“যা দেখেছি যা বুঝেছি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
গল্প পঁচিশ
Publisher: একুশ শতক
₹250
আমার প্রথম দুটো গল্পের বইয়ের কোনও কপি এখন আর কোথাও পাওয়া যায়না। আমার বা আমারই বােনের মতাে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে তা থাকলেও থাকতে পারে। সম্ভাব্যতার কী অনবদ্য সম্প্রসারণ! প্রথম দুটি গল্পের বইয়ের অনস্তিত্ব অনুভব করে সেই বই দুটি থেকে ৬টি গল্প এই ‘ গল্প পঁচিশ ‘ সংকলনে নিয়েছি। গত পঁচিশ বছরে লেখা পঁচিশটি গল্প। তার বেশি হলেই কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়ে যেত।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-gpac01
আমার প্রথম দুটো গল্পের বইয়ের কোনও কপি এখন আর কোথাও পাওয়া যায়না। আমার বা আমারই বােনের মতাে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে তা থাকলেও থাকতে পারে। সম্ভাব্যতার কী অনবদ্য সম্প্রসারণ! প্রথম দুটি গল্পের বইয়ের অনস্তিত্ব অনুভব করে সেই বই দুটি থেকে ৬টি গল্প এই ‘ গল্প পঁচিশ ‘ সংকলনে নিয়েছি। গত পঁচিশ বছরে লেখা পঁচিশটি গল্প। তার বেশি হলেই কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়ে যেত।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
ব্ল্যাকশিপ
₹120
কমিক্স মেট্রোর প্রথম উপস্থাপনা, ঘনশ্যাম চৌধুরী এবং কৌস্তভ চৌধুরীর "ব্ল্যাকশিপ"।
কেদার-বদ্রী গোয়েন্দা জুটির অ্যকশন-থ্রিলার কমিকস।
ব্ল্যাকশিপ
₹120
কমিক্স মেট্রোর প্রথম উপস্থাপনা, ঘনশ্যাম চৌধুরী এবং কৌস্তভ চৌধুরীর "ব্ল্যাকশিপ"।
কেদার-বদ্রী গোয়েন্দা জুটির অ্যকশন-থ্রিলার কমিকস।
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
সত্যি এডভেঞ্চার
₹200
গতানুগতিক ভ্রামণিক জীবনের বাইরে দুঃসাহসিক ভ্রমণের আকর্ষণে বারবার ছুতে গেছি অচেনা পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র, আদিবাসী মানুষের পৃথিবীতে। যদিও তার জন্য অজস্র বার বিপদের মুখোমুখি হয়েছি। কতবার মৃত্যু জীবনের দরজায় কড়া নেড়ে ফিরে গেছে। এমনি দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতায় জড়িত ১৫ খানি লেখা রয়েছে "সত্যি এডভেঞ্চার" বইটিতে ।
সত্যি এডভেঞ্চার
₹200
গতানুগতিক ভ্রামণিক জীবনের বাইরে দুঃসাহসিক ভ্রমণের আকর্ষণে বারবার ছুতে গেছি অচেনা পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্র, আদিবাসী মানুষের পৃথিবীতে। যদিও তার জন্য অজস্র বার বিপদের মুখোমুখি হয়েছি। কতবার মৃত্যু জীবনের দরজায় কড়া নেড়ে ফিরে গেছে। এমনি দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতায় জড়িত ১৫ খানি লেখা রয়েছে "সত্যি এডভেঞ্চার" বইটিতে ।
ধরা অধরার মাঝে
₹250
" ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থটি চরিত্রের দিক থেকে ইতিহাস না রম্যরচনা, না কি দুটোই একসঙ্গে, ভেবে কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। এতে রাশি রাশি তথ্য আছে, একজন পদার্থবিজ্ঞানী কী করে ঘটনাচক্রে বড় মাপের আমলা হয়ে উঠলেন তার গল্প আছে, আর সেই সূত্রে সরকারি কাজকর্মের ধরণ-ধারণ নিয়ে মজার মজার ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে। এতই মজার যে একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কোনও রেহাই নেই।
গ্রন্থটির আপাদমস্তক টস্ টস্ করছে অনুপম রসবোধে। তার সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত তির্যক মন্তব্য— কখনও আশপাশে ঘটে যাওয়া কাণ্ড-কারখানা নিয়ে আর কখনও বা নিজেকে নিয়েই। নিজেকে দিয়ে রসিকতা করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। কিন্তু এই লেখকের আছে। আর তা প্রচুর পরিমাণেই। ফলে এই বইটির উপভোগ্যতার কোনও জবাব নেই। এতে একই সঙ্গে আছেন জ্যোতি বসু, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, কাস্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো চরিত্রেরা। আবার পাশাপাশি বিরাজ করছেন মমতাও।
পদার্থবিজ্ঞানী থেকে মুখ্য সচিব হয়ে ওঠা গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা অসমাপ্ত রেখে আই এ এস হয়েছিলেন। চাকুরিস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের দীর্ঘ শাসনকালের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলায় নানা দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে কাজ করে মুখ্যসচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের উঁচু থেকে নীচের মহল পর্যন্ত নানাভাবে নজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের জেলার নেতা-কর্মী-সংগঠক ছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। তিনি তার চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথা " ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন সংক্ষিপ্ততম পরিসরে।
টানটান গদ্যে তীব্র কৌতূক আর ঠাট্টাতামাশা ও মজা করার মধ্য দিয়ে পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। পাঠক পড়তে পড়তে বলবেন— বাহ্। এতো দিন লেখেন নি কেন!
ধরা অধরার মাঝে
₹250
" ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থটি চরিত্রের দিক থেকে ইতিহাস না রম্যরচনা, না কি দুটোই একসঙ্গে, ভেবে কোনও হদিশ পাওয়া যায় না। এতে রাশি রাশি তথ্য আছে, একজন পদার্থবিজ্ঞানী কী করে ঘটনাচক্রে বড় মাপের আমলা হয়ে উঠলেন তার গল্প আছে, আর সেই সূত্রে সরকারি কাজকর্মের ধরণ-ধারণ নিয়ে মজার মজার ঘটনার বিশদ বিবরণ আছে। এতই মজার যে একবার পড়তে শুরু করলে শেষ না করা পর্যন্ত কোনও রেহাই নেই।
গ্রন্থটির আপাদমস্তক টস্ টস্ করছে অনুপম রসবোধে। তার সঙ্গে উপরিপাওনা হিসেবে বুদ্ধিদীপ্ত তির্যক মন্তব্য— কখনও আশপাশে ঘটে যাওয়া কাণ্ড-কারখানা নিয়ে আর কখনও বা নিজেকে নিয়েই। নিজেকে দিয়ে রসিকতা করার মতো বুকের পাটা সবার থাকে না। কিন্তু এই লেখকের আছে। আর তা প্রচুর পরিমাণেই। ফলে এই বইটির উপভোগ্যতার কোনও জবাব নেই। এতে একই সঙ্গে আছেন জ্যোতি বসু, নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, কাস্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো চরিত্রেরা। আবার পাশাপাশি বিরাজ করছেন মমতাও।
পদার্থবিজ্ঞানী থেকে মুখ্য সচিব হয়ে ওঠা গল্পের মতো মনে হলেও সত্যি। গ্রন্থের লেখক প্রাক্তন মুখ্য সচিব অর্ধেন্দু সেন পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা অসমাপ্ত রেখে আই এ এস হয়েছিলেন। চাকুরিস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ। বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের দীর্ঘ শাসনকালের প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলায় নানা দায়িত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে কাজ করে মুখ্যসচিব হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং প্রশাসনের উঁচু থেকে নীচের মহল পর্যন্ত নানাভাবে নজর করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের জেলার নেতা-কর্মী-সংগঠক ছাড়াও রাজ্য ও জাতীয় স্তরের অনেক নেতা নেত্রীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁর হয়েছিল। তিনি তার চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ কর্মজীবনের কথা " ধরা অধরার মাঝে " গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন সংক্ষিপ্ততম পরিসরে।
টানটান গদ্যে তীব্র কৌতূক আর ঠাট্টাতামাশা ও মজা করার মধ্য দিয়ে পাঠককে চুম্বকের মতো টেনে রাখবে। পাঠক পড়তে পড়তে বলবেন— বাহ্। এতো দিন লেখেন নি কেন!
পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ
₹100
শান্তিনিকেতনে মণিপুরী মহিলা শিল্পী চেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের নানা সম্পদ সম্ভাবনা যেন কবিকে নাড়া দিয়েছিল। এমন কি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কেও কবি ওয়াকিবহাল ছিলেন। ত্রিপুরায় যে খুব উৎকৃষ্ট জাতের মুলিবাঁশ জন্মে তাও জানা ছিল কবির। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা কাজের জন্য কবি এই মুলিবাঁশের চারা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ত্রিপুরার কাছে। ত্রিপুরার প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষনেও রাজাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। শিলং-এর নৈসর্গিক পরিবেশ কবিকে আকৃষ্ট করেছিল। 'শেষের কবিতা’র পটভূমি তাই উজ্জ্বল হয়ে আছে রবীন্দ্র সাহিত্যে। শিলং অবস্থান কালেও কিছু উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি রয়েছে কবির। ত্রিপুরা সফরের আগেই রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টি করেছিলেন রাজর্ষি ত্রিপুরার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মানবিক মূল্যবােধের উপন্যাস। লিখেছিলেন বিসর্জন, মুকুট।
যাই হােক, পূর্বোত্তরের সঙ্গে কবির যােগাযােগের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে রচিত হয়েছে 'পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ'। কবির চিঠিপত্র, বক্তৃতার অংশ বিশেষ, সফর বিবরণী, সম্বর্ধনা ইত্যাদি বিষয়ে কিছু কিছু তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে এতে। সামগ্রিক ভাবে সেদিন যে পূর্বোত্তর এক অন্য রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ পেয়েছিল তাই তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে।
পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ
₹100
শান্তিনিকেতনে মণিপুরী মহিলা শিল্পী চেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের নানা সম্পদ সম্ভাবনা যেন কবিকে নাড়া দিয়েছিল। এমন কি এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কেও কবি ওয়াকিবহাল ছিলেন। ত্রিপুরায় যে খুব উৎকৃষ্ট জাতের মুলিবাঁশ জন্মে তাও জানা ছিল কবির। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর গবেষণা কাজের জন্য কবি এই মুলিবাঁশের চারা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন ত্রিপুরার কাছে। ত্রিপুরার প্রত্ন সম্পদ সংরক্ষনেও রাজাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। শিলং-এর নৈসর্গিক পরিবেশ কবিকে আকৃষ্ট করেছিল। 'শেষের কবিতা’র পটভূমি তাই উজ্জ্বল হয়ে আছে রবীন্দ্র সাহিত্যে। শিলং অবস্থান কালেও কিছু উল্লেখযােগ্য সৃষ্টি রয়েছে কবির। ত্রিপুরা সফরের আগেই রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টি করেছিলেন রাজর্ষি ত্রিপুরার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে মানবিক মূল্যবােধের উপন্যাস। লিখেছিলেন বিসর্জন, মুকুট।
যাই হােক, পূর্বোত্তরের সঙ্গে কবির যােগাযােগের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে রচিত হয়েছে 'পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ'। কবির চিঠিপত্র, বক্তৃতার অংশ বিশেষ, সফর বিবরণী, সম্বর্ধনা ইত্যাদি বিষয়ে কিছু কিছু তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে এতে। সামগ্রিক ভাবে সেদিন যে পূর্বোত্তর এক অন্য রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ পেয়েছিল তাই তুলে ধরা হয়েছে গ্রন্থটিতে।
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ
পাকিস্তান
₹80
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, একটি পরাধীন পরবশ দেশ দ্বিখন্ডিত হয়ে দুটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। অবৈজ্ঞানিক ও অমানবিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে সমস্ত শুভবুদ্ধি সেদিন পরাভূত হয়েছিল। আর এই পরাভবের উৎসে ছিল ধর্মীয় উন্মাদনা। ধর্ম মানুষকে মানসিক সাহস জোগায়, সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, হৃদয়বান করে তোলে, প্রতিবেশীকে ভালোবাসতে শেখায়, শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, – আর আচারসর্বস্ব ধর্ম মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগিয়ে তোলে, অসহিষ্ণু করে, ভ্রষ্টাচারী করে, ঘৃণা ছড়ায়, হীনতা-নীচতা-কূপমণ্ডূকতার প্রশ্রয় দেয়।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শুধুই বেড়ে চলেছে বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস। আর তারই পরিণতিতে দেশের মধ্যেও দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে চলেছে। প্রতিবেশী দেশসমূহের মধ্যে যদি সম্প্রীতি ও ভাবের আদান-প্রদান না থাকে, তবে সকলেরই অমঙ্গল। কবে যে আমরা এই সত্য উপলব্ধি করব? পাকিস্তান ও ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ দুবেলা ভরপেট খেতে পায়না। আর দুদেশের শাসকেরাই তৈরি করছে আণবিক অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র আর অস্ত্র কিনছে বিদেশ থেকে। তলদেশে শিক্ষা পৌঁছয় না, ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, শীতের পোশাক নেই, মাথার ওপরে আচ্ছদন নেই, তবুও অস্ত্র প্রতিযোগিতা। এ যে কী মূঢ়তা! দুই দেশের মানুষই এই যুদ্ধ ও বিদ্বেষের বিরোধী, কিন্তু আমরা সবাই নিরুপায়। এইসব ‘নিষ্ফলা’ চিন্তা থেকেই '' পাকিস্তান ''গ্রন্থ