Discount applied: Discount 20%
“ঘরোয়া হোমিপ্যাথিক ঔষধ পরিচয়” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দ্বীপবাসিনী
Publisher: একুশ শতক
₹100
উপন্যাসের সন্ধানে যাত্রা শুরু করে এক কথাকার পৌছে যান অজানা এক দ্বীপে, তারপর কী? তারপর কাহিনীর টানে, রহস্য উদ্মােচনে নাকি নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় সামিল হবেন পাঠক ? টান টান উত্তেজনায় ভরা এক রহস্য উপন্যাস ‘ দ্বীপবাসিনী ‘
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-d01
উপন্যাসের সন্ধানে যাত্রা শুরু করে এক কথাকার পৌছে যান অজানা এক দ্বীপে, তারপর কী? তারপর কাহিনীর টানে, রহস্য উদ্মােচনে নাকি নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় সামিল হবেন পাঠক ? টান টান উত্তেজনায় ভরা এক রহস্য উপন্যাস ‘ দ্বীপবাসিনী ‘
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
দুখের আখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹130
' দুখের আখ্যান ' উপন্যাসের নায়ক সাত বছর অতিক্রান্ত এক বালক। নাম দুখে। সুন্দরবনের গরান খালি গায়ের থেকে বাবা পঞ্চানন, স্ত্রী গঙ্গা ও তাদের নিয়ে চলে আসে কলকাতায়। সুন্দরবনের ঢাবি, পরে মধু সংগ্রাহক পঞ্চানন আক্রান্ত হন দক্ষিণ রায় বা বাঘের হাতে। চিকিৎসা সূত্রে কলকাতা আসা। এরপর তার কর্মজীবন বাড়ি তৈরীর কাজের। আর গঙ্গা কাজে ঢুকে যায় এক কালি তৈরির কারখানায়। দুখেও কাজ পায় চায়ের দোকানে। বিচিত্র এই জীবন। শহরে সমাজে যেন নিজেকে নিরাবরণ করে দেয় তার সামনে। নিজের কঠোর শ্রম আর এক সহকর্মীর বন্ধুত্বে সে অর্জন করে নেয় আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা।
সুন্দরবনে তার জন্মমুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ। প্রবল এক ঝড়ের রাতে তার জন্ম। যখন বাজপড়া তালগাছের ডগায় আগুন লাগে। তার বাবা হয় সংজ্ঞাহীন। আর তার মা গঙ্গার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য দেখা দেন বনবিবি। তিনি প্রায় অচৈতন্য গঙ্গাকে উপহার দিয়ে যান দুখেকে। আর সুন্দরবনের এক লােককথা বা মিথ বনবিবি, জঙ্গলী শা, ধােনাই-দুখের আখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় দুখের জীবন। গােড়াতে সুন্দরবন পরে মহানগর কলকাতার বিচিত্র যােগাযােগে এই মিথের আশ্চর্য উন্মােচন ঘটে দুখের জীবনে। এক লােককথা নতুন তাৎপর্য নিয়ে জড়িয়ে যায় গােটা উপন্যাসে। যা আবহমানকালের এক আশ্চর্য সমাজসত্য।
দুখের আখ্যান
By সমীর রক্ষিত
₹130
' দুখের আখ্যান ' উপন্যাসের নায়ক সাত বছর অতিক্রান্ত এক বালক। নাম দুখে। সুন্দরবনের গরান খালি গায়ের থেকে বাবা পঞ্চানন, স্ত্রী গঙ্গা ও তাদের নিয়ে চলে আসে কলকাতায়। সুন্দরবনের ঢাবি, পরে মধু সংগ্রাহক পঞ্চানন আক্রান্ত হন দক্ষিণ রায় বা বাঘের হাতে। চিকিৎসা সূত্রে কলকাতা আসা। এরপর তার কর্মজীবন বাড়ি তৈরীর কাজের। আর গঙ্গা কাজে ঢুকে যায় এক কালি তৈরির কারখানায়। দুখেও কাজ পায় চায়ের দোকানে। বিচিত্র এই জীবন। শহরে সমাজে যেন নিজেকে নিরাবরণ করে দেয় তার সামনে। নিজের কঠোর শ্রম আর এক সহকর্মীর বন্ধুত্বে সে অর্জন করে নেয় আশ্চর্য সব অভিজ্ঞতা।
সুন্দরবনে তার জন্মমুহূর্ত ছিল চমকপ্রদ। প্রবল এক ঝড়ের রাতে তার জন্ম। যখন বাজপড়া তালগাছের ডগায় আগুন লাগে। তার বাবা হয় সংজ্ঞাহীন। আর তার মা গঙ্গার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য দেখা দেন বনবিবি। তিনি প্রায় অচৈতন্য গঙ্গাকে উপহার দিয়ে যান দুখেকে। আর সুন্দরবনের এক লােককথা বা মিথ বনবিবি, জঙ্গলী শা, ধােনাই-দুখের আখ্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় দুখের জীবন। গােড়াতে সুন্দরবন পরে মহানগর কলকাতার বিচিত্র যােগাযােগে এই মিথের আশ্চর্য উন্মােচন ঘটে দুখের জীবনে। এক লােককথা নতুন তাৎপর্য নিয়ে জড়িয়ে যায় গােটা উপন্যাসে। যা আবহমানকালের এক আশ্চর্য সমাজসত্য।
সময় অসময় নিঃসময়
₹180
আমাদের লেখায় বড়াে নির্জনতা এখন। হয়তাে এই নির্জনতায় বিষাদ নেই তত। আছে উদ্ভট মান্যতার বােধ ; মান্যতা বলব, বৈধতা নয়। এখন আমরা প্রাজ্ঞ হতে পারি না সহজে। তাই আমাদের ইদানীংকার পাঠকৃতিতে দেখতে পাই-সমস্ত কেমন যেন আপাত, ত্রিশঙ্কু, চূড়ান্তবিন্দু থেকে স্থিরীকৃত দুরত্বে রুদ্ধ। নিশ্চয় এই বােধও সময়-শাসিত। কিন্তু কীভাবে অস্বীকার করি যে আজকের লেখকেরা এবং আলােচকেরা সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়াতে পারদর্শী? গভীর গভীরতর কোনাে কারণে, সম্ভবত বিশ্বায়নের ছলে সংক্রামিত নির্মানবায়নের প্রভাবে, আমাদের সমস্ত বােধই অসাড় আজ। দাতা যেখানে, গ্রহীতাও সেখানে। ভুল প্রমাণিত হতে বড়া ভয়। প্রতিটি পাঠকৃতি যে-ধরনের প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু হয়, আপাত-সমাপ্তির বিন্দুতে পৌছে দেখি, প্রত্যাশাকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছে বৌদ্ধিক চাতুর্য। ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু তা তাে নিয়মকেই প্রমাণিত করে। এ সময়ের কবি ও কথাকারেরা, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক যােদ্ধারা এই বাচনের যথার্থতা খুঁজুন তাদের সৃষ্টি ও জীবনের যুগলবন্দি পাঠকৃতিতে। কিংবা প্রতিপ্রশ্ন করুন। বাঙালির সমস্ত ভুবনে অব্যাহত থাকুক এই খোঁজা বা প্রতিপ্রশ্ন ; হয়তাে পরিসর অনুযায়ী মীমাংসা ভিন্ন হবে, হয়তাে কোনাে মীমাংসাই হবে না, তবু। ' সময় অসময় নিঃসময় ' গ্রন্থটি সাহিত্যচর্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সময় অসময় নিঃসময়
₹180
আমাদের লেখায় বড়াে নির্জনতা এখন। হয়তাে এই নির্জনতায় বিষাদ নেই তত। আছে উদ্ভট মান্যতার বােধ ; মান্যতা বলব, বৈধতা নয়। এখন আমরা প্রাজ্ঞ হতে পারি না সহজে। তাই আমাদের ইদানীংকার পাঠকৃতিতে দেখতে পাই-সমস্ত কেমন যেন আপাত, ত্রিশঙ্কু, চূড়ান্তবিন্দু থেকে স্থিরীকৃত দুরত্বে রুদ্ধ। নিশ্চয় এই বােধও সময়-শাসিত। কিন্তু কীভাবে অস্বীকার করি যে আজকের লেখকেরা এবং আলােচকেরা সিদ্ধান্ত এড়িয়ে যাওয়াতে পারদর্শী? গভীর গভীরতর কোনাে কারণে, সম্ভবত বিশ্বায়নের ছলে সংক্রামিত নির্মানবায়নের প্রভাবে, আমাদের সমস্ত বােধই অসাড় আজ। দাতা যেখানে, গ্রহীতাও সেখানে। ভুল প্রমাণিত হতে বড়া ভয়। প্রতিটি পাঠকৃতি যে-ধরনের প্রত্যাশা জাগিয়ে শুরু হয়, আপাত-সমাপ্তির বিন্দুতে পৌছে দেখি, প্রত্যাশাকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গেছে বৌদ্ধিক চাতুর্য। ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু তা তাে নিয়মকেই প্রমাণিত করে। এ সময়ের কবি ও কথাকারেরা, প্রাবন্ধিক ও সাংস্কৃতিক যােদ্ধারা এই বাচনের যথার্থতা খুঁজুন তাদের সৃষ্টি ও জীবনের যুগলবন্দি পাঠকৃতিতে। কিংবা প্রতিপ্রশ্ন করুন। বাঙালির সমস্ত ভুবনে অব্যাহত থাকুক এই খোঁজা বা প্রতিপ্রশ্ন ; হয়তাে পরিসর অনুযায়ী মীমাংসা ভিন্ন হবে, হয়তাে কোনাে মীমাংসাই হবে না, তবু। ' সময় অসময় নিঃসময় ' গ্রন্থটি সাহিত্যচর্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম পঁচিশ
By মুর্শিদ এ এম
₹150
প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার অন্তর্ভেদী কথাকার মুর্শিদ এ এম। খুঁড়ে খুঁড়ে, নিবিড় কলমের আঁচড়ে উৎকীর্ণ করেন এমন সব কথামালা, যা হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশই। যাঁদের চোখ আছে, অথচ ঠিক পাশেরটুকু খুঁটিয়ে দেখা হয়নি, তারা একটু চোখ ফেরাতে পারেন। একসঙ্গে জুড়ে-গেঁথে থাকা বিশেষ একটি সম্প্রদায়, ঠিকঠাক যাদের হাঁড়ির খবরও নেওয়া হয়নি কোনােদিন, মুর্শিদ সেই অন্তরমহলেরই তীব্র ভাষ্যকার। হাঁকডাক করে লােক জড়াে করার অভিপ্রায়ে থাকেন না তিনি। মায়াময় আর নিগুঢ় স্বরের বয়ানে যে ধূসরিত লৌকিক জীবনের ছবি আঁকেন, তা ইতােমধ্যে তাকে ব্যাতিক্রমী করে তুলেছে।
প্রবহমান জীবনকথা ভেঙে ভেঙে নিয়তই আর-এক জীবন নির্মিত হয়ে চলেছে। মুর্শিদ যেন সেইসব ভাঙচুরের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে এসেছেন। তার কাধের ঝােলায় লুঙ্গি-ফতুয়া আর বােরখা-মহল্লার গুঞ্জন লেগে আছে। গভীরতর ছায়া থেকে, অপরিচয়ের অন্ধকার থেকে উথিত সেইসব গুঞ্জন আর জীবনকথার নির্বাচিত পাঁচিশটি সংকলিত হল ' প্রথম পঁচিশ ' গ্রন্থে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, উৎসাহী পাঠকবর্গ ঠিক পাশে-পাশে ভেসে চলা অচেনা এক ভুবনের বর্ণময় আলােছায়ার সঙ্গে ক্রমান্বয়ে সহযাত্রী হতে থাকবেন।
প্রথম পঁচিশ
By মুর্শিদ এ এম
₹150
প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রার অন্তর্ভেদী কথাকার মুর্শিদ এ এম। খুঁড়ে খুঁড়ে, নিবিড় কলমের আঁচড়ে উৎকীর্ণ করেন এমন সব কথামালা, যা হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশই। যাঁদের চোখ আছে, অথচ ঠিক পাশেরটুকু খুঁটিয়ে দেখা হয়নি, তারা একটু চোখ ফেরাতে পারেন। একসঙ্গে জুড়ে-গেঁথে থাকা বিশেষ একটি সম্প্রদায়, ঠিকঠাক যাদের হাঁড়ির খবরও নেওয়া হয়নি কোনােদিন, মুর্শিদ সেই অন্তরমহলেরই তীব্র ভাষ্যকার। হাঁকডাক করে লােক জড়াে করার অভিপ্রায়ে থাকেন না তিনি। মায়াময় আর নিগুঢ় স্বরের বয়ানে যে ধূসরিত লৌকিক জীবনের ছবি আঁকেন, তা ইতােমধ্যে তাকে ব্যাতিক্রমী করে তুলেছে।
প্রবহমান জীবনকথা ভেঙে ভেঙে নিয়তই আর-এক জীবন নির্মিত হয়ে চলেছে। মুর্শিদ যেন সেইসব ভাঙচুরের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে এসেছেন। তার কাধের ঝােলায় লুঙ্গি-ফতুয়া আর বােরখা-মহল্লার গুঞ্জন লেগে আছে। গভীরতর ছায়া থেকে, অপরিচয়ের অন্ধকার থেকে উথিত সেইসব গুঞ্জন আর জীবনকথার নির্বাচিত পাঁচিশটি সংকলিত হল ' প্রথম পঁচিশ ' গ্রন্থে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, উৎসাহী পাঠকবর্গ ঠিক পাশে-পাশে ভেসে চলা অচেনা এক ভুবনের বর্ণময় আলােছায়ার সঙ্গে ক্রমান্বয়ে সহযাত্রী হতে থাকবেন।
প্রেমের কাব্য
₹150
লেখক প্রশান্ত মন্ডলের অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “প্রেমের কাব্য”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
প্রেমের কাব্য
₹150
লেখক প্রশান্ত মন্ডলের অনেক গুলি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হলো “প্রেমের কাব্য”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
অনন্য জীবনানন্দ
₹80
' অনন্য জীবনানন্দ ' গ্রন্থে জীবনানন্দের উপন্যাস এবং জীবনানন্দের গল্পগত, এই দুটিই মূল প্রবন্ধ। তার প্রায় সমগ্র কথাসাহিত্য অনুশীলন করে, কাব্য-সাহিত্যকে তার প্রেক্ষাপটে রেখে, জীবনানন্দের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলি স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন লেখক, যার ফলশ্রুতি অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। তার সেইসব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কথাসাহিত্য থেকে বিশেষ উদ্ধৃতিগুলি হয়ত প্রয়ােজনে পুনরাবৃত্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধে।
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনেক মহারথীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যার অন্যতম ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির জীবিতকালেই তার কাবাদীপ্তি অনেককে চমকিত, কাউকে কাউকে বিরক্তও করেছিল, যদিও সেই দীপ্তির প্রসারণ বা অন্তর্ভেদিতা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তাদের অনেকেরই ছিল না, সন্তবত কবির নিজেরও ছিল না। ফলে সমস্ত জীবন ধরে তাকে সংশয়ে থাকতে হয়েছে। জীবিতকালে তাে বটেই, তার মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক সেই সংশয় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল পাঠক-গবেষক-সমালােচকদেরও। বস্তুত, সময়েরই আছে সেই ক্ষমতা, যে তার নির্মোহ গতির সাহায্যে, প্রকৃত দীপ্তির ওপর লৌকিক যে মলিনতা জমা করে, তা অপবৃত করে সেই দীপ্তি পৌছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকের মন তখন উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুনভাবে তা আবিষ্কার করে। সেই অলাকিক সময়ের হাত ধরেই জীবনানন্দের যাবতীয় সাহিত্যকৃতি, সমস্ত সমালােচকদের ভুল প্রমাণ করে, পাঠকের সবরকম সংশয় দূর করে, তার জন্মশতবর্ষের আগেই পাঠক-হাদয়ে মহার্ঘ্য স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
অনন্য জীবনানন্দ
₹80
' অনন্য জীবনানন্দ ' গ্রন্থে জীবনানন্দের উপন্যাস এবং জীবনানন্দের গল্পগত, এই দুটিই মূল প্রবন্ধ। তার প্রায় সমগ্র কথাসাহিত্য অনুশীলন করে, কাব্য-সাহিত্যকে তার প্রেক্ষাপটে রেখে, জীবনানন্দের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিগুলি স্বতন্ত্রভাবে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন লেখক, যার ফলশ্রুতি অন্যান্য প্রবন্ধগুলি। তার সেইসব দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কথাসাহিত্য থেকে বিশেষ উদ্ধৃতিগুলি হয়ত প্রয়ােজনে পুনরাবৃত্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রবন্ধে।
রবীন্দ্র-পরবর্তী বাংলা কাব্যসাহিত্যে অনেক মহারথীর আবির্ভাব ঘটেছিল, যার অন্যতম ছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির জীবিতকালেই তার কাবাদীপ্তি অনেককে চমকিত, কাউকে কাউকে বিরক্তও করেছিল, যদিও সেই দীপ্তির প্রসারণ বা অন্তর্ভেদিতা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা তাদের অনেকেরই ছিল না, সন্তবত কবির নিজেরও ছিল না। ফলে সমস্ত জীবন ধরে তাকে সংশয়ে থাকতে হয়েছে। জীবিতকালে তাে বটেই, তার মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক সেই সংশয় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল পাঠক-গবেষক-সমালােচকদেরও। বস্তুত, সময়েরই আছে সেই ক্ষমতা, যে তার নির্মোহ গতির সাহায্যে, প্রকৃত দীপ্তির ওপর লৌকিক যে মলিনতা জমা করে, তা অপবৃত করে সেই দীপ্তি পৌছে দেয় পাঠকের হৃদয়ে। পাঠকের মন তখন উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুনভাবে তা আবিষ্কার করে। সেই অলাকিক সময়ের হাত ধরেই জীবনানন্দের যাবতীয় সাহিত্যকৃতি, সমস্ত সমালােচকদের ভুল প্রমাণ করে, পাঠকের সবরকম সংশয় দূর করে, তার জন্মশতবর্ষের আগেই পাঠক-হাদয়ে মহার্ঘ্য স্থানটি দখল করে নিয়েছে।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।