Discount applied: Discount 20%
“দুর্গম হিমালয়ের ডাকে” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
গীতবিতানের আরশিনগর
Publisher: একুশ শতক
₹130
গীতবিতান এর সমস্তগান স্বতন্ত্র ভাবে আলোচনা – অত্যন্ত দুরহ কাজ। আবুল বহুগান আলোচিত হয়েছে ‘ গীতবিতানের আরশিনগর ‘ গ্রন্থে এবং গীতবিতানের মধ্য দিয়ে যে ‘ সীমার মধ্যেই অসীমের সহিত মিলন সাধনের পালা ‘ অভিনীত হয়ে চলেছে, সে পালাটির মূল সুরটাকে ধরতে চেষ্টা করেছি। আশা করি রবীন্দ্রসংগীতের ভাবলোকের প্রবেশপার্থীরা কিছু দিশা পাবেন।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ga01
Categories:
প্রবন্ধ, রবীন্দ্র বিষয়ক, সমস্ত বই
গীতবিতান এর সমস্তগান স্বতন্ত্র ভাবে আলোচনা – অত্যন্ত দুরহ কাজ। আবুল বহুগান আলোচিত হয়েছে ‘ গীতবিতানের আরশিনগর ‘ গ্রন্থে এবং গীতবিতানের মধ্য দিয়ে যে ‘ সীমার মধ্যেই অসীমের সহিত মিলন সাধনের পালা ‘ অভিনীত হয়ে চলেছে, সে পালাটির মূল সুরটাকে ধরতে চেষ্টা করেছি। আশা করি রবীন্দ্রসংগীতের ভাবলোকের প্রবেশপার্থীরা কিছু দিশা পাবেন।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
কালীঘাটের পট
By অসীম রেজ
₹300
‘কালীঘাটের পট’ বাংলার চিত্রকলার এক গৌরবজনক অধ্যায় প্রায় শতবর্ষ আগে অস্তমিত হয়েছে। একদিন এই চিত্রশৈলী উনিশ শতকের তিরিশ দশক থেকে বিশ শতকের তিরিশ দশক পর্য্যন্ত সমাজ সচেতন ‘জনগণের শিল্প’ হয়ে বাঙালীর সাংস্কৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করেছিল। বাংলার সনাতন পটের ধারা থেকে নিজেকে মুক্ত করে কালীঘাটের পট সমাজ বাস্তবধর্মী আধুনিকতার এক নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছিল। কালীঘাটের শিল্পীরা ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী সস্তায় কালীঘাট মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের হাতে দেব-দেবীদের ছবিগুলি যেমন পৌঁছে দিয়েছিলেন তেমন শহর কলকাতার দৈনন্দিন ঘটনা বা বাবু কালচারের রঙ্গ-ব্যঙ্গধর্মী চিত্তাকর্ষক ছবিগুলির ভিতর মনোরঞ্জনের খোরাক জুগিয়েছিলেন। সেদিন কে জানত, একদিন এগুলি হয়ে উঠবে বাঙালীর আত্মপরিচয়ের সাক্ষ্য।
এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে কালীঘাট পটচিত্রের বৈশিষ্ট, অন্যান্য লোকশিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক, পট শিল্পী পরিবারের অবদান, পটচিত্রে বিষয় বৈচিত্র্য ইত্যাদি। সঙ্গে রয়েছে সেসময়ের বেশকিছু রঙ্গিন ছবি যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে।
কালীঘাটের পট
By অসীম রেজ
₹300
‘কালীঘাটের পট’ বাংলার চিত্রকলার এক গৌরবজনক অধ্যায় প্রায় শতবর্ষ আগে অস্তমিত হয়েছে। একদিন এই চিত্রশৈলী উনিশ শতকের তিরিশ দশক থেকে বিশ শতকের তিরিশ দশক পর্য্যন্ত সমাজ সচেতন ‘জনগণের শিল্প’ হয়ে বাঙালীর সাংস্কৃতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করেছিল। বাংলার সনাতন পটের ধারা থেকে নিজেকে মুক্ত করে কালীঘাটের পট সমাজ বাস্তবধর্মী আধুনিকতার এক নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছিল। কালীঘাটের শিল্পীরা ক্রেতাদের রুচি অনুযায়ী সস্তায় কালীঘাট মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের হাতে দেব-দেবীদের ছবিগুলি যেমন পৌঁছে দিয়েছিলেন তেমন শহর কলকাতার দৈনন্দিন ঘটনা বা বাবু কালচারের রঙ্গ-ব্যঙ্গধর্মী চিত্তাকর্ষক ছবিগুলির ভিতর মনোরঞ্জনের খোরাক জুগিয়েছিলেন। সেদিন কে জানত, একদিন এগুলি হয়ে উঠবে বাঙালীর আত্মপরিচয়ের সাক্ষ্য।
এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে কালীঘাট পটচিত্রের বৈশিষ্ট, অন্যান্য লোকশিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক, পট শিল্পী পরিবারের অবদান, পটচিত্রে বিষয় বৈচিত্র্য ইত্যাদি। সঙ্গে রয়েছে সেসময়ের বেশকিছু রঙ্গিন ছবি যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে।
রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ
By জয়ন্ত রায়
₹1,200
‘রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ' একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। গতানুগতিক জীবনীর বাইরে ভারতপথিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ের ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আজকের এই সমকালীন সময়কালের পাশাপাশি যুগনায়ক রামমোহনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছে গ্রন্থে। রামমোহন রায় যে নিছক ধর্মগুরু ছিলেন না, তাঁর কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিক যুগের নবজাগরণ এসেছিল, সে কথা উঠে এসেছে গ্রন্থে। তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণামূলক এই প্রকাশনায় আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে রামমোহনের পূর্ণা চিত্র অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে। সুধী পাঠক ও তরুণ গবেষকেরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি। এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অখণ্ড বাংলার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সাথে রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলের দ্বান্দ্বিক ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন লেখক। মোট ২১টি পর্বে ও উপপর্বে সাজানো এই গ্রন্থের শেষে ‘পরিশিষ্ট’ অংশটি প্রাসঙ্গিকভাবেই যুক্ত করেছেন তিনি। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ও আলোকিত বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিশিষ্ট উল্লেখের কারণে আরও গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনায়।
রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ
By জয়ন্ত রায়
₹1,200
‘রাজা রামমোহন রায় : তৎকালীন ও সমকালীন সমাজ' একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ। গতানুগতিক জীবনীর বাইরে ভারতপথিকের গুরুত্বপূর্ণ কাজের পর্যালোচনা করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ের ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আজকের এই সমকালীন সময়কালের পাশাপাশি যুগনায়ক রামমোহনের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছে গ্রন্থে। রামমোহন রায় যে নিছক ধর্মগুরু ছিলেন না, তাঁর কর্মকাণ্ডের ফলে আধুনিক যুগের নবজাগরণ এসেছিল, সে কথা উঠে এসেছে গ্রন্থে। তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণামূলক এই প্রকাশনায় আধুনিক ভারতের রূপকার রূপে রামমোহনের পূর্ণা চিত্র অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে। সুধী পাঠক ও তরুণ গবেষকেরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি। এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক, সামাজিক ও অখণ্ড বাংলার সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সাথে রক্ষণশীল এবং প্রগতিশীলের দ্বান্দ্বিক ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন লেখক। মোট ২১টি পর্বে ও উপপর্বে সাজানো এই গ্রন্থের শেষে ‘পরিশিষ্ট’ অংশটি প্রাসঙ্গিকভাবেই যুক্ত করেছেন তিনি। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলি ও আলোকিত বিষয়গুলি সম্পর্কে পরিশিষ্ট উল্লেখের কারণে আরও গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে ব্যতিক্রমী এই প্রকাশনায়।
কৃষ্ণ থেকে কলি
By সাগ্নিক
₹100
বয়স,লিঙ্গ,বর্ণ,শ্রেণী বিভাজনের ঊর্দ্ধে ভালোবাসা এক পরিপূর্ণ অধ্যায় এবং ছোটো-বড় অসংখ্য অব্যক্ত আবেগের সমাহার । এবং এই আবেগগুলোরই কাব্যিক প্রকাশ 'কৃষ্ণ থেকে কলি' ।
কৃষ্ণ থেকে কলি
By সাগ্নিক
₹100
বয়স,লিঙ্গ,বর্ণ,শ্রেণী বিভাজনের ঊর্দ্ধে ভালোবাসা এক পরিপূর্ণ অধ্যায় এবং ছোটো-বড় অসংখ্য অব্যক্ত আবেগের সমাহার । এবং এই আবেগগুলোরই কাব্যিক প্রকাশ 'কৃষ্ণ থেকে কলি' ।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
উত্তরমেরু প্রান্তের দেশ ফিনল্যাণ্ড ভ্রমণ
By সমীর রক্ষিত
₹100
সমীর রক্ষিত স্থপতি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যার প্রাক্তন অধ্যাপক। স্থাপত্যে সংরক্ষণ ও পুননির্মাণের তিনি বিশেষজ্ঞ। এ বিষয়ে ইতালির রােমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ আশির দশকে। তখন থেকেই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ইউরােপের বিভিন্ন দেশে। ১৯৯১ সালে তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্পে ফিনল্যান্ডে যান। সেখানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ভারতীয় স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে বক্তৃতা দেন এবং দেশের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিষয়ে বিশেষভাবে পরিচিত হন। এইসূত্রে তিনি পার্শ্ববর্তী একদা সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিন্তু সদ্য স্বাধীন দেশ এস্তোনিয়াও ভ্রমণ করেন। পরে যান সুইডেনে। এই তিনটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে সুচারু ভঙ্গীতে প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থিত করেছেন ' ' গ্রন্থটিতে।
তার কলমের শক্তির উৎস মানুষ-সমাজ-সমকাল। এই শক্তিতে তিনি উজ্জ্বল শিল্পদৃষ্টির গভীর প্রতীষ্ঠা দিয়েছেন। একটু নজর করলেই বােঝা যায় সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে তিনি যুক্ত করেছেন অন্যতর এক মাত্রাও - তা বিজ্ঞান প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের জীবনের সম্পর্ক। বস্তুত লেখক একজন প্রযুক্তিবিদ। ফলে এই ভ্রমণকাহিনী শুধুই তথ্য হয়ে থাকেনি, তা বহু চরিত্রের মাধ্যমে সপ্রাণ ও সজীব হয়ে উঠেছে।
নকশিকথা
₹150
' নকশিকথা ' গল্প সংকলনটি লেখিকার দ্বিতীয় প্রয়াস। কুড়িটি ছোটো বড়ো গল্পের সমাহার। কখন হালকা চালে কখন গভীর কথনে লেখা হয়েছে মানুষের কথা। অতি কঠিন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অসহায় মানুষের আনন্দ বেদনা ও সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রটি যেমন স্পষ্ট তেমনই এই ক্ষয়িয়ু মূল্যবোধের কাঠামোতে মানুষের চিরদরদি ও মরমি মনটিকেই খুঁজেছেন যেন লেখিকা৷ ‘নকশিকথা’ অক্ষরের মালায় জীবনের জলছবিটির নকশা তোলার একটি সার্থক প্রয়াস। বিচিত্র স্বাদের গল্পগুলির ঘটনাবলি ও চরিত্রগুলি কাল্পনিক।
নকশিকথা
₹150
' নকশিকথা ' গল্প সংকলনটি লেখিকার দ্বিতীয় প্রয়াস। কুড়িটি ছোটো বড়ো গল্পের সমাহার। কখন হালকা চালে কখন গভীর কথনে লেখা হয়েছে মানুষের কথা। অতি কঠিন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অসহায় মানুষের আনন্দ বেদনা ও সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্রটি যেমন স্পষ্ট তেমনই এই ক্ষয়িয়ু মূল্যবোধের কাঠামোতে মানুষের চিরদরদি ও মরমি মনটিকেই খুঁজেছেন যেন লেখিকা৷ ‘নকশিকথা’ অক্ষরের মালায় জীবনের জলছবিটির নকশা তোলার একটি সার্থক প্রয়াস। বিচিত্র স্বাদের গল্পগুলির ঘটনাবলি ও চরিত্রগুলি কাল্পনিক।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।