথ মনন সমৃদ্ধ বিশাল গদ্যসাহিত্যের ভাণ্ডার গড়েও কবিই থেকে গেছেন, ভুলেও কেউ বলেন না 'প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ', সৃষ্টির চৌদ্দ আনাই প্রেমে ভরে দিলেও ‘বিদ্রোহী কবি'র ছাপ কোনোদিনই মুছেনি নজরুলের কপাল হতে, তেমনি বুদ্ধদেব বসুর সমৃদ্ধ অনুবাদ, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ বেমালুম ভুলে 'কবি বুদ্ধদেবে’র জয়জয়কার, তখন আমরা ধরেই নেই, হাসান আজিজুল হকের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
অবিশ্বাস্য রকমের শোনাবে, হাসান আজিজুল হকের মতো এমন শক্তিমান মেধাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা গদ্যের ইতিহাসে হাতে গোনা দু'একজন হতে পারে। বাংলা প্রবন্ধের প্রচলিত ধারণাই তিনি পালটে দিয়েছেন। গল্পের মতো গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, প্রখর-তীব্র-টাটকা যুক্তি-চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা। নিজস্ব মেজাজ ও ঢঙে জলের মতো স্বচ্ছ ও সাবলীল করে হাসান আজিজুল হক এই পঞ্চাশটি প্রবন্ধে উপস্থাপন করেছেন দেশ, জাতি, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মতামত । একজন সৃজনশীল সেলিব্রেটি লেখকের আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মতামত এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।
পঞ্চাশটি প্রবন্ধ
₹800
যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে না পারলাম তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, সংগীত থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে, তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কী? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।' - হাসান আজিজুল হক
ষাটের দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের যে নবযাত্রা ঘটেছিল তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। উত্তাল চল্লিশের দশকের প্রবেশমুখে রাঢ়বঙ্গে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান কিংবদন্তিতুল্য কথাশিল্পী দেশে-বিদেশে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ কেড়েছেন পাঠক-সমালোচকের, অতিক্রম করেছেন একর পর এক সাফল্যের সিঁড়ি। তাঁর হাতে বাংলা ছোটোগল্পের বাঁকবদল ঘটেছে। ষাটের দশকেই কপালে তিলক পড়ে যায় ছোটোগল্পকার হিসেবে। যে অর্থে আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথ মনন সমৃদ্ধ বিশাল গদ্যসাহিত্যের ভাণ্ডার গড়েও কবিই থেকে গেছেন, ভুলেও কেউ বলেন না 'প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ', সৃষ্টির চৌদ্দ আনাই প্রেমে ভরে দিলেও ‘বিদ্রোহী কবি'র ছাপ কোনোদিনই মুছেনি নজরুলের কপাল হতে, তেমনি বুদ্ধদেব বসুর সমৃদ্ধ অনুবাদ, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ বেমালুম ভুলে 'কবি বুদ্ধদেবে’র জয়জয়কার, তখন আমরা ধরেই নেই, হাসান আজিজুল হকের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
অবিশ্বাস্য রকমের শোনাবে, হাসান আজিজুল হকের মতো এমন শক্তিমান মেধাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা গদ্যের ইতিহাসে হাতে গোনা দু'একজন হতে পারে। বাংলা প্রবন্ধের প্রচলিত ধারণাই তিনি পালটে দিয়েছেন। গল্পের মতো গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, প্রখর-তীব্র-টাটকা যুক্তি-চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা। নিজস্ব মেজাজ ও ঢঙে জলের মতো স্বচ্ছ ও সাবলীল করে হাসান আজিজুল হক এই পঞ্চাশটি প্রবন্ধে উপস্থাপন করেছেন দেশ, জাতি, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মতামত । একজন সৃজনশীল সেলিব্রেটি লেখকের আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মতামত এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।