Discount applied: Discount 20%
“জানোয়ার ও অন্যান্য গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দুর্গম হিমালয়ের ডাকে
Publisher: একুশ শতক
₹150
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
একই ধরণের গ্রন্থ
The Piper And The Bard
₹450
"The Piper And The Bard" - William Blake and Rabindranath Tagore : A study of their poems for children.
An unexplored, ever-written book in the domain of comparative literature. Deals sharply with with William Blake and Rabindranath Tagore with reference to their poems for children.
An attraction for general readers and research scholars.
The Piper And The Bard
₹450
"The Piper And The Bard" - William Blake and Rabindranath Tagore : A study of their poems for children.
An unexplored, ever-written book in the domain of comparative literature. Deals sharply with with William Blake and Rabindranath Tagore with reference to their poems for children.
An attraction for general readers and research scholars.
মহাভারত ভাবনা
₹250
মহাভারত ভারতবর্ষের আত্মপরিয়চের অন্যতম চিরায়ত চিহ্ন। যুগে যুগে এই মহালিখন-অনুধ্যানের মধ্য দিয়ে ভারতীয়-মনন তার স্বদেশ ও সংস্কৃতি-সভ্যতা-সমাজ নিয়ে বারংবার পুনর্বিবেচনায়, আত্মানুসন্ধানে, আত্মসমালােচনায় মগ্ন হয়েছে। খুঁজতে চেয়েছে তার আত্মপরিচয়ের শিকড়-বাকড়। মহাভারত-ভাবনা একুশ শতকের সেই আত্মানুসন্ধান। আকরের প্রতি অনুগত থেকেও ' মহাভারত ভাবনা ' গ্রন্থ বিশ্লেষণ-বিচারে আধুনিক। পাঠককে ডেকে নেবে যুগােপযােগী বিচিন্তায়, বিশ্লেষণে, প্রাণিত করবে প্রতর্কে।
মহাভারত ভাবনা
₹250
মহাভারত ভারতবর্ষের আত্মপরিয়চের অন্যতম চিরায়ত চিহ্ন। যুগে যুগে এই মহালিখন-অনুধ্যানের মধ্য দিয়ে ভারতীয়-মনন তার স্বদেশ ও সংস্কৃতি-সভ্যতা-সমাজ নিয়ে বারংবার পুনর্বিবেচনায়, আত্মানুসন্ধানে, আত্মসমালােচনায় মগ্ন হয়েছে। খুঁজতে চেয়েছে তার আত্মপরিচয়ের শিকড়-বাকড়। মহাভারত-ভাবনা একুশ শতকের সেই আত্মানুসন্ধান। আকরের প্রতি অনুগত থেকেও ' মহাভারত ভাবনা ' গ্রন্থ বিশ্লেষণ-বিচারে আধুনিক। পাঠককে ডেকে নেবে যুগােপযােগী বিচিন্তায়, বিশ্লেষণে, প্রাণিত করবে প্রতর্কে।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
গাঁ শহর বিভুঁই ( প্রথম পর্ব )
₹200
গ্রামের পাঠশালায় শিক্ষা শুরু করে আমার ইংরেজী স্কুলে পড়ার মাঝে দেশভাগের মূল্যে ভারতবর্ষ বৃটিশশাসনের শৃঙ্খলমুক্ত হল, কিন্তু স্বাধীনতার ঐ স্বরূপ কেউ পূর্বে ভাবতে পারেনি। পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পূর্ববাংলার নগর ও গ্রাম থেকে প্রথমে শিক্ষানির্ভর ও নেতৃস্থানীয় শ্রেণী এবং অচিরেই অন্যেরাও বিপুল সংখ্যায় জন্মভূমি ছেড়ে ভারতে রাষ্ট্র শরণার্থী হল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ না করে আমার দ্বিধাগ্রস্ত পিতামাতা আরও এক যুগ গ্রামে থেকে যান। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ও কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাবিজ্ঞান শিক্ষান্তে ১৯৫৭ সালে কলিকাতায় কর্মজীবন আরম্ভ করি। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত কয়েকবার গ্রামে গিয়েছি ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্যময় বিক্রমপুরের গ্রামগুলির দ্রুত বর্ধমান শ্রীহীনতা প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯৫৯ সালে বিপুল অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়েও পরিবারের সবাইকে কলিকাতায় নিয়ে আসি ও গ্রামের সাথে সংযােগ সম্পূর্ণ ছিন্ন হয়।
দেশবিভাগােক্তর কালে পূর্ববাংলার বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর ভারে ও মানুষের তৈরি কৃত্রিম সীমানার ফলে প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক বিস্তীর্ণ পশ্চাদভূমি হারিয়ে কলিকাতা পূর্বতন শিল্প বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রাধান্য হারাতে শুরু করে। কলিকাতার সীমিত ও সংকুচিত সুযােগ ও কর্মক্ষেত্রে ভীড় না বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ নিয়ে বাংলার বাইরে বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ়সংকল্প হই। ১৯৬০ সালে প্রথমে দেরাদুনে ফরেষ্ট রিসার্চ ইনস্টিটুটে কয়েক মাস কাজ করে দিল্লীতে প্ল্যানিং কমিশনে যােগ দেই। পরিকল্পনাভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ প্রভৃতির মূল্যায়নের জন্য সর্বভারতীয় সমীক্ষা ও তথ্য বিশ্লষেণের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হই।
সেই সময় লেখকের গ্রাম, শহর নিয়ে অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে ' গাঁ শহর বিভুঁই ' গ্রন্থটিতে। পাঠকরা ওই সময়কালের গ্রাম শহরের একটি পরিষ্কার চিত্র অবধাবন করতে পারবেন।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আত্মানুসন্ধানঃ বাঙালি জাতিসত্তা
By অলোক রায়
₹300
আত্মানুসন্ধানঃ বাঙালি জাতিসত্তা - রাজার রাজধর্মের মতোই কি পবিত্র কবির কবিধর্ম ! মধ্যযুগ থেকে বহমান প্রতিবাদী কবিতার এক সমৃদ্ধ ধারা নজরুল ইসলাম, মুকুন্দ দাস, সুকান্ত ভট্টাচার্যে এসে হয়ে ওঠে বাঙালি অস্মিতারই এক অংশ। গভীর মমত্বে আলোচিত হয়েছে, কেন নির্মম দেশভাগের যন্ত্রণা বিধৃত হলো না আমাদের আধুনিক কবিতায়। দেশভাগের গরলে ভেসেছে নারীর মর্যাদা, মনুষ্যত্ব। এক মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়ে প্রায় স্তব্ধ যেন আধুনিক কবিদের সদাজাগ্রত বিবেক। প্রতিবাদে উত্তোলিত হলো না একটি ও মুষ্টিবদ্ধ হাত !
রাম কি বাঙালির অধ্যাত্ম সাধনায়, মননে বহিরাগত! কেন বাঙালির জীবনদেবতা রবীন্দ্রনাথের অধরা রইলো বাঙালির প্রানেশ্বরী কালীর মাধুরী! চর্চিত হয়েছে বাঙালির বিচিত্রমুখ ভাবনা, বোধ, উত্তরণের অগ্নিপথ। অভিমানে ঋদ্ধ এক আলোচনা ‘এ কি আমার মেয়ের বিয়ে!' এই শব্দবন্ধে নিহিত যেন পুরুষতন্ত্রের আস্ফালন আর নারীত্বের হাহাকার। মুখোমুখি হয়েছেন “হিন্দুত্ব” নামক সম্প্ৰতি বহু চর্চিত একটি মতবাদের। স্মরণে এনেছেন মাতৃভাষায় শিক্ষার ভগীরথদের। তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে, আমাদের সর্বত্যাগী বিপ্লবীরা ব্রাত্য হয়ে আছেন ইতিহাসে, আর ইতিহাস নির্মাণে এক আপাত তাচ্ছিল্যে ম্লান হয়েছে বাঙ্গালির স্বাভিমান।
ভোরের আগেই কি বেশী অন্ধকার! রাজনীতি, সমাজজীবনে সংস্কৃতির আজ যে অবক্ষয় তা মেনে নিয়ে কি বিলুপ্ত হবে একদা দেশের নবজাগরণের অগ্রদূত এক মনুষ্য প্রজাতি-বাঙালি ! এর যোগ্য উত্তর দেবেই বাঙলার বুদ্ধিদীপ্ত, হার না মানা প্রাণোচ্ছল যুবসমাজ ।
আত্মানুসন্ধানঃ বাঙালি জাতিসত্তা
By অলোক রায়
₹300
আত্মানুসন্ধানঃ বাঙালি জাতিসত্তা - রাজার রাজধর্মের মতোই কি পবিত্র কবির কবিধর্ম ! মধ্যযুগ থেকে বহমান প্রতিবাদী কবিতার এক সমৃদ্ধ ধারা নজরুল ইসলাম, মুকুন্দ দাস, সুকান্ত ভট্টাচার্যে এসে হয়ে ওঠে বাঙালি অস্মিতারই এক অংশ। গভীর মমত্বে আলোচিত হয়েছে, কেন নির্মম দেশভাগের যন্ত্রণা বিধৃত হলো না আমাদের আধুনিক কবিতায়। দেশভাগের গরলে ভেসেছে নারীর মর্যাদা, মনুষ্যত্ব। এক মানসিক বৈকল্যের শিকার হয়ে প্রায় স্তব্ধ যেন আধুনিক কবিদের সদাজাগ্রত বিবেক। প্রতিবাদে উত্তোলিত হলো না একটি ও মুষ্টিবদ্ধ হাত !
রাম কি বাঙালির অধ্যাত্ম সাধনায়, মননে বহিরাগত! কেন বাঙালির জীবনদেবতা রবীন্দ্রনাথের অধরা রইলো বাঙালির প্রানেশ্বরী কালীর মাধুরী! চর্চিত হয়েছে বাঙালির বিচিত্রমুখ ভাবনা, বোধ, উত্তরণের অগ্নিপথ। অভিমানে ঋদ্ধ এক আলোচনা ‘এ কি আমার মেয়ের বিয়ে!' এই শব্দবন্ধে নিহিত যেন পুরুষতন্ত্রের আস্ফালন আর নারীত্বের হাহাকার। মুখোমুখি হয়েছেন “হিন্দুত্ব” নামক সম্প্ৰতি বহু চর্চিত একটি মতবাদের। স্মরণে এনেছেন মাতৃভাষায় শিক্ষার ভগীরথদের। তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে, আমাদের সর্বত্যাগী বিপ্লবীরা ব্রাত্য হয়ে আছেন ইতিহাসে, আর ইতিহাস নির্মাণে এক আপাত তাচ্ছিল্যে ম্লান হয়েছে বাঙ্গালির স্বাভিমান।
ভোরের আগেই কি বেশী অন্ধকার! রাজনীতি, সমাজজীবনে সংস্কৃতির আজ যে অবক্ষয় তা মেনে নিয়ে কি বিলুপ্ত হবে একদা দেশের নবজাগরণের অগ্রদূত এক মনুষ্য প্রজাতি-বাঙালি ! এর যোগ্য উত্তর দেবেই বাঙলার বুদ্ধিদীপ্ত, হার না মানা প্রাণোচ্ছল যুবসমাজ ।