“গল্প সঞ্চয়” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
গল্প পঁচিশ
Publisher: একুশ শতক
₹250
আমার প্রথম দুটো গল্পের বইয়ের কোনও কপি এখন আর কোথাও পাওয়া যায়না। আমার বা আমারই বােনের মতাে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে তা থাকলেও থাকতে পারে। সম্ভাব্যতার কী অনবদ্য সম্প্রসারণ! প্রথম দুটি গল্পের বইয়ের অনস্তিত্ব অনুভব করে সেই বই দুটি থেকে ৬টি গল্প এই ‘ গল্প পঁচিশ ‘ সংকলনে নিয়েছি। গত পঁচিশ বছরে লেখা পঁচিশটি গল্প। তার বেশি হলেই কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়ে যেত।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-gpac01
আমার প্রথম দুটো গল্পের বইয়ের কোনও কপি এখন আর কোথাও পাওয়া যায়না। আমার বা আমারই বােনের মতাে কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে তা থাকলেও থাকতে পারে। সম্ভাব্যতার কী অনবদ্য সম্প্রসারণ! প্রথম দুটি গল্পের বইয়ের অনস্তিত্ব অনুভব করে সেই বই দুটি থেকে ৬টি গল্প এই ‘ গল্প পঁচিশ ‘ সংকলনে নিয়েছি। গত পঁচিশ বছরে লেখা পঁচিশটি গল্প। তার বেশি হলেই কোথাও পুনরাবৃত্তি হয়ে যেত।
Additional information
Weight | 0.5 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
পত্তনি কথা
By গৌর কারক
₹250
গোয়ালঘরে জন্ম নেওয়ার সুবাদে শৈশবেই একটি অদৃশ্য সত্য জড়িয়ে যায় গৌর কারক এর জীবনের সঙ্গে। শর্তটি হলো গাঁয়ের লোকের বাড়ি অথবা দোকানে দোকানে ভোরের দুধের যোগান তাকেই দিতে হবে। "বগাল" না এলে মোষ ছাড়াতে যাওয়া, বনের প্রতি নেশা এভাবেই তৈরী হয়। এইসব বিরল অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে "পত্তনি কথা" বইটিতে।
পত্তনি কথা
By গৌর কারক
₹250
গোয়ালঘরে জন্ম নেওয়ার সুবাদে শৈশবেই একটি অদৃশ্য সত্য জড়িয়ে যায় গৌর কারক এর জীবনের সঙ্গে। শর্তটি হলো গাঁয়ের লোকের বাড়ি অথবা দোকানে দোকানে ভোরের দুধের যোগান তাকেই দিতে হবে। "বগাল" না এলে মোষ ছাড়াতে যাওয়া, বনের প্রতি নেশা এভাবেই তৈরী হয়। এইসব বিরল অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে "পত্তনি কথা" বইটিতে।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ
₹125
' সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ ' বইটির প্রথম প্রবন্ধটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আক্ৰম হােসেন সম্পাদিত উলুখাগড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। একেবারে শেষে যে প্রবন্ধটি রাখা হয়েছে সেটি মহাদিগন্ত পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য লেখার সব প্রবন্ধগুলি একত্রিত করার পর দেখা গেল প্রবন্ধগুলিকে ঠিকঠাক সাজালে এক যােগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। সেজন্যই গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হলো।
সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ
₹125
' সাহিত্যবিচারে অবয়বাদ, উত্তরাধুনিকতা ও উপনিবেশবাদ ' বইটির প্রথম প্রবন্ধটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আক্ৰম হােসেন সম্পাদিত উলুখাগড়া পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। অন্যান্য প্রবন্ধগুলি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত। একেবারে শেষে যে প্রবন্ধটি রাখা হয়েছে সেটি মহাদিগন্ত পত্রিকার একটি বিশেষ সংখ্যার জন্য লেখার সব প্রবন্ধগুলি একত্রিত করার পর দেখা গেল প্রবন্ধগুলিকে ঠিকঠাক সাজালে এক যােগসূত্র পাওয়া যেতে পারে। সেজন্যই গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হলো।
মৈমনসিংহ – গীতিকা
₹400
রোমা রােলাঁ একদা দীনেশচন্দ্র সেনের 'Eastern Bengal Ballads Mymensingh'-এর (১৯২৩) ফরাসি অনুবাদ পাঠ করে বাংলার এই গীতিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, দীনেশচন্দ্র প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি নাগরিক সমাজের কাছে মৈমনসিংহ - গীতিকা কিংবা পূর্ববঙ্গ- গীতিকার পরিচয় সুসম্পন্ন করিয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলার লােকজ শিল্পকৃতির উজ্জ্বল ধারক হিসাবে এই গীতিকা বাঙালির অনন্য জীবনাচরণকে নির্দেশ করে—সে-কথা আজ আর কারাে অবিদিত নয়। দীনেশচন্দ্র মৈমনসিংহ - গীতিকার ভূমিকায় গীতিকাগুলি সংগ্রহের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ করেছেন।
বাঙালির ধর্ম নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক চেতনার পরিচয় বাংলা সাহিত্যে বিশেষ নেই। ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রসারিত ছায়া মৈমনসিংহ - গীতিকায় কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেলেও তার গভীরতর কোনাে প্রকাশ গীতিকায় বিশেষ ধরা পড়েনি। বরঞ্চ বাঙালির পরিবার, প্রেম-প্রতিহিংসা-প্রতিবাদ- প্রতিরােধ প্রভৃতি বিষয় প্রাগাধুনিক সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় মূল্যবােধের আরাে এক প্রথাবিরােধী চিত্র তুলে ধরে।
মৈমনসিংহ – গীতিকা
₹400
রোমা রােলাঁ একদা দীনেশচন্দ্র সেনের 'Eastern Bengal Ballads Mymensingh'-এর (১৯২৩) ফরাসি অনুবাদ পাঠ করে বাংলার এই গীতিকা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, দীনেশচন্দ্র প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি নাগরিক সমাজের কাছে মৈমনসিংহ - গীতিকা কিংবা পূর্ববঙ্গ- গীতিকার পরিচয় সুসম্পন্ন করিয়েছিলেন। অবিভক্ত বাংলার লােকজ শিল্পকৃতির উজ্জ্বল ধারক হিসাবে এই গীতিকা বাঙালির অনন্য জীবনাচরণকে নির্দেশ করে—সে-কথা আজ আর কারাে অবিদিত নয়। দীনেশচন্দ্র মৈমনসিংহ - গীতিকার ভূমিকায় গীতিকাগুলি সংগ্রহের একটি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ করেছেন।
বাঙালির ধর্ম নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক চেতনার পরিচয় বাংলা সাহিত্যে বিশেষ নেই। ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির প্রসারিত ছায়া মৈমনসিংহ - গীতিকায় কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেলেও তার গভীরতর কোনাে প্রকাশ গীতিকায় বিশেষ ধরা পড়েনি। বরঞ্চ বাঙালির পরিবার, প্রেম-প্রতিহিংসা-প্রতিবাদ- প্রতিরােধ প্রভৃতি বিষয় প্রাগাধুনিক সামন্ততান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় মূল্যবােধের আরাে এক প্রথাবিরােধী চিত্র তুলে ধরে।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
জ্যোতি বসু কেন জ্যোতি বসু
₹600
'জ্যোতি বসু কেন জ্যোতি বসু' নামাঙ্কিত গ্রন্থে কমরেড জ্যোতি বসু সম্পর্কে তথ্য সংবলিত যে সব কথা উল্লেখ করেছেন তা সত্যিকারের একটি রাজনৈতিক জীবন আলেখ্য। ছয়টি খণ্ডে প্রকাশিত হতে চলেছে বইটি। এই খণ্ডে জ্যোতি বসুর জন্ম থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের আলোচনা রয়েছে। একজন সাধারণ ছাত্র জ্যোতি বসুর ক্রমান্বয়ে মার্কসবাদী হয়ে ওঠার এবং গণসংগঠনের মধ্যে কাজ করতে করতে পার্টিসদস্য থেকে পার্টিনেতা ও দক্ষ সংগঠক হয়ে ওঠার আনুপূর্বিক বর্ণনা এই গ্রন্থের একটি বিশিষ্ট দিক।
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জ্যোতি বসুর প্রায় সাত দশকের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটিয়ে দেবে এই বই। জ্যোতি বসুর জন্মের ১১১ তম বর্ষে তাঁর সম্পর্কে লেখা এই বইটির এই খণ্ডটি পাঠক সাধারণের কাছে একটি আকর গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণ তরুণীদেরও বিগত প্রায় সাত দশকের বাংলার বামপন্থী আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস জানতে ও বুঝতে অবশ্যই সাহায্য করবে বইটি।
জ্যোতি বসু কেন জ্যোতি বসু
₹600
'জ্যোতি বসু কেন জ্যোতি বসু' নামাঙ্কিত গ্রন্থে কমরেড জ্যোতি বসু সম্পর্কে তথ্য সংবলিত যে সব কথা উল্লেখ করেছেন তা সত্যিকারের একটি রাজনৈতিক জীবন আলেখ্য। ছয়টি খণ্ডে প্রকাশিত হতে চলেছে বইটি। এই খণ্ডে জ্যোতি বসুর জন্ম থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কর্মকাণ্ডের আলোচনা রয়েছে। একজন সাধারণ ছাত্র জ্যোতি বসুর ক্রমান্বয়ে মার্কসবাদী হয়ে ওঠার এবং গণসংগঠনের মধ্যে কাজ করতে করতে পার্টিসদস্য থেকে পার্টিনেতা ও দক্ষ সংগঠক হয়ে ওঠার আনুপূর্বিক বর্ণনা এই গ্রন্থের একটি বিশিষ্ট দিক।
পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জ্যোতি বসুর প্রায় সাত দশকের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটিয়ে দেবে এই বই। জ্যোতি বসুর জন্মের ১১১ তম বর্ষে তাঁর সম্পর্কে লেখা এই বইটির এই খণ্ডটি পাঠক সাধারণের কাছে একটি আকর গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
বর্তমান প্রজন্মের তরুণ তরুণীদেরও বিগত প্রায় সাত দশকের বাংলার বামপন্থী আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস জানতে ও বুঝতে অবশ্যই সাহায্য করবে বইটি।