“পুরোনো চিঠির ঝাঁপি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
ইন্টারনেটে নীল আকাশ
By ঈশিতা ভাদুড়ী
Publisher: একুশ শতক
₹80
আটের দশকে কবিতা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের সূত্রপাত। ‘সেঁজুতি ভাদুড়ী’ ছদ্মনামেও একসময় তিনি লেখালিখি করেছেন। আটের দশকে ‘ঠুংরী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘ছড়া-টড়া’ ছড়ার সংকলন পর পর তিন বছর প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতা গদ্য সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ-সংখ্যা ৩০টি। ই-বুক ‘গালিব অস্ফুটে’ এবং ইন্টারনেটে নীল আকাশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-ina01
আটের দশকে কবিতা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের সূত্রপাত। ‘সেঁজুতি ভাদুড়ী’ ছদ্মনামেও একসময় তিনি লেখালিখি করেছেন। আটের দশকে ‘ঠুংরী’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। তাঁর সম্পাদনায় ‘ছড়া-টড়া’ ছড়ার সংকলন পর পর তিন বছর প্রকাশিত হয়েছিল। কবিতা গদ্য সম্পাদনা মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থ-সংখ্যা ৩০টি। ই-বুক ‘গালিব অস্ফুটে’ এবং ইন্টারনেটে নীল আকাশ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
দ্বীপবাসিনী
₹100
উপন্যাসের সন্ধানে যাত্রা শুরু করে এক কথাকার পৌছে যান অজানা এক দ্বীপে, তারপর কী? তারপর কাহিনীর টানে, রহস্য উদ্মােচনে নাকি নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় সামিল হবেন পাঠক ? টান টান উত্তেজনায় ভরা এক রহস্য উপন্যাস ' দ্বীপবাসিনী '
দ্বীপবাসিনী
₹100
উপন্যাসের সন্ধানে যাত্রা শুরু করে এক কথাকার পৌছে যান অজানা এক দ্বীপে, তারপর কী? তারপর কাহিনীর টানে, রহস্য উদ্মােচনে নাকি নিজেকে আবিষ্কারের নেশায় সামিল হবেন পাঠক ? টান টান উত্তেজনায় ভরা এক রহস্য উপন্যাস ' দ্বীপবাসিনী '
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প
By উষা রায়
₹150
বাংলা সাহিত্যে একদা হাসির গল্পের প্রাচুর্য থাকলেও অধুনা বিরল। লুপ্ত প্রায়। হুতােম দিয়ে সেই শুরু। কলকাতাইয়া দৈনন্দিন জীবন, বাবু-বিবি কালচার, হাটে বাজারের নক্সা, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাস্যরসের মাধ্যমে বাঙালী জীবনের মধ্যবিত্ততাকে তিনি তাঁর শাণিত তরবারির মতো লেখনী দ্বারা ফালা ফালা করে ছাড়লেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে পড়ে তা যেন আরও খােলতাই হল। কমলাকান্তের দপ্তর, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ত্রৈলোক্যনাথ মুখােপাধ্যায়, কথঞ্চিৎ প্রভাত কুমার মুখােপাধ্যায়, তদুপরি পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসু। এ বলেন আমায় দেখ, ও বলেন, আমায় দেখ।
ধারাটি লুপ্তপ্রায়। তবু যা হােক হালফিল কিছু লেখক এই উষর টাড়-টিকরে পুর্ণোদ্যমে হলকর্ষণ শুরু করেছেন। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম উষা রায়। যেমন গল্প গ্রন্থনা, কৌতুকী ঠাট, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ তেমনি তার উপযোগী মেদহীন ঝর ঝরে ভাষা। একবারে কাট কাট। কাট কাট হলেও কোথাও জন রস রয়ে গেলো। রসোত্তীর্ণ তো বটেই। ' ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প ' গ্রন্থটি এককথায় অসাধারণ।
ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প
By উষা রায়
₹150
বাংলা সাহিত্যে একদা হাসির গল্পের প্রাচুর্য থাকলেও অধুনা বিরল। লুপ্ত প্রায়। হুতােম দিয়ে সেই শুরু। কলকাতাইয়া দৈনন্দিন জীবন, বাবু-বিবি কালচার, হাটে বাজারের নক্সা, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাস্যরসের মাধ্যমে বাঙালী জীবনের মধ্যবিত্ততাকে তিনি তাঁর শাণিত তরবারির মতো লেখনী দ্বারা ফালা ফালা করে ছাড়লেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে পড়ে তা যেন আরও খােলতাই হল। কমলাকান্তের দপ্তর, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ত্রৈলোক্যনাথ মুখােপাধ্যায়, কথঞ্চিৎ প্রভাত কুমার মুখােপাধ্যায়, তদুপরি পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসু। এ বলেন আমায় দেখ, ও বলেন, আমায় দেখ।
ধারাটি লুপ্তপ্রায়। তবু যা হােক হালফিল কিছু লেখক এই উষর টাড়-টিকরে পুর্ণোদ্যমে হলকর্ষণ শুরু করেছেন। তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম উষা রায়। যেমন গল্প গ্রন্থনা, কৌতুকী ঠাট, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ তেমনি তার উপযোগী মেদহীন ঝর ঝরে ভাষা। একবারে কাট কাট। কাট কাট হলেও কোথাও জন রস রয়ে গেলো। রসোত্তীর্ণ তো বটেই। ' ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও হাসির গল্প ' গ্রন্থটি এককথায় অসাধারণ।
মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে
By অর্পণ পাল
₹250
মহাবিশ্বের রহস্যের কি তল মেলে কখনও? সেই প্রাচীন কালের মুনি-ঋষিদের খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে আজকের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ বা অতি ক্ষুদ্র কণাদের কর্মকাণ্ড দেখবার মতো প্রকাণ্ড সব যন্ত্রাদি; মহাবিশ্বের অসংখ্য অজানা রহস্যের সন্ধান জারি রয়েছে আবহমান কাল ধরেই। ক্ষুদ্র কণার জগত থেকে অতি দূর নক্ষত্রমণ্ডলী, মহাবিশ্বের হরেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়েই চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই বইয়ে পর্বে পর্বে রয়েছে তাঁদেরই কথা; যা একই সঙ্গে আমাদের ভাবায়, আবার বিস্মিত করেও। নিউটন থেকে আইনস্টাইন হয়ে একালের স্টিফেন হকিং, দুই মলাটের মধ্যে ধরা রইল এরকম বহু বিজ্ঞানীর কাজের কথা চিন্তাভাবনার কথাও। মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে এই যাত্রা সকলের কাছেই সুখকর হবে, এইটুকুই আশা আমাদের।
মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে
By অর্পণ পাল
₹250
মহাবিশ্বের রহস্যের কি তল মেলে কখনও? সেই প্রাচীন কালের মুনি-ঋষিদের খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে আজকের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলির অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ বা অতি ক্ষুদ্র কণাদের কর্মকাণ্ড দেখবার মতো প্রকাণ্ড সব যন্ত্রাদি; মহাবিশ্বের অসংখ্য অজানা রহস্যের সন্ধান জারি রয়েছে আবহমান কাল ধরেই। ক্ষুদ্র কণার জগত থেকে অতি দূর নক্ষত্রমণ্ডলী, মহাবিশ্বের হরেক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামিয়েই চলেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই বইয়ে পর্বে পর্বে রয়েছে তাঁদেরই কথা; যা একই সঙ্গে আমাদের ভাবায়, আবার বিস্মিত করেও। নিউটন থেকে আইনস্টাইন হয়ে একালের স্টিফেন হকিং, দুই মলাটের মধ্যে ধরা রইল এরকম বহু বিজ্ঞানীর কাজের কথা চিন্তাভাবনার কথাও। মহাবিশ্বের রহস্য সন্ধানে এই যাত্রা সকলের কাছেই সুখকর হবে, এইটুকুই আশা আমাদের।
বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা
₹400
বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐশ্বর্য বাংলার মন্দির। এই মন্দিরগুলি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চার জন্য জরুরি। শুধু বিষ্ণুপুর বা কালনায় নয়, সারা বাংলা জুড়েই অসংখ্য অসাধারণ মন্দির নির্মিত হয়েছে। চালা, রত্ন, দালান, মঞ্চ, মঠ, দেউল ইত্যাদি শিল্পরীতি এবং টেরাকোটা অলংকরণের নানা বৈচিত্র্যে ও প্রাচুর্যে সেগুলি সমৃদ্ধ। একদিকে পৌরাণিক দেবদেবী ও আখ্যান, অন্যদিকে অভিজাত ও সাধারণ মানুষের সমাজজীবনের প্রতিফলন দেখা যায়। মন্দিরগুলির অলংকরণ এর প্রধান উপাদান উঠে এসেছে বিভিন্ন সাহিত্যিক বা সামাজিক উৎস থেকে। মন্দির এবং মন্দিরের অলংকরণ এর উৎসসন্ধান এই গ্রন্থের প্রধান লক্ষ্য। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক দুশোটি ছবি, যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে। " বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা " গ্রন্থটি বাংলা সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা
₹400
বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐশ্বর্য বাংলার মন্দির। এই মন্দিরগুলি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস চর্চার জন্য জরুরি। শুধু বিষ্ণুপুর বা কালনায় নয়, সারা বাংলা জুড়েই অসংখ্য অসাধারণ মন্দির নির্মিত হয়েছে। চালা, রত্ন, দালান, মঞ্চ, মঠ, দেউল ইত্যাদি শিল্পরীতি এবং টেরাকোটা অলংকরণের নানা বৈচিত্র্যে ও প্রাচুর্যে সেগুলি সমৃদ্ধ। একদিকে পৌরাণিক দেবদেবী ও আখ্যান, অন্যদিকে অভিজাত ও সাধারণ মানুষের সমাজজীবনের প্রতিফলন দেখা যায়। মন্দিরগুলির অলংকরণ এর প্রধান উপাদান উঠে এসেছে বিভিন্ন সাহিত্যিক বা সামাজিক উৎস থেকে। মন্দির এবং মন্দিরের অলংকরণ এর উৎসসন্ধান এই গ্রন্থের প্রধান লক্ষ্য। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক দুশোটি ছবি, যা বিষয়বস্তুকে বুঝতে সহায়তা করবে। " বাংলার শতাব্দী প্রাচীন মন্দির পরিক্রমা " গ্রন্থটি বাংলা সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব
₹200
" পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব " গ্রন্থে নানা জাতীয় লিপির ইতিবৃত্ত, বাংলা লিপির উদ্ভব, ভারতীয় জ্ঞানভান্ডারে পাণ্ডুলিপির গুরুত্ত্ব, প্রচ্ছদ অলঙ্করণের প্রাচীন রীতি, বাংলা মুদ্রণ ও তাঁর পশ্চাৎপট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি থেকে মুদ্রণব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত কিছু উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যেমন পঞ্চানন কর্মকার, উইলিয়াম কেরী, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, সাতকড়ি মুখোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইত্যাদি ব্যক্তিত্বদের নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব
₹200
" পাণ্ডলিপি থেকে মুদ্রণপর্ব " গ্রন্থে নানা জাতীয় লিপির ইতিবৃত্ত, বাংলা লিপির উদ্ভব, ভারতীয় জ্ঞানভান্ডারে পাণ্ডুলিপির গুরুত্ত্ব, প্রচ্ছদ অলঙ্করণের প্রাচীন রীতি, বাংলা মুদ্রণ ও তাঁর পশ্চাৎপট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি পাণ্ডুলিপি থেকে মুদ্রণব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত কিছু উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব যেমন পঞ্চানন কর্মকার, উইলিয়াম কেরী, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার, সাতকড়ি মুখোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইত্যাদি ব্যক্তিত্বদের নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
গণআন্দোলনের ইতিকথা (১৭৬৩ – ১৯৬৭)
₹400
ভারতবর্ষের ইতিহাসে গণআন্দোলনের দীর্ঘ পরম্পরা লক্ষণীয়। দেশকালপাত্র নিরপেক্ষভাবে সর্বদেশেই গণআন্দোলনের মূল কারিগর হলেন আদিবাসী, কৃষক, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষেরাই। ঔপনিবেশিক আমলে এবং স্বাধীনতা-উত্তর কালপর্বে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের গণআন্দোলনেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। " গণআন্দোলনের ইতিকথা " গ্রন্থে বিশ্লেষণাত্মকভাবে দেখার চেষ্টা হয়েছে ১৭৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল অব্দি গণআন্দোলনের সংগ্রামী ইতিকথা-কে। এই গ্রন্থে আলোচিত বিষয়বস্তু দুটি পর্যায়ে বিভক্ত, (১) ঔপনিবেশিক যুগের গণআন্দোলন এবং (২) স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্বের গণআন্দোলন।
প্রথম অধ্যায়ে, ১৭৬৩ সালের (বাংলা ১১৭৬ সনের) মন্বস্তরজনিত জনবিক্ষোভ (যা সাধারণ্যে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে সমধিক পরিচিত) থেকে স্বাধীনতা (১৯৪৭) অব্দি নানান গণআন্দোলনের সংক্ষিপ্তাকারে এবং পরবর্তী দু'টি অধ্যায়ে যথাক্রমে গান্ধীজীর নেতৃত্বে বা তার প্রভাবে সমসময়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য আন্দোলন/প্রতিরোধের বর্ণনা এবং পরের অধ্যায়ে ' তেভাগা আন্দোলনের ' সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী সাতটি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ও দেশভাগ-উত্তর সময়কালে প্রথম দু'দশকের (১৯৪৭-৬৭) মুখ্যত বামপন্থীদের প্রভাবে গড়ে ওঠা নানান আন্দোলনমালার সালতামামি।
এই দুটি পর্যায়ের গণআন্দোলনের মধ্যে কোন যোগসূত্রতা আপাতদৃষ্টিতে না থাকলেও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ঔপনিবেশিক আমলের গণআন্দোলনের সংগ্রামী পরম্পরার গভীর প্রভাব কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের চেতনায় ঔপনিবেশিক উত্তরকালেও থেকে গিয়েছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালপর্বে সংগ্রামী জনগণ পূর্ববর্তী সংগ্রামগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছে। আজও পৃথিবী জুড়ে অন্যায় শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে মেহনতী নিপীড়িত মানুষের প্রতিবাদী গণআন্দোলনের তরঙ্গ সদা বহমান। তাই বর্তমান গ্রন্থের উপজীব্য বিষয়বস্তুর প্রাসঙ্গিকতা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। নীলেন্দু সেনগুপ্ত বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, অধ্যাপক গৌতম চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের তাৎপর্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারের সাহায্যে ‘গণআন্দোলনের ইতিকথা'-কে সার্থক ও সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন তথ্য ও উপাদানের কষ্টিপাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে, তা এই গ্রন্থের অন্যতম সম্পদ। গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে গবেষক ও সাধারণ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।