“পত্তনি কথা” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
স্বপ্ন শিখর থেলু
₹80
অনেক দিন আগের কথা—১৯৮৮ সালে একদল স্কুলছাত্রের সঙ্গে আমার পশ্চিম গাড়ােয়াল হিমালয়ের কোটেশ্বর ও থেলু পর্বত অভিযানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। অভিযানটির উদ্যোক্তা ছিলেন দমদম কিশাের ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ক্ষুদে অভিযাত্রীরা সেবারে থেলু শৃঙ্গ আরােহণ করতে সমর্থ হয়। ছােটদের সেই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী ফিরে এসে সে-বছরই ' স্বপ্নশিখর থেলু ’—এই শিরােনামায় লিখেওছিলাম প্রতিক্ষণ-এর শারদ সংখ্যাতে। সুদীর্ঘ উনিশ বছর বাদে 'স্বপ্নশিখর থেলু ' র অবশেষে গ্রন্থাকারে আত্মপ্রকাশ।
স্বপ্ন শিখর থেলু
₹80
অনেক দিন আগের কথা—১৯৮৮ সালে একদল স্কুলছাত্রের সঙ্গে আমার পশ্চিম গাড়ােয়াল হিমালয়ের কোটেশ্বর ও থেলু পর্বত অভিযানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। অভিযানটির উদ্যোক্তা ছিলেন দমদম কিশাের ভারতী উচ্চ বিদ্যালয়। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ক্ষুদে অভিযাত্রীরা সেবারে থেলু শৃঙ্গ আরােহণ করতে সমর্থ হয়। ছােটদের সেই অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী ফিরে এসে সে-বছরই ' স্বপ্নশিখর থেলু ’—এই শিরােনামায় লিখেওছিলাম প্রতিক্ষণ-এর শারদ সংখ্যাতে। সুদীর্ঘ উনিশ বছর বাদে 'স্বপ্নশিখর থেলু ' র অবশেষে গ্রন্থাকারে আত্মপ্রকাশ।
পঞ্চাশটি প্রবন্ধ
₹800
যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে না পারলাম তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, সংগীত থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে, তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কী? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।' - হাসান আজিজুল হক
ষাটের দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের যে নবযাত্রা ঘটেছিল তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। উত্তাল চল্লিশের দশকের প্রবেশমুখে রাঢ়বঙ্গে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান কিংবদন্তিতুল্য কথাশিল্পী দেশে-বিদেশে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ কেড়েছেন পাঠক-সমালোচকের, অতিক্রম করেছেন একর পর এক সাফল্যের সিঁড়ি। তাঁর হাতে বাংলা ছোটোগল্পের বাঁকবদল ঘটেছে। ষাটের দশকেই কপালে তিলক পড়ে যায় ছোটোগল্পকার হিসেবে। যে অর্থে আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথ মনন সমৃদ্ধ বিশাল গদ্যসাহিত্যের ভাণ্ডার গড়েও কবিই থেকে গেছেন, ভুলেও কেউ বলেন না 'প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ', সৃষ্টির চৌদ্দ আনাই প্রেমে ভরে দিলেও ‘বিদ্রোহী কবি'র ছাপ কোনোদিনই মুছেনি নজরুলের কপাল হতে, তেমনি বুদ্ধদেব বসুর সমৃদ্ধ অনুবাদ, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ বেমালুম ভুলে 'কবি বুদ্ধদেবে’র জয়জয়কার, তখন আমরা ধরেই নেই, হাসান আজিজুল হকের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
অবিশ্বাস্য রকমের শোনাবে, হাসান আজিজুল হকের মতো এমন শক্তিমান মেধাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা গদ্যের ইতিহাসে হাতে গোনা দু'একজন হতে পারে। বাংলা প্রবন্ধের প্রচলিত ধারণাই তিনি পালটে দিয়েছেন। গল্পের মতো গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, প্রখর-তীব্র-টাটকা যুক্তি-চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা। নিজস্ব মেজাজ ও ঢঙে জলের মতো স্বচ্ছ ও সাবলীল করে হাসান আজিজুল হক এই পঞ্চাশটি প্রবন্ধে উপস্থাপন করেছেন দেশ, জাতি, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মতামত । একজন সৃজনশীল সেলিব্রেটি লেখকের আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মতামত এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।
পঞ্চাশটি প্রবন্ধ
₹800
যদি সাহিত্য থেকে কিছু নিতে না পারলাম তাহলে বলতে হয় পৃথিবীতে বাস করলাম প্রায় নরকে বাস করার মতোই। সাহিত্য থেকে কিছু নিতে পারলাম না, শিল্প থেকে নিতে পারলাম না, সংগীত থেকে নিতে পারলাম না, শুধু জীবনযাপন করে গেলাম, সে-জীবনযাপন গরুও করে, ভেড়াও করে, তার সঙ্গে মানুষের তফাৎ কী? আমি সাহিত্যকে সেই চোখে দেখি।' - হাসান আজিজুল হক
ষাটের দশকের বাংলা কথাসাহিত্যের যে নবযাত্রা ঘটেছিল তার অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। উত্তাল চল্লিশের দশকের প্রবেশমুখে রাঢ়বঙ্গে জন্ম নেওয়া এই খ্যাতিমান কিংবদন্তিতুল্য কথাশিল্পী দেশে-বিদেশে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ কেড়েছেন পাঠক-সমালোচকের, অতিক্রম করেছেন একর পর এক সাফল্যের সিঁড়ি। তাঁর হাতে বাংলা ছোটোগল্পের বাঁকবদল ঘটেছে। ষাটের দশকেই কপালে তিলক পড়ে যায় ছোটোগল্পকার হিসেবে। যে অর্থে আমরা দেখি রবীন্দ্রনাথ মনন সমৃদ্ধ বিশাল গদ্যসাহিত্যের ভাণ্ডার গড়েও কবিই থেকে গেছেন, ভুলেও কেউ বলেন না 'প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ', সৃষ্টির চৌদ্দ আনাই প্রেমে ভরে দিলেও ‘বিদ্রোহী কবি'র ছাপ কোনোদিনই মুছেনি নজরুলের কপাল হতে, তেমনি বুদ্ধদেব বসুর সমৃদ্ধ অনুবাদ, কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধ বেমালুম ভুলে 'কবি বুদ্ধদেবে’র জয়জয়কার, তখন আমরা ধরেই নেই, হাসান আজিজুল হকের ক্ষেত্রেও একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
অবিশ্বাস্য রকমের শোনাবে, হাসান আজিজুল হকের মতো এমন শক্তিমান মেধাসম্পন্ন মননশীল প্রাবন্ধিক গত পঞ্চাশ বছরের বাংলা গদ্যের ইতিহাসে হাতে গোনা দু'একজন হতে পারে। বাংলা প্রবন্ধের প্রচলিত ধারণাই তিনি পালটে দিয়েছেন। গল্পের মতো গতিশীল ক্ষুরধার ভাষা, প্রখর-তীব্র-টাটকা যুক্তি-চিন্তা দিয়ে গড়ে তুলেছেন তাঁর প্রবন্ধসাহিত্যের ঘরানা। নিজস্ব মেজাজ ও ঢঙে জলের মতো স্বচ্ছ ও সাবলীল করে হাসান আজিজুল হক এই পঞ্চাশটি প্রবন্ধে উপস্থাপন করেছেন দেশ, জাতি, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মতামত । একজন সৃজনশীল সেলিব্রেটি লেখকের আমাদের ভাষা, সাহিত্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মতামত এবং নিজস্ব ব্যাখ্যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।
কলকাতার স্থাননাম
₹250
আজকের মহানগর কলকাতার বৈভবশালী চাকচিক্যের পিছনে যে দীর্ঘসময়ের বিবর্তনের চিত্রটা রয়েছে সেটা ধরা পড়ে তার স্থাননাম বিশ্লেষণের মাধ্যমেই। পুকুর, বাগান, পাড়া, তলা-অন্তিক স্থাননামগুলি আজও বহন করছে তার গ্রামীণ-জীবনের পরিচয়। কিন্তু সেভাবে কলকাতার স্থাননাম নিয়ে পৃথকভাবে কোন কাজ হয়নি। সামগ্রিক স্থাননামের আলােচনা প্রসঙ্গে কখনাে কখনাে কলকাতার স্থাননামের কথা এসেছে। শুধু কলকাতার স্থাননাম নিয়ে সম্ভবত প্রথম বই।
কলকাতার স্থাননাম
₹250
আজকের মহানগর কলকাতার বৈভবশালী চাকচিক্যের পিছনে যে দীর্ঘসময়ের বিবর্তনের চিত্রটা রয়েছে সেটা ধরা পড়ে তার স্থাননাম বিশ্লেষণের মাধ্যমেই। পুকুর, বাগান, পাড়া, তলা-অন্তিক স্থাননামগুলি আজও বহন করছে তার গ্রামীণ-জীবনের পরিচয়। কিন্তু সেভাবে কলকাতার স্থাননাম নিয়ে পৃথকভাবে কোন কাজ হয়নি। সামগ্রিক স্থাননামের আলােচনা প্রসঙ্গে কখনাে কখনাে কলকাতার স্থাননামের কথা এসেছে। শুধু কলকাতার স্থাননাম নিয়ে সম্ভবত প্রথম বই।
বিজ্ঞানীর বিবেক
₹300
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান গবেষক ড: গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় জনচেতনায় বিজ্ঞান প্রসার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। বিজ্ঞানীর বিবেক তাঁর সাম্প্রতিক প্রবন্ধ সংকলন। বিজ্ঞান গবেষণার দিক নির্ধারণে বিজ্ঞানীদের ভূমিকা, সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান গবেষণায় কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, বিজ্ঞান ভাবনায় বিকৃতি ঘটছে কিভাবে? মৌলবাদ ও সংঘ পরিবারের সংগঠকদের অবৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার সামাজিক প্রতিক্রিয়া, সাহিত্য ও বিজ্ঞান আন্ত সম্পর্ক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইতিহাস ইত্যাদি প্রসঙ্গে বিজ্ঞান জগতের ভিতর থেকে বিজ্ঞান ও সমাজকে দেখার চেষ্টা করেছেন লেখক। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণী দৃষ্টির সঙ্গে সাহিত্য রসের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে তার কলম, যে কোনো মননশীল পাঠক পরে সমৃদ্ধ হবেন।
বিজ্ঞানীর বিবেক
₹300
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান গবেষক ড: গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় জনচেতনায় বিজ্ঞান প্রসার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। বিজ্ঞানীর বিবেক তাঁর সাম্প্রতিক প্রবন্ধ সংকলন। বিজ্ঞান গবেষণার দিক নির্ধারণে বিজ্ঞানীদের ভূমিকা, সমাজ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান গবেষণায় কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, বিজ্ঞান ভাবনায় বিকৃতি ঘটছে কিভাবে? মৌলবাদ ও সংঘ পরিবারের সংগঠকদের অবৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার সামাজিক প্রতিক্রিয়া, সাহিত্য ও বিজ্ঞান আন্ত সম্পর্ক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইতিহাস ইত্যাদি প্রসঙ্গে বিজ্ঞান জগতের ভিতর থেকে বিজ্ঞান ও সমাজকে দেখার চেষ্টা করেছেন লেখক। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণী দৃষ্টির সঙ্গে সাহিত্য রসের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে তার কলম, যে কোনো মননশীল পাঠক পরে সমৃদ্ধ হবেন।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র
₹500
কথাসাহিত্যিক সুশীল জানার নাম বাংলা সাহিত্যের পাঠকের কাছে অপরিচিত নয়। কিন্তু তাঁর রচনা বর্তমানে দুষ্প্রাপ্য। জীবনের অভিজ্ঞান অজস্র বৈচিত্র্য নিয়ে কিভাবে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে সুশীল জানার লেখায়, তাঁর সাক্ষ্য দেয় তাঁর সমস্ত উপন্যাসগুলি। যাদের সংখ্যা ছোট বড় মিলিয়ে ছয়টি। মহানগরী, সূর্যগ্রাস, বেলাভূমির গান, সাগর সঙ্গমে, শতদ্রুর সংখ্যা, প্রস্থান পর্ব ইত্যাদি সবকটি উপন্যাস নিয়ে ' সুশীল জানা উপন্যাস সমগ্র ' গ্রন্থটি রচিত।
দেশ-কাল-সমাজ এবং ব্যক্তিমানুষের মধ্যে যে-দন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধ তার লেখায় বিচিত্রভাবে উপস্থিত হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটের বৈচিত্র্য যে কতটাই, তা পরোক্ষ করা যায় " মহানগর " উপন্যাসে। কলকাতার কানাগলি এবং তার বাসিন্দা নিম্ন মধ্যবিত্ত একদল মানুষের জীবনের কিছু টানাপোড়েন এবং ব্রিটিশ রাজত্বের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের ভঙ্গুর চালচিত্রকে রূপায়িত করে তার " মহানগর " উপন্যাসটি লেখা। ধর্মঘট, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় ছন্ছত্তর হয়ে যাওয়া সারা দেশের পটভূমি - আর তারই সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে রূপায়িত নিম্নমধ্যবিত্তদের জীবনযুদ্ধ - এই দুটোকে মিলিয়ে নিয়ে নিপুণ নকশায় বুনেছেন সুশীল জানা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরের এবং দেশ স্বাধীন হবার ঠিক আগের এবং পরের সময়কালের পটভূমিতে নাগরিক নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের চিত্রায়ণ হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস " সূর্যগ্রাস " এর মধ্যে।
" বেলাভূমির গান " এবং " সাগরসঙ্গমে "- এই দুটি উপন্যাসের পটভূমিকা এবং কুশীলবেরা আবার সম্পূর্ণ আলাদা আগের দুটির থেকে। শহুরে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ নয় এরা দূর প্রত্যন্তবাসী গ্রামীণ নারী পুরুষেরা এখানে বাগ্ময় হয়ে উঠেছে তাদের অন্তরের অন্তর্লীন অসংখ্য আদিম আকুতি নিয়ে। আবার সঙ্গে - সঙ্গেই দেশ - কাল - সমাজ - রাজনীতি - অর্থনীতির পরিপূর্ণ অভিঘাতের নানা ইঙ্গিত সূচিত করে দিতেও লেখকের কলম সমানভাবেই সক্রিয় থেকেছে।
" শতদ্রুর সংখ্যা " বেরোনোর তিন বছর পরে বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে। এটিকে একই সঙ্গে ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করলেই যথাযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় বোধহয়। এই উপন্যাসের সবচেয়ে বড়ো বৈশিষ্ট্য হল এটিই যে, এখানে রাষ্ট্রনৈতিক ওঠা-পড়া, ঝড়-ঝঞ্ঝা এবং সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ এমনই ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে যে, কোনওটাই অন্যটাকে বাদ দিয়ে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। দেশপ্রেমিক এবং দেশদ্রোহী, উৎপীড়ক ও উৎপীড়িত, ভালোরা ও মন্দরা এখানে এমনই কিছু দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের সম্বন্ধে জড়িয়ে আছে, যা এর বহিরঙ্গের রাজনীতির উত্তালতা এবং অন্তর্মুখের মানসিক অধীষণ - দুটোকেই সমান গুরুত্বে ফুটিয়ে তুলেছেন।
শেষ উপন্যাস 'প্রস্থান পর্ব'। পলাশির যুদ্ধের পরে করমন্ডল উপকূল থেকে আসা একদল পেশাদার সিপাহির বিপন্ন অসহায়তার কাহিনি এটি।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...