“অতিদূর সমুদ্রের পর” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
মনসমুদ্র
₹300
সমুদ্রের মতোই মানুষের মন কখনও শান্ত কখনও উত্তাল।
এথেনা ও সায়ন দুই তরুণ তরুণী পরস্পরকে ভালবেসেছিল। মধ্যবয়স্ক মনোজের আবির্ভাবে এথেনা বদলে যায়। মনোজ যেন তাকে ভর করে। একসময় সায়নকে ছেড়ে সে মনোজের সঙ্গে ঘর বাঁধে। অন্যদিকে জয়তী স্বামীর অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন। সে আশা ভরসায় নতুন করে সংসার পাততে চায় বৈরাগীর সঙ্গে। গানে ডুব দেওয়া রমানাথও এক আশ্চর্য মানুষ। সুরের জাদুতে সে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকে।
মানুষের ক্ষতবিক্ষত মনের সন্ধানেই এই উপন্যাস যাত্রা শুরু করেছে। অলিগলি বেয়ে তা এগিয়ে গেছে অমোঘ এক সত্যের দিকে। তার নাম ভালবাসা। সায়ন, এথেনা , জয়তী, বৈরাগীরা কি পথ খুঁজে পাবে? ভালবাসা কি সত্যি শক্তিমান? তার হাতে কি উপশমের জাদুদন্ড আছে? মনসমুদ্রে অবিরাম বয়ে যাওয়া ঝড় কি কখনও শান্ত হয়ে উঠবে?
এই উপন্যাস তাই খুঁজতে চেয়েছে।
মনসমুদ্র
₹300
সমুদ্রের মতোই মানুষের মন কখনও শান্ত কখনও উত্তাল।
এথেনা ও সায়ন দুই তরুণ তরুণী পরস্পরকে ভালবেসেছিল। মধ্যবয়স্ক মনোজের আবির্ভাবে এথেনা বদলে যায়। মনোজ যেন তাকে ভর করে। একসময় সায়নকে ছেড়ে সে মনোজের সঙ্গে ঘর বাঁধে। অন্যদিকে জয়তী স্বামীর অত্যাচারে ছিন্নবিচ্ছিন্ন। সে আশা ভরসায় নতুন করে সংসার পাততে চায় বৈরাগীর সঙ্গে। গানে ডুব দেওয়া রমানাথও এক আশ্চর্য মানুষ। সুরের জাদুতে সে অনাবিল আনন্দে মেতে থাকে।
মানুষের ক্ষতবিক্ষত মনের সন্ধানেই এই উপন্যাস যাত্রা শুরু করেছে। অলিগলি বেয়ে তা এগিয়ে গেছে অমোঘ এক সত্যের দিকে। তার নাম ভালবাসা। সায়ন, এথেনা , জয়তী, বৈরাগীরা কি পথ খুঁজে পাবে? ভালবাসা কি সত্যি শক্তিমান? তার হাতে কি উপশমের জাদুদন্ড আছে? মনসমুদ্রে অবিরাম বয়ে যাওয়া ঝড় কি কখনও শান্ত হয়ে উঠবে?
এই উপন্যাস তাই খুঁজতে চেয়েছে।
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
পঁচিশটি গল্প
₹350
২০১৫ থেকে ২০২১ এর মধ্যে লেখা ২৫ টি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ। ঘর বললেই যে দেখায় ক্যালাইডোস্কোপ ঢুকে পড়ে, ভাতের রং চেনা যায় না, উনুন ঠান্ডায় কুঁকড়ে থাকে, খিদে নেই বললেই সোনার দাম বেড়ে যায়, মানুষ পাথর খেয়ে বেঁচে থাকে, ভালোবাসার টেলিগ্রামে যেখানে সেখানে থুতু জমে, গল্পগুলি এমন দেখার মধ্যেই হেঁটে চলেছে।
রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী
₹200
লেখক মিলন কুমার রায় এর অনেক গুলি প্রবন্ধ মধ্যে অন্যতম হলো “রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী
₹200
লেখক মিলন কুমার রায় এর অনেক গুলি প্রবন্ধ মধ্যে অন্যতম হলো “রবীন্দ্রকাব্যের নানা লহরী”। তাঁর সাহিত্য পরিধির পরিচয় এই গ্রন্থে পাওয়া যায়।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
দেড়শো গজে জীবন
₹200
১৯৭১-এর ভারত বাংলাদেশের মধ্যের বাউন্ডারি চুক্তি অনুসারে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক সীমানা বা জিরো লাইন-এর দেড়শো গজের মধ্যে কেউ বসবাস করবে না ও সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হবে না। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনার ভিত্তিতে আশির দশকের শেষে ভারত দেড়শো গজ ছেড়ে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে। লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, পাচার বন্ধ করা। ২০১৩ থেকে ভারত সরকার বেড়াকে মজবুত, নিচ্ছিদ্র ও উঁচু বানানোর কাজে হাত দেয়। উদ্দেশ্য, যাতে কেউ কোনো ভাবে এপার ওপার না করতে পারে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তা থেকে যায় অলক্ষ্যে। ভারাতের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের বেড়া পার হয়ে আসার উপর কঠোর থেকে কঠোরতর নজরদারির একের পর এক নানা সরকারি পরিকল্পনা দেড়শো গজের মানুষদের দৈনন্দিন জীবন বিপদসঙ্কুল করে তোলা। সীমান্তরক্ষীদের অন্যায় অত্যাচার আর দাবীর পাশাপাশি থাকে নানা দুর্বৃত্তের ছোবল। ২০১৫য় ভারত বাংলাদেশ চুক্তির ফলে ছিটমহল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। কিন্তু দেড়শো গজের মানুষের জীবন থমকে থাকে। তারা যে অন্ধকারে ছিল সেই অন্ধকারেই থেকে যায়। কারণ তারা ছিটমহলের মানুষ নয়, উদ্বাস্তুও নয়, তারা দেড়শো গজের মানুষ। ঠিক যেমনটি দেখা যায় কোচবিহারে।
সসীমকুমার বাড়ৈ-এর " দেড়শো গজে জীবন " উপন্যাসটি এই প্রান্তিক মানুষদের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। এ কাহিনি দেশ ভাগের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের কথা। এটা কোচবিহার অঞ্চলে কাটাতার আর আন্তর্জাতিক সীমানার মধ্যে আটকে পড়া 'নো ম্যানস ল্যান্ড'-এর মানুষদের কথা। তাদের দৈনন্দিন জীবনের নির্মম যন্ত্রণা ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও অসহযোগিতার দৃশ্য উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ফুটে ওঠে। দেড়শো গজের মানুষের অসহায়তার ছবি রূপান্তরিত হয় সংগঠিত প্রতিবাদ প্রতিরোধের হুংকারে।
ইছামতি সাজঘর
By অজিত মন্ডল
₹200
ষাট ও সত্তরের দশক। অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ সমাজজীবনের একটা খণ্ডচিত্র ' ইছামতি সাজঘর ' উপন্যাসের পটভূমি।
দেশবিভাগের ঠিক পরেই পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ছিন্নমূল বহু পরিবার প্রত্যন্ত দ্বীপময় গ্রামগুলিতে এসে সস্তায় জমি কিনে বসতি স্থাপন করে। তারও আগে সুন্দরবনবাসী বলতে ছিল কিছু ‘হাতকাটালি’ জমিদারী-প্রজা, রাচি ছােটনাগপুর থেকে প্রেরিত জঙ্গল হাসিলের কাজে দক্ষ দরিদ্র আদিবাসী জনগােষ্ঠী আর পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে আগত স্বল্প সংখ্যক বানভাসি অসহায় পরিবার।
একদা বহির্জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশা ও প্রকৃতির মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের আড়ালে স্বপ্নময় আবেগ-স্পন্দন ধরা পড়ল। কেটে গেল আরও কয়েকটা অস্থির দশক, অধিকার অর্জন ও রক্ষার সংগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ রাজনীতি ও ভৌগােলিক মানচিত্র। পুরনাে দিনের সঙ্গে বর্তমানের মিল খোঁজা বৃথা। কেবল ওই সময়ের জীবিত আঞ্চলিক ব্যক্তিরাই গ্রন্থের কাহিনীসূত্র ও প্রেক্ষাপট খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস।
কাহিনীতে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নাড়ির যােগ আছে বলে কল্পনার স্থান সীমিত, যেটুকু না থাকলে শিল্প হয় না সেটুকুই। শেষকথা কাহিনী ও পটভূমি যে সময়েরই হােক রসােত্তীর্ণ হওয়াটা জরুরি। মাননীয় বিচারক স্বয়ং পাঠক, লেখকের তেমনি উপলব্ধি।
ইছামতি সাজঘর
By অজিত মন্ডল
₹200
ষাট ও সত্তরের দশক। অবিভক্ত চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত সুন্দরবনাঞ্চলে বিস্তীর্ণ সমাজজীবনের একটা খণ্ডচিত্র ' ইছামতি সাজঘর ' উপন্যাসের পটভূমি।
দেশবিভাগের ঠিক পরেই পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ছিন্নমূল বহু পরিবার প্রত্যন্ত দ্বীপময় গ্রামগুলিতে এসে সস্তায় জমি কিনে বসতি স্থাপন করে। তারও আগে সুন্দরবনবাসী বলতে ছিল কিছু ‘হাতকাটালি’ জমিদারী-প্রজা, রাচি ছােটনাগপুর থেকে প্রেরিত জঙ্গল হাসিলের কাজে দক্ষ দরিদ্র আদিবাসী জনগােষ্ঠী আর পাশের জেলা মেদিনীপুর থেকে আগত স্বল্প সংখ্যক বানভাসি অসহায় পরিবার।
একদা বহির্জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনপদ ধীরে ধীরে বিভিন্ন পেশা ও প্রকৃতির মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠল। আপাত নিস্তরঙ্গ জীবনের আড়ালে স্বপ্নময় আবেগ-স্পন্দন ধরা পড়ল। কেটে গেল আরও কয়েকটা অস্থির দশক, অধিকার অর্জন ও রক্ষার সংগ্রাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে সমাজ রাজনীতি ও ভৌগােলিক মানচিত্র। পুরনাে দিনের সঙ্গে বর্তমানের মিল খোঁজা বৃথা। কেবল ওই সময়ের জীবিত আঞ্চলিক ব্যক্তিরাই গ্রন্থের কাহিনীসূত্র ও প্রেক্ষাপট খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস।
কাহিনীতে মাটি ও মানুষের সঙ্গে নাড়ির যােগ আছে বলে কল্পনার স্থান সীমিত, যেটুকু না থাকলে শিল্প হয় না সেটুকুই। শেষকথা কাহিনী ও পটভূমি যে সময়েরই হােক রসােত্তীর্ণ হওয়াটা জরুরি। মাননীয় বিচারক স্বয়ং পাঠক, লেখকের তেমনি উপলব্ধি।
অর্পিত জীবন
By চন্দন আনোয়ার
₹200
রাষ্ট্র নিজেই যদি তার নাগরিককে শত্র্রু এবং নাগরিকের জীবন, বাস্তুভিটা, সম্পদ-সম্পত্তিকে ‘শত্র্রুর সম্পত্তি’ বলে আইন করে এবং দেশত্যাগের পথ তৈরি করে দেয়, সেই দেশের সেই আইনের ফাঁদে পড়া নাগরিকের জীবন-যন্ত্রণার প্রকৃতচিত্র কী কোন ভাষায় ব্যাখা করা সম্ভব? ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের পরে অদ্যবধি এই আইনের ফাঁদে পড়া বাস্তুভিটা হারা, দেশহারা, শেকড়চ্যুত মানুষের জীবন-বাস্তবতার এক করুণ আখ্যান চন্দন আনোয়ারের ' অর্পিত জীবন ’। শত্র্রু সম্পত্তি আইনের (স্বাধীনতার পরে যার নাম অর্পিত সম্পতি আইন) অভিঘাতে দেশত্যাগে বাধ্য কোটির উর্ধ্বে হিন্দুগোষ্ঠীর জীবনবাস্তবতা নিয়ে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক গবেষণা-ব্যাখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই আইনের ফাঁদের পড়া মানুষের ব্যক্তিজীবনের সংকট বা অন্তর্বেদনার গভীরতর তদন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসেই উঠে আসা সম্ভব এবং ঔপন্যাসিক সেই চেষ্টাই করেছেন।
অর্পিত জীবন
By চন্দন আনোয়ার
₹200
রাষ্ট্র নিজেই যদি তার নাগরিককে শত্র্রু এবং নাগরিকের জীবন, বাস্তুভিটা, সম্পদ-সম্পত্তিকে ‘শত্র্রুর সম্পত্তি’ বলে আইন করে এবং দেশত্যাগের পথ তৈরি করে দেয়, সেই দেশের সেই আইনের ফাঁদে পড়া নাগরিকের জীবন-যন্ত্রণার প্রকৃতচিত্র কী কোন ভাষায় ব্যাখা করা সম্ভব? ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের পরে অদ্যবধি এই আইনের ফাঁদে পড়া বাস্তুভিটা হারা, দেশহারা, শেকড়চ্যুত মানুষের জীবন-বাস্তবতার এক করুণ আখ্যান চন্দন আনোয়ারের ' অর্পিত জীবন ’। শত্র্রু সম্পত্তি আইনের (স্বাধীনতার পরে যার নাম অর্পিত সম্পতি আইন) অভিঘাতে দেশত্যাগে বাধ্য কোটির উর্ধ্বে হিন্দুগোষ্ঠীর জীবনবাস্তবতা নিয়ে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক গবেষণা-ব্যাখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই আইনের ফাঁদের পড়া মানুষের ব্যক্তিজীবনের সংকট বা অন্তর্বেদনার গভীরতর তদন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসেই উঠে আসা সম্ভব এবং ঔপন্যাসিক সেই চেষ্টাই করেছেন।